পরিচ্ছেদঃ ২৫/১. হজ্জ ফরয হওয়া ও এর ফযীলত
(وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حَجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ)
মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মানুষের উপর আল্লাহর জন্য বাইতুল্লাহর হাজ্জ করা ফরয যারা সেথায় যাওয়ার সামর্থ্য রাখে এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষীহীন। (আলু ‘ইমরানঃ ৯৭)
১৫১৩. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফযল ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) একই বাহনে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে আরোহণ করেছিলেন। এরপর খাশ‘আম গোত্রের জনৈক মহিলা উপস্থিত হল। তখন ফযল (রাঃ) সেই মহিলার দিকে তাকাতে থাকে এবং মহিলাটিও তার দিকে তাকাতে থাকে। আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফযলের চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে থাকে। মহিলাটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর বান্দার উপর ফার্য (ফরয)কৃত হাজ্জ আমার বয়োঃবৃদ্ধ পিতার উপর ফরজ হয়েছে। কিন্তু তিনি বাহনের উপর স্থির থাকতে পারেন না, আমি কি তাঁর পক্ষ হতে হাজ্জ আদায় করবো? তিনি বললেনঃ হাঁ (আদায় কর)। ঘটনাটি বিদায় হাজ্জের সময়ের। (১৮৫৪, ১৮৫৫, ৪৩৯৯, ৬২২৮, মুসলিম ১৫/৭১, হাঃ ১৩৩৪, আহমাদ ৩০৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২২)
بَاب وُجُوبِ الْحَجِّ وَفَضْلِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيفَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتْ امْرَأَةٌ مِنْ خَشْعَمَ فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ وَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ فَرِيضَةَ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ فِي الْحَجِّ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا لاَ يَثْبُتُ عَلَى الرَّاحِلَةِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ وَذَلِكَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ
Narrated `Abdullah bin `Abbas:
Al-Fadl (his brother) was riding behind Allah's Messenger (ﷺ) and a woman from the tribe of Khath'am came and Al-Fadl started looking at her and she started looking at him. The Prophet (ﷺ) turned Al-Fadl's face to the other side. The woman said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The obligation of Hajj enjoined by Allah on His devotees has become due on my father and he is old and weak, and he cannot sit firm on the Mount; may I perform Hajj on his behalf?" The Prophet (ﷺ) replied, "Yes, you may." That happened during the Hajj-al-Wida (of the Prophet (ﷺ) ).
পরিচ্ছেদঃ ২৫/২. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রে আরোহণ করে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে।’’ (আল-হজ্জঃ ২৭)
১৫১৪. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখেছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলাইফা নামক স্থানে তাঁর বাহনের উপর আরোহণ করেন, বাহনটি সোজা হয়ে দাঁড়াতেই তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকেন। (১৬৬, মুসলিম ১৫/৫, হাঃ ১১৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى : {يَأْتُوكَ رِجَالاً وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ} {فِجَاجًا} الطُّرُقُ الْوَاسِعَةُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَرْكَبُ رَاحِلَتَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ يُهِلُّ حَتَّى تَسْتَوِيَ بِهِ قَائِمَةً
Narrated Ibn `Umar:
I saw that Allah's Messenger (ﷺ) used to ride on his Mount at Dhul Hulaifa and used to start saying, "Labbaik" when the Mount stood upright.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/২. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রে আরোহণ করে, তারা আসবে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোয় উপস্থিত হতে পারে।’’ (আল-হজ্জঃ ২৭)
১৫১৫. জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর তাল্বিয়া পাঠ যুল-হুলাইফা হতে আরম্ভ হত যখন তাঁর বাহন তাঁকে নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতো। হাদীসটি আনাস ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন অর্থাৎ ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহ.)-এর সূত্রে জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৪)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى : {يَأْتُوكَ رِجَالاً وَعَلَى كُلِّ ضَامِرٍ يَأْتِينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ} {فِجَاجًا} الطُّرُقُ الْوَاسِعَةُ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ سَمِعَ عَطَاءً يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ إِهْلاَلَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ رَوَاهُ أَنَسٌ وَابْنُ عَبَّاسٍ
Narrated Jabir bin `Abdullah:
that Allah's Messenger (ﷺ) started saying, "Labbaik" from Dhul-Hulaifa when his Mount stood upright carrying him .
