সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود)
৬৭৭২

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১. যিনা ও মদ্য পান।

بَابُ مَا يُحْذَرُ مِنَ الْحُدُودِ

অধ্যায়: শারীয়াতের ব্যাপারে ভীতি প্রদর্শন

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُنْزَعُ مِنْهُ نُورُ الإِيمَانِ فِي الزِّنَا

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, যিনার কারণে ঈমানের জ্যোতি দূর হয়ে যায়।


৬৭৭২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকার যখন যিনায় লিপ্ত হয় তখন সে মু’মিন থাকে না। কেউ যখন মদপান করে তখন সে মু’মিন থাকে না। যে চুরি করে চুরি করার সময় মু’মিন থাকে না এবং কোন ছিনতাইকারী এমনভাবে ছিনতাই করে যে, মানুষ তার দিকে অসহায় হয়ে তাকিয়ে থাকে; তখন সে মু’মিন থাকে না।[2]

ইবনু শিহাব (রহ.) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এরকমই বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে النُّهْبَةَ এর উল্লেখ নেই। [২৪৭৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৫)

بَاب لاَ يُشْرَبُ الْخَمْرُ

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَنْتَهِبُ نُهْبَةً يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَعَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَأَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ إِلاَّ النُّهْبَةَ.

يحيى بن بكير حدثنا الليث عن عقيل عن ابن شهاب عن ابي بكر بن عبد الرحمن عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يزني الزاني حين يزني وهو مومن ولا يشرب الخمر حين يشرب وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن ولا ينتهب نهبة يرفع الناس اليه فيها ابصارهم وهو مومن وعن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وابي سلمة عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم بمثله الا النهبة.


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "When an adulterer commits illegal sexual intercourse, then he is not a believer at the time he is doing it; and when somebody drinks an alcoholic drink, then he is not believer at the time of drinking, and when a thief steals, he is not a believer at the time when he is stealing; and when a robber robs and the people look at him, then he is not a believer at the time of doing it." Abu Huraira in another narration, narrated the same from the Prophet (ﷺ) with the exclusion of robbery.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/২. মদ্যপায়ীকে প্রহার করা সম্পর্কিত।

৬৭৭৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদ পানের জন্য গাছের ডাল এবং জুতা দ্বারা মেরেছেন। আর আবূ বকর (রাঃ) চল্লিশ চাবুক লাগিয়েছেন। [৬৭৭৬; মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৬, আহমাদ ১২৮০৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৬)

بَاب مَا جَاءَ فِي ضَرْبِ شَارِبِ الْخَمْرِ

حَفْصُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ح حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ضَرَبَ فِي الْخَمْرِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ.

حفص بن عمر حدثنا هشام عن قتادة عن انس ان النبي صلى الله عليه وسلم ح حدثنا ادم بن ابي اياس حدثنا شعبة حدثنا قتادة عن انس بن مالك ان النبي صلى الله عليه وسلم ضرب في الخمر بالجريد والنعال وجلد ابو بكر اربعين.


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) beat a drunk with palm-leaf stalks and shoes. And Abu Bakr gave (such a sinner) forty lashes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৩. ঘরের ভিতরে শরীয়াতের শাস্তি দেয়ার হুকুম সম্পর্কিত।

৬৭৭৪. ’উকবাহ ইবনু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নু’আয়মান অথবা (রাবীর সন্দেহ) নু’আয়মানের পুত্রকে মদ্যপায়ী অবস্থায় আনা হল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ঘরে যারা ছিল তাদেরকে নির্দেশ দিলেন তাকে প্রহার করার জন্যে। রাবী বলেন, তারা তাকে প্রহার করল, যারা তাকে জুতা মেরেছিল তাদের মাঝে আমিও ছিলাম।[1] [২৩১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৭)

بَاب مَنْ أَمَرَ بِضَرْبِ الْحَدِّ فِي الْبَيْتِ

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ جِيءَ بِالنُّعَيْمَانِ أَوْ بِابْنِ النُّعَيْمَانِ شَارِبًا فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَ بِالْبَيْتِ أَنْ يَضْرِبُوهُ قَالَ فَضَرَبُوهُ فَكُنْتُ أَنَا فِيمَنْ ضَرَبَهُ بِالنِّعَالِ.

قتيبة حدثنا عبد الوهاب عن ايوب عن ابن ابي مليكة عن عقبة بن الحارث قال جيء بالنعيمان او بابن النعيمان شاربا فامر النبي صلى الله عليه وسلم من كان بالبيت ان يضربوه قال فضربوه فكنت انا فيمن ضربه بالنعال.


