পরিচ্ছেদঃ ঈদের দিন ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া।
৫৩০. ইসমাঈল ইবনু মূসা আল-ফাযারী (রহঃ) ..... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সুন্নাত হ’ল ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং ঈদুল ফিতরে বের হওয়ার আগে কিছু খেয়ে নেওয়া। - ইবনু মাজাহ ১২৯৪-১২৯৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন : এই হাদীসটি হাসান। অধিকাংশ আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত ব্যক্ত করেছেন। ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া এবং উযর ছাড়া কোন বাহনে আরোহণ না করা পছন্দনীয় বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمَشْىِ يَوْمَ الْعِيدِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ مِنَ السُّنَّةِ أَنْ تَخْرُجَ، إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَأَنْ تَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ يَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَخْرُجَ الرَّجُلُ إِلَى الْعِيدِ مَاشِيًا وَأَنْ يَأْكُلَ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ لِصَلاَةِ الْفِطْرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُسْتَحَبُّ أَنْ لاَ يَرْكَبَ إِلاَّ مِنْ عُذْرٍ .
Ali bin Abi Talib narrated:
"It is from the SUnnah to leave for the Eid walking, and to eat something before leaving."
পরিচ্ছেদঃ খুৎবার পূর্বে ঈদের সালাত আদায় করা।
৫৩১. মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ..... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর ও উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা খুৎবার পূর্বে ঈদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন, পরে খুতবা দিতেন। - ইবনু মাজাহ ১২৭৬, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু উমর বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও পরবর্তী যুগের আলিমগণ এই হাদীসের মর্মানুসারে আমল করেছেন। তারা বলেনঃ খুতবার পূর্বেই ঈদের সালাত আদায় করতে হবে। বলা হয় মারওয়ান ইবনুল হাকামই সর্বপ্রথম (ঈদের) সালাতের পূর্বে খুতবা দেয়। - মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ عُمَرَ بْنِ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يُصَلُّونَ فِي الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ ثُمَّ يَخْطُبُونَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ صَلاَةَ الْعِيدَيْنِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ . وَيُقَالُ إِنَّ أَوَّلَ مَنْ خَطَبَ قَبْلَ الصَّلاَةِ مَرْوَانُ بْنُ الْحَكَمِ .
Ibn Umar narrated:
"Allah's Messenger, Abu Bakr, and Umar would pray during the two Eid before the Khutbah, then they would give the Khutbah."
পরিচ্ছেদঃ ঈদের সালাত আযান ও ইকামত নেই।
৫৩২. কুতায়বা (রহঃ) ...... জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ এক-দুইবার নয়, বহুবার আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আযান ও ইকামত ছাড়া দুই ঈদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। - সহিহ আবু দাউদ ১০৪২, আহমাদ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির ইবনু আবদিল্লাহ ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে ও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ জাবির ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সাহাবী ও অপরাপর ফকীহ আলিমগণ এই হাদীস অনুসারে আমল করার অভিমত দিয়েছেন। তারা বলেনঃ দুই ঈদের সালাত এবং কোন নফল সালাতের জন্য আযানের বিধান নেই।
باب مَا جَاءَ أَنَّ صَلاَةَ الْعِيدَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الْعِيدَيْنِ غَيْرَ مَرَّةٍ وَلاَ مَرَّتَيْنِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّهُ لاَ يُؤَذَّنُ لِصَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَلاَ لِشَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ .
Jabir bin Samurah narrated:
"I prayed the two Eid prayers with the Prophet - not one time, not two times - without and Adhan nor an Iqamah."