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৩. উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন।
১৫১৬. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর সাথে তাঁর ভাই ‘আবদুর রাহমান (রাঃ)-কে প্রেরণ করেন। তিনি ‘আয়িশাহ্কে ‘তান‘ঈম’ নামক স্থান হতে ছোট একটি হাওদায় বসিয়ে ‘উমরাহ করাতে নিয়ে যান। ‘উমার (রাঃ) বলেন, তোমরা হাজ্জে (গমনের উদ্দেশে) উটের পিঠে হাওদা মজবুত করে বাঁধ (সফর কর)। কেননা, হাজ্জও এক প্রকারের জিহাদ। (২৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ ৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ ৯৬৩)
بَاب الْحَجِّ عَلَى الرَّحْلِ
وَقَالَ أَبَانُ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ دِينَارٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مَعَهَا أَخَاهَا عَبْدَ الرَّحْمٰنِ فَأَعْمَرَهَا مِنْ التَّنْعِيمِ وَحَمَلَهَا عَلَى قَتَبٍ وَقَالَ عُمَرُ شُدُّوا الرِّحَالَ فِي الْحَجِّ فَإِنَّهُ أَحَدُ الْجِهَادَيْنِ
Narrated 'Aishah:
The Prophet (ﷺ) sent my brother, 'Abdur Rahman with me to Tan'im for the 'Umra, and he made me ride on the packsaddle (of a camel). 'Umar said, "Be ready to travel for Hajj as it (Hajj) is one of the two kind of Jihad".
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৩. উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন।
১৫১৭. সুমামা ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আনাস হতে বর্ণিত যে, আনাস (রাঃ) হাওদায় আরোহণ অবস্থায় হাজ্জে গমন করেছেন অথচ তিনি কৃপণ ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি আরো বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন করেন এবং সেই উটটিই তাঁর মালের বাহন ছিলো। (আধুনিক প্রকাশনীঃ অনুচ্ছেদ ৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ অনুচ্ছেদ ৯৬৩ শেষাংশ)
بَاب الْحَجِّ عَلَى الرَّحْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا عَزْرَةُ بْنُ ثَابِتٍ عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ حَجَّ أَنَسٌ عَلَى رَحْلٍ وَلَمْ يَكُنْ شَحِيحًا وَحَدَّثَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَجَّ عَلَى رَحْلٍ وَكَانَتْ زَامِلَتَهُ
Narrated Thumama bin `Abdullah bin Anas:
Anas performed the Hajj on a packsaddle and he was not a miser. Anas said, "Allah's Messenger (ﷺ) performed Hajj on a packsaddle and the same Mount was carrying his baggage too."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৩. উটের হাওদায় আরোহণ করে হজ্জে গমন।
১৫১৮. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনারা ‘উমরাহ করলেন, আর আমি ‘উমরাহ করতে পারলাম না! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে ‘আবদুর রাহমান! তোমার বোন (‘আয়িশা)-কে সাথে করে নিয়ে তান‘ঈম হতে গিয়ে ‘উমরাহ করিয়ে নিয়ে এসো। তিনি ‘আয়িশাকে উটের পিঠে ছোট একটি হাওদার পশ্চাদ্ভাগে বসিয়ে দেন এবং তিনি ‘উমরাহ আদায় করেন। (২৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪১৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৫)
بَاب الْحَجِّ عَلَى الرَّحْلِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا أَيْمَنُ بْنُ نَابِلٍ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم اعْتَمَرْتُمْ وَلَمْ أَعْتَمِرْ فَقَالَ يَا عَبْدَ الرَّحْمٰنِ اذْهَبْ بِأُخْتِكَ فَأَعْمِرْهَا مِنْ التَّنْعِيمِ فَأَحْقَبَهَا عَلَى نَاقَةٍ فَاعْتَمَرَتْ
Narrated Al-Qasim bin Muhammad:
`Aisha said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! You performed `Umra but I did not." He said, "O `Abdur-Rahman! Go along with your sister and let her perform `Umra from Tan`im." `Abdur-Rahman made her ride over the packsaddle of a she-camel and she performed `Umra.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৪. হজ্জে মাবরুর কবূলকৃত হজ্জের ফযীলত।
১৫১৯. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনা। জিজ্ঞেস করা হলো, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। জিজ্ঞেস করা হলো, অতঃপর কোনটি? তিনি বলেনঃ হাজ্জ-ই-মাবরূর (মাকবূল হাজ্জ)। (২৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৬)