Narrated `Uqba bin Al-Harith:

An-Nu`man or the son of An-Nu`man was brought to the Prophet (ﷺ) on a charge of drunkenness. So the Prophet ordered all the men present in the house, to beat him. So all of them beat him, and I was also one of them who beat him with shoes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৪. গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারার বর্ণনা।

৬৭৭৫. ’উকবাহ ইবনু হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার নু’আয়মান অথবা (রাবীর সন্দেহ) নু’আয়মানের পুত্রকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আনা হল। তার অবস্থা দেখে তিনি দুঃখিত হলেন। তখন ঘরের ভিতরে যারা ছিল তিনি তাদেরকে হুকুম করলেন তাকে মারার জন্যে। তাই তারা তাকে গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারল। রাবী বলেন, যারা তাকে মেরেছিল, আমিও তাদের মাঝে ছিলাম। [২৩১৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৮)

بَاب الضَّرْبِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الْحَارِثِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِنُعَيْمَانَ أَوْ بِابْنِ نُعَيْمَانَ وَهُوَ سَكْرَانُ فَشَقَّ عَلَيْهِ وَأَمَرَ مَنْ فِي الْبَيْتِ أَنْ يَضْرِبُوهُ فَضَرَبُوهُ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ وَكُنْتُ فِيمَنْ ضَرَبَهُ.

سليمان بن حرب حدثنا وهيب بن خالد عن ايوب عن عبد الله بن ابي مليكة عن عقبة بن الحارث ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بنعيمان او بابن نعيمان وهو سكران فشق عليه وامر من في البيت ان يضربوه فضربوه بالجريد والنعال وكنت فيمن ضربه.


Narrated' `Uqba bin Al-Harith:

An-Nu`man or the son of An-Nu`man was brought to the Prophet (ﷺ) in a state of intoxication. The Prophet felt it hard (was angry) and ordered all those who were present in the house, to beat him. And they beat him, using palm-leaf stalks and shoes, and I was among those who beat him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৪. গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারার বর্ণনা।

৬৭৭৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদপানের অপরাধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে পিটিয়েছেন। আবূ বকর (রাঃ) চল্লিশটি চাবুক মেরেছেন। [৬৭৭৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৯)

بَاب الضَّرْبِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ

مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ قَالَ جَلَدَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْخَمْرِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ.

مسلم حدثنا هشام حدثنا قتادة عن انس قال جلد النبي صلى الله عليه وسلم في الخمر بالجريد والنعال وجلد ابو بكر اربعين.


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) lashed a drunk with dateleaf stalks and shoes. And Abu Bakr gave a drunk forty lashes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৭

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৪. গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারার বর্ণনা।

৬৭৭৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক লোককে আনা হল, সে মদ পান করেছিল। তিনি বললেনঃ তোমরা একে প্রহার কর। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, তখন আমাদের মাঝে কেউ হাত দিয়ে প্রহার করল, কেউ জুতা দিয়ে মারল, আর কেউ কাপড় দিয়ে মারল। মার-ধোর যখন থামল তখন কেউ বলে উঠল, আল্লাহ্ তোমাকে লাঞ্ছিত করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এমন বলো না, শয়তানকে এর বিরুদ্ধে সাহায্য করো না। [৬৭৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২০)

بَاب الضَّرْبِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ

قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ أَنَسٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ قَالَ اضْرِبُوهُ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَمِنَّا الضَّارِبُ بِيَدِهِ وَالضَّارِبُ بِنَعْلِهِ وَالضَّارِبُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ أَخْزَاكَ اللهُ قَالَ لاَ تَقُولُوا هَكَذَا لاَ تُعِينُوا عَلَيْهِ الشَّيْطَانَ.

قتيبة حدثنا ابو ضمرة انس عن يزيد بن الهاد عن محمد بن ابراهيم عن ابي سلمة عن ابي هريرة اتي النبي صلى الله عليه وسلم برجل قد شرب قال اضربوه قال ابو هريرة فمنا الضارب بيده والضارب بنعله والضارب بثوبه فلما انصرف قال بعض القوم اخزاك الله قال لا تقولوا هكذا لا تعينوا عليه الشيطان.


Narrated Abu Salama:

Abu Huraira said, "A man who drank wine was brought to the Prophet. The Prophet (ﷺ) said, 'Beat him!" Abu Huraira added, "So some of us beat him with our hands, and some with their shoes, and some with their garments (by twisting it) like a lash, and then when we finished, someone said to him, 'May Allah disgrace you!' On that the Prophet (ﷺ) said, 'Do not say so, for you are helping Satan to overpower him.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৪. গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারার বর্ণনা।

৬৭৭৮. ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কাউকে শরীয়াতের দন্ড দেয়ার সময় সে তাতে মরে গেলে আমার দুঃখ হয় না। কিন্তু মদ পানকারী ছাড়া। সে মারা গেলে আমি জরিমানা দিয়ে থাকি। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ শাস্তির ব্যাপারে কোন সীমা নির্ধারণ করেননি। [মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২১)

بَاب الضَّرْبِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ

عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينٍ سَمِعْتُ عُمَيْرَ بْنَ سَعِيدٍ النَّخَعِيَّ قَالَ سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ مَا كُنْتُ لِأُقِيمَ حَدًّا عَلَى أَحَدٍ فَيَمُوتَ فَأَجِدَ فِي نَفْسِي إِلاَّ صَاحِبَ الْخَمْرِ فَإِنَّهُ لَوْ مَاتَ وَدَيْتُهُ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَسُنَّهُ.

