পরিচ্ছেদঃ ৮৪/১. আল্লাহর বাণীঃ এরপর কাফফারা দশজন দরিদ্রকে খাওয়ানো- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৮৯)।
وَمَا أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ نَزَلَتْ (فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ) وَيُذْكَرُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَطَاءٍ وَعِكْرِمَةَ مَا كَانَ فِي الْقُرْآنِ أَوْ أَوْ فَصَاحِبُهُ بِالْخِيَارِ وَقَدْ خَيَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَعْبًا فِي الْفِدْيَةِ
যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হচ্ছেঃ ’’ফিদ্ইয়া-এর মধ্যে সওম, সাদাকা অথবা কুরবানী করা।’’ (আল-বাকারাহ ২/১৯৬) ইবনু ’আব্বাস, ’আত্বা ও ইকরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, কুরআন মাজীদে যেখানে أَوْ أَوْ (অথবা, অথবা) শব্দ আছে কুরআনের অনুসারীদের জন্য সেখানে যে কোন একটি পন্থা গ্রহণের অধিকার রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’ব (রাঃ)-কে ফিদ্ইয়া আদায়ের ব্যাপারে যে কোন একটি পন্থা গ্রহণের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
৬৭০৮. কা’ব ইবনু উজরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলাম। তখন তিনি বললেনঃ কাছে এসো। তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমাকে কি তোমার উকুন কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ সওম অথবা সাদাকা অথবা কুরবানী করে ফিদ্ইয়া আদায় কর। ইবনু আউন আইউব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, সওম তিন দিন, কুরবানী একটি বকরী আর মিস্কীনের সংখ্যা হচ্ছে ছয়।[1] [১৮১৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫১)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ أَتَيْتُهُ يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " ادْنُ ". فَدَنَوْتُ فَقَالَ " أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ ". وَأَخْبَرَنِي ابْنُ عَوْنٍ عَنْ أَيُّوبَ قَالَ صِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ، وَالنُّسُكُ شَاةٌ، وَالْمَسَاكِينُ سِتَّةٌ.
Narrated Ka`b bin 'Ujra:
I came to the Prophet (ﷺ) and he said to me, "Come near." So I went near to him and he said, "Are your lice troubling you?" I replied, "Yes." He said, "(Shave your head and) make expiation in the form of fasting, Sadaqa (giving in charity), or offering a sacrifice." (The sub-narrator) Aiyub said, "Fasting should be for three days, and the Nusuk (sacrifice) is to be a sheep, and the Sadaqa is to be given to six poor persons."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/২. আর ধনী ও গরীব কখন কার উপর কাফফারা ওয়াজিব হয়
وقَوْلِهِ تَعَالَى (قَدْ فَرَضَ اللهُ لَكُمْ تَحِلَّةَ أَيْمَانِكُمْ وَاللهُ مَوْلاَكُمْ وَهُوَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ)
আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ তোমাদের জন্য নিজেদের কসমের বাধ্যবাধকতা থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আল্লাহ তোমাদের মালিক-মনিব-রক্ষক, আর তিনি সর্বজ্ঞাতা, মহা প্রজ্ঞার অধিকারী- (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ৬৬/১-২)।
৬৭০৯. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক লোক এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ তোমার কী হয়েছে? লোকটি বলল, রমযানে (দিনের বেলা) আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি কি একটি গোলাম আযাদ করতে পার? লোকটি বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি কি এক নাগাড়ে দু’ মাস সওম পালন করতে পার? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তা হলে কি তুমি ষাটজন মিস্কীনকে খানা খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ বস। লোকটি বসল। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক ’আরক’ আনা হলো যাতে ছিল খেজুর। আর ’আরক’ হল মাপ করার জন্য বড় ধরণের পাত্র। তিনি বললেনঃ এটা নিয়ে যাও এবং তা সাদাকা করে দাও। লোকটি বলল, আমার চেয়েও অভাবীকে (তা দান করব)? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে ফেললেনঃ এমন কি তাঁর মাড়ির দাঁত পর্যন্ত দেখা গেল। তিনি বললেনঃ এটা তোমার পরিজনকেই খাওয়াও।[1] [১৯৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫২)
بَاب مَتَى تَجِبُ الْكَفَّارَةُ عَلَى الْغَنِيِّ وَالْفَقِيرِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَمِعْتُهُ مِنْ فِيهِ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا شَأْنُكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ قَالَ تَسْتَطِيعُ تُعْتِقُ رَقَبَةً قَالَ لاَ قَالَ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لاَ قَالَ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لاَ قَالَ اجْلِسْ فَجَلَسَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ وَالْعَرَقُ الْمِكْتَلُ الضَّخْمُ قَالَ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ قَالَ أَعَلَى أَفْقَرَ مِنَّا فَضَحِكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ قَالَ أَطْعِمْهُ عِيَالَكَ
Narrated Abu Huraira:
A man came to the Prophet (ﷺ) and said, "I am ruined!" The Prophet (ﷺ) said, "What is the matter with you?" He said, "I had sexual relation with my wife (while I was fasting) in Ramadan." The Prophet (ﷺ) said, "Have you got enough to manumit a slave?" He said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you fast for two successive months?" The man said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you feed sixty poor persons?" The man said, "No." Then the Prophet (ﷺ) said to him, "Sit down," and he sat down. Afterwards an 'Irq, i.e., a big basket containing dates was brought to the Prophet (ﷺ) and the Prophet (ﷺ) said to him, "Take this and give it in charity." The man said, "To poorer people than we?" On that, the Prophet (ﷺ) smiled till his premolar teeth became visible, and then told him, "Feed your family with it."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৩. যে ব্যক্তি কাফফারা আদায়ে দরিদ্রকে সাহায্য করে।
৬৭১০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ সেটা কী? লোকটি বলল, রমযানে (দিনের বেলা) আমি স্ত্রী সহবাস করেছি। তিনি বললেনঃ তুমি কি একটি গোলাম আযাদ করতে পারবে? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে কি তুমি দু’মাস লাগাতার সওম পালন করতে পারবে? সে বলল, না। তাহলে কি তুমি ষাটজন মিস্কীনকে খাদ্য খাওয়াতে পারবে? লোকটি বলল, না। রাবী বলেন, এমন সময় এক আনসার লোক একটি ’আরক’ নিয়ে আসল। আর আরক হচ্ছে পরিমাপ পাত্র; তার মাঝে খেজুর ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা নিয়ে গিয়ে সাদাকা করে দাও। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার চেয়ে অভাবী লোককে কি তা দান করব? যিনি আপনাকে হকের সাথে পাঠিয়েছেন সেই সত্ত্বার কসম! মদিনার দু’উপত্যকার মাঝে আমার চেয়ে বেশি অভাবী আর কেউ নেই। এরপর রাসূলুল্লাহ্ বললেনঃ যাও, এগুলো নিয়ে তোমার পরিবারকে খাওয়াও। [১৯৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৩)
بَاب مَنْ أَعَانَ الْمُعْسِرَ فِي الْكَفَّارَةِ
مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ فَقَالَ وَمَا ذَاكَ قَالَ وَقَعْتُ بِأَهْلِي فِي رَمَضَانَ قَالَ تَجِدُ رَقَبَةً قَالَ لاَ قَالَ هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لاَ قَالَ فَتَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لاَ قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ الأَنْصَارِ بِعَرَقٍ وَالْعَرَقُ الْمِكْتَلُ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ اذْهَبْ بِهَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ قَالَ أَعَلَى أَحْوَجَ مِنَّا يَا رَسُولَ اللهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ مِنَّا ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ
Narrated Abu Huraira:
A man came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "I am ruined!" The Prophet (ﷺ) said to him, "What is the matter?" He said, "I have done a sexual relation with my wife (while fasting) in Ramadan." The Prophet said to him?" "Can you afford to manumit a slave?" He said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you fast for two successive months?" He said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you feed sixty poor persons?" He said, "No." Then an Ansari man came with an Irq (a big basket full of dates). The Prophet said (to the man), "Take this (basket) and give it in charity." That man said, "To poorer people than we, O Allah's Messenger (ﷺ)? By Him Who has sent you with the Truth! There is no house in between the two mountains (of the city of Medina) poorer than we." So the Prophet (ﷺ) said (to him), "Go and feed it to your family."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৪. দশজন মিসকীনকে কাফ্ফারা প্রদান করা; তারা নিকটাত্মীয়ই হোক বা দূরেরই হোক।
৬৭১১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কী হয়েছে? লোকটি বলল, রমযানে (দিনের বেলায়) আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি বললেনঃ একটি গোলাম আযাদ করার মত তুমি কিছু পাবে কি? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি এক নাগাড়ে দু’মাস সওম পালন করতে পারবে কি? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি ষাটজন মিস্কীনকে খাওয়াতে পারবে কি? সে বলল, আমার কাছে কিছুই নেই। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একটি ’আরক’ আনা হল, যাতে খেজুর ছিল। তখন তিনি বললেনঃ এটা নাও এবং গিয়ে তা সাদাকা করে দাও। সে বলল, আমার চেয়ে বেশি অভাবীকে কি দেব? এখানকার দু’ উপত্যকার মাঝে আমাদের চেয়ে অভাবী তো কেউ নেই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা নিয়ে যাও এবং তোমার পরিবারকে খাওয়াও। [১৯৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৪)
بَاب يُعْطِي فِي الْكَفَّارَةِ عَشَرَةَ مَسَاكِينَ قَرِيبًا كَانَ أَوْ بَعِيدًالا
عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ هَلَكْتُ قَالَ وَمَا شَأْنُكَ قَالَ وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ قَالَ هَلْ تَجِدُ مَا تُعْتِقُ رَقَبَةً قَالَ لاَ قَالَ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لاَ قَالَ فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لاَ أَجِدُ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ خُذْ هَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ فَقَالَ أَعَلَى أَفْقَرَ مِنَّا مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَفْقَرُ مِنَّا ثُمَّ قَالَ خُذْهُ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ
Narrated Abu Huraira:
A man came to the Prophets and said, "I am ruined!" The Prophet (ﷺ) said, "What is the matter with you?" He said, "I have done a sexual relation with my wife (while fasting) in Ramadan" The Prophet (ﷺ) said to him, "Can you afford to manumit a slave?" He said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you fast for two successive months?" He said, "No." The Prophet (ﷺ) said, "Can you feed sixty poor persons?" He said, "I have nothing." Later on an Irq (big basket) containing dates was given to the Prophet, and the Prophet (ﷺ) said (to him), "Take this basket and give it in charity." The man said, "To poorer people than we? Indeed, there is nobody between its (i.e., Medina's) two mountains who is poorer than we." The Prophet then said, "Take it and feed your family with it."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৫. মদীনাহর সা‘ ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মুদ্দ এবং এর বরকত। আর মদীনাহবাসী এত্থেকে যুগ যুগ ধরে ওয়ারিশসূত্রে যা লাভ করেছেন
৬৭১২. সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে সা’ ছিল তোমাদের এখনকার মুদ্দের এক মুদ্দ ও এক মুদ্দের তৃতীয়াংশ পরিমাণ। অতঃপর ’উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহ.)-এর যুগে তার পরিমাণ বর্দ্ধিত করা হয়েছে। [১৮৫৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৫)
بَاب صَاعِ الْمَدِينَةِ وَمُدِّ النَّبِيِّ ﷺ وَبَرَكَتِهِ وَمَا تَوَارَثَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذَلِكَ قَرْنًا بَعْدَ قَرْنٍ
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مَالِكٍ الْمُزَنِيُّ حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ كَانَ الصَّاعُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُدًّا وَثُلُثًا بِمُدِّكُمْ الْيَوْمَ فَزِيدَ فِيهِ فِي زَمَنِ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ
Narrated Al-Ju'aid bin `Abdur-Rahman:
As-Sa'ib bin Yazid said, "The Sa' at the time of the Prophet (ﷺ) was equal to one Mudd plus one-third of a Mudd of your time, and then it was increased in the time of Caliph `Umar bin `Abdul `Aziz."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৫. মদীনাহর সা‘ ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মুদ্দ এবং এর বরকত। আর মদীনাহবাসী এত্থেকে যুগ যুগ ধরে ওয়ারিশসূত্রে যা লাভ করেছেন
৬৭১৩. নাফি’ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’উমার (রাঃ) রমযানের ফিত্রা আদায় করতেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ্দ তথা প্রথম মুদ্দ-এর দ্বারা। আর কসমের কাফ্ফারাতেও তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ্দ ব্যবহার করতেন। আবূ কুতাইবাহ বলেন, মালিক (রাঃ) আমাদেরকে বলেছেন যে, আমাদের মুদ্দ তোমাদের মুদ্দের চেয়ে বড়। আর আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ্দেই ফাযীলাত দেখতে পাই। রাবী বলেন, আমাকে মালিক (রহ.) বলেছেনঃ তোমাদের কাছে কোন শাসক এসে যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ্দ থেকে তোমাদের মুদ্দকে ছোট করে দেন, তাহলে তোমরা কিসের মাধ্যমে (ওযন করে) মানুষদেরকে দিতে? আমি বললাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুদ্দ দিয়েই দিতাম। তিনি বললেন, তোমরা কি দেখছ না যে, সাম্প্রতিককালে লেনদেনের বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুদ্দের দিকে ফিরে যাচ্ছে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৬)
بَاب صَاعِ الْمَدِينَةِ وَمُدِّ النَّبِيِّ ﷺ وَبَرَكَتِهِ وَمَا تَوَارَثَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذَلِكَ قَرْنًا بَعْدَ قَرْنٍ
مُنْذِرُ بْنُ الْوَلِيدِ الْجَارُودِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ وَهْوَ سَلْمٌ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عُمَرَ يُعْطِي زَكَاةَ رَمَضَانَ بِمُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْمُدِّ الأَوَّلِ وَفِي كَفَّارَةِ الْيَمِينِ بِمُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو قُتَيْبَةَ قَالَ لَنَا مَالِكٌ مُدُّنَا أَعْظَمُ مِنْ مُدِّكُمْ وَلاَ نَرَى الْفَضْلَ إِلاَّ فِي مُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ لِي مَالِكٌ لَوْ جَاءَكُمْ أَمِيرٌ فَضَرَبَ مُدًّا أَصْغَرَ مِنْ مُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِأَيِّ شَيْءٍ كُنْتُمْ تُعْطُونَ قُلْتُ كُنَّا نُعْطِي بِمُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَفَلاَ تَرَى أَنَّ الأَمْرَ إِنَّمَا يَعُودُ إِلَى مُدِّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Nafi`:
Ibn `Umar used to give the Zakat of Ramadan (Zakat-al-Fitr) according to the Mudd of the Prophet, the first Mudd, and he also used to give things for expiation for oaths according to the Mudd of the Prophet. Abu Qutaiba said, "Malik said to us, 'Our Mudd (i.e., of Medina) is better than yours and we do not see any superiority except in the Mudd of the Prophet!' Malik further said, to me, 'If a ruler came to you and fixed a Mudd smaller than the one of the Prophet, by what Mudd would you measure what you give (for expiation or Zakat-al-Fitr?' I replied, 'We would give it according to the Mudd of the Prophet' On that, Malik said, 'Then, don't you see that we have to revert to the Mudd of the Prophet ultimately?'"
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৫. মদীনাহর সা‘ ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মুদ্দ এবং এর বরকত। আর মদীনাহবাসী এত্থেকে যুগ যুগ ধরে ওয়ারিশসূত্রে যা লাভ করেছেন
৬৭১৪. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’আ করেছেনঃ হে আল্লাহ্! তুমি তাদের পরিমাপে সা’-এ এবং মুদ্দে বারাকাত দান কর। [২১৩০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৭)
بَاب صَاعِ الْمَدِينَةِ وَمُدِّ النَّبِيِّ ﷺ وَبَرَكَتِهِ وَمَا تَوَارَثَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذَلِكَ قَرْنًا بَعْدَ قَرْنٍ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ اللهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي مِكْيَالِهِمْ وَصَاعِهِمْ وَمُدِّهِمْ
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Allah! Bestow Your Blessings on their measures, Sa' and Mudd (i.e., of the people of Medina).
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৬. আল্লাহর বাণীঃ অথবা গোলাম আযাদ করা- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৮৯)।
৬৭১৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে লোক একটি মুসলিম গোলাম আযাদ করবে আল্লাহ্ সে গোলামের প্রত্যেকটি অঙ্গের বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন হতে তার প্রত্যেকটি অঙ্গকে মুক্ত করবেন। এমন কি গোলামের গুপ্তাঙ্গের বিনিময়ে তার গুপ্তাঙ্গকেও।[1] [২৮১৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৮)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ}
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي غَسَّانَ مُحَمَّدِ بْنِ مُطَرِّفٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَرْجَانَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَعْتَقَ رَقَبَةً مُسْلِمَةً أَعْتَقَ اللهُ بِكُلِّ عُضْوٍ مِنْهُ عُضْوًا مِنْ النَّارِ حَتَّى فَرْجَهُ بِفَرْجِهِ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "If somebody manumits a Muslim slave, Allah will save from the Fire every part of his body for freeing the corresponding parts of the slave's body, even his private parts will be saved from the Fire) because of freeing the slave's private parts."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৭. কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে মুদাববার, উম্মু ওয়ালাদ, মুকাতাব এবং যিনার সন্তান আযাদ করা।
৬৭১৬. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আনসার গোত্রের এক লোক তার গোলামকে মুদাবিবর বানালো (মনিবের মৃত্যু হলে গোলাম মুক্ত হয়ে যাবে)। ঐ গোলাম ছাড়া তার আর কোন মাল ছিল না। খবরটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছল। তিনি বললেনঃ গোলামটিকে আমার নিকট হতে কে কিনে নেবে? নু’আয়ম ইবনু নাহ্হা (রাঃ) তাকে আটশ’ দিরহামের বিনিময়ে কিনে নিল। রাবী ’আমর (রাঃ) বলেন, আমি জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, গোলামটি ছিল কিব্তী আর (আযাদ করার) প্রথম বর্ষেই সে মারা গিয়েছিল। [২১৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৫৯)
بَاب عِتْقِ الْمُدَبَّرِ وَأُمِّ الْوَلَدِ وَالْمُكَاتَبِ فِي الْكَفَّارَةِ وَعِتْقِ وَلَدِ الزِّنَا
أَبُو النُّعْمَانِ أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَجُلاً مِنْ الأَنْصَارِ دَبَّرَ مَمْلُوكًا لَهُ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ غَيْرُهُ فَبَلَغَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنْ يَشْتَرِيهِ مِنِّي فَاشْتَرَاهُ نُعَيْمُ بْنُ النَّحَّامِ بِثَمَانِ مِائَةِ دِرْهَمٍ فَسَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ عَبْدًا قِبْطِيًّا مَاتَ عَامَ أَوَّلَ
Narrated `Amr:
Jabir said: An Ansari man made his slave a Mudabbar and he had no other property than him. When the Prophet (ﷺ) heard of that, he said (to his companions), "Who wants to buy him (i.e., the slave) for me?" Nu'aim bin An-Nahham bought him for eight hundred Dirhams. I heard Jabir saying, "That was a coptic slave who died in the same year."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৮. যখন কেউ এমন গোলাম আযাদ করে যার উপর তার ও অন্যের মালিকানা আছে অথবা কাফফারার ক্ষেত্রে গোলাম আযাদ করলে উক্ত গোলামের পরিত্যক্ত সম্পদ কে পাবে?
৬৭১৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বারীরা নামক বাঁদীকে কিনতে চাইলে তার মালিকগণ শর্ত আরোপ করল যে এর পরিত্যক্ত সম্পদের মালিক তারাই হবে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উল্লেখ করলে তিনি বললেনঃ তুমি তাকে কিনে নাও। কেননা আযাদকৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদের মালিকানা ঐ ব্যক্তির জন্য যে তাকে আযাদ করে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬০)
باب إذا أعتق عبدا بينه وبين آخر . بَاب إِذَا أَعْتَقَ فِي الْكَفَّارَةِ لِمَنْ يَكُونُ وَلاَؤُهُ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَاشْتَرَطُوا عَلَيْهَا الْوَلاَءَ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اشْتَرِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ
Narrated `Aisha:
that she intended to buy Barira (a slave girl) and her masters stipulated that they would have her Wala'. When `Aisha mentioned that to the Prophet (ﷺ) ; he said, "Buy her, for the Wala' is for the one who manumits."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৯. কসমের ভিতর ইনশাআল্লাহ্ বলা।
৬৭১৮. আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার কতক আশ’আরী লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একটি বাহন চাওয়ার জন্য এলাম। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদেরকে বাহন দিতে পারব না। আমার কাছে কিছু নেই যা বাহন হিসাবে তোমাদেরকে দিতে পারি। অতঃপর আল্লাহ্ যতক্ষণ চাইলেন আমরা অবস্থান করলাম। এমন সময় তাঁর কাছে কিছু উট আনা হল। তখন তিনি আমাদেরকে তিনটি উট দেয়ার নির্দেশ দিলেন। আমরা যখন রওনা দিলাম, তখন আমরা বলাবলি করলাম যে, আল্লাহ্ আমাদের বরকত দেবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বাহন চাওয়ার জন্য যখন এলাম তখন তিনি আমাদেরকে বাহন দেবেন না বলে শপথ করলেন। তারপরেও আমাদেরকে বাহন দিলেন। আবূ মূসা বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলাম এবং বিষয়টি তাঁর কাছে উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাদেরকে বাহন দেইনি; বরং আল্লাহ্ দিয়েছেন। আল্লাহর শপথ! ইনশাআল্লাহ্ আমি যখন কোন ব্যাপারে শপথ করি আর তার উল্টোটির মাঝে কল্যাণ দেখতে পাই তখন কসমের কাফ্ফারা আদায় করি। আর যেটি কল্যাণকর সেটিই করি। [৩১৩৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫১ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬১)
بَاب الِاسْتِثْنَاءِ فِي الأَيْمَانِ
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنْ الأَشْعَرِيِّينَ أَسْتَحْمِلُهُ فَقَالَ وَاللهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ مَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ ثُمَّ لَبِثْنَا مَا شَاءَ اللهُ فَأُتِيَ بِإِبِلٍ فَأَمَرَ لَنَا بِثَلاَثَةِ ذَوْدٍ فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ لاَ يُبَارِكُ اللهُ لَنَا أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَحْمِلَنَا فَحَمَلَنَا فَقَالَ أَبُو مُوسَى فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ مَا أَنَا حَمَلْتُكُمْ بَلْ اللهُ حَمَلَكُمْ إِنِّي وَاللهِ إِنْ شَاءَ اللهُ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ كَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي وَأَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ
Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:
I went to Allah's Messenger (ﷺ) along with a group of people from (the tribe of) Al-Ash`ari, asking for mounts. The Prophet (ﷺ) said, "By Allah, I will not give you anything to ride, and I have nothing to mount you on." We stayed there as long as Allah wished, and after that, some camels were brought to the Prophet and he ordered that we be given three camels. When we set out, some of us said to others, "Allah will not bless us, as we all went to Allah's Messenger (ﷺ) asking him for mounts, and although he had sworn that he would not give us mounts, he did give us." So we returned to the Prophet; and mentioned that to him. He said, "I have not provided you with mounts, but Allah has. By Allah, Allah willing, if I ever take an oath, and then see that another is better than the first, I make expiration for my (dissolved) oath, and do what is better and make expiration."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৯. কসমের ভিতর ইনশাআল্লাহ্ বলা।
৬৭১৯. হাম্মাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার কসমের কাফ্ফারা আদায় করি আর যেটি কল্যাণকর সেটি করি। অথবা বলেছেনঃ যেটি কল্যাণকর সেটি করি এবং আর (কসমের) কাফ্ফারা আদায় করি। [৩১৩৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬২)
بَاب الِاسْتِثْنَاءِ فِي الأَيْمَانِ
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ وَقَالَ إِلاَّ كَفَّرْتُ عَنْ يَمِينِي وَأَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ أَوْ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفَّرْتُ
Narrated Hammad:
the same narration above (i.e. 709), "I make expiation for my dissolved oath, and I do what is better, or do what is better and make expiation."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/৯. কসমের ভিতর ইনশাআল্লাহ্ বলা।
৬৭২০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুলায়মান (আঃ) একবার বলেছিলেন যে, অবশ্যই আজ রাতে আমি নব্বইজন স্ত্রীর সাথে মিলিত হব। তারা প্রত্যেকেই পুত্র সন্তান জন্ম দিবে যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন তার সাথী (রাবী সুফ্ইয়ান সাথী দ্বারা ফেরেশতা বুঝিয়েছেন) তাকে বলল, আপনি ইনশাআল্লাহ্ বলুন। কিন্তু তিনি তা ভুলে গেলেন এবং স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হলেন। কিন্তু একজন ছাড়া অন্য কোন স্ত্রীর কোন সন্তান হল না; আর সেটাও ছিল অপূর্ণাঙ্গ। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) এ ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনি কসমের মাঝে ইনশা আল্লাহ্ বললে তাঁর কসমও ভঙ্গ হত না, আর উদ্দেশ্যও পূর্ণ হত।[1] একবার আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) এরূপ বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনি যদি ’ইস্তিসনা’ করতেন (অর্থাৎ ইনশা আল্লাহ্ বলতেন)। আবূ যিনাদ আ’রাজের সূত্রে আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৩)
بَاب الِاسْتِثْنَاءِ فِي الأَيْمَانِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ، عَنْ طَاوُسٍ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ سُلَيْمَانُ لأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى تِسْعِينَ امْرَأَةً، كُلٌّ تَلِدُ غُلاَمًا يُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ. فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ ـ قَالَ سُفْيَانُ يَعْنِي الْمَلَكَ ـ قُلْ إِنْ شَاءَ اللَّهُ. فَنَسِيَ، فَطَافَ بِهِنَّ، فَلَمْ تَأْتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ بِوَلَدٍ، إِلاَّ وَاحِدَةٌ بِشِقِّ غُلاَمٍ. فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَرْوِيهِ قَالَ " لَوْ قَالَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَمْ يَحْنَثْ وَكَانَ دَرَكًا فِي حَاجَتِهِ ". وَقَالَ مَرَّةً قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوِ اسْتَثْنَى ". وَحَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ مِثْلَ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ.
Narrated Abu Huraira:
(The Prophet) Solomon said, "Tonight I will sleep with (my) ninety wives, each of whom will get a male child who will fight for Allah's Cause." On that, his companion (Sufyan said that his companion was an angel) said to him, "Say, "If Allah will (Allah willing)." But Solomon forgot (to say it). He slept with all his wives, but none of the women gave birth to a child, except one who gave birth to a halfboy. Abu Huraira added: The Prophet (ﷺ) said, "If Solomon had said, "If Allah will" (Allah willing), he would not have been unsuccessful in his action, and would have attained what he had desired." Once Abu Huraira added: Allah apostle said, "If he had accepted."
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/১০. কসম ভঙ্গ করার পূর্বে এবং পরে কাফফারা আদায় করা।
৬৭২১. যাহদাম জারমী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ)-এর নিকট ছিলাম। আমাদের এবং জার্ম সম্প্রদায়ের মাঝে ভ্রাতৃভাব ও সুসম্পর্ক বজায় ছিল। রাবী বলেন, তার জন্য খানা হাজির করা হল, আর তাতে ছিল মুরগীর মাংস। তাদের দলের মাঝে বানী তাইমিল্লাহ্ সম্প্রদায়ের এক লোক ছিল যার গায়ের রং ছিল লাল যেন দেখতে গোলাম। রাবী বলেন, লোকটি খানার কাছেও গেল না। আবূ মূসা আশ’আরী তাকে বললেন, কাছে এসো (খানা খাও) কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এর গোশ্ত খেতে দেখেছি। লোকটি বলল, আমি একে (মুরগীকে) কিছু খেতে দেখেছি; তাই আমি এটিকে ঘৃণা করি। আর আমি হলফ করেছি যে, আমি এটি কক্ষনো খাব না। আবূ মূসা (রাঃ) বলেন, কাছে এসো; আমি তোমাকে এ সম্পর্কে জানাচ্ছি।
একবার আমরা আশ’আরী গোত্রের একটি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বাহন চাওয়ার জন্য এলাম। তখন তিনি যাকাতের উট বণ্টন করছিলেন। আইয়্যুব বলেন, আমার মনে হয় তিনি তখন রাগান্বিত হয়ে বলেছিলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি তোমাদেরকে বাহন দিব না। আমার কাছে কোন বাহন নেই। রাবী বলেন, তখন আমরা চলে গেলাম। এমন সময় তাঁর নিকট যুদ্ধে প্রাপ্ত কয়েকটি উট আনা হল। তিনি বললেনঃ ঐ আশ’আরী লোকগুলো কোথায়? ঐ আশ’আরী লোকগুলো কোথায়? তখন আমরা ফিরে এলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঁচটি মোটা তাজা সুন্দর উট আমাদেরকে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলেন। আমরা উটগুলো নিয়ে রওনা হলাম।
তখন আমি আমার সাথীদের বললাম, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বাহন চাওয়ার জন্য এসেছিলাম। আর তিনি আমাদেরকে বাহন দিবেন না বলে কসম করেছিলেন। কিন্তু তারপর আমাদের কাছে লোক পাঠালেন এবং আমাদেরকে বাহন দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কসম ভূলে গেছেন। আল্লাহর কসম! আমরা যদি রাসূলুল্লাহ্কে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কসম সম্পর্কে গাফেল রাখি তাহলে তো আমরা কখনও সফলকাম হব না। চল, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ফিরে যাই এবং তাঁর কসমের কথা স্মরণ করিয়ে দেই।
অতঃপর আমরা ফিরে গিয়ে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার কাছে বাহন চাওয়ার জন্য এসেছিলাম, আপনি আমাদেরকে বাহন দিবেন না বলে কসম করেছিলেন। কিন্তু পরে আবার বাহন দিলেন। এতে আমরা ধারণা করলাম বা বুঝতে পারলাম, আপনি আপনার কসমের কথা ভুলে গেছেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা চলে যাও। আল্লাহ্ই তো তোমাদেরকে বাহন দিয়েছেন। আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি যখন আল্লাহর ইচ্ছায় কোন ব্যাপারে কসম করি আর অন্যটির ভিতর কল্যাণ দেখতে পাই তখন যেটার মাঝে কল্যাণ আছে সেটা করি এবং কসমের কাফ্ফারা আদায় করে দেই। হাম্মাদ ইবনু যায়দ, আইউব, আবূ কিলাবা এবং কাসিম ইবনু আসিম কুলায়বী (রহ.) থেকে এ হাদীসে ইসমাঈল ইবনু ইব্রাহীমের অনুসরণ করেছেন। [৩১৩৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৪)
কুতায়বা সূত্রে যাহদাম (রাঃ) থেকে এরকমই বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৫)
আবূ মা’মার সূত্রে যাহদাম (রাঃ) থেকেও এরকমই বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৬)
بَاب الْكَفَّارَةِ قَبْلَ الْحِنْثِ وَبَعْدَهُ
عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ الْقَاسِمِ الْتَّمِيمِيِّ عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى وَكَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ هَذَا الْحَيِّ مِنْ جَرْمٍ إِخَاءٌ وَمَعْرُوفٌ قَالَ فَقُدِّمَ طَعَامٌ قَالَ وَقُدِّمَ فِي طَعَامِهِ لَحْمُ دَجَاجٍ قَالَ وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مَوْلًى قَالَ فَلَمْ يَدْنُ فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى ادْنُ فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ مِنْهُ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا قَذِرْتُهُ فَحَلَفْتُ أَنْ لاَ أَطْعَمَهُ أَبَدًا فَقَالَ ادْنُ أُخْبِرْكَ عَنْ ذَلِكَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَهْطٍ مِنْ الأَشْعَرِيِّينَ أَسْتَحْمِلُهُ وَهُوَ يَقْسِمُ نَعَمًا مِنْ نَعَمِ الصَّدَقَةِ قَالَ أَيُّوبُ أَحْسِبُهُ قَالَ وَهُوَ غَضْبَانُ قَالَ وَاللهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَأُتِيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِنَهْبِ إِبِلٍ فَقِيلَ أَيْنَ هَؤُلاَءِ الأَشْعَرِيُّونَ فَأَتَيْنَا فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى قَالَ فَانْدَفَعْنَا فَقُلْتُ لِأَصْحَابِي أَتَيْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَسْتَحْمِلُهُ فَحَلَفَ أَنْ لاَ يَحْمِلَنَا ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْنَا فَحَمَلَنَا نَسِيَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَمِينَهُ وَاللهِ لَئِنْ تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَمِينَهُ لاَ نُفْلِحُ أَبَدًا ارْجِعُوا بِنَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلْنُذَكِّرْهُ يَمِينَهُ فَرَجَعْنَا فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَيْنَاكَ نَسْتَحْمِلُكَ فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا ثُمَّ حَمَلْتَنَا فَظَنَنَّا أَوْ فَعَرَفْنَا أَنَّكَ نَسِيتَ يَمِينَكَ قَالَ انْطَلِقُوا فَإِنَّمَا حَمَلَكُمْ اللهُ إِنِّي وَاللهِ إِنْ شَاءَ اللهُ لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلاَّ أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا تَابَعَهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ وَالْقَاسِمِ بْنِ عَاصِمٍ الْكُلَيْبِيِّ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ وَالْقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ عَنْ زَهْدَمٍ بِهَذَا
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ الْقَاسِمِ عَنْ زَهْدَمٍ بِهَذَا
(১) শপথের পূর্বে কাফফারা দিলে ইমামদের সর্বসম্মতিক্রমে তা আদায় হবে না।
(২) শপথ করে শপথ ভঙ্গের পরে কাফফারা আদায় করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা আদায় হবে।
(৩) শপথের পরে এবং তা ভঙ্গের পূর্বে কাফ্ফারা আদায় নিয়ে ইমামদের মাঝে মতভেদ রয়েছে :
(ক) জামহুর উলামাদের মত হল, কাফ্ফারা আদায় হয়ে যাবে।
(খ) আহলুর রায়ের (ইমাম আবু হানীফা) নিকট আদায় হবে না।
(গ) ইমাম শাফেয়ীর নিকট সিয়াম পালন ব্যতীত অন্য কাফ্ফারা আদায় হয়ে যাবে। তবে মতানৈক্য থাকলেও জামহুরের মতই হাদীসের অনুকূলে। (ফাতহুল বারী)
Narrated Zahdam al-Jarmi:
We were sitting with Abu Musa Al-Ash'sari, and as there were ties of friendship and mutual favors between us and his tribe. His meal was presented before him and there was chicken meat in it. Among those who were present there was a man from Bani Taimillah having a red complexion as a non-Arab freed slave, and that man did not approach the meal. Abu Musa said to him, "Come along! I have seen Allah's Messenger (ﷺ) eating of that (i.e., chicken)." The man said, "I have seen it (chickens) eating something I regarded as dirty, and so I have taken an oath that I shall not eat (its meat) chicken." Abu Musa said, "Come along! I will inform you about it (i.e., your oath). Once we went to Allah's Messenger (ﷺ) in company with a group of Ash'airiyin, asking him for mounts while he was distributing some camels from the camels of Zakat. (Aiyub said, "I think he said that the Prophet was in an angry mood at the time.") The Prophet (ﷺ) said, 'By Allah! I will not give you mounts, and I have nothing to mount you on.' After we had left, some camels of booty were brought to Allah's Apostle and he said, "Where are those Ash`ariyin? Where are those Ash`ariyin?" So we went (to him) and he gave us five very fat good-looking camels. We mounted them and went away, and then I said to my companions, 'We went to Allah's Messenger (ﷺ) to give us mounts, but he took an oath that he would not give us mounts, and then later on he sent for us and gave us mounts, perhaps Allah's Messenger (ﷺ) forgot his oath. By Allah, we will never be successful, for we have taken advantage of the fact that Allah's Messenger (ﷺ) forgot to fulfill his oath. So let us return to Allah's Messenger (ﷺ) to remind him of his oath.' We returned and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! We came to you and asked you for mounts, but you took an oath that you would not give us mounts) but later on you gave us mounts, and we thought or considered that you have forgotten your oath.' The Prophet (ﷺ) said, 'Depart, for Allah has given you Mounts. By Allah, Allah willing, if I take an oath and then later find another thing better than that, I do what is better, and make expiation for the oath.' "
(two other narrations through Zahdam as above)
পরিচ্ছেদঃ ৮৪/১০. কসম ভঙ্গ করার পূর্বে এবং পরে কাফফারা আদায় করা।
৬৭২২. ’আবদুর রাহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি নেতৃত্ব চেও না। কেননা, চাওয়া ছাড়া যদি তোমাকে তা দেয়া হয় তাহলে তোমাকে তাতে সাহায্য করা হবে। আর যদি চাওয়ার পর তা তোমাকে দেয়া হয়, তবে তা তোমার দায়িত্বেই ছেড়ে দেয়া হবে (অর্থাৎ এর ভাল মন্দের দায়িত্ব তোমারই থাকবে)। তুমি যখন কোন বিষয়ে কসম কর আর অন্যটির মাঝে কল্যাণ দেখতে পাও, তখন যেটার মাঝে কল্যাণ সেটাই কর। আর তোমার কসমের কাফ্ফারা আদায় করে দাও। [৬৬২২]
আশহাল ইবনু হাতিম, ইবনু আউন থেকে এবং উস্মান ইবনু আমার-এর অনুসরণ করেছেন এবং ইউনুস, সিমাক ইবনু আতিয়্যা, সিমাক ইবনু হারব্, হুমায়দ, ক্বাতাদাহ্, মানসুর, হিশাম ও রাবী’ উক্ত বর্ণনায় ইবনু আউন-এর অনুসরণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬২৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৬৭)
بَاب الْكَفَّارَةِ قَبْلَ الْحِنْثِ وَبَعْدَهُ
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ بْنِ فَارِسٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَسْأَلْ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ تَابَعَهُ أَشْهَلُ بْنُ حَاتِمٍ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ وَتَابَعَهُ يُونُسُ وَسِمَاكُ بْنُ عَطِيَّةَ وَسِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ وَحُمَيْدٌ وَقَتَادَةُ وَمَنْصُورٌ وَهِشَامٌ وَالرَّبِيعُ
Narrated `Abdur-Rahman bin Samura:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "(O `Abdur-Rahman!) Do not seek to be a ruler, for, if you are given the authority of ruling without your asking for it, then Allah will help you; but if you are given it by your asking, then you will be held responsible for it (i.e. Allah will not help you ) . And if you take an oath to do something and later on find another thing, better than that, then do what is better and make expiation for (the dissolution of) your oath."