بَاب فَضْلِ الْحَجِّ الْمَبْرُورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ إِيمَانٌ بِاللهِ وَرَسُولِهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ جِهَادٌ فِي سَبِيلِ اللهِ قِيلَ ثُمَّ مَاذَا قَالَ حَجٌّ مَبْرُورٌ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) was asked, "Which is the best deed?" He said, "To believe in Allah and His Apostle." He was then asked, "Which is the next (in goodness)?" He said, "To participate in Jihad in Allah's Cause." He was then asked, "Which is the next?" He said, "To perform Hajj-Mabrur. "
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৪. হজ্জে মাবরুর কবূলকৃত হজ্জের ফযীলত।
১৫২০. উম্মুল মু‘মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! জিহাদকে আমরা সর্বোত্তম ‘আমল মনে করি। কাজেই আমরা কি জিহাদ করবো না? তিনি বললেনঃ না, বরং তোমাদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হল, হাজ্জে মাবরূর। (১৮৬১, ২৭৮৪, ২৮৭৫, ২৮৭৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৭)
بَاب فَضْلِ الْحَجِّ الْمَبْرُورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا خَالِدٌ أَخْبَرَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم نَرَى الْجِهَادَ أَفْضَلَ الْعَمَلِ أَفَلاَ نُجَاهِدُ قَالَ لاَ لَكِنَّ أَفْضَلَ الْجِهَادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ
Narrated `Aisha:
(the mother of the faithful believers) I said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We consider Jihad as the best deed." The Prophet (ﷺ) said, "The best Jihad (for women) is Hajj Mabrur. "
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৪. হজ্জে মাবরুর কবূলকৃত হজ্জের ফযীলত।
১৫২১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হাজ্জ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হাজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তাকে তার মা জন্ম দিয়েছিল। (১৮১৯, ১৮২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৮)
بَاب فَضْلِ الْحَجِّ الْمَبْرُورِ
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ حَجَّ للهِ÷ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (p.b.u.h) said, "Whoever performs Hajj for Allah's pleasure and does not have sexual relations with his wife, and does not do evil or sins then he will return (after Hajj free from all sins) as if he were born anew."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৫. হজ্জ ও ‘উমরাহ’র মীকাত (ইহরাম বাঁধার স্থান) নির্ধারণ।
১৫২২. যায়দ ইবনু জুবাইর (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর কাছে তাঁর অবস্থান স্থলে যান, তখন তাঁর জন্য তাঁবু ও চাঁদোয়া টানানো হয়েছিল। [যায়দ (রাঃ) বলেন] আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ স্থান হতে ‘উমরাহ’র ইহরাম বাঁধা জায়িয হবে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদ্বাসীদের জন্য কারণ, মদিনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফাহ ও সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা (ইহরামের মীকাত) নির্ধারণ করে দিয়েছেন। (১৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪২৯)
بَاب فَرْضِ مَوَاقِيتِ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ جُبَيْرٍ أَنَّهُ أَتَى عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ فِي مَنْزِلِهِ وَلَهُ فُسْطَاطٌ وَسُرَادِقٌ فَسَأَلْتُهُ مِنْ أَيْنَ يَجُوزُ أَنْ أَعْتَمِرَ قَالَ فَرَضَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنًا وَلأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ
Narrated Zaid bin Jubair:
I went to visit `Abdullah bin `Umar at his house which contained many tents made of cotton cloth and these were encircled with Suradik (part of the tent). I asked him from where, should one assume Ihram for Umra. He said, "Allah's Messenger (ﷺ) had fixed as Miqat (singular of Mawaqit) Qarn for the people of Najd, Dhul-Hulaifa for the people of Medina, and Al-Juhfa for the people of Sham."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৬. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর। আর তাকওয়াই হল শ্রেষ্ঠ পাথেয়। (আল-বাকারাঃ ১৯৭)