عبد الله بن عبد الوهاب حدثنا خالد بن الحارث حدثنا سفيان حدثنا ابو حصين سمعت عمير بن سعيد النخعي قال سمعت علي بن ابي طالب قال ما كنت لاقيم حدا على احد فيموت فاجد في نفسي الا صاحب الخمر فانه لو مات وديته وذلك ان رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يسنه.


Narrated `Ali bin Abi Talib:

I would not feel sorry for one who dies because of receiving a legal punishment, except the drunk, for if he should die (when being punished), I would give blood money to his family because no fixed punishment has been ordered by Allah's Messenger (ﷺ) for the drunk.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৪. গাছের ডাল এবং জুতা দিয়ে মারার বর্ণনা।

৬৭৭৯. সাইব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ও আবূ বকর (রাঃ)-এর খিলাফাত কালে এবং ’উমার (রাঃ)-এর খিলাফাতের প্রথম দিকে আমাদের কাছে যখন কোন মদ্যপায়ীকে আনা হত তখন আমরা তাকে হাত দিয়ে, জুতা দিয়ে এবং আমাদের চাদর দিয়ে মারতাম। অতঃপর ’উমার (রাঃ)-তাঁর খিলাফাতের শেষ সময়ে চল্লিশটি ক’রে চাবুক মেরেছেন। আর এ সব মদ্যপায়ী যখন বাড়াবাড়ি করেছে এবং পাপে লিপ্ত হয়েছে তখন আশিটি করে চাবুক লাগিয়েছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২২)

بَاب الضَّرْبِ بِالْجَرِيدِ وَالنِّعَالِ

مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْجُعَيْدِ عَنْ يَزِيدَ بْنِ خُصَيْفَةَ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ كُنَّا نُؤْتَى بِالشَّارِبِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَإِمْرَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ فَنَقُومُ إِلَيْهِ بِأَيْدِينَا وَنِعَالِنَا وَأَرْدِيَتِنَا حَتَّى كَانَ آخِرُ إِمْرَةِ عُمَرَ فَجَلَدَ أَرْبَعِينَ حَتَّى إِذَا عَتَوْا وَفَسَقُوا جَلَدَ ثَمَانِينَ.

مكي بن ابراهيم عن الجعيد عن يزيد بن خصيفة عن الساىب بن يزيد قال كنا نوتى بالشارب على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم وامرة ابي بكر وصدرا من خلافة عمر فنقوم اليه بايدينا ونعالنا وارديتنا حتى كان اخر امرة عمر فجلد اربعين حتى اذا عتوا وفسقوا جلد ثمانين.


Narrated As-Sa'ib bin Yazid:

We used to strike the drunks with our hands, shoes, clothes (by twisting it into the shape of lashes) during the lifetime of the Prophet, Abu Bakr and the early part of `Umar's caliphate. But during the last period of `Umar's caliphate, he used to give the drunk forty lashes; and when drunks became mischievous and disobedient, he used to scourge them eighty lashes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮০

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৫. মদ্যপায়ীকে লা‘নত করা মাকরূহ এবং সে মুসলিম থেকে খারিজ নয়

৬৭৮০. ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক লোক যার নাম ছিল ’আবদুল্লাহ্ আর ডাকনাম ছিল হিমার। এ লোকটি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শরাব পান করার অপরাধে তাকে বেত্রাঘাত করেছিলেন। একদিন তাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চাবুক মারার আদেশ দিলেন। তাকে চাবুক মারা হল। তখন দলের মাঝ থেকে এক লোক বলল, হে আল্লাহ্! তার উপর লা’নত বর্ষণ করুন! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তাকে কতবার যে আনা হল! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে লা’নত করো না। আল্লাহর কসম! আমি জানি যে, সে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলকে ভালবাসে।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৩)

بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ لَعْنِ شَارِبِ الْخَمْرِ وَإِنَّهُ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِنْ الْمِلَّةِ

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّ رَجُلاً عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ اسْمُهُ عَبْدَ اللهِ وَكَانَ يُلَقَّبُ حِمَارًا وَكَانَ يُضْحِكُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَدْ جَلَدَهُ فِي الشَّرَابِ فَأُتِيَ بِهِ يَوْمًا فَأَمَرَ بِهِ فَجُلِدَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ اللهُمَّ الْعَنْهُ مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتَى بِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ تَلْعَنُوهُ فَوَاللهِ مَا عَلِمْتُ إِنَّهُ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ

يحيى بن بكير حدثني الليث قال حدثني خالد بن يزيد عن سعيد بن ابي هلال عن زيد بن اسلم عن ابيه عن عمر بن الخطاب ان رجلا على عهد النبي صلى الله عليه وسلم كان اسمه عبد الله وكان يلقب حمارا وكان يضحك رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان النبي صلى الله عليه وسلم قد جلده في الشراب فاتي به يوما فامر به فجلد فقال رجل من القوم اللهم العنه ما اكثر ما يوتى به فقال النبي صلى الله عليه وسلم لا تلعنوه فوالله ما علمت انه يحب الله ورسوله


Narrated `Umar bin Al-Khattab:

During the lifetime of the Prophet (ﷺ) there was a man called `Abdullah whose nickname was Donkey, and he used to make Allah's Messenger (ﷺ) laugh. The Prophet (ﷺ) lashed him because of drinking (alcohol). And one-day he was brought to the Prophet (ﷺ) on the same charge and was lashed. On that, a man among the people said, "O Allah, curse him ! How frequently he has been brought (to the Prophet (ﷺ) on such a charge)!" The Prophet (ﷺ) said, "Do not curse him, for by Allah, I know for he loves Allah and His Apostle."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮১

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৫. মদ্যপায়ীকে লা‘নত করা মাকরূহ এবং সে মুসলিম থেকে খারিজ নয়

৬৭৮১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি নেশাগ্রস্ত লোককে আনা হল। তিনি তাকে মারার জন্য দাঁড়ালেন। তখন আমাদের কেউ তাকে হাত দিয়ে, কেউ জুতা দিয়ে আর কেউ বা কাপড় দিয়ে মারল। লোকটি চলে গেলে, এক লোক বলল, এর কী হল, আল্লাহ্ তাকে অপমানিত করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হয়ো না। [৬৭৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৪)

بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ لَعْنِ شَارِبِ الْخَمْرِ وَإِنَّهُ لَيْسَ بِخَارِجٍ مِنْ الْمِلَّةِ

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ حَدَّثَنَا ابْنُ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَكْرَانَ فَأَمَرَ بِضَرْبِهِ فَمِنَّا مَنْ يَضْرِبُهُ بِيَدِهِ وَمِنَّا مَنْ يَضْرِبُهُ بِنَعْلِهِ وَمِنَّا مَنْ يَضْرِبُهُ بِثَوْبِهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ رَجُلٌ مَا لَهُ أَخْزَاهُ اللهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ تَكُونُوا عَوْنَ الشَّيْطَانِ عَلَى أَخِيكُمْ.

علي بن عبد الله بن جعفر حدثنا انس بن عياض حدثنا ابن الهاد عن محمد بن ابراهيم عن ابي سلمة عن ابي هريرة قال اتي النبي صلى الله عليه وسلم بسكران فامر بضربه فمنا من يضربه بيده ومنا من يضربه بنعله ومنا من يضربه بثوبه فلما انصرف قال رجل ما له اخزاه الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تكونوا عون الشيطان على اخيكم.


Narrated Abu Huraira:

A drunk was brought to the Prophet (ﷺ) and he ordered him to be beaten (lashed). Some of us beat him with our hands, and some with their shoes, and some with their garments (twisted in the form of a lash). When that drunk had left, a man said, "What is wrong with him? May Allah disgrace him!" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do not help Satan against your (Muslim) brother."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮২

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৬. চোর যখন চুরি করে।

৬৭৮২. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ব্যভিচারী যখন ব্যভিচার করে, তখন সে মু’মিন থাকে না। এবং চোর যখন চুরি করে তখন সে মু’মিন থাকে না।[1] [৬৮০৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৫)

بَاب السَّارِقِ حِينَ يَسْرِقُ

عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ غَزْوَانَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ.

عمرو بن علي حدثنا عبد الله بن داود حدثنا فضيل بن غزوان عن عكرمة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يزني الزاني حين يزني وهو مومن ولا يسرق السارق حين يسرق وهو مومن.