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ঈদের কিরআত।
৫৩৩. কুতায়বা (রহঃ) ...... নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদ ও জুম্মার সালাতে سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى এবং هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ তিলাওয়াত করতেন। অনেক সময় ঈদ ও জুমুআহ একই দিনে ঘটত, তখনও তিনি ঐ দুই সূরাই তিলাওয়াত করতেন। - ইবনু মাজাহ ১১১৯, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ ওয়াকিদ, সামুরা ইবনু জুন্দুব ও ইবনু আববা্স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। সুফইয়ান সাওরী এবং মিসআর (রহঃ) ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনুল মুনতাশির (রহঃ) থেকেও আবূ আওয়ানা (রহঃ) সুত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতের (৫৩ নং) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু উআয়না (রহঃ) থেকে রিওয়ায়াতের ব্যাপারে বিভিন্নতা রয়েছে। তার এই রিওয়ায়াত ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির তৎপিতা মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির হাবীব ইবনু সালিম তৎপিতা সালিম নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে। কিন্তু হাবীব ইবনু সালিম এর কোন রিওয়ায়াত তৎপিতা সালিম থেকে পরিচিত নয়। এই হাবীব ইবনু সালিম হলেন নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মাওলা বা আযাদকৃত দাস এবং তিনি নু’মান ইবনু বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বহু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। এমনিভাবে ইবনু উআয়না রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর রিওয়ায়াত ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু মুনতাশির (রহঃ) থেকে তাদের (অথাৎ আবূ আওয়ানা, সুফইয়ান সাওরী ও মিসআর-এর) অনুরূপ বর্ণিত আছে। [এই সনদে হাবীব ইবনু সালিম-এরপর তৎপিতা (সালিম) থেকে এই কথার উল্লেখ নেই।] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সালাতুল ঈদে সূরা ق এবং واقتربت الساعة তিলাওয়াত করতেন। ইমাম শাফিঈও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَفِي الْجُمُعَةِ بِـ ( سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) وَ (هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ ) وَرُبَّمَا اجْتَمَعَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ فَيَقْرَأُ بِهِمَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمِسْعَرٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ . وَأَمَّا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ فَيُخْتَلَفُ عَلَيْهِ فِي الرِّوَايَةِ يُرْوَى عَنْهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ . وَلاَ نَعْرِفُ لِحَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ رِوَايَةً عَنْ أَبِيهِ . وَحَبِيبُ بْنُ سَالِمٍ هُوَ مَوْلَى النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَرَوَى عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَحَادِيثَ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ نَحْوُ رِوَايَةِ هَؤُلاَءِ . وَرُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ فِي صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ بِـ (اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ ) وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ .
An-Numan bin Bashir narrated:
"For the two Eid and the Friday prayer, the Prophet would recite: Glorify the Name of your Lord, the Most High, and Has there come to you the narration of the overwhelming? And sometimes they would occur on he same day, so he would recite the two of them."
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ঈদের কিরআত।
৫৩৪. ইসহাক ইবনু মূসা আল-আনসারী (রহঃ) ...... উবায়দুল্লাহ ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু উতবা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু আবূ ওয়াকীদ আল-লায়সী রাদিয়াল্লাহু আনহু কে জিজ্ঞাসা করেছিলামঃ ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তিলাওয়াত করতেন? তিনি বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ق والقرن المجيد এবং واقتربت الساعة وانشق القمر তিলাওয়াত করতেন। - ইবনু মাজাহ ১২৮২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ الْمَازِنِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِ فِي الْفِطْرِ وَالأَضْحَى قَالَ كَانَ يَقْرَأُ بـــ(ق والقرآنِ الْمَجِيدِ ) (اقْتَرَبَتِ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Ubaidullah bin Abdullah bin Utbah narrated:
"Umar bin Al-Khattab asked Abu Waqid Al-Laithi what Allah's Messenger would recite during Al-Fitr and Al-Adha, so he said: 'He would recite: Qaf, By the Glorious Quran and the Hour has drawn near, and the moon has been cleft asunder.'"
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ঈদের কিরআত।
৫৩৫. হান্নাদ (রহঃ) ...... যামরা ইবনু সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নাম হ’ল হারিস ইবনু আওফ। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ ضَمْرَةَ بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو وَاقِدٍ اللَّيْثِيُّ اسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ عَوْفٍ .
Ubaidullah bin Abdullah bin Utbah:
There is a another chain with similar narration.