১৫২৩. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামানের অধিবাসীগণ হাজ্জে গমনকালে পাথেয় সঙ্গে নিয়ে যেতো না এবং তারা বলছিল, আমরা আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীল। কিন্তু মক্কায় উপনীত হয়ে তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচনা করে বেড়াতো। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ অবতীর্ণ করেনঃ (وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى) ‘‘তোমরা পাথেয়ের ব্যবস্থা কর, আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়’’।(আল-বাকারাহঃ ১৯৭) হাদীসটি ইবনু ‘উয়াইনাহ (রহ.) ‘আমর (রহ.) সূত্রে ‘ইক্রিমা (রহ.) হতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩০)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى { وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى }
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ عَنْ وَرْقَاءَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ أَهْلُ الْيَمَنِ يَحُجُّونَ وَلاَ يَتَزَوَّدُونَ وَيَقُولُونَ نَحْنُ الْمُتَوَكِّلُونَ فَإِذَا قَدِمُوا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى) رَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ مُرْسَلاً
Narrated Ibn `Abbas:
The people of Yemen used to come for Hajj and used not to bring enough provisions with them and used to say that they depend on Allah. On their arrival in Medina they used to beg the people, and so Allah revealed, "And take a provision (with you) for the journey, but the best provision is the fear of Allah." (2.197).
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৭. মক্কাহবাসীদের জন্য হজ্জ ও ‘উমরাহ’র ইহরাম বাঁধার স্থান।
১৫২৪. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মাদ্বীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্ফা, নজ্দবাসীদের জন্য কারনুল মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। হাজ্জ ও ‘উমরাহ নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসী সকলের জন্য উক্ত স্থানগুলো মীকাতরূপে গণ্য এবং যারা এ সব মীকাতের ভিতরে (অর্থাৎ মক্কার নিকটবর্তী) স্থানের অধিবাসী, তারা যেখান হতে হাজ্জের নিয়্যাত করে বের হবে (সেখান হতে ইহরাম বাঁধবে)। এমন কি মক্কা্বাসী মক্কা্ হতেই (হাজ্জের) ইহরাম বাঁধবে। (১৫২৬, ১৫২৯, ১৫৩০, ১৮৪৫, মুসলিম ১৫/২, হাঃ ১১৮১, আহমাদ ২২৪০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩১)
بَاب مُهَلِّ أَهْلِ مَكَّةَ لِلْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ هُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِنَّ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ وَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ
Narrated Ibn `Abbas:
Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) made Dhul-Huiaifa as the Miqat for the people of Medina; Al-Juhfa for the people of Sham; Qarn-al-Manazil for the people of Najd; and Yalamlam for the people of Yemen; and these Mawaqit are for the people at those very places, and besides them for those who come thorough those places with the intention of performing Hajj and `Umra; and whoever is living within these boundaries can assume lhram from the place he starts, and the people of Mecca can assume Ihram from Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৮. মদীনাহবাসীদের মীকাত ও তারা যুল-হুলাইফাহ পৌঁছার আগে ইহরাম বাঁধবে না।
১৫২৫. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মদিনাবাসীগণ যুল-হুলাইফাহ হতে, সিরিয়াবাসীগণ জুহ্ফা হতে ও নজদবাসীগণ ক্বারণ হতে ইহরাম বাঁধবে। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি (অন্যের মাধ্যমে) অবগত হয়েছি, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীগণ ইয়ালামলাম হতে ইহরাম বাঁধবে। (১৩৩, মুসলিম ১৫/২, হাঃ ১১৮২, আহমাদ ৫০৮৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩২)
بَاب مِيقَاتِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَلاَ يُهِلُّوا قَبْلَ ذِي الْحُلَيْفَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ يُهِلُّ أَهْلُ الْمَدِينَةِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ وَيُهِلُّ أَهْلُ الشَّأْمِ مِنْ الْجُحْفَةِ وَأَهْلُ نَجْدٍ مِنْ قَرْنٍ قَالَ عَبْدُ اللهِ وَبَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَيُهِلُّ أَهْلُ الْيَمَنِ مِنْ يَلَمْلَمَ
