পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১. অসীয়াত প্রসঙ্গে
وَقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمe وَصِيَّةُ الرَّجُلِ مَكْتُوْبَةٌ عِنْدَهُ
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى )كُتِبَ عَلَيْكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ إِنْ تَرَكَ خَيْرَا نِالْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِيْنَ بِالْمَعْرُوْفِ حَقًّا عَلَى الْمُتَّقِيْنَ فَمَنْم بَدَّلَهُ بَعْدَ مَا سَمِعَهُ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى الَّذِيْنَ يُبَدِّلُوْنَهُ إِنَّ اللهَ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ فَمَنْ خَافَ مِنْ مُّوْصٍ جَنَفًا أَوْ إِثْمًا فَأَصْلَحَ بَيْنَهُمْ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ( ( البقرة : 180-182)
এবং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বাণী, মানুষের অসীয়াত তার নিকট লিখিত থাকবে।
আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন তোমাদের কারো মৃত্যুকাল উপস্থিত হলে সে যদি ধন-সম্পত্তি রেখে যায় তবে তা ন্যায্য পন্থায় তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াসিয়াত করার বিধান .....পক্ষপাতিত্ব পর্যন্ত। (আল-বাকারাহঃ ১৮০-১৮২) جَنَفًاঅর্থ-ঝুঁকে যাওয়া, পক্ষপাতিত্ব করা مُتَجَانِفٌ ঐ ব্যক্তি, যে ঝুঁকে পড়ে, পক্ষপাতিত্ব করে।
২৭৩৮. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, কোন মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসীয়াতযোগ্য কিছু (সম্পদ) রয়েছে, সে দু’রাত কাটাবে অথচ তার নিকট তার অসীয়াত লিখিত থাকবে না। মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম (রহ.) এ হাদীস বর্ণনায় মালিক (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। এ সনদে ‘আমর (রহ.) ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মাধ্যমে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম ২৫/আউয়ালুল কিতাব হাঃ ১৬২৭, আহমাদ ৫৯৩৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪৮)
بَابُ الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَهُ شَيْءٌ يُوصِيْ فِيْهِ يَبِيْتُ لَيْلَتَيْنِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوْبَةٌ عِنْدَهُ تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is not permissible for any Muslim who has something to will to stay for two nights without having his last will and testament written and kept ready with him."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১. অসীয়াত প্রসঙ্গে
২৭৩৯. আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর শ্যালক অর্থাৎ উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতু হারিসের ভাই ‘আমর ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁর মৃত্যুকালে তাঁর সাদা খচ্চরটি, তাঁর হাতিয়ার এবং সে জমি যা তিনি সাদাকা করেছিলেন, তাছাড়া কোন স্বর্ণ বা রৌপ্য মুদ্রা, কোন দাস-দাসী কিংবা কোন জিনিস রেখে যাননি।’ (২৮৭৩, ২৯১২, ৩০৯৮, ৪৪৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪৯)
بَابُ الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِيْ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُعْفِيُّ حَدَّثَنَا أَبُوْ إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ خَتَنِ رَسُوْلِ اللهِ أَخِيْ جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ قَالَ مَا تَرَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ مَوْتِهِ دِرْهَمًا وَلَا دِيْنَارًا وَلَا عَبْدًا وَلَا أَمَةً وَلَا شَيْئًا إِلَّا بَغْلَتَهُ الْبَيْضَاءَ وَسِلَاحَهُ وَأَرْضًا جَعَلَهَا صَدَقَةً
Narrated `Amr bin Al-Harith:
(The brother of the wife of Allah's Messenger (ﷺ). Juwaira bint Al-Harith) When Allah's Messenger (ﷺ) died, he did not leave any Dirham or Dinar (i.e. money), a slave or a slave woman or anything else except his white mule, his arms and a piece of land which he had given in charity .
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১. অসীয়াত প্রসঙ্গে
২৭৪০. ত্বলহা ইবনু মুসাররিফ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু আবী আওফা (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি অসীয়াত করেছিলেন? তিনি বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে কিভাবে লোকদের উপর অসীয়াত ফরজ করা হলো, কিংবা ওয়াসিয়াতের নির্দেশ দেয়া হলো? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর কিতাব মুতাবিক ‘আমল করার জন্য অসীয়াত করেছেন। (৪৪৬০, ৫০২২) (মুসলিম ২৪/৩ হাঃ ১৬৩৪, আহমাদ ১৪৪৯৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫০)
بَابُ الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا خَلَادُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا مَالِكٌ هُوَ ابْنُ مِغْوَلٍ حَدَّثَنَا طَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفٍ قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ أَبِيْ أَوْفَى رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْصَى فَقَالَ لَا فَقُلْتُ كَيْفَ كُتِبَ عَلَى النَّاسِ الْوَصِيَّةُ أَوْ أُمِرُوْا بِالْوَصِيَّةِ قَالَ أَوْصَى بِكِتَابِ اللهِ
Narrated Talha bin Musarrif:
I asked `Abdullah bin Abu `Aufa "Did the Prophet (ﷺ) make a will?" He replied, "No," I asked him, "How is it then that the making of a will has been enjoined on people, (or that they are ordered to make a will)?" He replied, "The Prophet (ﷺ) bequeathed Allah's Book (i.e. Qur'an).
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১. অসীয়াত প্রসঙ্গে
২৭৪১. আসওয়াদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট আলোচনা করলেন যে, ‘আলী (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওয়াসী১ ছিলেন। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, ‘তিনি কখন তাঁর প্রতি অসীয়াত করলেন? অথচ আমি তো আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আমার বুকে অথবা বলেছেন আমার কোলে হেলান দিয়ে রেখেছিলাম। তখন তিনি পানির তস্তুরি চাইলেন, অতঃপর আমার কোলে ঢলে পড়লেন। আমি বুঝতেই পারিনি যে, তিনি ইন্তিকাল করেছেন। অতএব তাঁর প্রতি কখন অসীয়াত করলেন?’ (৪৪৫৯) (মুসলিম ২৫/৫ হাঃ ১৬৩৬, আহমাদ ২৪০৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫১)
بَابُ الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا عَمْرُوْ بْنُ زُرَارَةَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيْلُ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ الأَسْوَدِ قَالَ ذَكَرُوْا عِنْدَ عَائِشَةَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا كَانَ وَصِيًّا فَقَالَتْ مَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ وَقَدْ كُنْتُ مُسْنِدَتَهُ إِلَى صَدْرِيْ أَوْ قَالَتْ حَجْرِيْ فَدَعَا بِالطَّسْتِ فَلَقَدْ انْخَنَثَ فِيْ حَجْرِيْ فَمَا شَعَرْتُ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ فَمَتَى أَوْصَى إِلَيْهِ
Narrated Al-Aswad:
In the presence of `Aisha some people mentioned that the Prophet (ﷺ) had appointed `Ali by will as his successor. `Aisha said, "When did he appoint him by will? Verily when he died he was resting against my chest (or said: in my lap) and he asked for a wash-basin and then collapsed while in that state, and I could not even perceive that he had died, so when did he appoint him by will?"