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের তাকবীর।
৫৩৬. মুসলিম ইবনু আমর ও আবূ আমর আল-হায্য আল-মাদীনী (রহঃ) ...... আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতুল ঈদে তাকবীর পাঠ করতেন প্রথমে রাকআত কিরআতের পূর্বে সাত তাকবীর; দ্বিতীয় রাকআতে কিরআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর। - ইবনু মাজাহ ১২৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আয়িশা, ইবনু উমর ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ রাবী কাসীরের পিতামহ [আমর ইব্ন আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু] বর্ণিত হাদীসটি হাসান। এই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মধ্যে এই রিওয়ায়াতটই অধিকতর উত্তম। কাসীরের পিতামহের নাম হ’ল আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু। কতক সাহাবী ও পরবর্তী যুগের আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণের ফতওয়া দিয়েছেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি মদীনায় এই ধরনের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। এ হ’ল মদীনাবাসী আলিমগণের অভিমত।
ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর বক্তব্যও এ-ই। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ সালাতুল ঈদে তাকবীরের সংখ্যা হল নয়। প্রথম রাকআতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর, দ্বিতীয় রাকআতে প্রথমে কিরআত পরে রুকূ-এর তাকবীরসহ চার তাকবীর। একাধিক সাহাবী থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত বিদ্যামান। এ হ’ল কূফাবাসী আলিম ও ফকীহ-এর অভিমত। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ)-ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّكْبِيرِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو الْحَذَّاءُ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الأُولَى سَبْعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الآخِرَةِ خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَدِّ كَثِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَاسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ نَحْوَ هَذِهِ الصَّلاَةِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ فِي التَّكْبِيرِ فِي الْعِيدَيْنِ تِسْعَ تَكْبِيرَاتٍ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ يَبْدَأُ بِالْقِرَاءَةِ ثُمَّ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا مَعَ تَكْبِيرَةِ الرُّكُوعِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ .
Kathir bin Abdullah narrated from this father, from his grandfather:
"The Prophet said the Takbir in the first (Rak'ah) sever (times) before the recitation, and in the last, five (times) before the recitation."
পরিচ্ছেদঃ ঈদের পূর্বে বা পরে কোন সালাত নেই।
৫৩৭. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ...... ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ঈদুল ফিতরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং দু’রাকআত সালাতুল ঈদ আদায় করলেন। এর আগে বা পরে কোন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন না। - ইবনু মাজাহ ১২৯১, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু উমর, আবদুল্লাহ ইবনু আমর ও আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীস অনুসারে অভিমত গ্রহণ করেছেন। ইমাম শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-ও এই মত ব্যক্ত করেন। অপর একদল ও ফকীহ আলিম সালাতুল ঈদের পূর্বে ও পরে (নফল) সালাত আদায় করা যায় বলে মত পোষন করেন। তবে প্রথমোক্ত অভিমতই অধিক সহীহ।
باب مَا جَاءَ لاَ صَلاَةَ قَبْلَ الْعِيدِ وَلاَ بَعْدَهَا
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ يَوْمَ الْفِطْرِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي سَعِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَدْ رَأَى طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ الصَّلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعِيدَيْنِ وَقَبْلَهَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
Ibn Abbas narrated:
"The Prophet went out on the day of Al-Fitr, so he prayed two Rak'ah, then he did not pray before it nor after it."
পরিচ্ছেদঃ ঈদের পূর্বে বা পরে কোন সালাত নেই।
৫৩৮. আবূ আম্মার আল-হুসায়ন ইবনু হুরায়স (রহঃ) ...... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার ঈদের দিনে সালাতের উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু (সেদিন) তিনি সালাতুল ঈদের পূর্বে বা পরে কোন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও এরূপ করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। - ইরওয়া ৩/৯৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ لاَ صَلاَةَ قَبْلَ الْعِيدِ وَلاَ بَعْدَهَا
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَفْصٍ، وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ خَرَجَ فِي يَوْمِ عِيدٍ فَلَمْ يُصَلِّ قَبْلَهَا وَلاَ بَعْدَهَا وَذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَعَلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Bakr bin Hafs - and he is Ibn Umar bin Sa'd bin Abi Waqas - narrated about Ibn Umar, that:
"He went out on the day of Eid, and he did not pray before it nor after it. He mentioned that the Prophet did so."