Narrated Nafi`:
`Abdullah bin `Umar said, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'The people of Medina should assume lhram from Dhul-Hulaifa; the people of Sham from Al-Juhfa; and the people of Najd from Qarn." And `Abdullah added, "I was informed that Allah's Messenger (ﷺ) had said, 'The people of Yemen should assume Ihram from Yalamlam.' "
পরিচ্ছেদঃ ২৫/৯. সিরিয়াবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
১৫২৬. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদিনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্ফা, নজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল-মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হাজ্জ ও ‘উমরাহ’র নিয়্যাতকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি হতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হতেই ইহরাম বাঁধবে। (১৫২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৩)
بَاب مُهَلِّ أَهْلِ الشَّأْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ وَقَّتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لأهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَ÷هْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَ÷هْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمُهَلُّهُ مِنْ أَهْلِهِ وَكَذَاكَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا
Narrated Ibn `Abbas:
Allah's Messenger (ﷺ) had fixed Dhul Hulaifa as the Miqat for the people of Medina; Al-Juhfa for the people of Sham; and Qarn Ul-Manazil for the people of Najd; and Yalamlam for the people of Yemen. So, these (above mentioned) are the Mawaqit for all those living at those places, and besides them for those who come through those places with the intention of performing Hajj and `Umra and whoever lives within these places should assume Ihram from his dwelling place, and similarly the people of Mecca can assume lhram from Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১০. নজ্দবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
১৫২৭. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মীকাতের সীমা নির্ধারিত করেছেন। (১৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৪)
بَاب مُهَلِّ أَهْلِ نَجْدٍ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَفِظْنَاهُ مِنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ وَقَّتَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
The Prophet (ﷺ) had fixed the Mawaqit.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১০. নজ্দবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
১৫২৮. সালিম ইবন ’আবদুল্লাহ (রহ.) তাঁর পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ মদিনাবাসীদের মীকাত হলো যুল-হুলায়ফা, সিরিয়াবাসীদের মীকাত (মাহইয়া’আহ) যার অপর নাম জুহফা এবং নাজদবাসীদের মীকাত হলো ক্বার্ন।
ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, আমি শুনিনি, তবে লোকেরা বলে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়ামানবাসীর মীকাত হলো ইয়ালামলাম। (১৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৮ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৪ শেষাংশ)
بَاب مُهَلِّ أَهْلِ نَجْدٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِيهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مُهَلُّ أَهْلِ الْمَدِينَةِ ذُو الْحُلَيْفَةِ وَمُهَلُّ أَهْلِ الشَّأْمِ مَهْيَعَةُ وَهِيَ الْجُحْفَةُ وَأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنٌ قَالَ ابْنُ عُمَرَ زَعَمُوا أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ وَلَمْ أَسْمَعْهُ وَمُهَلُّ أَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمُ
Narrated Salim bin `Abdullah from his father:
I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, "The Miqat for the people of Medina is Dhul-Hulaifa; for the people of Sham is Mahita; (i.e. Al-Juhfa); and for the people of Najd is Qarn. And said Ibn `Umar, "They claim, but I did not hear personally, that the Prophet (ﷺ) said, "The Miqat for the people of Yemen is Yalamlam."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১১. মীকাতের অভ্যন্তরের অধিবাসীদের ইহরাম বাঁধার স্থান।
১৫২৯. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাবাসীদের জন্য মীকাত নির্ধারণ করেন যুল-হুলায়ফাহ, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম ও নাজদবাসীদের জন্য ক্বারণ। উল্লিখিত স্থানসমূহ হাজ্জ ও ‘উমরাহ’র নিয়্যাতকারী সে স্থানের অধিবাসী এবং সে সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য এলাকার অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান। আর যে মীকাতের ভিতরের অধিবাসী সে নিজ বাড়ি হতে ইহরাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা হতেই ইহরাম বাঁধাবে। (১৫২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৫)
بَاب مُهَلِّ مَنْ كَانَ دُونَ الْمَوَاقِيتِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرٍو عَنْ طَاوُسٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَهْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا فَهُنَّ لَهُنَّ وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ مِمَّنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ فَمِنْ أَهْلِهِ حَتَّى إِنَّ أَهْلَ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) fixed Dhul-Hulaifa as the Miqat for the people of Medina, Al-Juhfa, for the people of Sham, Yalamlam for the people of Yemen, and Qarn for the people of Najd. And these Mawaqit are for those living at those very places, and besides them for those who come through those places with the intention of performing Hajj and Umra; and whoever is living inside these places can assume lhram from his own dwelling place, and the people of Mecca can assume lhram from Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১২. ইয়ামানবাসীদের মীকাত।
১৫৩০. ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদ্বীনাবহাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহ্ফা, নাজদবাসীদের জন্য ক্বারনুল মানাযিল ও ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম মীকাত নির্ধারণ করেছেন। [1] উক্ত মীকাতসমূহ হাজ্জ ও ‘উমরাহ’র উদ্দেশে আগমনকারী সে স্থানের অধিবাসীদের জন্য এবং অন্য কোন এলাকার লোক ঐ সীমা দিয়ে অতিক্রম করবে তাদের জন্যও। এছাড়াও যারা মীকাতের ভিতরের অধিবাসী তারা যেখান হতে সফর আরম্ভ করবে সেখান হতেই (ইহরাম আরম্ভ করবে) এমন কি মক্কাবাসীগণ মাক্কহ হতেই। (১৫২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৬)
بَاب مُهَلِّ أَهْلِ الْيَمَنِ
حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَقَّتَ لأَهْلِ الْمَدِينَةِ ذَا الْحُلَيْفَةِ وَلأَهْلِ الشَّأْمِ الْجُحْفَةَ وَلأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ الْمَنَازِلِ وَلأَهْلِ الْيَمَنِ يَلَمْلَمَ هُنَّ لأَهْلِهِنَّ وَلِكُلِّ آتٍ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِهِمْ مِمَّنْ أَرَادَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَمَنْ كَانَ دُونَ ذَلِكَ فَمِنْ حَيْثُ أَنْشَأَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ مِنْ مَكَّةَ
২। ‘‘যাতু ইরক্ব’’ মূলত নাবী (সাঃ) ইরাকবাসীদের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। যেমনটি আবূ দাউদ হাঃ ১৭৩৯, নাসায়ী হাজ্জ অধ্যায় প্রভৃতি গ্রন্থে বিশুদ্ধ হাদীস এসেছে [এটা সহীহ মুসলিমে হাঃ ১১৮৩-এসেছে তবে রাবীর সন্দেহ আছে এটা হাদীস হওয়ার ব্যাপারে] কিন্তু উমার (রাঃ)-এর এটা নাবী (সাঃ) এর জানা ছিল না বিধায় তিনি ইজতিহাদ করে তা নির্ধারণ করেন যা নাবী (সাঃ) এর হাদীস ভিত্তিক হয়ে যায়। আর এ কথা সর্বজনবিদিত যে, তাঁর অনেক ইজতিহাদী বিধান কুরআন ও হাদীসের অনুকূল হত। অতএব উভয় প্রকার হাদীসে দ্বন্দ্ব কোন নেই।
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (p.b.u.h) fixed Dhul-Hulaifa as the Miqat for the people of Medina, Al-Juhfa for the people of Sham, Qarn-al-Manazil for the people of Najd, and Yalamlam for the people of Yemen; and these Mawaqit are for those living at those very places, and besides them for those whom come through them with the intention of performing Hajj and Umra; and whoever is living within these Mawaqit should assume lhram from where he starts, and the people of Mecca can assume Ihram from Mecca.
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১৩. যাতু ‘ইর্ক হল ইরাকবাসীদের মীকাত।
১৫৩১. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ শহর দু’টি (কূফা ও বস্রা) বিজিত হলো, তখন সে স্থানের লোকগণ ‘উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে নিবেদন করলো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদবাসীগণের জন্য (মীকাত হিসেবে) সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন ক্বারণ, কিন্তু তা আমাদের পথ হতে দূরে। কাজেই আমরা ক্বারণ-সীমা অতিক্রম করতে চাইলে তা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। ‘উমার (রাঃ) বললেন, তা‘ হলে তোমরা লক্ষ্য কর তোমাদের পথে ক্বারণ-এর সম দূরত্বরেখা কোন্ স্থানটি? অতঃপর তিনি ‘‘যাতু ‘ইরক্ব’’ মীকাতরূপে নির্ধারণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৭)
بَاب ذَاتُ عِرْقٍ لِأهْلِ الْعِرَاقِ
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ لَمَّا فُتِحَ هَذَانِ الْمِصْرَانِ أَتَوْا عُمَرَ فَقَالُوا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّ لأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنًا وَهُوَ جَوْرٌ عَنْ طَرِيقِنَا وَإِنَّا إِنْ أَرَدْنَا قَرْنًا شَقَّ عَلَيْنَا قَالَ فَانْظُرُوا حَذْوَهَا مِنْ طَرِيقِكُمْ فَحَدَّ لَهُمْ ذَاتَ عِرْقٍ
Narrated Ibn `Umar:
When these two towns (Basra and Kufa) were captured, the people went to `Umar and said, "O the Chief of the faithful believers! The Prophet (ﷺ) fixed Qarn as the Miqat for the people of Najd, it is beyond our way and it is difficult for us to pass through it." He said, "Take as your Miqat a place situated opposite to Qarn on your usual way. So, he fixed Dhatu-Irq (as their Miqat)."
পরিচ্ছেদঃ ২৫/১৪. পরিচ্ছেদ নাই।
১৫৩২. ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-হুলাইফার বাত্হা নামক উপত্যকায় উট বসিয়ে সালাত আদায় করেন। (রাবী নাফি‘ বলেন) ইবনু ‘উমার (রাঃ)-ও তাই করতেন। (৪৮৪, মুসলিম ১৫/৩৭, হাঃ ১২৫৭, আহমাদ ৪৮৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৩৮)
بَاب
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَاخَ بِالْبَطْحَاءِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ فَصَلَّى بِهَا وَكَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ يَفْعَلُ ذَلِكَ
Narrated Nafi`:
`Abdullah bin `Umar' said, "Allah's Messenger (ﷺ) made his camel sit (i.e. he dismounted) at Al-Batha' in Dhul-Hulaifa and offered the prayer." `Abdullah bin `Umar used to do the same.