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/২. ওয়ারিসদেরকে অন্যের নিকট হাত পাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে মালদার রেখে যাওয়া উত্তম।
২৭৪২. সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার আমাকে রোগাক্রান্ত অবস্থায় দেখতে আসেন। সে সময় আমি মক্কা্য় ছিলাম। কোন ব্যক্তি যে স্থান থেকে হিজরত করে, সেখানে মৃত্যুবরণ করাকে তিনি অপছন্দ করতেন। এজন্য তিনি বলতেন, আল্লাহ্ রহম করুন ইবনু আফ্রা-র উপর। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আমি কি আমার সমুদয় মালের ব্যবহারের অসীয়াত করে যাব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে অর্ধেক? তিনি ইরশাদ করলেন, না। আমি বললাম, তবে এক তৃতীয়াংশ? তিনি ইরশাদ করলেন, (হ্যাঁ) এক তৃতীয়াংশ আর এক তৃতীয়াংশও অনেক। ওয়ারিসগণকে দরিদ্র পরমুখাপেক্ষী করে রেখে যাবার চেয়ে ধনী অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম। তুমি যখনই কোন খরচ করবে, তা সাদাকারূপে গণ্য হবে। এমনকি সে লোকমাও যা তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে। হয়ত আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং লোকেরা তোমার দ্বারা উপকৃত হবেন, আবার কিছু ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে সময় তার একটি মাত্র কন্যা ব্যতীত কেউ ছিল না। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫২)
بَابُ أَنْ يَتْرُكَ وَرَثَتَهُ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَتَكَفَّفُوْا النَّاسَ
.حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِيْ وَقَّاصٍ قَالَ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُوْدُنِيْ وَأَنَا بِمَكَّةَ وَهُوَ يَكْرَهُ أَنْ يَمُوْتَ بِالأَرْضِ الَّتِيْ هَاجَرَ مِنْهَا قَالَ يَرْحَمُ اللهُ ابْنَ عَفْرَاءَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أُوصِيْ بِمَالِيْ كُلِّهِ قَالَ لَا قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ لَا قُلْتُ الثُّلُثُ قَالَ فَالثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيْرٌ إِنَّكَ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُوْنَ النَّاسَ فِيْ أَيْدِيْهِمْ وَإِنَّكَ مَهْمَا أَنْفَقْتَ مِنْ نَفَقَةٍ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ حَتَّى اللُّقْمَةُ الَّتِيْ تَرْفَعُهَا إِلَى فِيْ امْرَأَتِكَ وَعَسَى اللهُ أَنْ يَرْفَعَكَ فَيَنْتَفِعَ بِكَ نَاسٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُوْنَ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ يَوْمَئِذٍ إِلَّا ابْنَةٌ
Narrated Sa`d bin Abu Waqqas:
The Prophet (ﷺ) came visiting me while I was (sick) in Mecca, ('Amir the sub-narrator said, and he disliked to die in the land, whence he had already migrated). He (i.e. the Prophet) said, "May Allah bestow His Mercy on Ibn Afra (Sa`d bin Khaula)." I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! May I will all my property (in charity)?" He said, "No." I said, "Then may I will half of it?" He said, "No". I said, "One third?" He said: "Yes, one third, yet even one third is too much. It is better for you to leave your inheritors wealthy than to leave them poor begging others, and whatever you spend for Allah's sake will be considered as a charitable deed even the handful of food you put in your wife's mouth. Allah may lengthen your age so that some people may benefit by you, and some others be harmed by you." At that time Sa`d had only one daughter.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩. এক তৃতীয়াংশ অসীয়াত করা প্রসঙ্গে।
وَقَالَ الْحَسَنُ لَا يَجُوْزُ لِلذِّمِّيِّ وَصِيَّةٌ إِلَّا الثُّلُثَ وَقَالَ اللهُ تَعَالَى(وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَآ أَنْزَلَ اللهُ) ( المائدة : 49)
হাসান বাসরী (রহ.) বলেন, যিম্মির জন্য এক তৃতীয়াংশের বেশি অসীয়াত করা বৈধ নয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তিনি যেন আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী যিম্মিদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ তাদের মধ্যে ফয়সালা কর, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী। (আল-মায়িদাহ ৪৯)
২৭৪৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যদি এক চতুর্থাংশে নেমে আসত। কেননা, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, এক তৃতীয়াংশ এবং তৃতীয়াংশই বিরাট অথবা তিনি বলেছেন বেশী। (মুসলিম ১/২৫ হাঃ ১৬২৯, আহমাদ ১৫৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৩)
بَابُ الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ لَوْ غَضَّ النَّاسُ إِلَى الرُّبْعِ ِلأَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيْرٌ أَوْ كَبِيْرٌ
Narrated Ibn `Abbas:
I recommend that people reduce the proportion of what they bequeath by will to the fourth (of the whole legacy), for Allah's Messenger (ﷺ) said, "One-third, yet even one third is too much."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৩. এক তৃতীয়াংশ অসীয়াত করা প্রসঙ্গে।
২৭৪৪. আমির ইবনু সা‘দ (রহ.)-এর পিতা সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে দেখতে আসেন। আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, তিনি যেন আমাকে পেছন দিকে ফিরিয়ে না নেন।১ তিনি বললেন, ‘আশা করি আল্লাহ্ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার দ্বারা লোকদের উপকৃত করবেন।’ আমি বললাম, ‘আমি অসীয়াত করতে চাই। আমার তো একটি মাত্র কন্যা রয়েছে।’ আমি আরো বললাম, ‘আমি অর্ধেক অসীয়াত করতে চাই।’ তিনি বললেন, অর্ধেক অনেক অধিক। আমি বললাম, এক তৃতীয়াংশ। তিনি বললেন, আচ্ছা এক তৃতীয়াংশ এবং এক তৃতীয়াংশও অধিক বা তিনি বলেছেন বিরাট। সা‘দ (রাঃ) বলেন, অতঃপর লোকেরা এক তৃতীয়াংশ অসীয়াত করতে লাগল। আর তা-ই তাদের জন্য জায়িয হয়ে গেল। (৫৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৪)
بَابُ الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيْمِ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ عَنْ هَاشِمِ بْنِ هَاشِمٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ مَرِضْتُ فَعَادَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ ادْعُ اللهَ أَنْ لَا يَرُدَّنِيْ عَلَى عَقِبِيْ قَالَ لَعَلَّ اللهَ يَرْفَعُكَ وَيَنْفَعُ بِكَ نَاسًا قُلْتُ أُرِيْدُ أَنْ أُوصِيَ وَإِنَّمَا لِيْ ابْنَةٌ قُلْتُ أُوصِيْ بِالنِّصْفِ قَالَ النِّصْفُ كَثِيْرٌ قُلْتُ فَالثُّلُثِ قَالَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيْرٌ أَوْ كَبِيْرٌ قَالَ فَأَوْصَى النَّاسُ بِالثُّلُثِ وَجَازَ ذَلِكَ لَهُمْ
Narrated Sa`d:
I fell sick and the Prophet (ﷺ) paid me a visit. I said to him, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I invoke Allah that He may not let me expire in the land whence I migrated (i.e. Mecca)." He said, "May Allah give you health and let the people benefit by you." I said, "I want to will my property, and I have only one daughter and I want to will half of my property (to be given in charity)." He said," Half is too much." I said, "Then I will one third." He said, "One-third, yet even one-third is too much." (The narrator added, "So the people started to will one third of their property and that was Permitted for them.")