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "When (a person) an adulterer commits illegal sexual intercourse then he is not a believer at the time he is doing it; and when somebody steals, then he is not a believer at the time he is stealing."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৭. চোরের নাম উল্লেখ না করে তার উপর লা‘নত করা।

৬৭৮৩. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, চোরের উপর আল্লাহর লা’নত হোক, যখন সে একটি হেলমেট চুরি করে এবং এ জন্য তার হাত কাটা হয় এবং সে একটি রশি চুরি করে এ জন্য তার হাত কাটা হয়।

আ’মাশ (রহ.) বলেন, তারা মনে করত যে, হেলমেট লোহার হতে হবে আর রশির ব্যাপারে তারা ধারণা করত তা কয়েক দিরহামের সমমূল্যের হবে। [৬৭৯৯; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৭, আহমাদ ৭৪৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৬)

بَاب لَعْنِ السَّارِقِ إِذَا لَمْ يُسَمَّ

عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَعَنَ اللهُ السَّارِقَ يَسْرِقُ الْبَيْضَةَ فَتُقْطَعُ يَدُهُ وَيَسْرِقُ الْحَبْلَ فَتُقْطَعُ يَدُهُ قَالَ الأَعْمَشُ كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ بَيْضُ الْحَدِيدِ وَالْحَبْلُ كَانُوا يَرَوْنَ أَنَّهُ مِنْهَا مَا يَسْوَى دَرَاهِمَ.

عمر بن حفص بن غياث حدثني ابي حدثنا الاعمش قال سمعت ابا صالح عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله السارق يسرق البيضة فتقطع يده ويسرق الحبل فتقطع يده قال الاعمش كانوا يرون انه بيض الحديد والحبل كانوا يرون انه منها ما يسوى دراهم.


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah curses a man who steals an egg and gets his hand cut off, or steals a rope and gets his hands cut off." Al-A`mash said, "People used to interpret the Baida as an iron helmet, and they used to think that the rope may cost a few dirhams."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৮. হুদুদ (শরীয়াতের শাস্তি) (গুনাহর) কাফফারা হয়ে যায়।

৬৭৮৪. ’উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক মজলিসে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ তোমরা আমার কাছে এ বায়’আত কর যে, আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছু শরীক করবে না, চুরি করবে না এবং ব্যভিচার করবে না। এরপর তিনি এ আয়াত পুরো তিলাওয়াত করলেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি (বায়’আতের শর্তসমূহ) পুরো করে তার বিনিময় আল্লাহর কাছে। আর যে ব্যক্তি এত্থেকে কিছু ক’রে বসে আর তার জন্য শাস্তি দেয়া হয়, তবে এটা তার জন্য কাফ্ফারা হয়ে যায়। আর যদি কেউ এত্থেকে কিছু করে বসে আর আল্লাহ্ তা গোপন রাখেন তবে এটা তাঁর ইচ্ছেধীন। তিনি ইচ্ছে করলে তাকে ক্ষমা করবেন, ইচ্ছে করলে শাস্তি দিবেন।’’ [৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৭)

بَاب الْحُدُودُ كَفَّارَةٌ

مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ بَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللهِ شَيْئًا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَزْنُوا وَقَرَأَ هَذِهِ الْآيَةَ كُلَّهَا فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَعُوقِبَ بِهِ فَهُوَ كَفَّارَتُهُ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَهُ اللهُ عَلَيْهِ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ.

محمد بن يوسف حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن ابي ادريس الخولاني عن عبادة بن الصامت قال كنا عند النبي صلى الله عليه وسلم في مجلس فقال بايعوني على ان لا تشركوا بالله شيىا ولا تسرقوا ولا تزنوا وقرا هذه الاية كلها فمن وفى منكم فاجره على الله ومن اصاب من ذلك شيىا فعوقب به فهو كفارته ومن اصاب من ذلك شيىا فستره الله عليه ان شاء غفر له وان شاء عذبه.


Narrated 'Ubada bin As-Samit:

We were with the Prophet (ﷺ) in a gathering and he said, 'Swear allegiance to me that you will not worship anything besides Allah, Will not steal, and will not commit illegal sexual intercourse." And then (the Prophet) recited the whole Verse (i.e. 60:12). The Prophet (ﷺ) added, 'And whoever among you fulfills his pledge, his reward is with Allah; and whoever commits something of such sins and receives the legal punishment for it, that will be considered as the expiation for that sin, and whoever commits something of such sins and Allah screens him, it is up to Allah whether to excuse or punish him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/৯. শরীয়াতের শাস্তি বা হক ব্যতীত মু’মিনের পিঠ সংরক্ষিত।

৬৭৮৫. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হাজ্জে বললেনঃ আচ্ছা বলতো কোন্ মাসকে তোমরা সবচেয়ে সম্মানিত বলে জান? তাঁরা বললেন, আমাদের এ মাস নয় কি? তিনি আবার বললেনঃ তোমরা কোন্ শহরকে সর্বাধিক সম্মানিত বলে জান? তাঁরা বললেন, আমাদের এ শহর নয় কি? তিনি বললেনঃ বলতো! কোন্ দিনকে তোমরা সর্বাধিক সম্মানিত বলে জান? তাঁরা বললেন, আমাদের এ দিন নয় কি? তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের রক্ত, ধন-সম্পদ ও সম্মানকে শারী’আতের হক ব্যতীত এমন পবিত্র করে দিয়েছেন, যেমন পবিত্র তোমাদের এ মাসে এ শহরের মাঝে আজকের এ দিনটি। ওহে! আমি কি পৌঁছে দিয়েছি? এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। প্রত্যেকবারেই তারা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তোমাদের জন্য আফসোস অথবা ধ্বংস! তোমরা আমার পরে একে অপরের গর্দান মেরে কাফির হয়ে পেছনের দিকে ফিরে যেও না।[1] ১৭৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৮)