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ঈদায়নে শরীক হওয়ার জন্য মহিলাদের বহির্গমন।
৫৩৯. আহামদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ..... উম্মু আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বালিকা, তরুনী, গৃহিণী, যুবতী সকল মহিলাকেই সালাতুল ঈদে বের হওয়ার জন্য বলতেন। তবে ঋতুবতী মহিলারা সালাত (নামায/নামাজ) স্থল থেকে দূরে থাকতেন। তারা কেবল মুসলিমদের সঙ্গে দু’আয় শরীক হতেন। জনৈক মহিলা একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, যদি কারো চাঁদর না থাকে (তবে সে কিভাবে বের হবে?), তিনি বললেনঃ তার কোন ভগ্নি তাকে একটি চাঁদর ধার দিয়ে দিবে। - ইবনু মাজাহ ১৩০৭, ১৩০৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي خُرُوجِ النِّسَاءِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، وَهُوَ ابْنُ زَاذَانَ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُخْرِجُ الأَبْكَارَ وَالْعَوَاتِقَ وَذَوَاتِ الْخُدُورِ وَالْحُيَّضَ فِي الْعِيدَيْنِ فَأَمَّا الْحُيَّضُ فَيَعْتَزِلْنَ الْمُصَلَّى وَيَشْهَدْنَ دَعْوَةَ الْمُسْلِمِينَ قَالَتْ إِحْدَاهُنَّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ قَالَ " فَلْتُعِرْهَا أُخْتُهَا مِنْ جَلاَبِيبِهَا " .
Umm Atiyyah narrated:
"Allah's Messenger would order the virgins, the mature women, the secluded and the menstruating to go out for the two Eid. As for the menstruating women, they were to stay away from the Musalla and participate in the Muslims supplications." One of them said: 'O Messenger of Allah! What if she does not have a Jilbab? He said: 'Then let her sis lend her a Jilbab.'"
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ঈদায়নে শরীক হওয়ার জন্য মহিলাদের বহির্গমন।
৫৪০. আহমদ ইবনু মানী’ (রহঃ) .... উম্মু আতিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রেও অনুরূপ বর্ণিত আছে। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ উম্মু আতিয়্যা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম এই হাদীস অনুসারে অভিমত গ্রহণ করেছেন। তারা দুই ঈদের সালাতে মহিলাদের গমনের অনুমতি দিয়েছেন। আর কতক আলিম তা অপছন্দনীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন। ইবনু মুবারক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, এই যুগে সালাতুল ঈদায়নের উদ্দেশ্যে মহিলাদের গমন করা আমি অপছন্দনীয় বলে মনে করি। মহিলারা যদি এই বিষয়ে বায়না ধরেন তবে তার স্বামী তাকে সাজ-সজ্জা না করে সাধারণ কাপড়ে বের হওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। কিন্তু তারা যদি এইভাবে সাদাসিধে ধরনে বের হতে অস্বীকার করে তবে স্বামী তাদেরকে বের হতে নিষেধ করতে পারেন। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ বর্তমানে মেয়েরা কি করছে তা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখতেন তবে অবশ্যই তিনি মসজিদে যেতে তাদেরকে নিষেধ করতেন যেভাবে বনী ইসরাঈল মহিলাদের নিষেধ করে দেওয়া হয়েছিল। সুফিয়ান সাওরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি সালাতুল ঈদের উদ্দেশ্যে মহিলাদের গমন অপছন্দনীয় বলে মত প্রকাশ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي خُرُوجِ النِّسَاءِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ، بِنَحْوِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَجَابِرٍ، . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ عَطِيَّةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ وَرَخَّصَ لِلنِّسَاءِ فِي الْخُرُوجِ إِلَى الْعِيدَيْنِ وَكَرِهَهُ بَعْضُهُمْ وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ أَكْرَهُ الْيَوْمَ الْخُرُوجَ لِلنِّسَاءِ فِي الْعِيدَيْنِ فَإِنْ أَبَتِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ أَنْ تَخْرُجَ فَلْيَأْذَنْ لَهَا زَوْجُهَا أَنْ تَخْرُجَ فِي أَطْمَارِهَا الْخُلْقَانِ وَلاَ تَتَزَيَّنْ فَإِنْ أَبَتْ أَنْ تَخْرُجَ كَذَلِكَ فَلِلزَّوْجِ أَنْ يَمْنَعَهَا عَنِ الْخُرُوجِ . وَيُرْوَى عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها قَالَتْ لَوْ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا أَحْدَثَ النِّسَاءُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسْجِدَ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِي إِسْرَائِيلَ . وَيُرْوَى عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ أَنَّهُ كَرِهَ الْيَوْمَ الْخُرُوجَ لِلنِّسَاءِ إِلَى الْعِيدِ .
There is a similar narration from Umm Atiyyah :
with another chain.
