পরিচ্ছেদঃ দু'আর ফযীলত
৩৩৭০. আব্বাস ইবন আবদুল আযীম আম্বারী (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে দু’আ অপেক্ষা মর্যাদাবান আর কিছু নেই।
হাসান, ইবনু মাজাহ ৩৮২৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি গারীব। ইমরান আল কাত্তান (রহঃ) এর বর্ণনা ছাড়া এটি মারফু’রূপে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... ইমরান আল কাত্তান (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَمَ عَلَى اللَّهِ تَعَالَى مِنَ الدُّعَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ وَعِمْرَانُ الْقَطَّانُ هُوَ ابْنُ دَاوَرَ وَيُكْنَى أَبَا الْعَوَّامِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
Abu Hurairah narrated that:
The Prophet said: “There is nothing more honorable with Allah [Most High] than supplication.”
পরিচ্ছেদঃ দু'আর ফযীলত
৩৩৭১. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ..... আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইবাদতের সারবস্ত দু’আ।
এই শব্দে হাদিসটি যঈফ, রাওযুন নাযীর ২/২৮৯, মিশকাত ২২৩১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ সূত্রে এ হাদীসটি গারীব। ইবন লাহীআ (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ভিন্ন এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الدُّعَاءُ مُخُّ الْعِبَادَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ .
Anas bin Malik narrated that :
the Prophet said: “The supplication is the essence of worship.”
পরিচ্ছেদঃ দু'আর ফযীলত
৩৩৭২. আহমাদ ইবন মানী (রহঃ) ..... নু’মান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’আ হল ইবাদত। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ
وقالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
তোমাদের রব বলেনঃ তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারে আমার ইবাদতে বিমুখ তারা অবশ্যই লাঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুমিন ৪০ঃ ৬০)।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৮২৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। মানসূর ও আমাশ (রহঃ)-ও এটি যার (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। যার (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ভিন্ন এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ " . ثُمَّ قَرَأََ : (وقالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ ) . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ مَنْصُورٌ وَالأَعْمَشُ عَنْ ذَرٍّ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ذَرٍّ . هُوَ ذَرُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَمْدَانِيُّ ثِقَةٌ وَالِدُ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ .
An-Nu`man bin Bashir narrated that:
The Prophet said: “The supplication, is worship.” Then he recited: And Your Lord said: “Call upon me, I will respond to you. Verily, those who scorn My worship, they will surely enter Hell humiliated."
পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৭৩. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে না তিনি তার উপর রাগান্বিত হন।
হাসান, ইবনু মাজাহ ৩৮২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ওয়াকী (রহঃ) এ হাদীসটি একাধিক রাবী আবুল মালীহ সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لَمْ يَسْأَلِ اللَّهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ " . قَالَ وَرَوَى وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ هَذَا الْحَدِيثَ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
Abu Hurairah (ra) narrated that :
the Messenger of Allah (ﷺ) said: “Indeed, he who does not ask Allah, he gets angry with him.”
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৩৭৪. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবু মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমরা এক যুদ্ধে ছিলাম। ফেরার সময় মদীনা যখন আমাদের দৃষ্টি গোচর হল, তখন সাহাবীরা তাকবীর ধ্বনি দিলেন এবং তাদের স্বর উচ্চ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের রব তো বধিরও নন এবং তোমাদের থেকে দুরেও নন তিনি তো আছেন তোমাদের এবং সাওয়ারী উট-এর মাথার মাঝামাঝি। এরপর তিনি বললেনঃ হে আবদুল্লাহ ইবন কায়স! তোমাকে কি জান্নাতের একটি গুপ্ত ভান্ডার সম্পর্কে অবহিত করব? (তা হল) লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৮২৪, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উছমান নাহদী (রহঃ) এর নাম হল আবদুর রহমান ইবন মুল্ল। আবু নাআমা সা’দী (রহঃ) এর নাম হল আমর ইবন ঈসা। ইসহাক ইবন মানসুর ... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَكَبَّرَ النَّاسُ تَكْبِيرَةً وَرَفَعُوا بِهَا أَصْوَاتَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَصَمَّ وَلَا غَائِبٍ هُوَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ رِحَالِكُمْ ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَلَا أُعَلِّمُكَ كَنْزًا مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى.