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৪. অসীর নিকট অসীয়াতকারীর কথাঃ তুমি আমার সন্তানাদির প্রতি খেয়াল রাখবে, আর অসীর জন্য কেমন দাবী জায়িয।
২৭৪৫. নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্বা ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) তাঁর ভাই সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে এই বলে অসীয়াত করেন যে, যাম‘আর দাসীর ছেলেটি আমার ঔরসজাত। তাকে তুমি তোমার অধিকারে আনবে। মক্কা্ বিজয়ের বছর সা‘দ (রাঃ) তাকে নিয়ে নেন এবং বলেন, সে আমার ভাতিজা, আমাকে এর ব্যাপারে ওয়াসিয়াত করে গেছেন। আব্দ ইবনু যাম‘আহ (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর পুত্র। আমার পিতার বিছানায় তার জন্ম হয়েছে। তারা উভয়ই আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আসেন। সা‘দ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে আমার ভাইয়ের পুত্র এবং তিনি আমাকে তার সম্পর্কে ওয়াসিয়াত করে গেছেন। ‘আব্দ ইবনু যাম‘আহ (রাঃ) বললেন, সে আমার ভাই এবং আমার পিতার দাসীর পুত্র। তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে আব্দ ইবনু যাম‘আহ! সে তোমারই প্রাপ্য। কেননা যার বিছানায় সন্তান জন্মেছে, সে-ই সন্তানের অধিকারী। ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। অতঃপর তিনি সাওদ বিন্তু যাম‘আহ (রাঃ)-কে বললেন, ‘তুমি এই ছেলেটি থেকে পর্দা কর।’ কেননা তিনি ছেলেটির সঙ্গে উত্বা-র সদৃশ্য দেখতে পান। ছেলেটির আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত সে কখনো সাওদাহ (রাঃ)-কে দেখেনি। (২০৫৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৫)
بَابُ قَوْلِ الْمُوصِيْ لِوَصِيِّهِ تَعَاهَدْ وَلَدِيْ وَمَا يَجُوْزُ لِلْوَصِيِّ مِنْ الدَّعْوَى
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ عَنْ مَالِكٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِيْ وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيْهِ سَعْدِ بْنِ أَبِيْ وَقَّاصٍ أَنَّ ابْنَ وَلِيْدَةِ زَمْعَةَ مِنِّيْ فَاقْبِضْهُ إِلَيْكَ فَلَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ أَخَذَهُ سَعْدٌ فَقَالَ ابْنُ أَخِيْ قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيْهِ فَقَامَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ أَخِيْ وَابْنُ أَمَةِ أَبِيْ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَتَسَاوَقَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ ابْنُ أَخِيْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيْهِ فَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ أَخِيْ وَابْنُ وَلِيْدَةِ أَبِيْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ احْتَجِبِيْ مِنْهُ لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ فَمَا رَآهَا حَتَّى لَقِيَ اللهَ
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) `Utba bin Abi Waqqas entrusted (his son) to his brother Sa`d bin Abi Waqqas saying, "The son of the slave-girl of Zam`a is my (illegal) son, take him into your custody." So during the year of the Conquest (of Mecca) Sa`d took the boy and said, "This is my brother's son whom my brother entrusted to me." 'Abu bin Zam's got up and said, "He is my brother and the son of the slave girl of my father and was born on my father's bed." Then both of them came to Allah's Apostle and Sa`d said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This is my brother's son whom my brother entrusted to me." Then 'Abu bin Zam`a got up and said, "This is my brother and the son of the slave-girl of my father." Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Abu bin Zam`a! This boy is for you as the boy belongs to the bed (where he was born), and for the adulterer is the stone (i.e. deprivation)." Then the Prophet (ﷺ) said to his wife Sauda bint Zam`a, "Screen yourself from this boy," when he saw the boy's resemblance to `Utba. Since then the boy did not see Sauda till he died.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৫. রুগ্ন ব্যক্তি মাথা দিয়ে স্পষ্টভাবে ইশারা করলে তা গ্রহণীয় হবে।
২৭৪৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক ইয়াহূদী একটি মেয়ের মাথা দু’টি পাথরের মাঝে রেখে তা থেঁতলে ফেলে। তাকে জিজ্ঞেস করা হল, কে তোমাকে এমন করেছে? কি অমুক, না অমুক ব্যক্তি? অবশেষে যখন সেই ইয়াহূদীর নাম বলা হল তখন মেয়েটি মাথা দিয়ে ইশারা করল, হ্যাঁ। অতঃপর সেই ইয়াহূদীকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে সে স্বীকার করল। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন। তখন পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলিয়ে দেয়া হলো। (২৪১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৬)
بَابُ إِذَا أَوْمَأَ الْمَرِيْضُ بِرَأْسِهِ إِشَارَةً بَيِّنَةً جَازَتْ
حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ أَبِيْ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ يَهُوْدِيًّا رَضَّ رَأْسَ جَارِيَةٍ بَيْنَ حَجَرَيْنِ فَقِيْلَ لَهَا مَنْ فَعَلَ بِكِ أَفُلَانٌ أَوْ فُلَانٌ حَتَّى سُمِّيَ الْيَهُوْدِيُّ فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا فَجِيءَ بِهِ فَلَمْ يَزَلْ حَتَّى اعْتَرَفَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَرُضَّ رَأْسُهُ بِالْحِجَارَةِ
Narrated Anas:
A Jew crushed the head of a girl between two stones. She was asked, "Who has done so to you, soand- so? So-and-so?" Till the name of the Jew was mentioned, whereupon she nodded (in agreement). So the Jew was brought and was questioned till he confessed. The Prophet (ﷺ) then ordered that his head be crushed with stones.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৬. ওয়ারিসের জন্য অসীয়াত নেই।
২৭৪৭. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পদ পেতো সন্তান আর পিতা-মাতার জন্য ছিল অসীয়াত। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পছন্দ মত এ বিধান রহিত করে ছেলের অংশ মেয়ের দ্বিগুণ, পিতামাতা প্রত্যেকের জন্য এক ষষ্ঠাংশ, স্ত্রীর জন্য এক অষ্টমাংশ, এক চতুর্থাংশ, স্বামীর জন্য অর্ধেক, এক চতুর্থাংশ নির্ধারণ করেন। (৪৫৭৮, ৬৭৩৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৭)
بَابُ لَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ
.حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ وَرْقَاءَ عَنْ ابْنِ أَبِيْ نَجِيْحٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ الْمَالُ لِلْوَلَدِ وَكَانَتْ الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ فَنَسَخَ اللهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَحَبَّ فَجَعَلَ لِلذَّكَرِ مِثْلَ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ وَجَعَلَ لِلأَبَوَيْنِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسَ وَجَعَلَ لِلْمَرْأَةِ الثُّمُنَ وَالرُّبُعَ وَلِلزَّوْجِ الشَّطْرَ وَالرُّبُعَ
Narrated Ibn `Abbas:
The custom (in old days) was that the property of the deceased would be inherited by his offspring; as for the parents (of the deceased), they would inherit by the will of the deceased. Then Allah cancelled from that custom whatever He wished and fixed for the male double the amount inherited by the female, and for each parent a sixth (of the whole legacy) and for the wife an eighth or a fourth and for the husband a half or a fourth.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৭. মৃত্যুর প্রাক্কালে দান খায়রাত করা।
২৭৪৮. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! উত্তম সাদাকা কোনটি? তিনি বলেন, সুস্থ এবং সম্পদের প্রতি অনুরাগ থাকা অবস্থায় দান খয়রাত করা, যখন তোমার ধনী হবার আকাঙ্ক্ষা থাকে এবং তুমি দারিদ্রের আশংকা কর, আর তুমি এভাবে অপেক্ষায় থাকবে না যে, যখন তোমার প্রাণ কন্ঠাগত হবে, তখন তুমি বলবে, অমুকের জন্য এতটুকু, অমুকের জন্য এতটুকু অথচ তা অমুকের জন্য হয়েই গেছে। (১৪১৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৮)
بَابُ الصَّدَقَةِ عِنْدَ الْمَوْتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُوْ أُسَامَةَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ قَالَ أَنْ تَصَدَّقَ وَأَنْتَ صَحِيْحٌ حَرِيْصٌ تَأْمُلُ الْغِنَى وَتَخْشَى الْفَقْرَ وَلَا تُمْهِلْ حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ الْحُلْقُومَ قُلْتَ لِفُلَانٍ كَذَا وَلِفُلَانٍ كَذَا وَقَدْ كَانَ لِفُلَانٍ
Narrated Abu Huraira:
A man asked the Prophet, "O Allah's Messenger (ﷺ)! What kind of charity is the best?" He replied. "To give in charity when you are healthy and greedy hoping to be wealthy and afraid of becoming poor. Don't delay giving in charity till the time when you are on the death bed when you say, 'Give so much to soand- so and so much to so-and so,' and at that time the property is not yours but it belongs to so-and-so (i.e. your inheritors).
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূর্ণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি ভাগ হবে)। (আন-নিসা ১২)
وَيُذْكَرُ أَنَّ شُرَيْحًا وَعُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيْزِ وَطَاوُسًا وَعَطَاءً وَابْنَ أُذَيْنَةَ أَجَازُوْا إِقْرَارَ الْمَرِيْضِ بِدَيْنٍ وَقَالَ الْحَسَنُ أَحَقُّ مَا تَصَدَّقَ بِهِ الرَّجُلُ آخِرَ يَوْمٍ مِنْ الدُّنْيَا وَأَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ الْآخِرَةِ وَقَالَ إِبْرَاهِيْمُ وَالْحَكَمُ إِذَا أَبْرَأَ الْوَارِثَ مِنْ الدَّيْنِ بَرِئَ وَأَوْصَى رَافِعُ بْنُ خَدِيْجٍ أَنْ لَا تُكْشَفَ امْرَأَتُهُ الْفَزَارِيَّةُ عَمَّا أُغْلِقَ عَلَيْهِ بَابُهَا وَقَالَ الْحَسَنُ إِذَا قَالَ لِمَمْلُوكِهِ عِنْدَ الْمَوْتِ كُنْتُ أَعْتَقْتُكَ جَازَ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ إِذَا قَالَتْ الْمَرْأَةُ عِنْدَ مَوْتِهَا إِنَّ زَوْجِيْ قَضَانِيْ وَقَبَضْتُ مِنْهُ جَازَ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَا يَجُوْزُ إِقْرَارُهُ لِسُوءِ الظَّنِّ بِهِ لِلْوَرَثَةِ ثُمَّ اسْتَحْسَنَ فَقَالَ يَجُوْزُ إِقْرَارُهُ بِالْوَدِيْعَةِ وَالْبِضَاعَةِ وَالْمُضَارَبَةِ وَقَدْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِيَّاكُمْ وَالظَّنَّ فَإِنَّ الظَّنَّ أَكْذَبُ الْحَدِيْثِ
وَلَا يَحِلُّ مَالُ الْمُسْلِمِيْنَ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم آيَةُ الْمُنَافِقِ إِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
وَقَالَ اللهُ تَعَالَى )إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمٰنَاتِ إِلٰٓى أَهْلِهَا (( النساء : 58) فَلَمْ يَخُصَّ وَارِثًا وَلَا غَيْرَهُ فِيْهِ عَبْدُ اللهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
উল্লেখ করা হয়েছে যে, শুরাইহ, ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয, তাউস, ’আত্বা ও ইবনু ’উয়ায়নাহ (রহ.) রোগগ্রস্ত ব্যক্তির ঋণের স্বীকারোক্তিকে বৈধ বলেছেন। হাসান (রহ.) বলেন, দুনিয়ার শেষ দিনে এবং আখিরাতের প্রথম দিনে উপনীত হওয়া মানুষ যে স্বীকারোক্তি করে তাই অধিক গ্রহণযোগ্য। ইবরাহীম ও হাকাম (রহ.) বলেন, উত্তরাধিকারী যদি ঋণ মাফ করে দেয়, তবে সে মুক্ত হয়ে যাবে। রাফি’ ইবনু খাদীজ (রহ.) অসীয়াত করেন যে, যে সকল মাল ফাযারিয়া গোত্রের তার স্ত্রীর ঘরে আবদ্ধ রয়েছে, তা যেন বের করা না হয়। হাসান (রহ.) বলেন, কেউ যদি মৃত্যুর সময় তার ক্রীতদাসকে বলে, আমি তোমাকে আযাদ করেছি তবে তা বৈধ। শাবী (রহ.) বলেন, যদি কোন স্ত্রী মৃত্যুকালে বলে, আমার স্বামী আমার হক আদায় করে দিয়েছেন এবং আমি তা নিয়ে নিয়েছি, তবে তা বৈধ। কেউ কেউ বলেন যে, ওয়ারিস সম্পর্কে রোগাক্রান্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি গ্রহণযোগ্য নয়, কেননা তাতে তার সম্বন্ধে কুধারণা হতে পারে। অতঃপর ইস্তিহসান করে বলেন যে, রোগাক্রান্ত ব্যক্তির আমানত, পুঁজি ও শরীকী ব্যবসা সম্বন্ধীয় স্বীকারোক্তি বৈধ। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন যে, তোমরা খারাপ ধারণা থেকে বেঁচে থাক, কেননা খারাপ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।
কোন মুসলিমের মাল হালাল নয়; কেননা, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুনাফিকের আলামত হল-তার নিকট কিছু আমানাত রাখা হলে সে তার খেয়ানাত করে।
আল্লাহ্ তায়ালার বাণীঃ ’’আল্লাহ্ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা আমানাত তার হকদারের নিকট অবশ্যই ফিরিয়ে দিবে’’- (আন-নিসা ৫৮)। এতে তিনি উত্তরাধিকারী কিংবা অন্য কাউকে নির্দিষ্ট করেননি। এই প্রসঙ্গে ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আমর (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
২৭৪৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি কথা বললে মিথ্যা বলে, আমানত রাখলে খেয়ানত করে এবং প্রতিশ্রুতি দিলে ভঙ্গ করে। (৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫৯)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْ بِهَا أَوْ دَيْنٍ
.حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو الرَّبِيْعِ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِيْ عَامِرٍ أَبُوْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلَاثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "The signs of a hypocrite are three: Whenever he speaks he tells a lie; whenever he is entrusted he proves dishonest; whenever he promises he breaks his promise."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘ঋণ পরিশোধ ও অসীয়াত পূরণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি বণ্টন করতে হবে)’’ (আন-নিসা ১১) এর ব্যাখ্যা।
وَيُذْكَرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلمe قَضَى بِالدَّيْنِ قَبْلَ الْوَصِيَّةِ.
وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ )إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمٰنَاتِ إِلٰٓى أَهْلِهَا(( النساء : 58) فَأَدَاءُ الأَمَانَةِ أَحَقُّ مِنْ تَطَوُّعِ الْوَصِيَّةِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لا صَدَقَةَ إِلَّا عَنْ ظَهْرِ غِنًى وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَا يُوصِي الْعَبْدُ إِلَّا بِإِذْنِ أَهْلِهِ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْعَبْدُ رَاعٍ فِيْ مَالِ سَيِّدِهِ
উল্লেখ রয়েছে যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অসীয়াতের পূর্বে ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন।
মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’আল্লাহ্ তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা আমানতসমূহ তার হক্দারের নিকট ফিরিয়ে দিবে’’- (আন-নিসা ৫৮)। কাজেই নফল অসীয়াত পূরণ করার আগে আমানত আদায়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ স্বচ্ছলতা ব্যতীত সাদাকা নাই। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, গোলাম তার মালিকের অনুমতি ব্যতীত অসীয়াত করবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, গোলাম তার মালিকের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারী।
২৭৫০. হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট আমি সওয়াল করলাম, তিনি আমাকে দান করলেন। আবার সওয়াল করলাম, তিনি আমাকে দান করলেন। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, ’হে হাকীম! এই ধন সম্পদ সবুজ-শ্যামল, মধুর। যে ব্যক্তি দানশীলতার মনোভাব নিয়ে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে। আর যে ব্যক্তি প্রতীক্ষা কাতর অন্তরে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে না। সে ঐ ব্যক্তির মত যে খায়; কিন্তু তৃপ্ত হয় না। উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম।’ হাকীম (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আপনার পরে আমি দুনিয়া থেকে বিদায়ের আগে আর কারো কাছে কিছু চাইব না। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) কিছু দান করার জন্য হাকীমকে আহবান করেন, কিন্তু হাকীম (রাঃ) তাঁর নিকট হতে কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। অতঃপর ’উমার (রাঃ)-ও হাকীম (রাঃ)-কে কিছু দান করার জন্য ডেকে পাঠান, কিন্তু তাঁর কাছ থেকেও কিছু গ্রহণ করতে তিনি অস্বীকার করেন। তখন ’উমার (রাঃ) বলেন, হে মুসলিম সমাজ! আমি আল্লাহ্ প্রদত্ত গনীমতের মাল থেকে প্রাপ্য তাঁর অংশ তাঁর সামনে পেশ করেছি, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন; হাকীম (রাঃ) তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর পরে আর কারো নিকট কিছু চাননি। (১৪৭২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬০)
بَابُ تَأْوِيْلِ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى مِنْمبَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْ بِهَا أَوْ دَيْنٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيْمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِيْ ثُمَّ قَالَ لِيْ يَا حَكِيْمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُوْرِكَ لَهُ فِيْهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيْهِ وَكَانَ كَالَّذِيْ يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى قَالَ حَكِيْمٌ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَالَّذِيْ بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا فَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدْعُوْ حَكِيْمًا لِيُعْطِيَهُ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَهُ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِيْنَ إِنِّيْ أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِيْ قَسَمَ اللهُ لَهُ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيْمٌ أَحَدًا مِنْ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّيَ رَحِمَهُ اللهُ
Narrated `Urwa bin Az-Zubair:
Hakim bin Hizam said, "I asked Allah's Messenger (ﷺ) for something, and he gave me, and I asked him again and he gave me and said, 'O Hakim! This wealth is green and sweet (i.e. as tempting as fruits), and whoever takes it without greed then he is blessed in it, and whoever takes it with greediness, he is not blessed in it and he is like one who eats and never gets satisfied. The upper (i.e. giving) hand is better than the lower (i.e. taking) hand." Hakim added, "I said, O Allah's Messenger (ﷺ)! By Him Who has sent you with the Truth I will never demand anything from anybody after you till I die." Afterwards Abu Bakr used to call Hakim to give him something but he refused to accept anything from him. Then `Umar called him to give him (something) but he refused. Then `Umar said, "O Muslims! I offered to him (i.e. Hakim) his share which Allah has ordained for him from this booty and he refuses to take it." Thus Hakim did not ask anybody for anything after the Prophet, till he died--may Allah bestow His mercy upon him.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/৯. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘ঋণ পরিশোধ ও অসীয়াত পূরণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি বণ্টন করতে হবে)’’ (আন-নিসা ১১) এর ব্যাখ্যা।
২৭৫১. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্ববান এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। শাসক হলেন দায়িত্ববান, তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্ববান এবং তাকে তার দায়িত্ব সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘরের সম্পদের দায়িত্ববান, তার সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হবে। গোলাম তার মালিকের ধন-সম্পদের দায়িত্ববান, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি এও বলেছেন যে, পুত্র তার পিতার সম্পদের দায়িত্ববান। (৮৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬১)
بَابُ تَأْوِيْلِ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى مِنْمبَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِيْ بِهَا أَوْ دَيْنٍ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ السَّخْتِيَانِيُّ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِيْ سَالِمٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْإِمَامُ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِيْ أَهْلِهِ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْمَرْأَةُ فِيْ بَيْتِ زَوْجِهَا رَاعِيَةٌ وَمَسْئُوْلَةٌ عَنْ رَعِيَّتِهَا وَالْخَادِمُ فِيْ مَالِ سَيِّدِهِ رَاعٍ وَمَسْئُوْلٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ قَالَ وَحَسِبْتُ أَنْ قَدْ قَالَ وَالرَّجُلُ رَاعٍ فِيْ مَالِ أَبِيْهِ
Narrated Ibn `Umar:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "All of you are guardians and responsible for your charges: the Ruler (i.e. Imam) is a guardian and responsible for his subjects; and a man is a guardian of his family and is responsible for his charges; and a lady is a guardian in the house of her husband and is responsible for her charge; and a servant is a guardian of the property of his master and is responsible for his charge." I think he also said, "And a man is a guardian of the property of his father."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১০. যখন আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াক্ফ বা অসীয়াত করা হয় এবং আত্মীয় কারা?
وَقَالَ ثَابِتٌ عَنْ أَنَسٍ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ طَلْحَةَ اجْعَلْهَا لِفُقَرَاءِ أَقَارِبِكَ فَجَعَلَهَا لِحَسَّانَ وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ وَقَالَ الأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ مِثْلَ حَدِيْثِ ثَابِتٍ قَالَ اجْعَلْهَا لِفُقَرَاءِ قَرَابَتِكَ قَالَ أَنَسٌ فَجَعَلَهَا لِحَسَّانَ وَأُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ وَكَانَا أَقْرَبَ إِلَيْهِ مِنِّي
وَكَانَ قَرَابَةُ حَسَّانٍ وَأُبَيٍّ مِنْ أَبِيْ طَلْحَةَ وَاسْمُهُ زَيْدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ الأَسْوَدِ بْنِ حَرَامِ بْنِ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ وَحَسَّانُ بْنُ ثَابِتِ بْنِ المُنْذِرِ بْنِ حَرَامٍ فَيَجْتَمِعَانِ إِلَى حَرَامٍ وَهُوَ الأَبُ الثَّالِثُ وَحَرَامُ بْنُ عَمْرِو بْنِ زَيْدِ مَنَاةَ بْنِ عَدِيِّ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ فَهُوَ يُجَامِعُ حَسَّانَ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَيًّا إِلَى سِتَّةِ آبَاءٍ إِلَى عَمْرِو بْنِ مَالِكٍ وَهُوَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ زَيدِ بْنِ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّجَّارِ فَعَمْرُوْ بْنُ مَالِكٍ يَجْمَعُ حَسَّانَ وَأَبَا طَلْحَةَ وَأُبَيًّا وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَوْصَى لِقَرَابَتِهِ فَهُوَ إِلَى آبَائِهِ فِي الإِسْلَامِ
সাবিত (রহ.) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ত্বলহাকে বলেন, তুমি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। অতঃপর তিনি বাগানটি হাস্সান ও উবাই ইবনু কা’বকে দিয়ে দেন। আনসারী (রহ.) বলেন, আমার পিতা সুমামা এর মাধ্যমে আনাস (রাঃ) থেকে সাবিত (রাঃ)-এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, বাগানটি তোমার গরীব আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। আনাস (রাঃ) বলেন, আবু ত্বলহা (রাঃ) বাগানটি হাস্সান এবং উবাই ইবনু কা’ব (রাঃ)-কে দিলেন আর তারা উভয়েই আমার চেয়ে তার নিকটাত্মীয় ছিলেন।
আবু ত্বলহা (রাঃ)-এর সঙ্গে হাস্সান এবং উবাই (রাঃ)-এর সম্পর্ক ছিল এরূপঃ আবূ ত্বলহা (রাঃ) নাম-যায়দ ইবনু সাহল ইবনু আসওয়াদ ইবনু হারাম ইবনু ’আমর ইবনু যায়দ যিনি ছিলেন মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। (হাস্সানের বংশ পরিচয় হলোঃ) হাস্সান ইবনু সাবিত ইবনু মুন্যির ইবনু হারাম। কাজেই উভয়ে হারাম নামক পুরুষে মিলিত হন। যিনি তৃতীয় পিতৃপুরুষ ছিলেন এবং হারাম ইবনু আমর ইবনু যায়দ যিনি মানাত ইবনু আদী ইবনু আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। অতএব হাস্সান, আবূ ত্বলহা ও উবাই (রাঃ) ষষ্ঠ পুরুষে এসে ’’আমর ইবনু মালিকের সঙ্গে মিলিত হন। আর উবাই হলেন উবাই ইবনু কা’ব ইবনু কায়স ইবনু ’উবাইদ ইবনু যায়দ ইবনু মু’আবিয়াহ ইবনু ’আমর ইবনু মালিক ইবনু নাজ্জার। কাজেই আমর ইবনু মালিক এসে হাস্সান, আবূ ত্বলহা ও উবাই একত্র হয়ে যায়। কারো কারো মতে নিজের আত্মীয়-স্বজনের জন্য অসীয়াত করলে তা তার মুসলিম পিতৃ-পিতামহের জন্য প্রযোজ্য হবে।
২৭৫২. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ত্বলহা (রাঃ)-কে বলেন আমার মত হলো, তোমার বাগানটি তোমার আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দাও। আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলেন, আমি তা-ই করব হে আল্লাহর রাসূল! তাই আবূ ত্ব্র, হে বানূ আদী! তোমরা সতর্ক হও। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন যে, যখন কুরআনের এই লহা (রাঃ) তার বাগানটি তার আত্মীয়-স্বজন ও চাচাত ভাইয়ের মধ্যে ভাগ করে দেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াতটি নাযিল হলঃ ’’(হে মুহাম্মাদ) আপনার নিকট আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দেন’’- (শু’আরা ১৪)। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুরায়শ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গোত্রদের ডেকে বললেন, হে বানূ ফিহআয়াত নাযিল হলোঃ ’’আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন’’- (শু’আরা ২১৪)। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে কুরায়শ সম্প্রদায়। (১৪৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬২)
بَابُ إِذَا وَقَفَ أَوْ أَوْصَى لِأَقَارِبِهِ وَمَنْ الأَقَارِبُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَبِي طَلْحَةَ " أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِينَ ". قَالَ أَبُو طَلْحَةَ أَفْعَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَسَمَهَا أَبُو طَلْحَةَ فِي أَقَارِبِهِ وَبَنِي عَمِّهِ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمَّا نَزَلَتْ (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ) جَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُنَادِي " يَا بَنِي فِهْرٍ، يَا بَنِي عَدِيٍّ ". لِبُطُونِ قُرَيْشٍ. وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ لَمَّا نَزَلَتْ (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ) قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ ".
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) said to Abu Talha, "I recommend that you divide (this garden) amongst your relatives." Abu Talha said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I will do the same." So Abu Talha divided it among his relatives and cousins. Ibn 'Abbes said, "When the Qur'anic Verse: "Warn your nearest kinsmen." (26.214) Was revealed, the Prophet (ﷺ) started calling the various big families of Quraish, "O Bani Fihr! O Bani Adi!". Abu Huraira said, "When the Verse: "Warn your nearest kinsmen" was revealed, the Prophet (ﷺ) said (in a loud voice), "O people of Quraish!"
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১১. স্ত্রীলোক ও সন্তানাদি আত্মীয়ের মধ্যে কি?
২৭৫৩. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনের এই আয়াতটি নাযিল করলেন, ’’আপনি আপনার নিকটাত্মীদেরকে সতর্ক করে দিন’’ (শু’আরা ২১৪) তখন আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়ালেন এবং বললেন, ’হে কুরায়শ সম্প্রদায়! কিংবা অনুরূপ শব্দ বললেন, তোমরা আত্মরক্ষা কর। আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে বানূ আব্দ মানাফ! আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমাদের কোন উপকার করতে পারব না। হে ’আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব! আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে সাফিয়্যাহ! আল্লাহর রাসূলের ফুফু, আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। হে ফাতিমাহ বিন্তে মুহাম্মদ! আমার ধন-সম্পদ থেকে যা ইচ্ছা চেয়ে নাও। আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করতে আমি তোমার কোন উপকার করতে পারব না। আসবাগ (রহ.) ইবনু ওয়াহব (রহ.) .... আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আবুল ইয়ামান (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। (৩৫২৭, ৪৭৭১) (মুসলিম ১/৮৯ হাঃ ২০৩, আহমাদ ১০৭৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৩)
بَابُ هَلْ يَدْخُلُ النِّسَاءُ وَالْوَلَدُ فِي الأَقَارِبِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ ) قَالَ " يَا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ ـ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا ـ اشْتَرُوا أَنْفُسَكُمْ، لاَ أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لاَ أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، يَا عَبَّاسُ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ لاَ أُغْنِي عَنْكَ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، وَيَا صَفِيَّةُ عَمَّةَ رَسُولِ اللَّهِ لاَ أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا، وَيَا فَاطِمَةُ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَلِينِي مَا شِئْتِ مِنْ مَالِي لاَ أُغْنِي عَنْكِ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا ". تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ.
Narrated Abu Huraira:
When Allah revealed the Verse: "Warn your nearest kinsmen," Allah's Messenger (ﷺ) got up and said, "O people of Quraish (or said similar words)! Buy (i.e. save) yourselves (from the Hellfire) as I cannot save you from Allah's Punishment; O Bani `Abd Manaf! I cannot save you from Allah's Punishment, O Safiya, the Aunt of Allah's Messenger (ﷺ)! I cannot save you from Allah's Punishment; O Fatima bint Muhammad! Ask me anything from my wealth, but I cannot save you from Allah's Punishment."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১২. ওয়াক্ফকারী তার ওয়াকফ দ্বারা উপকার গ্রহণ করতে পারে কি?
وَقَدْ اشْتَرَطَ عُمَرُ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا وَقَدْ يَلِي الْوَاقِفُ وَغَيْرُهُ وَكَذَلِكَ كُلُّ مَنْ جَعَلَ بَدَنَةً أَوْ شَيْئًا ِللهِ فَلَهُ أَنْ يَنْتَفِعَ بِهَا كَمَا يَنْتَفِعُ غَيْرُهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِطْ
’উমার (রাঃ) শর্তারোপ করেছিলেন, যে ব্যক্তি ওয়াক্ফের মুতাওয়াল্লী হবে, তার জন্য তা থেকে কিছু খাওয়াতে কোন দোষ নেই। ওয়াক্ফকারী নিজেও মুতাওয়াল্লী হতে পারে, আর অন্য কেউও হতে পারে। অনুরূপ যে ব্যক্তি উট বা অন্য কিছু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে তার জন্যও তা থেকে নিজে উপকৃত হওয়া বৈধ, যেমন অন্যদের জন্য তা থেকে উপকৃত হওয়া বৈধ, শর্তারোপ না করলেও।
২৭৫৪. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা দেখতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ব্যক্তিটিকে বললেন, এর উপর সওয়ার হও। সে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! এটি তো কুরবানীর উট। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তৃতীয়বার বা চতুর্থবার তাকে বললেন, তার উপর সওয়ার হয়ে যাও, দুর্ভোগ তোমার জন্য কিংবা বললেন, তোমার জন্য আফসোস। (১৬৯০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৪)
بَابُ هَلْ يَنْتَفِعُ الْوَاقِفُ بِوَقْفِه
.حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ لَهُ ارْكَبْهَا فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ أَوْ وَيْحَكَ
Narrated Anas:
The Prophet (ﷺ) saw a man driving a Badana (i.e. camel for sacrifice) and said to him, "Ride on it." The man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! It is a Bandana." (The Prophet (ﷺ) repeated his order) and on the third or fourth time he said, "Ride it, (woe to you" or said: "May Allah be merciful to you).
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১২. ওয়াক্ফকারী তার ওয়াকফ দ্বারা উপকার গ্রহণ করতে পারে কি?
২৭৫৫. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন যে, সে একটি কুরবানীর উট হাঁকিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, এর উপর সওয়ার হও। লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এটি তো কুরবানীর উট।’ তিনি দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার বললেন, এর উপর সওয়ার হও, দুর্ভোগ তোমার জন্য। (১৬৮৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৫)
بَابُ هَلْ يَنْتَفِعُ الْوَاقِفُ بِوَقْفِه
.حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلًا يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ارْكَبْهَا قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا وَيْلَكَ فِي الثَّانِيَةِ أَوْ فِي الثَّالِثَةِ
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) saw a man driving a Badana and said to him, "Ride on it," and on the second or the third time he added, "Woe to you."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১৫. কেউ যদি বলে ‘আমার এই জমিটি কিংবা বাগানটি আমার মায়ের পক্ষ থেকে আল্লাহর ওয়াস্তে সদাকাহ তবে তা জায়িয, যদিও তা কার জন্য তার বর্ণনা না দেয়।
55/13. بَابُ إِذَا وَقَفَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَدْفَعَهُ إِلَى غَيْرِهِ فَهُوَ جَائِزٌ
৫৫/১৩. কোন কিছু ওয়াক্ফ করতঃ অন্যের কাছে হস্তান্তর না করলেও তা জায়িয।
لِأَنَّ عُمَرَ أَوْقَفَ وَقَالَ لَا جُنَاحَ عَلَى مَنْ وَلِيَهُ أَنْ يَأْكُلَ وَلَمْ يَخُصَّ إِنْ وَلِيَهُ عُمَرُ أَوْ غَيْرُهُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ طَلْحَةَ أَرَى أَنْ تَجْعَلَهَا فِي الأَقْرَبِيْنَ فَقَالَ أَفْعَلُ فَقَسَمَهَا فِيْ أَقَارِبِهِ وَبَنِيْ عَمِّهِ
কেননা, ’উমার (রাঃ) এই রকম ওয়াক্ফ করেছিলেন এবং বলেছিলেন, মুতাওয়াল্লীর জন্য তা থেকে কিছু খেতে দোষ নেই। তিনি নিজে মুতাওয়াল্লী হবেন, না অন্য কেউ তা তিনি নির্দিষ্ট করেননি। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ ত্বলহা (রাঃ)-কে বলেন, আমার অভিমত এই যে, তুমি তা (বাগানটি) তোমার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে দাও। আবূ ত্বলহা (রাঃ) বলেন, আমি তা-ই করব। অতঃপর তিনি তাঁর নিকটাত্মীয় ও চাচাত ভাইদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিলেন।
55/14. بَابُ إِذَا قَالَ دَارِيْ صَدَقَةٌ لِلهِ وَلَمْ يُبَيِّنْ لِلْفُقَرَاءِ أَوْ غَيْرِهِمْ فَهُوَ جَائِزٌ وَيَضَعُهَا فِي الأَقْرَبِيْنَ أَوْ حَيْثُ أَرَادَ
৫৫/১৪. যদি কেউ বলে যে, আমার বাড়ীটি আল্লাহর ওয়াস্তে সাদাকা এবং ফকীর বা অন্য কারো কথা উল্লেখ না করে তবে তা জায়িয। সে তা আত্মীয়দের মধ্যে কিংবা যাদের ইচ্ছা দান করতে পারে।
قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَبِيْ طَلْحَةَ حِيْنَ قَالَ أَحَبُّ أَمْوَالِيْ إِلَيَّ بَيْرُحَاءَ وَإِنَّهَا صَدَقَةٌ لِلهِ فَأَجَازَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَا يَجُوْزُ حَتَّى يُبَيِّنَ لِمَنْ وَالأَوَّلُ أَصَحُّ
আবূ ত্বলহা (রাঃ) যখন বললেন যে, আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ হল বায়রূহা বাগানটি এবং আমি তা আল্লাহর উদ্দেশে সাদাকা করলাম। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা জায়িয রেখেছেন। কোন কোন ফকীহ বলেছেন, যতক্ষণ না কারো জন্য তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জায়িয হবে না। কিন্তু প্রথম অভিমতটি অধিকতর সহীহ।
২৭৫৬. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনু ’উবাদাহ (রাঃ)-এর মা মারা গেলেন এবং তিনি সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন। পরে বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমার মা আমার অনুপস্থিতিতে মারা যান। আমি যদি তাঁর পক্ষ থেকে কিছু সাদাকা করি, তাহলে কি তাঁর কোন উপকারে আসবে?’ তিনি বললেন, ’হ্যাঁ।’ সা’দ (রাঃ) বললেন, ’তাহলে আমি আপনাকে সাক্ষী করছি আমার মিখরাফ্ নামক বাগানটি তাঁর জন্য সাদাকা করলাম।’ (২৭৬২-২৭৭০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৬)
بَابُ إِذَا قَالَ أَرْضِيْ أَوْ بُسْتَانِيْ صَدَقَةٌ ِللهِ عَنْ أُمِّيْ فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ لَمْ يُبَيِّنْ لِمَنْ ذَلِك
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيْدَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ يَعْلَى أَنَّهُ سَمِعَ عِكْرِمَةَ يَقُوْلُ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ تُوُفِّيَتْ أُمُّهُ وَهُوَ غَائِبٌ عَنْهَا فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ أُمِّيْ تُوُفِّيَتْ وَأَنَا غَائِبٌ عَنْهَا أَيَنْفَعُهَا شَيْءٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ بِهِ عَنْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَإِنِّيْ أُشْهِدُكَ أَنَّ حَائِطِيَ الْمِخْرَافَ صَدَقَةٌ عَلَيْهَا
Narrated Ibn `Abbas:
The mother of Sa`d bin 'Ubada died in his absence. He said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! My mother died in my absence; will it be of any benefit for her if I give Sadaqa on her behalf?" The Prophet (ﷺ) said, "Yes," Sa`d said, "I make you a witness that I gave my garden called Al Makhraf in charity on her behalf."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫/১৬. কোন ব্যক্তি তার সম্পদের কিছু অংশ কিংবা তার গোলামদের কতকগুলি অথবা কিছু জন্তু-জানোয়ার সদাকাহ বা ওয়াকফ করলে তা জায়িয।
২৭৫৭. কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার তাওবা হিসেবে আমি আমার যাবতীয় মাল আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলের উদ্দেশে সাদাকা করে মুক্ত হতে চাই। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দাও, তা তোমার জন্য উত্তম। আমি বললাম, ‘তাহলে আমি আমার খায়বারের অংশটি নিজের জন্য রেখে দিলাম।’ (২৯৪৭, ২৯৪৮, ২৯৪৯, ২৯৫০, ৩০৮৮, ৩৫৫৬, ৩৮৮৯, ৩৯৫১, ৪৪১৮, ৪৬৭৩, ৪৬৭৬, ৪৬৭৭, ৪৬৭৮, ৬২৫৫, ৬৬৯০,৭২২৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৫৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬৭)
بَابُ إِذَا تَصَدَّقَ أَوْ أَوْقَفَ بَعْضَ مَالِهِ أَوْ بَعْضَ رَقِيْقِهِ أَوْ دَوَابِّهِ فَهُوَ جَائِز
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِيْ أَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِيْ صَدَقَةً إِلَى اللهِ وَإِلَى رَسُوْلِهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ قُلْتُ فَإِنِّيْ أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِيْ بِخَيْبَرَ
Narrated Ka`b bin Malik:
I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! For the acceptance of my repentance I wish to give all my property in charity for Allah's sake through His Apostle ." He said, "It is better for you to keep some of the property for yourself." I said, "Then I will keep my share in Khaibar."