পরিচ্ছেদঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের সালাতে এক পথে যেতেন অন্য পথে আসতেন।
৫৪১. আবদুল আ’লা ইবন ওয়াসিল ইবন ইবন আবদিল আ’লা আল কুফী ও আবু যুর’আ (রহঃ) ...... আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ঈদের দিন রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এক পথে যেতেন অন্য পথে আসতেন। - ইবনু মাজাহ ১৩০১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আব্দুল্লাহ ইবন উমর এবং আবু রাফিঈ (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান-গরীব। আবু তুমাইলা ও ইউনুস ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ)ও এই হাদিসটি ফুলায়হ ইবন সুলাইমান ... সাইদ ইবন আল হারিস ...... জাবীর ইবন আব্দিল্লাহ (রাঃ) সুত্রে বর্ণনা করেছেন। এই হাদিসের অনুসরনে ইমামের জন্য এক পথে যাওয়া এবং অন্য পথে আসা কতক আলিম মত প্রকাশ করেছেন। এ হল ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এর অভিমত। এই বিষয়ে জাবির (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি সহিহ।
باب مَا جَاءَ فِي خُرُوجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ وَرُجُوعِهِ مِنْ طَرِيقٍ آخَرَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى الْكُوفِيُّ، وَأَبُو زُرْعَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ يَوْمَ الْعِيدِ فِي طَرِيقٍ رَجَعَ فِي غَيْرِهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَبِي رَافِعٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَرَوَى أَبُو تُمَيْلَةَ وَيُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ فُلَيْحِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ . قَالَ وَقَدِ اسْتَحَبَّ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لِلإِمَامِ إِذَا خَرَجَ فِي طَرِيقٍ أَنْ يَرْجِعَ فِي غَيْرِهِ اتِّبَاعًا لِهَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَحَدِيثُ جَابِرٍ كَأَنَّهُ أَصَحُّ .
Abu Hurairah narrated:
"When Allah's Messenger would go out on the day of Eid by one route, he would return by another."
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে আহার করা।
৫৪২. হাসান ইবনু সাব্বাহ আল-বাযযার আল-বাগদাদী (রহঃ) ..... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কিছু না খেয়ে ঘর থেকে বের হতেন না আব ঈদুল আযহার দিন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় না করা পর্যন্ত কিছু আহার করতেন না। - ইবনু মাজাহ ১৭৫৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ বুরায়দা ইবনু খুসায়ব আল-আসলামী বর্ণিত এই হাদীসটি গারীব। ইমাম মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি ছাড়া সাওয়াব ইবনু উতবার অন্য কোন হাদীস সম্পর্কে আমরা জানি না। আলিমগণের একদল ঈদুল ফিতরের দিনে কিছু আহার না করা পর্যন্ত ঘর থেকে বের না হওয়া মুস্তাহাব বলে মনে করেন। তার জন্য খেজুর খাওয়া মুস্তাহাব। এমনিভাবে সালাত শেষে ফিরে না আসা পর্যন্ত ঈদুল আযহার দিনে কিছু আহার করবে না।
باب مَا جَاءَ فِي الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْخُرُوجِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ ثَوَابِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ وَلاَ يَطْعَمُ يَوْمَ الأَضْحَى حَتَّى يُصَلِّيَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ لاَ أَعْرِفُ لِثَوَابِ بْنِ عُتْبَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَقَدِ اسْتَحَبَّ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يَخْرُجَ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَطْعَمَ شَيْئًا وَيُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يُفْطِرَ عَلَى تَمْرٍ وَلاَ يَطْعَمَ يَوْمَ الأَضْحَى حَتَّى يَرْجِعَ .
Abdullah bin Buraidah narrated from his father:
"The Prophet would not leave on the Day of Fitr until he ate, and he would not eat on the day of Adha until he prayed."
পরিচ্ছেদঃ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বে আহার করা।
৫৪৩. কুতায়বা (রহঃ) .... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে গমনের পূর্বে কিছু খেজুর খেয়ে নিতেন। - ইবনু মাজাহ ১৭৫৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الأَكْلِ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ الْخُرُوجِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُفْطِرُ عَلَى تَمَرَاتٍ يَوْمَ الْفِطْرِ قَبْلَ أَنْ يَخْرُجَ إِلَى الْمُصَلَّى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
Anas bin Malik narrated:
"The Prophet would have a breakfast of dates on the Day of Fitr before leaving for the Musalla."