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
Abu Musa Al-Ash`ari (ra) said:
“We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a military expedition. When we returned, we overlooked Al-Madinah, and the people were pronouncing the Takbīr, and they raised their voices with it. The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Verily, your Lord is not deaf nor absent, He is between you and between the heads of your mounts.’ Then he said: ‘O `Abdullah bin Qais, should I not inform you of a treasure from the treasures of Paradise: Lā ḥawla wa lā quwwata illā billāh (There is no might or power except by Allah).’”
পরিচ্ছেদঃ যিকরের ফযীলত
৩৩৭৫. আবু হুরায়রা (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবন বিশর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত জনৈক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! ইসলামের বিধি-বিধান তো আমার জন্য অনেক হয়ে গেছে, তবে আমাকে এমন কিছু বিষয় বলে দিন যাকে আমি দৃঢ়ভাবে পালন করতে পারি। তিনি বলেনঃ তোমার যবান যেন সব সময় আল্লাহর যিকিরে আর্দ্র থাকে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৭৯৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الذِّكْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ، رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَىَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ . قَالَ " لاَ يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
`Abdullah bin Busr (ra) narrated that:
A man said: “O Messenger of Allah (ﷺ), indeed, the legislated acts of Islam have become too much for me, so inform me of a thing that I should stick to.” He (ﷺ) said: “Let not your tongue cease to be moist with the remembrance of Allah.”
পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৭৬. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবু সাঈদ খদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করা হলঃ কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলার কাছে বান্দাদের মাঝে মর্যদার দিক দিয়ে কে হবে শ্রেষ্ঠ? তিনি বললেনঃ যারা অধিক হারে আল্লাহর যিকর করে। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদকারীর চেয়েও? তিনি বললেনঃ কাফির ও মুশরিকদের আঘাত করতে করতে যদি তার তলোয়ার ভেঙ্গে যায় এবং রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়, তবুও অধিক হারে আল্লাহর যিকরকারীরাই তার তুলনায় মর্যদার দিক দিয়ে অধিক শ্রেষ্ঠ হবে।
যঈফ, তা’লীকুর রাগীব ২/২২৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি গারীব। দাররাজ (রহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবেই কেবল আমরা এটি সম্পর্কে জানি।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ دَرَّاجٍ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْعِبَادِ أَفْضَلُ دَرَجَةً عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ " الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتُ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمِنَ الْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ " لَوْ ضَرَبَ بِسَيْفِهِ فِي الْكُفَّارِ وَالْمُشْرِكِينَ حَتَّى يَنْكَسِرَ وَيَخْتَضِبَ دَمًا لَكَانَ الذَّاكِرُونَ اللَّهَ كَثِيرًا أَفْضَلَ مِنْهُ دَرَجَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ دَرَّاجٍ .
Abu Sa’eed Al-Khudri narrated that:
The Messenger of Allah was asked: “Which of the worshippers is superior in rank with Allah on the Day of Judgment?” He said: “Those men who remember Allah much [and women].” He said: “I said: ‘O Messenger of Allah! What about the fighter in the cause of Allah?’ He said: ‘If he were to strike with his sword among the disbelievers and the idolater, until it breaks, and he (or it) is dyed with blood, those who remember Allah much would still be superior in rank.”
পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৭৭. হুসাইন ইবন হুরাইছ (রহঃ) ...... আবূদ্ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে তোমাদের অবহিত করব, যে আমল হবে তোমাদের মালিকের নিকট সবচেয়ে পরিশুদ্ধ, তোমাদের দরজা সমুচ্চকারী, সোনা ও রূপা আল্লাহর পথে ব্যয় করার চেয়েও তোমাদের জন্য কল্যাণকর, আর এর চেয়েও মঙ্গলকর হবে যে তামরা শত্রুর সম্মুখীন হয়ে তাদের গর্দানে আঘাত করবে আর তারা তোমাদের গর্দানে আঘাত করবে। সাহাবীরা বললেনঃ হ্যাঁ বলুন। তিনি বললেনঃ এ হল আল্লাহর যিকর। মুআয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আল্লাহর যিকর আপেক্ষা আল্লাহর আযাব থেকে অধিক মুক্তিদানকারী আর কোন বিষয় নেই।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৭৯০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
কোন কোন রাবী এ সনদে আবদুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর কেউ কেউ তার বরাতে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ زِيَادٍ، مَوْلَى ابْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَبِي بَحْرِيَّةَ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرِ أَعْمَالِكُمْ وَأَزْكَاهَا عِنْدَ مَلِيكِكُمْ وَأَرْفَعِهَا فِي دَرَجَاتِكُمْ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ إِنْفَاقِ الذَّهَبِ وَالْوَرِقِ وَخَيْرٌ لَكُمْ مِنْ أَنْ تَلْقَوْا عَدُوَّكُمْ فَتَضْرِبُوا أَعْنَاقَهُمْ وَيَضْرِبُوا أَعْنَاقَكُمْ " . قَالُوا بَلَى . قَالَ " ذِكْرُ اللَّهِ تَعَالَى " . فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ رضى الله عنه مَا شَيْءٌ أَنْجَى مِنْ عَذَابِ اللَّهِ مِنْ ذِكْرِ اللَّهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ مِثْلَ هَذَا بِهَذَا الإِسْنَادِ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْهُ فَأَرْسَلَهُ .
Abu Ad-Darda [may Allah be pleased with him] narrated that :
the Prophet said: “Should I not inform you of the best of your deed, and the purest of them with your Master, and the highest of them in your ranks, and what is better for you than spending gold and silver, and better for you than meeting your enemy and striking their necks, and they strike your necks?” They said: “Of course.” He said, “The remembrance of Allah [Most High].” [Then] Mu’adh bin Jabal [may Allah be pleased with him] said: “There is nothing that brings more salvation from the punishment of Allah than the remembrance of Allah.”
পরিচ্ছেদঃ যে সম্প্রদায় কোন এক স্থানে বসে এবং আল্লাহ্র যিকর করে, তাদের ফযীলত
৩৩৭৮. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তারা সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সম্প্রদায় আল্লাহর যিকির করে অবশ্যই ফিরিশতারা তাদের বেষ্টন করে নেন, রহমত তাদের আবৃত করে আর তাদের উপর সাকীনা (প্রশান্তি) নাযিল হয় এবং আল্লাহ্ তা’আলা তার নিকটস্থ ফিরিশতাগণের কাছে তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৭৯১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَوْمِ يَجْلِسُونَ فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَا لَهُمْ مِنَ الْفَضْلِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَغَرِّ أَبِي مُسْلِمٍ، أَنَّهُ شَهِدَ عَلَى أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُمَا شَهِدَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَا مِنْ قَوْمٍ يَذْكُرُونَ اللَّهَ إِلاَّ حَفَّتْ بِهِمُ الْمَلاَئِكَةُ وَغَشِيَتْهُمُ الرَّحْمَةُ وَنَزَلَتْ عَلَيْهِمُ السَّكِينَةُ وَذَكَرَهُمُ اللَّهُ فِيمَنْ عِنْدَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Al-Agharr Abu Muslim narrated that:
He bears witness, from Abu Hurairah and Abu Sa’eed Al-Khudri, that they bear witness, from the Messenger of Allah, that he said: “There is no group that remembers Allah, except that the angels encompass them, mercy covers them, and tranquility descends upon them: and Allah remembers (mentions) them before those who are with Him.”
পরিচ্ছেদঃ যে সম্প্রদায় কোন এক স্থানে বসে এবং আল্লাহ্র যিকর করে, তাদের ফযীলত
৩৩৭৯. মুহাম্মদ ইবন বাশশার ...... আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু এক দিন বের হয়ে মসজিদে এসে বললেনঃ তোমরা কি উদ্দেশ্যে বসে আছ?
