পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১. আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মাতের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আহবান।
৭৩৭১. ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’য়ায (রাঃ)-কে ইয়ামানে প্রেরণ করেছিলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ إِلَى تَوْحِيدِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ
[1] মূলতঃ ইমাম বুখারী এই পর্বটি জাহমিয়্যাদের আক্বীদাকে খন্ডন করার উদ্দেশ্যেই উল্লেখ করেছেন। কারণ জাহমিয়্যা এমন এক বিদ‘আতী দল যারা তাওহীদকে অস্বীকার করে থাকে। মুসতামলীর বর্ণনাতে পর্বটির নাম كتاب الرد على الجهمية وغيرهم। এখানে وغيرهم এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কাদেরিয়া সম্প্রদায়।
ইতঃপূর্বেও ইমাম বুখারী খারেজীদের আক্বীদাকে খন্ডন করার জন্য كتاب الفتن এবং রাফেজাদের (শি’আদের) আক্বীদাকে খন্ডন করার জন্য كتاب الاحكام নামে পর্ব উল্লেখ করেছেন। বলা বাহুল্য যে, এই চারটি দলই বিদ‘আতের চূঁড়া। জাহমিয়্যাহ সম্প্রদায় আল্লাহর সিফাতকে অস্বীকার করে, কুরআন সম্পর্কে বলে, এটা আল্লাহর কালাম নয় বরং এটা তার সৃষ্টি। আল্লাহ সম্পর্কে আরো বলে, তিনি বাতাসের ন্যায় প্রত্যেক বস্ত্তর সাথে আছেন। এদের সর্দারের নাম জাহাম বিন সাফওয়ান।
Narrated Ibn 'Abbas (ra):
The Prophet (ﷺ) sent Mu'adh to Yemen.
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১. আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মাতের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আহবান।
৭৩৭২. ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর মুক্ত গোলাম আবূ মা’বাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামান পাঠালেন, তখন তিনি তাঁকে বললেন, তুমি আহলে কিতাবদের একটি কাওমের কাছে যাচ্ছ। অতএব, তাদের প্রতি তোমার প্রথম আহবান হবে- তারা যেন আল্লাহর একত্ববাদকে মেনে নেয়। তারা তা জেনে নিলে তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ্ দিনে রাতে তাদের প্রতি পাঁচ বার সালাত ফরজ করে দিয়েছেন। যখন তারা সালাত আদায় করবে, তখন তুমি তাদেরকে জানিয়ে দাও যে, তাদের ধন-সম্পদে আল্লাহ্ তাদের প্রতি যাকাত ফরজ করেছেন। তা তাদেরই ধনশালীদের থেকে গ্রহণ করা হবে। আবার তাদের ফকীরদেরকে তা দেয়া হবে। যখন তারা স্বীকার করে নেবে, তখন তাদের থেকে গ্রহণ কর। তবে লোকজনের ধন-সম্পদের উত্তম অংশ গ্রহণ করা থেকে বেঁচে থাক। [১৩৯৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৮)
بَاب مَا جَاءَ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ إِلَى تَوْحِيدِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
و حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أُمَيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيْفِيٍّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ لَمَّا بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى نَحْوِ أَهْلِ الْيَمَنِ قَالَ لَهُ إِنَّكَ تَقْدَمُ عَلَى قَوْمٍ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَلْيَكُنْ أَوَّلَ مَا تَدْعُوهُمْ إِلَى أَنْ يُوَحِّدُوا اللهَ تَعَالَى فَإِذَا عَرَفُوا ذ‘لِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِهِمْ وَلَيْلَتِهِمْ فَإِذَا صَلَّوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ زَكَاةً فِي أَمْوَالِهِمْ تُؤْخَذُ مِنْ غَنِيِّهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فَقِيرِهِمْ فَإِذَا أَقَرُّوا بِذَلِكَ فَخُذْ مِنْهُمْ وَتَوَقَّ كَرَائِمَ أَمْوَالِ النَّاسِ
Narrated Ibn `Abbas:
When the Prophet (ﷺ) sent Mu`adh to Yemen, he said to him, "You are going to a nation from the people of the Scripture, so let the first thing to which you will invite them, be the Tauhid of Allah. If they learn that, tell them that Allah has enjoined on them, five prayers to be offered in one day and one night. And if they pray, tell them that Allah has enjoined on them Zakat of their properties and it is to be taken from the rich among them and given to the poor. And if they agree to that, then take from them Zakat but avoid the best property of the people."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১. আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মাতের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আহবান।
৭৩৭৩. মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে মু’আয! তোমার কি জানা আছে, বান্দার উপর আল্লাহর হক কী? তিনি বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বান্দা আল্লাহর ’ইবাদাত করবে, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। (আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন) আল্লাহর উপর বান্দার হক কী তা কি তুমি জান? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ তা হল বান্দাদেরকে শাস্তি না দেয়া। [২৮৫৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৯)
بَاب مَا جَاءَ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ إِلَى تَوْحِيدِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي حَصِينٍ وَالأَشْعَثِ بْنِ سُلَيْمٍ سَمِعَا الأَسْوَدَ بْنَ هِلاَلٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا مُعَاذُ أَتَدْرِي مَا حَقُّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ قَالَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا أَتَدْرِي مَا حَقُّهُمْ عَلَيْهِ قَالَ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ
Narrated Mu`adh bin Jabal:
The Prophet (ﷺ) said, "O Mu`adh! Do you know what Allah's Right upon His slaves is?" I said, "Allah and His Apostle know best." The Prophet (ﷺ) said, "To worship Him (Allah) Alone and to join none in worship with Him (Allah). Do you know what their right upon Him is?" I replied, "Allah and His Apostle know best." The Prophet (ﷺ) said, "Not to punish them (if they do so).
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১. আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মাতের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আহবান।
৭৩৭৪. আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক লোক অন্য এক লোককে বারবার ’ইখলাস’ সূরা তিলাওয়াত করতে শুনল। সকাল বেলা লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁর নিকট এ বিষয়টি উল্লেখ করল; লোকটি যেন সূরা ইখ্লাসের গুরুত্বকে কম করছিল। এই প্রেক্ষিতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে সত্তার হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি! এ সূরাটি অবশ্যই কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ।
ইসমাঈল ইবনু জা’ফর ক্বাতাদাহ ইবনু আল-নুমান (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে (কিছুটা) বৃদ্ধি সহ বর্ণনা করেছেন। [৫০১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭০৭)
بَاب مَا جَاءَ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ إِلَى تَوْحِيدِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَجُلاً سَمِعَ رَجُلاً يَقْرَأُ (قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ لَهُ ذَلِكَ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ زَادَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَخْبَرَنِي أَخِي قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
A man heard another man reciting (in the prayers): 'Say (O Muhammad): "He is Allah, the One." (112.1) And he recited it repeatedly. When it was morning, he went to the Prophet (ﷺ) and informed him about that as if he considered that the recitation of that Sura by itself was not enough. Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my life is, it is equal to one-third of the Qur'an."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১. আল্লাহর তাওহীদের দিকে উম্মাতের প্রতি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আহবান।
৭৩৭৫. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে একটি মুজাহিদ দলের প্রধান করে অভিযানে পাঠালেন। সালাতে তিনি যখন তাঁর সাথীদের নিয়ে ইমামত করতেন, তখন ইখ্লাস সূরাটি দিয়ে সালাত শেষ করতেন। তারা যখন অভিযান থেকে ফিরে আসল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে ব্যাপারটি আলোচনা করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাঁকেই জিজ্ঞেস করে কেন সে এ কাজটি করেছে? এরপর তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিলেন, এ সূরাটির আল্লাহ্ তা’আলার গুণাবলী রয়েছে। এ জন্য সূরাটিতে পড়তে আমি ভালোবাসি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ্ তাঁকে ভালবাসেন। [মুসলিম ৬/৪৫, হাঃ ৮১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭১)
بَاب مَا جَاءَ فِي دُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُمَّتَهُ إِلَى تَوْحِيدِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَمْرٌو عَنْ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ أَنَّ أَبَا الرِّجَالِ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ عَنْ أُمِّهِ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَكَانَتْ فِي حَجْرِ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ وَكَانَ يَقْرَأُ لأَصْحَابِهِ فِي صَلاَتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ فَلَمَّا رَجَعُوا ذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَلُوهُ لأيِّ شَيْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ فَسَأَلُوهُ فَقَالَ لأَ÷نَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ وَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبِرُوهُ أَنَّ اللهَ يُحِبُّهُ
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) sent (an army unit) under the command of a man who used to lead his companions in the prayers and would finish his recitation with (the Sura 112): 'Say (O Muhammad): "He is Allah, the One." ' (112.1) When they returned (from the battle), they mentioned that to the Prophet. He said (to them), "Ask him why he does so." They asked him and he said, "I do so because it mentions the qualities of the Beneficent and I love to recite it (in my prayer)." The Prophet; said (to them), "Tell him that Allah loves him."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/২. তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ্ নামে ডাকো বা রাহমান নামে ডাকো। তোমরা যে নামেই ডাকো সকল সুন্দর নামই তাঁর।
৭৩৭৬. জারীর ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তার প্রতি রহম করেন না, যে মানুষের প্রতি রহম করে না। [৬০১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭২)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {قُلْ ادْعُوا اللهَ أَوْ ادْعُوا الرَّحْمَنَ أَيًّا مَا تَدْعُوا فَلَهُ الأَسْمَاءُ الْحُسْنَى}
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ وَأَبِي ظَبْيَانَ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَرْحَمُ اللهُ مَنْ لاَ يَرْحَمُ النَّاسَ.