بَاب ظَهْرُ الْمُؤْمِنِ حِمًى إِلاَّ فِي حَدٍّ أَوْ حَقٍّ

مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ عَبْدُ اللهِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَلاَ أَيُّ شَهْرٍ تَعْلَمُونَهُ أَعْظَمُ حُرْمَةً قَالُوا أَلاَ شَهْرُنَا هَذَا قَالَ أَلاَ أَيُّ بَلَدٍ تَعْلَمُونَهُ أَعْظَمُ حُرْمَةً قَالُوا أَلاَ بَلَدُنَا هَذَا قَالَ أَلاَ أَيُّ يَوْمٍ تَعْلَمُونَهُ أَعْظَمُ حُرْمَةً قَالُوا أَلاَ يَوْمُنَا هَذَا قَالَ فَإِنَّ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَدْ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ إِلاَّ بِحَقِّهَا كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يُجِيبُونَهُ أَلاَ نَعَمْ قَالَ وَيْحَكُمْ أَوْ وَيْلَكُمْ لاَ تَرْجِعُنَّ بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ.

محمد بن عبد الله حدثنا عاصم بن علي حدثنا عاصم بن محمد عن واقد بن محمد سمعت ابي قال عبد الله قال رسول الله صلى الله عليه وسلم في حجة الوداع الا اي شهر تعلمونه اعظم حرمة قالوا الا شهرنا هذا قال الا اي بلد تعلمونه اعظم حرمة قالوا الا بلدنا هذا قال الا اي يوم تعلمونه اعظم حرمة قالوا الا يومنا هذا قال فان الله تبارك وتعالى قد حرم عليكم دماءكم واموالكم واعراضكم الا بحقها كحرمة يومكم هذا في بلدكم هذا في شهركم هذا الا هل بلغت ثلاثا كل ذلك يجيبونه الا نعم قال ويحكم او ويلكم لا ترجعن بعدي كفارا يضرب بعضكم رقاب بعض.


Narrated `Abdullah:

Allah Apostle said in Hajjat-al-Wada`, "Which month (of the year) do you think is most sacred?" The people said, "This current month of ours (the month of Dhull-Hijja)." He said, "Which town (country) do you think is the most sacred?" They said, "This city of ours (Mecca)." He said, "Which day do you think is the most sacred?" The people said, "This day of ours." He then said, "Allah, the Blessed, the Supreme, has made your blood, your property and your honor as sacred as this day of yours in this town of yours, in this month of yours (and such protection cannot be slighted) except rightfully." He then said thrice, "Have I conveyed Allah's Message (to you)?" The people answered him each time saying, 'Yes." The Prophet (ﷺ) added, 'May Allah be merciful to you (or, woe on you)! Do not revert to disbelief after me by cutting the necks of each other.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১০. শরীয়াতের হদ কায়িম করা এবং আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজে (কেউ লিপ্ত হলে তার বিরুদ্ধে) প্রতিশোধ নেয়া।

৬৭৮৬. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যখনই (আল্লাহর নিকট থেকে) দু’টো কাজের মধ্যে একটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়া হত, তখন তিনি দু’টোর সহজটি বেছে নিতেন, যতক্ষণ না সেটা গুনাহর কাজ হত। যদি সেটা গুনাহর কাজ হত তাহলে তিনি তাত্থেকে বহু দূরে থাকতেন। আল্লাহর কসম! তিনি কখনও তাঁর ব্যক্তিগত কারণে কোন কিছুর প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি, যতক্ষণ না আল্লাহর হারামসমূহকে ছিন্ন করা হত। সেক্ষেত্রে আল্লাহর জন্য তিনি প্রতিশোধ নিতেন।[1] [৩৫৬০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৯)

بَاب إِقَامَةِ الْحُدُودِ وَالِانْتِقَامِ لِحُرُمَاتِ اللهِ

يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ مَا خُيِّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَمْرَيْنِ إِلاَّ اخْتَارَ أَيْسَرَهُمَا مَا لَمْ يَأْثَمْ فَإِذَا كَانَ الإِثْمُ كَانَ أَبْعَدَهُمَا مِنْهُ وَاللهِ مَا انْتَقَمَ لِنَفْسِهِ فِي شَيْءٍ يُؤْتَى إِلَيْهِ قَطُّ حَتَّى تُنْتَهَكَ حُرُمَاتُ اللهِ فَيَنْتَقِمُ للهِ