লোকেরা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিকর করছি। তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! তোমরা কি এ উদ্দেশ্যেই বসেছ? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! আমরা এ উদ্দেশ্যেই এখানে বসেছি। তিনি বললেনঃ তোমাদের প্রতি সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আমার যে স্থান ছিল সেই শ্রেণীর সাহাবীদের মধ্যে আমার চেয়ে কম হাদীস বর্ণনাকারী আর কেউ নেই।
শোন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সাহাবীদের এক হালকায় (গোল হয়ে উপবিষ্ট লোকদের দলে) বের হয়ে এলেন। বললেনঃ তোমরা কি উদ্দেশ্যে বসেছ? তারা বললঃ আমরা বসে আল্লাহর যিকির করছি। তার প্রশংসা করছি। কেননা তিনিই আমাদের ইসলামের হিদায়াত দান করেছেন এবং এই নিয়ামত দ্বারা আমাদের অনুগৃহীত করেছেন।
তিনি বললেনঃ আল্লাহর কসম! এ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসনি? তারা বললঃ আল্লাহর কসম! এছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে এখানে বসিনি। তিনি বললেনঃ শোন, তোমাদের প্রতি কোনরূপ সন্দেহবশত আমি তোমাদের কসম দেইনি। আমার কাছে জিবরীল (আঃ) এসেছিলেন এবং আমাকে জানিয়ে গেছেন যে আল্লাহ তা’আলা ফিরিশতাদের কাছে তোমাদের নিয়ে মর্যদা বর্ণনা করছেন।
সহীহ, মুসলিম ৮/৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান- গারীব। এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আবু না’আমা সা’দী (রহঃ) এর নাম হল আমর ইবন ঈসা এবং আবু উছমান নাহদী (রহঃ) এর নাম হল আবদুর রহমান ইবন মাল্ল।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَوْمِ يَجْلِسُونَ فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَا لَهُمْ مِنَ الْفَضْلِ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَالَ مَا يُجْلِسُكُمْ قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ قَالَ آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ قَالُوا وَاللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ أَمَا إِنِّي مَا أَسْتَحْلِفُكُمْ تُهْمَةً لَكُمْ وَمَا كَانَ أَحَدٌ بِمَنْزِلَتِي مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقَلَّ حَدِيثًا عَنْهُ مِنِّي إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَلَى حَلْقَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ " مَا يُجْلِسُكُمْ " . قَالُوا جَلَسْنَا نَذْكُرُ اللَّهَ وَنَحْمَدُهُ لِمَا هَدَانَا لِلإِسْلاَمِ وَمَنَّ عَلَيْنَا بِهِ . فَقَالَ " آللَّهِ مَا أَجْلَسَكُمْ إِلاَّ ذَاكَ " . قَالُوا آللَّهِ مَا أَجْلَسَنَا إِلاَّ ذَاكَ . قَالَ " أَمَا إِنِّي لَمْ أَسْتَحْلِفْكُمْ لِتُهْمَةٍ لَكُمْ إِنَّهُ أَتَانِي جِبْرِيلُ فَأَخْبَرَنِي أَنَّ اللَّهَ يُبَاهِي بِكُمُ الْمَلاَئِكَةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَلٍّ .
Abu Sa’eed Al Khudri narrated the:
Mu’awiyah came out to the Masjid and said: “What has caused you to gather for this sitting.” They said: “We gathered so that we may remember Allah.” He said, “By Allah, nothing caused you to gather for this sitting except for that?” They said, “By Allah, nothing caused us to gather for this sitting except for that.” He said: “Indeed, I did not ask you out of suspicion, and there was no one in the position I was from the Messenger of Allah who narrates less Ahadith from him than me. Indeed the Messenger of Allah came out upon a circle of his Companions and said: ‘what has caused you to gather for this sitting?’ They said: ‘We have gathered for this sitting to remember Allah, and praise Him for His having guided us to Islam, and having bestowed blessings upon us.’ So he said: ‘By Allah, nothing caused you to gather for this sitting except for that?’ He said: ‘Indeed, I did not ask you out of suspicion, verily Jibra’il came to me and informed me that Allah boasts of you to the angels.’”
পরিচ্ছেদঃ যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে বসে কিন্তু আল্লাহ্র যিকর করে না
৩৩৮০. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) .... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তারা সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন সম্প্রদায় যখন কোন মজলিসে বসে কিন্তু সেখানে তারা যদি আল্লাহর যিকর না করে এবং তাদের নবীর উপর দুরুদ পাঠ না করে, তবে তা তাদের জন্য আফসোস ও ক্ষতির কারণ হবে। ইচ্ছা করলে আল্লাহ্ তাদের শস্তি দিবেন আর ইচ্ছা করলে তাদের তিনি মাফ করে দিবেন।
সহীহ, সহীহাহ ৭৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে একাধিকভাবে এটি বর্ণনা আছে।
باب فِي الْقَوْمِ يَجْلِسُونَ وَلاَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ صَالِحٍ، مَوْلَى التَّوْأَمَةِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوا اللَّهَ فِيهِ وَلَمْ يُصَلُّوا عَلَى نَبِيِّهِمْ إِلاَّ كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعْنَى قَوْلِهِ تِرَةً يَعْنِي حَسْرَةً وَنَدَامَةً . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِالْعَرَبِيَّةِ: التِّرَةُ هُوَ الثَّأْرُ
Abu Hurairah [may Allah be pleased with him] narrated that :
the Prophet said: “No group gather in a sitting in which they do not remember Allah, nor sent Salat upon their Prophet, except it will be a source of remorse for them. If He wills, He will punish them, and if He wills, He will forgive them.”
পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দু'আ কবূল হয়
৩৩৮১. কুতায়বা (রহঃ) ..... জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কেউ যদি কিছু দু’আ করে আর তা যদি কোন গুনাহ বা আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্ন কারার দু’আ না হয় তবে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই সে যা চায় তা তাকে দেন কিংবা তার থেকে দূরীভূত হবে সে পরিমান মন্দ।
হাসান, মিশকাত ২২৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে আবু সাঈদ ও উবায়দা ইবনুস সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ أَنَّ دَعْوَةَ الْمُسْلِمِ مُسْتَجَابَةٌ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ أَحَدٍ يَدْعُو بِدُعَاءٍ إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ مَا سَأَلَ أَوْ كَفَّ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهُ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ .
Jabir narrated that :
the Messenger of Allah said: “There is none who utters a supplication, except that Allah gives him what he asked, or prevents evil from him that is equal to it – as long as he does not supplicate for something evil, or the cutting of ties of the womb.”
পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দু'আ কবূল হয়
৩৩৮২. মুহাম্মদ ইবন মুারযূক (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি পছন্দ করে যে কঠিন এবং দুঃখের সময়ে আল্লাহ তার দু’আ কবুল করবেন, তবে যেন সে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের সময় বেশী করে দু’আ করে।
হাসান, সহীহাহ ৫৯৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি গারীব।
باب مَا جَاءَ أَنَّ دَعْوَةَ الْمُسْلِمِ مُسْتَجَابَةٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ وَاقِدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَطِيَّةَ اللَّيْثِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَسْتَجِيبَ اللَّهُ لَهُ عِنْدَ الشَّدَائِدِ وَالْكُرَبِ فَلْيُكْثِرِ الدُّعَاءَ فِي الرَّخَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
Abu Hurairah [may Allah be pleased with him] narrated that:
The Messenger of Allah said: “Whoever wishes that Allah would respond to him during hardship and grief, then let him supplicate plentifully when at ease.”
পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দু'আ কবূল হয়
৩৩৮৩. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন আরাবী (রহঃ) ..... জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সর্বোত্তম যিকর হল ’লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ’ আর সর্বোত্তম দু’আ হল ’আলহামদুলিল্লাহ’।
হাসান, ইবনু মাজাহ ৩৮০০
হাদীসটি হাসান-গারীব। মূসা ইবন ইবরাহীম (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আলী ইবনুল মাদীনী প্রমুখ (রহঃ) এ হাদীসটি মূসা ইবন ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ أَنَّ دَعْوَةَ الْمُسْلِمِ مُسْتَجَابَةٌ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَفْضَلُ الذِّكْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَفْضَلُ الدُّعَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ . وَقَدْ رَوَى عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ هَذَا الْحَدِيثَ .
Jabir bin `Abdullah (ra) narrated that :
the Messenger of Allah (ﷺ) said: “The best remembrance is: ‘there is none worthy of worship except Allah (Lā ilāha illallāh)’ and the best supplication is: ‘All praise is due to Allah (Al-ḥamdulillāh).’”
পরিচ্ছেদঃ মুসলিমের দু'আ কবূল হয়
৩৩৮৪. আবু কুতায়বা এবং মুহাম্মদ ইবন উবায়দ আলু মাহারিবী (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর যিকর করতেন।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩০২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান- গারীব। ইয়াহইয়া ইবন যাকারিয়্যা ইবন আবু যাইদা (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ভিন্ন এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। বায়হাকী (রহঃ) এর নাম হল আবদুল্লাহ।
باب مَا جَاءَ أَنَّ دَعْوَةَ الْمُسْلِمِ مُسْتَجَابَةٌ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ وَالْبَهِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ .
`A'ishah (ra) narrated that :
the Messenger of Allah (ﷺ) used to remember Allah in all of his affairs.
পরিচ্ছেদঃ প্রার্থনাকারী দু'আর ক্ষেত্রে নিজেকে দিয়ে শুরু করবে
৩৩৮৫. নাসর ইবন আবদুর রহমান আল কুফী (রহঃ) .... উবাই ইবন কা’ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কারো আলোচনা করতেন এবং তার জন্য দু’আ করতেন তখন নিজেকে দিয়ে শুরু করতেন।
সহীহ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ২২৫৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। আবু কাতন (রহঃ) এর নাম হল আমর ইবনুল হায়ছাম।
باب مَا جَاءَ أَنَّ الدَّاعِيَ يَبْدَأُ بِنَفْسِهِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، عَنْ حَمْزَةَ الزَّيَّاتِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا ذَكَرَ أَحَدًا فَدَعَا لَهُ بَدَأَ بِنَفْسِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ وَأَبُو قَطَنٍ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ .
Ibn `Abbas narrated from Ubayy bin Ka`b that :
whenever the Messenger of Allah (ﷺ) would mention someone and supplicate for him, he would begin with himself (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ দু'আর সময় হাত উঠানো
৩৩৮৬. আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবন মুসান্না ইবরাহিম ইবন ইয়াকূব প্রমুখ (রহঃ) ..... উমার ইবন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু’আর সময় হাত উঠাতেন তখন উভয় হাতে চেহারা মাসেহ না করা পর্যন্ত হাত নামাতেন না। মুহাম্মদ ইবন মুসান্না তার বর্ণনায় বলেনঃ উভয় হাত দিয়ে চেহারা মাসেহ না করা পর্যন্ত হাত ফিরিয়ে আনতেন না।
যঈফ, মিশকাত ২২৪৫, ইরওয়া ৪৩৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি গারীব। হাম্মাদ ইবন ঈসা (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। তিনি এটির রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে একক। তিনি খুব কম রিওয়ায়াত করেছেন। তার বরাতে বহুলোক হাদীস বর্ণনা করেছেন। রাবী হানযালা ইবন আবু সুফয়ান নির্ভরযোগ্য। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ কাত্তন (রহঃ) তাকে নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي رَفْعِ الأَيْدِي عِنْدَ الدُّعَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ عِيسَى الْجُهَنِيُّ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ فِي الدُّعَاءِ لَمْ يَحُطَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ . قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى فِي حَدِيثِهِ لَمْ يَرُدَّهُمَا حَتَّى يَمْسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ عِيسَى . وَقَدْ تَفَرَّدَ بِهِ وَهُوَ قَلِيلُ الْحَدِيثِ وَقَدْ حَدَّثَ عَنْهُ النَّاسُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ ثِقَةٌ وَثَّقَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ .
Umar bin Al-Khattab [may Allah be pleased with him] narrated:
“Whenever the Messenger of Allah would raise his hands in supplication, he would not lower them until he had wiped his face with them.”