[1] মূলতঃ ইমাম বুখারী এই باب উল্লেখ করেছেন আল্লাহ তা‘আলার অসংখ্য নাম صفات কে প্রমাণ করার জন্য। সহীহ বুখারীর কোন কোন ব্যাখ্যাকারী বলেন : এ باب টি যেন মূল আর পরবর্তী ابواب গুলো শাখা-প্রশাখা। আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার কারণ হলো : মুশরিকরা যখন শুনতে পেল যে রসূল (সাঃ) আল্লাহ তা‘আলাকে আহবান করেছেন يا اللهু يارحمن বলে, তখন তারা বলল যে, মুহাম্মাদ আমাদেরকে এক আল্লাহকে আহবান করার নির্দেশ দেয় অথচ তিনি দু’জন আল্লাহকে আহবান করছেন। তখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।
সুতরাং বুঝা গেল যে, তিনি এক সত্তা, তিনি অদ্বিতীয়, কিন্তু তাঁর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম ও গুণাবলী (صفات) রয়েছে। তাওহীদ তিন প্রকার : যথা : ১. তাওহীদ রুবূবিয়্যাত- (সৃষ্টি ও পালনে আল্লাহর একত্ব), তাওহীদে ’ইবাদাত বা উলূহিয়্যাত- (’ইবাদাত বা উপাসনায় একত্ব) এবং ৩. তাওহীদে আসমা ও সিফাত- নামও গুণাবলীর একত্ব)।
এখানে তাওহীদে আসমা ওয়াস সিফাতকে স্থির করা হয়েছে যথা তার একটি নাম رحمن ফলে তিনি رحمن সিফাতটি তার জন্য স্থির করেছেন। এই সিফাতটি তাঁর صفات ذات এর অন্তর্গত।
رحمة দ্বারা নেকী, ইচ্ছা অন্য কোন উদ্দেশ্য নেয়া যাবে না। অনুরূপ আল্লাহর রহমতের তুলনা কোন মাখলূকের রহমতের সাথে দেয়া যাবে না। সুতরাং তাওহীদে আসমা ওয়াস্সিফাত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার ঐ সব নাম ও গুণাবলীকে যথাযথভাবে মেনে নেয়া যা আল্লাহ তা‘আলা নিজ সম্বন্ধে তাঁর কিতাবে এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে বর্ণনা করেছেন। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলা যে সমস্ত নাম ও গুণাবলীকে তার নিজ সম্বন্ধে কিতাবে নিষেধ করেছেন এবং রসূল (সাঃ) তাঁর সহীহ হাদীসে আল্লাহ সম্বন্ধে নিষেধ করেছেন তা নিষেধ করা। ঐ সমস্ত নাম ও গুণাবলীর কোন অপব্যাখ্যা, উদাহরণ, অস্বীকার, পরিবর্তন অথবা কোন স্বরূপ (নিজস্ব) কল্পনা করা যাবে না। ফলে আল্লাহ তা‘আলার রহমাত, আযাব, আনন্দ প্রকাশ, রাগ হওয়া, কথা বলা, দেখা, শোনা, দুনিয়ার আসমানে নেমে আসা, তিনি আরশের উপরে, তার হাত রয়েছে, পা রয়েছে, অন্তর রয়েছে ইত্যাদি কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই ঠিক যেভাবে বর্ণনায় এসেছে সেভাবেই মেনে নিতে হবে। অনুরূপ আল্লাহ তা‘আলার অংশীদার নেই, পিতা-মাত নেই, সন্তান-সন্ততি নেই, তাকে তন্দ্রা ও ঘুম স্পর্শ করে না, তার মৃত্যু নেই ইত্যাদি যা নিষেধ এসেছে তা সাব্যস্ত করা যাবে না।
Narrated Jarir bin `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah will not be merciful to those who are not merciful to mankind."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/২. তুমি বলে দাও, তোমরা আল্লাহ্ নামে ডাকো বা রাহমান নামে ডাকো। তোমরা যে নামেই ডাকো সকল সুন্দর নামই তাঁর।
৭৩৭৭. উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ছিলাম। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক কন্যার পক্ষ থেকে একজন সংবাদবাহক এসে তাঁকে জানাল যে, তাঁর মেয়ের পুত্রের মৃত্যু যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদবাহককে বলে দিলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ্ যা নিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি যা দিয়ে রেখেছেন সবেরই তিনি মালিক। তাঁর কাছে প্রতিটি জিনিসের মেয়াদ সুনির্দিষ্ট। কাজেই তাকে গিয়ে ধৈর্য ধরতে এবং প্রতিফল পাওয়ার আশা করতে বল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেয়ে আবার সংবাদ বাহককে পাঠালেন।
সে এসে বলল, আপনাকে তাঁর কাছে যাবার জন্য তিনি কসম দিয়ে বলেছেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন, তাঁর সঙ্গে সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ), মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-ও দাঁড়ালেন। এরপর শিশুটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট দেয়া হল। তখন শিশুটির শ্বাস এভাবে দুর্বল হয়ে আসছিল, যেন তা একটি মশ্কে আছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখ ভিজে গেল। সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (এটা কী?) তিনি বললেনঃ এটিই রহম- দয়ামায়া, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের অন্তরে সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর রহম-দিল বান্দাহদের উপরই দয়া করে থাকেন। [১২৮৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {قُلْ ادْعُوا اللهَ أَوْ ادْعُوا الرَّحْمَنَ أَيًّا مَا تَدْعُوا فَلَهُ الأَسْمَاءُ الْحُسْنَى}
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ رَسُولُ إِحْدَى بَنَاتِهِ يَدْعُوهُ إِلَى ابْنِهَا فِي الْمَوْتِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ارْجِعْ إِلَيْهَا فَأَخْبِرْهَا أَنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَيْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى فَمُرْهَا فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ فَأَعَادَتْ الرَّسُولَ أَنَّهَا قَدْ أَقْسَمَتْ لَتَأْتِيَنَّهَا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ مَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ فَدُفِعَ الصَّبِيُّ إِلَيْهِ وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ كَأَنَّهَا فِي شَنٍّ فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ مَا هَذَا قَالَ هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ
Narrated Usama bin Zaid:
We were with the Prophet (ﷺ) when suddenly there came to him a messenger from one of his daughters who was asking him to come and see her son who was dying. The Prophet (ﷺ) said (to the messenger), "Go back and tell her that whatever Allah takes is His, and whatever He gives is His, and everything with Him has a limited fixed term (in this world). So order her to be patient and hope for Allah's reward." But she sent the messenger to the Prophet (ﷺ) again, swearing that he should come to her. So the Prophet got up, and so did Sa`d bin 'Ubada and Mu`adh bin Jabal (and went to her). When the child was brought to the Prophet (ﷺ) his breath was disturbed in his chest as if it were in a water skin. On that the eyes of the Prophet (ﷺ) became flooded with tears, whereupon Sa`d said to him, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What is this?" The Prophet (ﷺ) said, "This is mercy which Allah has put in the heart of His slaves, and Allah bestows His mercy only on those of His slaves who are merciful (to others)."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৩. আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই আমি তো রিযিক দাতা প্রবল, পরাক্রান্ত। (সূরাহ আয্ যারিয়াত ৫১/৫৮)
৭৩৭৮. আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমন কেউই নেই যে দুঃখ কষ্টদায়ক কিছু শোনার পর, সে ব্যাপারে আল্লাহর চেয়ে বেশি সবর করতে পারে। লোকেরা আল্লাহর সন্তান আছে বলে দাবী করে, কিন্তু এর পরেও তিনি তাদেরকে শান্তিতে রাখেন এবং রিয্ক দেন। [৬০৯৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৪)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {إِنَّ اللهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِينُ}
عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا أَحَدٌ أَصْبَرُ عَلَى أَذًى سَمِعَهُ مِنْ اللهِ يَدَّعُونَ لَهُ الْوَلَدَ ثُمَّ يُعَافِيهِمْ وَيَرْزُقُهُمْ.
Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:
The Prophet (ﷺ) said, "None is more patient than Allah against the harmful and annoying words He hears (from the people): They ascribe children to Him, yet He bestows upon them health and provision .
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৪. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সূরাহ জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে- (সূরাহ লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন- (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)। তাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না - (সূরাহ ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে- (সূরাহ ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।
قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
আবূ ’আবদুল্লাহ্ [(বুখারী (রহ.)] বলেন, ইয়াহ্ইয়া (রহ.) বলেছেন, আল্লাহ্ জ্ঞানের আলোকে সমস্ত সৃষ্টির উপর প্রকাশমান, আবার তিনি জ্ঞানের আলোকেই অপ্রকাশিত।
৭৩৭৯. ’উমার (রাঃ) সূত্রে নবী সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ গায়িবের চাবি পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (১) মায়ের পেটে কী লুকিয়ে আছে তা জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (২) আগামীকাল কী ঘটবে তাও জানেন একমাত্র আল্লাহ্। (৩) বৃষ্টিপাত কখন হবে তাও আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (৪) কে কোন্ ভূমিতে মারা যাবে তা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেউ জানে না। (৫) ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) কখন ঘটবে আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। [১০৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৫)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ {إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهٖ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثٰى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهٖ إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَفَاتِيحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ اللهُ لاَ يَعْلَمُ مَا تَغِيضُ الأَرْحَامُ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ أَحَدٌ إِلاَّ اللهُ وَلاَ تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِلاَّ اللهُ وَلاَ يَعْلَمُ مَتَى تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ اللهُ
Narrated Ibn `Umar:
The Prophet (ﷺ) said, "The keys of the unseen are five and none knows them but Allah: (1) None knows (the sex) what is in the womb, but Allah: (2) None knows what will happen tomorrow, but Allah; (3) None knows when it will rain, but Allah; (4) None knows where he will die, but Allah (knows that); (5) and none knows when the Hour will be established, but Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৪. আল্লাহর বাণীঃ তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না- (সূরাহ জ্বিন ৭২/২৬)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল আল্লাহর কাছে রয়েছে- (সূরাহ লুক্বমান ৩১/৩৪)। তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন- (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)। তাঁর অবগতি ব্যতীত কোন নারী গর্ভ ধারণ করে না বা (তার বোঝা) হালকা করে না - (সূরাহ ফাতির ৩৫/১১)। ক্বিয়ামাতের জ্ঞান কেবল তাঁরই আছে- (সূরাহ ফুসসিলাত ৪১/৪৭)।
৭৩৮০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় রবকে দেখেছেন, সে মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলছেন, চক্ষু তাঁকে দেখতে পায় না। আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গায়েব জানেন, সেও মিথ্যা বলল। কেননা আল্লাহ্ বলেন, গায়িব জানেন একমাত্র আল্লাহ্। [৩২৩৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬৬)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {عَالِمُ الْغَيْبِ فَلاَ يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِهِ أَحَدًا} وَ {إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ} وَ {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهٖ وَمَا تَحْمِلُ مِنْ أُنْثٰى وَلاَ تَضَعُ إِلاَّ بِعِلْمِهٖ إِلَيْهِ يُرَدُّ عِلْمُ السَّاعَةِ} قَالَ يَحْيَى الظَّاهِرُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا وَالْبَاطِنُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكَ أَنَّ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم رَأَى رَبَّهُ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ (لاَ تُدْرِكُهُ الأَبْصَارُ) وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الْغَيْبَ فَقَدْ كَذَبَ وَهُوَ يَقُولُ لاَ يَعْلَمُ الْغَيْبَ إِلاَّ اللهُ
Narrated Masruq:
`Aisha said, "If anyone tells you that Muhammad has seen his Lord, he is a liar, for Allah says: 'No vision can grasp Him.' (6.103) And if anyone tells you that Muhammad has seen the Unseen, he is a liar, for Allah says: "None has the knowledge of the Unseen but Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৫. আল্লাহর বাণীঃ তিনিই শান্তি, তিনিই নিরাপত্তা বিধানকারী।
৭৩৮১. ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে সালাত আদায় করতাম তখন আমরা বলতাম, আল্লাহর উপর সালাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্ তো নিজেই সালাম। হাঁ, তোমরা বল, ....... التَّحِيَّاتُ للهِ অর্থাৎ মৌখিক, শারীরিক ও আর্থিক সকল ’ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি, আল্লাহর রহমত ও বারাকাত অবতীর্ণ হোক। আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [৮৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৭)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ}
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ حَدَّثَنَا شَقِيقُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا نُصَلِّي خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَقُولُ السَّلاَمُ عَلَى اللهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ وَلَكِنْ قُولُوا التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
Narrated `Abdullah:
We used to pray behind the Prophet (ﷺ) and used to say: "As-Salamu 'Al-Allah. The Prophet (ﷺ) said, "Allah himself is As-Salam (Name of Allah), so you should say: 'at-Tahiyatu lil-lahi was-sala-watu wattaiyibatu, as-salamu `alaika aiyyuha-n-nabiyyu wa rahmatu-l-lahi wa barakatuhu, as-salamu `alaina wa `ala `ibadi-l-lahi as-salihin. Ashhadu an la ilaha il-lallah, wa ash-hadu anna Muhammadan `abduhu wa rasuluhu."'
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৬. আল্লাহর বাণীঃ মানুষের বাদশাহ (সূরাহ আন্-নাস ১১৪/২)
৭৩৮২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন পৃথিবী আপন মুঠোয় ধারণ করবেন এবং আসমানকে তাঁর ডান হাতে গুটিয়ে নিয়ে বলবেনঃ আমিই একমাত্র অধিপতি। দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়? শু’আয়ব, যুবায়দী, ইবনু মুসাফির, ইসহাক ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহ.), ইমাম যুহরী (রহ.) আবূ সালামাহ (রহ.) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। [৪৮১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৮)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {مَلِكِ النَّاسِ}
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ يَقْبِضُ اللهُ الأَرْضَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَطْوِي السَّمَاءَ بِيَمِينِهِ ثُمَّ يَقُولُ أَنَا الْمَلِكُ أَيْنَ مُلُوكُ الأَرْضِ وَقَالَ شُعَيْبٌ وَالزُّبَيْدِيُّ وَابْنُ مُسَافِرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ مِثْلَهُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection Allah will hold the whole earth and fold the heaven with His right hand and say, 'I am the King: where are the kings of the earth?" '
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৭. আল্লাহর বাণীঃ তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়- (সূরাহ আল-হাশর ৫৯/২৪)। পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক- (সূরা আস্ সাফফাত ৩৭/১৮০)। ইজ্জত তা তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলেরই- (সূরাহ আল-মুনাফিকূন ৬৩/৮)
وَمَنْ حَلَفَ بِعِزَّةِ اللهِ وَصِفَاتِهِ وَقَالَ أَنَسٌ قَالَ النَّبِيُّ تَقُولُ جَهَنَّمُ قَطْ قَطْ وَعِزَّتِكَ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ يَبْقَى رَجُلٌ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ آخِرُ أَهْلِ النَّارِ دُخُولاً الْجَنَّةَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ اصْرِفْ وَجْهِي عَنْ النَّارِ لاَ وَعِزَّتِكَ لاَ أَسْأَلُكَ غَيْرَهَا قَالَ أَبُو سَعِيدٍ إِنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ لَكَ ذَلِكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ وَقَالَ أَيُّوبُ وَعِزَّتِكَ لاَ غِنَى بِي عَنْ بَرَكَتِكَ
কেউ যদি আল্লাহর ইযযত ও সিফাতের শপথ করে (তার হুকুম কী)? আনাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নাম বলবে, হে আল্লাহ্! তোমার সম্মানের কসম, যথেষ্ট হয়েছে। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশকারী লোকটি অবস্থান করবে জাহান্নাম ও জান্নাতের মাঝখানে। তখন সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমার চেহারাখানি জাহান্নাম থেকে ফিরিয়ে (জান্নাতের দিকে) দিন।
আপনার সম্মানের কসম। আপনার কাছে এ ব্যতীত আমি আর কিছুই চাইব না। আবূ সা’ঈদ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তখন আল্লাহ্ বলবেন, তোমাকে তা দেয়া হল এবং তার সাথে আরো দশগুণ বেশি দেয়া হল। আইয়ূব নবী (আঃ) দু’আ করেছেনঃ হে আল্লাহ্! আপনার সম্মানের কসম! আমি আপনার বরকত থেকে নিজেকে অমুখাপেক্ষী মনে করি না
৭৩৮৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ কথা বলে দু’আ করতেনঃ আমি আপনার ইয্যতের আশ্রয় চাচ্ছি, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই। আর আপনার কোন মৃত্যু নেই। অথচ জ্বিন ও মানুষ সবই মরণশীল। [মুসলিম ৪৮/১৮, হাঃ ২৭১৭, আহমাদ ২৭৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৭৯)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيمُ} {سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ} { وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ}
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ أَعُوذُ بِعِزَّتِكَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الَّذِي لاَ يَمُوتُ وَالْجِنُّ وَالإِنْسُ يَمُوتُونَ
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) used to say, "I seek refuge (with YOU) by Your 'Izzat, None has the right to be worshipped but You Who does not die while the Jinns and the human beings die."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৭. আল্লাহর বাণীঃ তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়- (সূরাহ আল-হাশর ৫৯/২৪)। পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, ইজ্জতের অধিকারী প্রতিপালক- (সূরা আস্ সাফফাত ৩৭/১৮০)। ইজ্জত তা তো আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলেরই- (সূরাহ আল-মুনাফিকূন ৬৩/৮)
৭৩৮৪. আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। খালীফা ও মুতামির (রহ.) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ জাহান্নামীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হতে থাকবে। তখন জাহান্নাম বলতে থাকবে আরো বেশি আছে কি? আর শেষে আল্লাহ্ রাববুল আলামীন, তাঁর কদম জাহান্নামে রাখবেন। তখন এর এক অংশ অন্য অংশের সঙ্গে মিশে স্থির হতে থাকবে। আর বলবে আপনার ইয্যত ও করমের কসম! যথেষ্ট হয়েছে। জান্নাতের কিছু জায়গা শূন্য থাকবে। অবশেষে আল্লাহ্ সেই শূন্য জায়গার জন্য নতুন কিছু মাখলুক সৃষ্টি করবেন এবং জান্নাতের সেই খালি জায়গায় এদের বসতি করে দেবেন। [৪৮৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮০)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيمُ} {سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُونَ} { وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ}
ابْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا حَرَمِيٌّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِي النَّارِ ح و قَالَ لِي خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ وَعَنْ مُعْتَمِرٍ سَمِعْتُ أَبِي عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزَالُ يُلْقَى فِيهَا وَتَقُولُ هَلْ مِنْ مَزِيدٍ حَتَّى يَضَعَ فِيهَا رَبُّ الْعَالَمِينَ قَدَمَهُ فَيَنْزَوِي بَعْضُهَا إِلَى بَعْضٍ ثُمَّ تَقُولُ قَدْ قَدْ بِعِزَّتِكَ وَكَرَمِكَ وَلاَ تَزَالُ الْجَنَّةُ تَفْضُلُ حَتَّى يُنْشِئَ اللهُ لَهَا خَلْقًا فَيُسْكِنَهُمْ فَضْلَ الْجَنَّةِ
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said, "(The people will be thrown into Hell ( Fire) and it will keep on saying, 'Is there any more?' till the Lord of the worlds puts His Foot over it, whereupon its different sides will come close to each other, and it will say, 'Qad! Qad! (enough! enough!) By Your 'Izzat (Honor and Power) and YOUR KARAM (Generosity)!' Paradise will remain spacious enough to accommodate more people until Allah will create some more people and let them dwell in the superfluous space of Paradise. "
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৮. আল্লাহর বাণীঃ এবং তিনিই সে সত্তা, যিনি যথার্থই আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন । (সূরাহ আন‘আম ৬/৭৩)
৭৩৮৫. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিকালে এ দু’আ করতেনঃ হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সব প্রশংসা। আসমান এবং যমীনের প্রতিপালক! আপনারই সব প্রশংসা। আপনি সব আসমান ও যমীন এবং এগুলোর মধ্যকার সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। আপনারই সব প্রশংসা। আসমানসমূহ এবং যমীনের নূর আপনিই। আপনার বাণীই সত্য। আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য। সত্য আপনার মুলাকাত। জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সত্য। হে আল্লাহ্! আপনারই প্রতি আমি নিবেদিত। আপনার প্রতিই আমি ঈমান এনেছি।
একমাত্র আপনারই ওপর ভরসা করেছি। আপনার কাছে ফিরে এসেছি। আপনারই সাহায্যে দুশমনের মুকাবিলা করেছি। (হক ও বাতিলের ফায়সালা) আপনারই উপর ন্যস্ত করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে মাফ করে দিন, মাফ করে দিন আমার আগের এবং পরের গুনাহ্, যা আমি গোপনে ও প্রকাশ্যে করেছি এবং আপনি আমার ইলাহ্, আপনি ছাড়া আমার কোন ইলাহ্ নেই। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮১)
সুফ্ইয়ান (রহ.) এ রকম বর্ণনা করেছেন। তবে এতে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আপনিই সত্য এবং আপনার বাণীই সত্য। [১১২০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮২)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمٰوَاتِ وَالْأَرْضَ بِالْحَقِّ}
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو مِنْ اللَّيْلِ اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ قَوْلُكَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ أَنْتَ إِلَهِي لاَ إِلَهَ لِي غَيْرُكَ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بِهَذَا وَقَالَ أَنْتَ الْحَقُّ وَقَوْلُكَ الْحَقُّ
Narrated Ibn 'Abbas:
The Prophet (ﷺ) used to invoke Allah at night, saying, "O Allah: All the Praises are for You: You are the Lord of the Heavens and the Earth. All the Praises are for You; You are the Maintainer of the Heaven and the Earth and whatever is in them. All the Praises are for You; You are the Light of the Heavens and the Earth. Your Word is the Truth, and Your Promise is the Truth, and the Meeting with You is the Truth, and Paradise is the Truth, and the (Hell) Fire is the Truth, and the Hour is the Truth. O Allah! I surrender myself to You, and I believe in You and I depend upon You, and I repent to You and with You (Your evidences) I stand against my opponents, and to you I leave the judgment (for those who refuse my message). O Allah! Forgive me my sins that I did in the past or will do in the future, and also the sins I did in secret or in public. You are my only God (Whom I worship) and there is no other God for me (i.e. I worship none but You)."
Narrated Sufyan:
(regarding the above narration) that the Prophet (ﷺ) added, "You are the Truth, and Your Word is the Truth."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)
وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ تَمِيمٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى عَلَى النَّبِيِّ (قَدْ سَمِعَ اللهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا)
আ’মাশ, তামীম, ’উরওয়াহ (রহ.), ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যাঁর শ্রবণশক্তি সকল শব্দকে ঘিরে রেখেছে। অতঃপর আল্লাহ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর নাযিল করেনঃ হে রাসূল! আল্লাহ্ শুনেছেন সেই স্ত্রীলোকের কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সঙ্গে বাদানুবাদ করছে। (সূরাহ আল-মুজাদালাহ ৫৮/১)
৭৩৮৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা উঁচু স্থানে উঠার সময় তাকবীর বলতাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তোমাদের নফসের উপর একটু দয়া কর। কেননা, তোমরা কোন বধির কিংবা অনুপস্থিতকে ডাকছ না। বরং তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা এবং ঘনিষ্ঠতমকে। এরপর তিনি আমার কাছে আসলেন। তখন আমি মনে মনে لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ বলছিলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ হে ’আবদুল্লাহ্ ইবনু কায়স! বল لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ কেননা এটি জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার। অথবা তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে সেই সম্পর্কে জানিয়ে দেব না (যা হচ্ছে জান্নাতের খাজানা)? [২৯৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَكُنَّا إِذَا عَلَوْنَا كَبَّرْنَا فَقَالَ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا تَدْعُونَ سَمِيعًا بَصِيرًا قَرِيبًا ثُمَّ أَتَى عَلَيَّ وَأَنَا أَقُولُ فِي نَفْسِي لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَقَالَ لِي يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ قُلْ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَإِنَّهَا كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ أَوْ قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ بِهِ
Narrated Abu Musa:
We were with the Prophet (ﷺ) on a journey, and whenever we ascended a high place, we used to say, "Allahu Akbar." The Prophet (ﷺ) said, "Don't trouble yourselves too much! You are not calling a deaf or an absent person, but you are calling One Who Hears, Sees, and is very near." Then he came to me while I was saying in my heart, "La hawla wala quwwatta illa billah (There is neither might nor power but with Allah)." He said, to me, "O `Abdullah bin Qais! Say, 'La hawla wala quwwata illa billah (There is neither might nor power but with Allah), for it is one of the treasures of Paradise." Or said, "Shall I tell you of it?"
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)
৭৩৮৭-৭৩৮৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু’আ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي.... হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুলম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}
يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
Narrated `Abdullah bin `Amr:
Abu Bakr As-Siddiq said to the Prophet (ﷺ) "O Allah's Messenger (ﷺ)! Teach me an invocation with which I may invoke Allah in my prayers." The Prophet (ﷺ) said, "Say: O Allah! I have wronged my soul very much (oppressed myself), and none forgives the sins but You; so please bestow Your Forgiveness upon me. No doubt, You are the Oft-Forgiving, Most Merciful."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)
৭৩৮৭-৭৩৮৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু’আ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي.... হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুলম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}
يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
Narrated `Abdullah bin `Amr:
Abu Bakr As-Siddiq said to the Prophet (ﷺ) "O Allah's Messenger (ﷺ)! Teach me an invocation with which I may invoke Allah in my prayers." The Prophet (ﷺ) said, "Say: O Allah! I have wronged my soul very much (oppressed myself), and none forgives the sins but You; so please bestow Your Forgiveness upon me. No doubt, You are the Oft-Forgiving, Most Merciful."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)
৭৩৮৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিব্রীল আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, আল্লাহ্ আপনার কওমের লোকেদের কথা শুনেছেন এবং তারা আপনাকে যে জবাব দিয়েছে তাও তিনি শুনেছেন।[1] [৩২৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৫)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَم نَادَانِي قَالَ إِنَّ اللهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ
Narrated `Aisha:
The Prophet (ﷺ) said, "Gabriel called me and said, 'Allah has heard the statement of your people and what they replied to you.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/১০. আল্লাহর বাণীঃ আপনি বলে দিন, তিনি শক্তির অধিকারী। (সূরাহ আন‘আম ৬/৬৫)
৭৩৯০. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ সালামী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবাগণকে সকল কাজে এভাবে ইস্তিখারা শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি তাদের কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন দুই রাক’আত নফল সালাত আদায় করে নেয়। তারপর এ বলে দু’আ করে, হে আল্লাহ্! আমি আপনারই ইল্মের সাহায্যে মঙ্গল তলব করছি। আর আপনারই কুদরতের সাহায্যে আমি শক্তি অন্বেষণ করছি। আর আপনারই অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। কেননা, আপনিই শক্তি রাখেন, আমি কোন শক্তি রাখি না। আপনিই সব কিছু জানেন, আমি কিছুই জানি না। গায়িবী বিষয়াদির বিশেষজ্ঞ একমাত্র আপনি।
এরপর সালাত আদায়কারী মনে মনে স্বীয় উদ্দেশ্য উল্লেখ করে বলবে, হে আল্লাহ্! আপনি যদি জানেন যে, এ কাজটি আমার জন্য বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মঙ্গলজনক- বর্ণনাকারী বলেন, কিংবা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ স্থানে বলেছেনঃ আমার দ্বীন-দুনিয়া ও পরিণামের ক্ষেত্রে কল্যাণকর, তাহলে আমার জন্য তা নির্ধারণ করে নিন এবং তা আমার জন্য সহজ করে দিন, আর আমার জন্য এতে বরকত দিন। হে আল্লাহ্! আর যদি আপনি জানেন যে, এটি আমার দ্বীন, দুনিয়া ও পরিণামের ক্ষেত্রে অথবা আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে অমঙ্গলজনক, তবে তাত্থেকে অমাকে বিরত রাখুন। আর আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারণ করুন যেখানেই হয় অতঃপর আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন।[1] [১১৬২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৬)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {قُلْ هُوَ الْقَادِرُ}
إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ الْمُنْكَدِرِ يُحَدِّثُ عَبْدَ اللهِ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ السَّلَمِيُّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُ أَصْحَابَهُ الِاسْتِخَارَةَ فِي الْأُمُورِ كُلِّهَا كَمَا يُعَلِّمُهُمْ السُّورَةَ مِنْ الْقُرْآنِ يَقُولُ إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لِيَقُلْ اللهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللهُمَّ فَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ هَذَا الأَمْرَ ثُمَّ تُسَمِّيهِ بِعَيْنِهِ خَيْرًا لِي فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ قَالَ أَوْ فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ اللهُمَّ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّهُ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ فَاصْرِفْنِي عَنْهُ وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
As-Salami: Allah's Messenger (ﷺ) used to teach his companions to perform the prayer of Istikhara for each and every matter just as he used to teach them the Suras from the Qur'an He used to say, "If anyone of you intends to do some thing, he should offer a two rak`at prayer other than the compulsory prayers, and after finishing it, he should say: O Allah! I consult You, for You have all knowledge, and appeal to You to support me with Your Power and ask for Your Bounty, for You are able to do things while I am not, and You know while I do not; and You are the Knower of the Unseen. O Allah If You know It this matter (name your matter) is good for me both at present and in the future, (or in my religion), in my this life and in the Hereafter, then fulfill it for me and make it easy for me, and then bestow Your Blessings on me in that matter. O Allah! If You know that this matter is not good for me in my religion, in my this life and in my coming Hereafter (or at present or in the future), then divert me from it and choose for me what is good wherever it may be, and make me be pleased with it."