يحيى بن بكير حدثنا الليث عن عقيل عن ابن شهاب عن عروة عن عاىشة قالت ما خير النبي صلى الله عليه وسلم بين امرين الا اختار ايسرهما ما لم ياثم فاذا كان الاثم كان ابعدهما منه والله ما انتقم لنفسه في شيء يوتى اليه قط حتى تنتهك حرمات الله فينتقم لله


Narrated Aisha:

Whenever the Prophet (ﷺ) was given an option between two things, he used to select the easier of the tow as long as it was not sinful; but if it was sinful, he would remain far from it. By Allah, he never took revenge for himself concerning any matter that was presented to him, but when Allah's Limits were transgressed, he would take revenge for Allah's Sake.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১১. উচ্চ-নীচ সকলের বেলায় শরীয়াতের শাস্তি কায়িম করা।

৬৭৮৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, উসামাহ (রাঃ) এক মহিলার ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সুপারিশ করলেন। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের আগেকার সম্প্রদায়সমূহ ধ্বংস হয়ে গেছে। কারণ তারা নিম্নশ্রেণীর লোকদের উপর শারী’আতের শাস্তি কায়িম করত। আর শরীফ লোকদের অব্যাহতি দিত। ঐ সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার জান, ফাতিমাও যদি এমন কাজ করত, তাহলে অবশ্যই আমি তার হাত কেটে দিতাম।[1] [২৬৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩০)

بَاب إِقَامَةِ الْحُدُودِ عَلَى الشَّرِيفِ وَالْوَضِيعِ

أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أُسَامَةَ كَلَّمَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِي امْرَأَةٍ فَقَالَ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُقِيمُونَ الْحَدَّ عَلَى الْوَضِيعِ وَيَتْرُكُونَ الشَّرِيفَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ فَعَلَتْ ذَلِكَ لَقَطَعْتُ يَدَهَا.

ابو الوليد حدثنا الليث عن ابن شهاب عن عروة عن عاىشة ان اسامة كلم النبي صلى الله عليه وسلم في امراة فقال انما هلك من كان قبلكم انهم كانوا يقيمون الحد على الوضيع ويتركون الشريف والذي نفسي بيده لو ان فاطمة فعلت ذلك لقطعت يدها.


Narrated `Aisha:

Usama approached the Prophet (ﷺ) on behalf of a woman (who had committed theft). The Prophet (ﷺ) said, "The people before you were destroyed because they used to inflict the legal punishments on the poor and forgive the rich. By Him in Whose Hand my soul is! If Fatima (the daughter of the Prophet (ﷺ) ) did that (i.e. stole), I would cut off her hand."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১২. বাদশাহর নিকট যখন মামলা পেশ করা হয় তখন শারী‘আতের শাস্তি দেয়ার বেলায় সুপারিশ করা অনুচিত।

৬৭৮৮. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। মাখযুমী গোত্রের এক মহিলার ব্যাপারে কুরাইশ বংশের লোকদের খুব দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল যে চুরি করেছিল। সাহাবাগণ বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কে কথা বলতে পারবে? আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয় জন উসামাহ (রাঃ) ছাড়া এটা কেউ করতে পারবে না। তখন উসামাহ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে কথা বললেন। এতে তিনি বললেনঃ তুমি আল্লাহর শাস্তির বিধানের ব্যাপারে সুপারিশ করছ? এরপর তিনি দাঁড়িয়ে খুৎবাহ দিলেন এবং বললেনঃ হে মানবমন্ডলী! নিশ্চয়ই তোমাদের আগের লোকেরা গুমরাহ হয়ে গিয়েছে। কারণ, কোন সম্মানী ব্যক্তি যখন চুরি করত তখন তারা তাকে ছেড়ে দিত। আর যখন কোন দুর্বল লোক চুরি করত তখন তার উপর শরীয়াতের শাস্তি কায়েম করত। আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাও যদি চুরি করে তবে অবশ্যই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত কেটে দেবে।[1] [২৬৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩১)

بَاب كَرَاهِيَةِ الشَّفَاعَةِ فِي الْحَدِّ إِذَا رُفِعَ إِلَى السُّلْطَانِ

سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّتْهُمْ الْمَرْأَةُ الْمَخْزُومِيَّةُ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللهِ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ قَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا ضَلَّ مَنْ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ الضَّعِيفُ فِيهِمْ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَايْمُ اللهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم سَرَقَتْ لَقَطَعَ مُحَمَّدٌ يَدَهَا.

سعيد بن سليمان حدثنا الليث عن ابن شهاب عن عروة عن عاىشة ان قريشا اهمتهم المراة المخزومية التي سرقت فقالوا من يكلم رسول الله صلى الله عليه وسلم ومن يجترى عليه الا اسامة بن زيد حب رسول الله صلى الله عليه وسلم فكلم رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال اتشفع في حد من حدود الله ثم قام فخطب قال يا ايها الناس انما ضل من قبلكم انهم كانوا اذا سرق الشريف تركوه واذا سرق الضعيف فيهم اقاموا عليه الحد وايم الله لو ان فاطمة بنت محمد صلى الله عليه وسلم سرقت لقطع محمد يدها.