পরিচ্ছেদঃ দু'আর ব্যাপারে যে ব্যক্তি ত্বরিৎ ফল চায়
৩৩৮৭. আল আনসারী (রহঃ) ..... আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারো দু’আ কবুল করা হয়, যতক্ষন সে ত্বরিৎ ফল না চায়। যেমন সে বললঃ আমি তো দু’আ করলাম কিন্তু তা কবুল করা হয়নি।
সহীহ, সহীহ আবু দাউদ ১৩৩৪, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উবায়দা (রহঃ) এর নাম হল সা’দ। তিনি হলেন আবদুর রহমান ইবন আযহার (রহঃ) এর মাওলা এবং তাকে আবদুর রহমান ইবন আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর মাওলাও বলা হয়।
এ বিষয়ে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَسْتَعْجِلُ فِي دُعَائِهِ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو عُبَيْدٍ اسْمُهُ سَعْدٌ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ وَيُقَالُ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَزْهَرَ هُوَ ابْنُ عَمِّ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ رضى الله عنه .
Abu Hurairah narrated that :
the Prophet said: “One of you will be responded to, so long as he is not hasty, saying: ‘I supplicated, and I was not responded to.’”
পরিচ্ছেদঃ সকাল ও সন্ধ্যার দু'আ
৩৩৮৮. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... উছমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিদিন সকালে ও সন্ধায় যে বান্দা তিনবার এ দু’আ পাঠ করবে কিছুই তার অনিষ্ট করতে পারবে নাঃ
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
আল্লাহর নাম নিচ্ছি। যমিন ও আসমানের কোন কিছুই যাঁর নামে বরকতের ক্ষতি সাধন করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
এ হাদীসের অন্যতম বর্ণনাকারী আবান (রহঃ) অর্ধাঙ্গে আক্রান্ত হয়েছিলেন। হাদীস শ্রোতা ব্যক্তি তার দিকে তাকাচ্ছিল। তিনি তাকে বললেনঃ কি দেখছ? তোমাকে যেমন বর্ণনা করছি, হাদীসটি তদ্রুপই। তবে তাকদীরের ফয়সালা যাতে আমার উপর জারী হয় সেজন্য দু’আটি আমি একদিন পাঠ করিনি।
হাসান, ইবনু মাজাহ ৩৮৬৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، رضى الله عنه يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كُلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَيَضُرُّهُ شَيْءٌ " . وَكَانَ أَبَانُ قَدْ أَصَابَهُ طَرَفُ فَالَجِ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ أَبَانُ مَا تَنْظُرُ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَىَّ قَدَرَهُ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Aban bin `Uthman said:
“I heard `Uthman bin `Affan (ra) saying: ‘The Messenger of Allah (ﷺ) said: “There is no worshiper who says, in the morning of every day, and the evening of every night: ‘In the Name of Allah, who with His Name, nothing in the earth or the heavens can cause harm, and He is the Hearing, the Knowing (Bismillāh, alladhi lā yaḍurru ma`a ismihi shai'un fil-arḍi wa lā fis-samā', wa huwas-Samī`ul `Alīm)’ – three times, (except that) nothing shall harm him.” And Aban had been stricken with a type of semi-paralysis, so a man began to look at him, so Aban said to him, “What are you looking at? Indeed the Hadith is as I reported it to you, but I did not say it one day, so Allah brought about His decree upon me.”
পরিচ্ছেদঃ সকাল ও সন্ধ্যার দু'আ
৩৩৮৯. আবু সাঈদ আশাজ্জ (রহঃ) ...... ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কেউ যদি সন্ধায় (নিম্নের) এ দু আটি পাঠ করে তবে আল্লাহর উপর হক হয়ে যায় সেই ব্যক্তিকে সন্তুষ্টি করাঃ
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا
আমি রব হিসাবে আল্লাহর প্রতি দ্বীন হিসাবে ইসলামের প্রতি আর নবী হিসাবে ইসলামের প্রতি আর নবী হিসাবে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সন্তুষ্ট।
যঈফ, নাকদুল কিত্তানী ৩৩/৩৩৪, আল-কালিমুত তায়্যিব ২৪, যঈফা ৫০২০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي الدُّعَاءِ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ، سَعِيدِ بْنِ الْمَرْزُبَانِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ ثَوْبَانَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَالَ حِينَ يُمْسِي رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Thawban (ra) said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘Whoever says when he reaches the evening: “I am pleased with Allah as (my) Lord, with Islam as (my) religion, and with Muhammad (ﷺ) as (my) Prophet (Raḍītu billāhi rabban wabil-Islāmi dīnan wa bi-Muḥammadin nabiyyan) it is a duty upon Allah to please him.’”