Narrated `Aisha:

The Quraish people became very worried about the Makhzumiya lady who had committed theft. They said, "Nobody can speak (in favor of the lady) to Allah's Messenger (ﷺ) and nobody dares do that except Usama who is the favorite of Allah's Messenger (ﷺ). " When Usama spoke to Allah's Messenger (ﷺ) about that matter, Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do you intercede (with me) to violate one of the legal punishment of Allah?" Then he got up and addressed the people, saying, "O people! The nations before you went astray because if a noble person committed theft, they used to leave him, but if a weak person among them committed theft, they used to inflict the legal punishment on him. By Allah, if Fatima, the daughter of Muhammad committed theft, Muhammad will cut off her hand.!"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১৩. আল্লাহর বাণীঃ পুরুষ কিংবা নারী চুরি করলে তাদের হাত কেটে দাও- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩৮)।

وَفِي كَمْ يُقْطَعُ وَقَطَعَ عَلِيٌّ مِنْ الْكَفِّ وَقَالَ قَتَادَةُ فِي امْرَأَةٍ سَرَقَتْ فَقُطِعَتْ شِمَالُهَا لَيْسَ إِلاَّ ذَلِكَ

কী পরিমাণ মাল চুরি করলে হাত কাটা যাবে। ’আলী (রাঃ) কব্জি পর্যন্ত কেটেছিলেন। আর ক্বাতাদাহ (রাঃ) এক মহিলা সম্পর্কে বলেছেন যে চুরি করেছিল, এতে তার বাম হাত কাটা হয়েছিল। এ ব্যতীত আর কোন শাস্তি দেয়া হয়নি।


৬৭৮৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দ্বীনারের চার ভাগের এক ভাগ বা এর বেশি বা ততোধিক চুরি করলে হাত কাটা যাবে। ’আবদুর রহমান ইবনু খালিদ (রহ.) ইবনু ’আখী যুহরী (রহ.) ও মা’মার (রহ.).....যুহরী (রহ.) থেকে ইবরাহীম ইবনু সা’দ (রহ.) এর অনুসরণে বর্ণনা করেছেন। [৬৭৯০, ৬৭৯১; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৪, আহমাদ ২৪৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩২)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا}

عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبُعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ خَالِدٍ وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ وَمَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ.

عبد الله بن مسلمة حدثنا ابراهيم بن سعد عن ابن شهاب عن عمرة عن عاىشة قال النبي صلى الله عليه وسلم تقطع اليد في ربع دينار فصاعدا تابعه عبد الرحمن بن خالد وابن اخي الزهري ومعمر عن الزهري.


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) said, "The hand should be cut off for stealing something that is worth a quarter of a Dinar or more."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৯০

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১৩. আল্লাহর বাণীঃ পুরুষ কিংবা নারী চুরি করলে তাদের হাত কেটে দাও- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩৮)।

৬৭৯০. ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক দ্বীনারের চার ভাগের এক ভাগ চুরি করলে হাত কাটা হবে। [৬৭৮৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৩)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا}

إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تُقْطَعُ يَدُ السَّارِقِ فِي رُبُعِ دِينَارٍ.

اسماعيل بن ابي اويس عن ابن وهب عن يونس عن ابن شهاب عن عروة بن الزبير وعمرة عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تقطع يد السارق في ربع دينار.


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) said, "The hand of a thief should be cut off for stealing a quarter of a Dinar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
৬৭৯১

পরিচ্ছেদঃ ৮৬/১৩. আল্লাহর বাণীঃ পুরুষ কিংবা নারী চুরি করলে তাদের হাত কেটে দাও- (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩৮)।

৬৭৯১. ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ এক দ্বীনারের চার ভাগের এক ভাগ (মূল্যের দ্রব্য) চুরি করলে হাত কাটা যাবে। [৬৭৮৯; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৪, আহমাদ ২৪৭৭৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৪)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُوا أَيْدِيَهُمَا}

عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ الأَنْصَارِيِّ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُمْ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبُعِ دِينَارٍ.

عمران بن ميسرة حدثنا عبد الوارث حدثنا الحسين عن يحيى بن ابي كثير عن محمد بن عبد الرحمن الانصاري عن عمرة بنت عبد الرحمن حدثته ان عاىشة حدثتهم عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تقطع اليد في ربع دينار.


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) said, "The hand should be cut off for stealing a quarter of a Dinar."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৮৬/ দন্ডবিধি (كتاب الحدود) 86/ Limits and Punishments set by Allah (Hudood)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »