সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ)
২১১৯

পরিচ্ছেদঃ ওয়াসীয়ত হয় এক তৃতীয়াংশ।

২১১৯. ইবন আবূ উমার (রহঃ) ...... আমির ইবন সা’দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস তার পিতা সা’দ ইবন আবূ ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর এমন অসুস্থ হয়ে পড়ি যে মৃত্যুর সন্নিকটে হয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার তো অনেক ধন-সম্পদ অথচ আমার এক মাত্র কন্যা ছাড়া আর কেউ আমার ওয়ারিছ নাই, আমি কি আমার সমুদয় সম্পদ ওয়াসীয়ত করে যাব? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তবে কি দুই তৃতীয়াংশ সম্পদ করব? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামৎ অর্ধেক সম্পদ ওয়াসীয়ত করব? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসীয়ত করব? তিনি বললেনঃ এক তৃতীয়াংশ পার। এক তৃতীয়াংশও অনেক। মানুষের সামনে হাত পাতবে ওয়ারিছানকে এমন দরিদ্র ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে উত্তম হল তুমি তাদেরকে স্বচ্ছল রেখে যাবে। তুমি ভরণ-পোষণে যা কিছুই ব্যয় করবে এর প্রতিফল অবশ্যই পাবে। এমনকি তোমার স্ত্রীর মুখে যে লুকমা তুলে দিবে তাতেও তোমার জন্য ছওয়াব থাকবে।

সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার হিজরতের পরেও থাকব? তিনি বললেনঃ তুমি আমার পরেও যখন থাকবে তখন যে আমলই আল্লাহর উদ্দেশ্যে করবে এরই বিনিময়ে তোমার সম্মান ও দরজা বৃদ্ধি পাবে। হয়তো তুমি পরে আরো বাঁচবে। এমনকি তোমার দ্বারা বহু জাতি উপকৃত হবে এবং অপর বহুজন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহ! তুমি আমার সাহাবীদের হিজরত পরিপূর্ণ করে তাদের পিছনে ফিরিয়ে নিওনা। তবে আফসোস, সা’দ ইবন খাওলার জন্য। সা’দ ইবন খাওলা মক্কায়ই মারা যান বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৭০৮, বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। সা’দ ইবন আবূ ওয়াক্‌কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একাধিক সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণিত আছে। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে। এক তৃতীয়াংশের ওয়াসীয়াত করা কারো জন্য বৈধ নয়। এক তৃতীয়াংশ থেকেও কিছু কম করা মুস্তাহাব বলে কতক আলিম মত দিয়েছেন। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক তৃতীয়াংশও তো অনেক।

باب ما جاء في الوصية بالثلث

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ مَرِضْتُ عَامَ الْفَتْحِ مَرَضًا أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى الْمَوْتِ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالاً كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلاَّ ابْنَتِي أَفَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فَثُلُثَىْ مَالِي قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ فَالثُّلُثُ قَالَ ‏"‏ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ إِنَّكَ إِنْ تَدَعْ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلاَّ أُجِرْتَ فِيهَا حَتَّى اللُّقْمَةَ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أُخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي قَالَ ‏"‏ إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ بَعْدِي فَتَعْمَلَ عَمَلاً تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ إِلاَّ ازْدَدْتَ بِهِ رِفْعَةً وَدَرَجَةً وَلَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ اللَّهُمَّ أَمْضِ لأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ لَيْسَ لِلرَّجُلِ أَنْ يُوصِيَ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ وَقَدِ اسْتَحَبَّ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن عامر بن سعد بن ابي وقاص، عن ابيه، قال مرضت عام الفتح مرضا اشفيت منه على الموت فاتاني رسول الله صلى الله عليه وسلم يعودني فقلت يا رسول الله ان لي مالا كثيرا وليس يرثني الا ابنتي افاوصي بمالي كله قال ‏"‏ لا ‏"‏ ‏.‏ قلت فثلثى مالي قال ‏"‏ لا ‏"‏ ‏.‏ قلت فالشطر قال ‏"‏ لا ‏"‏ ‏.‏ قلت فالثلث قال ‏"‏ الثلث والثلث كثير انك ان تدع ورثتك اغنياء خير من ان تدعهم عالة يتكففون الناس وانك لن تنفق نفقة الا اجرت فيها حتى اللقمة ترفعها الى في امراتك ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا رسول الله اخلف عن هجرتي قال ‏"‏ انك لن تخلف بعدي فتعمل عملا تريد به وجه الله الا ازددت به رفعة ودرجة ولعلك ان تخلف حتى ينتفع بك اقوام ويضر بك اخرون اللهم امض لاصحابي هجرتهم ولا تردهم على اعقابهم لكن الباىس سعد ابن خولة يرثي له رسول الله صلى الله عليه وسلم ان مات بمكة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن ابن عباس ‏.‏ وهذا حديث حسن صحيح وقد روي هذا الحديث من غير وجه عن سعد بن ابي وقاص ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم انه ليس للرجل ان يوصي باكثر من الثلث وقد استحب بعض اهل العلم ان ينقص من الثلث لقول رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ والثلث كثير ‏"‏ ‏.‏


Amir bin Sa'd bin Abi Waqqas narrated from his father, who said:
"I was ill during the year of the Conquest (of Makkah) with an illness bringing me to the brink of death. So The Messenger of Allah (S.A.W) came to visit me, and I said: 'O Messenger of Allah (S.A.W)! Indeed I have a great deal of wealth and I do not have any heirs except my daughter, so should I will all of my wealth?' He said: 'No.' I said: 'Then two-thirds of my wealth?' He said: 'No.' I said: 'Then half?' He said: 'No.' I said: 'Then a third' He said: 'No.' A third and a third is too much. If you leave your heirs without need it is better than to leave them in poverty begging from the people. Indeed you do not do any spending (on your family) except that you are rewarded for it, even the morsel of food you raise to your wife's mouth.'" He said: "I said: 'Will I be left behind from my emigration?' He said: 'You will not be left behind after me,and do righteous deeds intending Allah's Face, except that it will add to your elevation in rank. Perhaps you will remain until some people benefit from you and others will be harmed by you. O Allah! Complete the emigration of my companions and do not turn them on their heels. But the case of Sa'd bin Khawlah is sad.'" the Messenger of Allah (S.A.W) felt sorry for him dying in Makkah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমির ইবন সা'দ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২০

পরিচ্ছেদঃ ওয়াসীয়তের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ব্যবস্থা নেওয়া।

২১২০. নাসর ইবন আলী (রহঃ) ..... আবূ হুরয়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনৎ পুরুষ ও মহিলা ষাট বছর পর্যন্ত আল্লাহর ফরমাবরদারীতে আমল করে যায় কিন্তু মওত যখন তাদের কাছে হাযির হয় তখন ওয়াসীয়তের ক্ষেত্রে তারা ক্ষতিকর ব্যবস্থা নিয়ে বসে ফলে তাদের জন্য জাহান্নাম হয়ে পড়ে অবশ্যম্ভাবী। এর পর আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু আমার সামনে এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ

‏(‏مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِنَ اللَّهِ)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ)‏

’’(এই বণ্টন বিধান) যা ওয়াসীয়ত করা হয় তা প্রদান এবং ঋণ পরিশোধের পর। যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়। এ আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল ... এ সব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে আল্লাহ তাকে দাখেল করবেন জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; যেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এতো মহা সাফল্য। (সূরা নিসাঃ ১২, ১৩)। যঈফ, ইবনু মাজাহ ২৭০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ সূত্রে হাদীসটি হাসান-গারীব। আশআছ ইবন জাবির (রহঃ) থেকে যে নাসর ইবন আলী হাদীস রিওয়ায়াত করেন ইনি হলেন প্রসিদ্ধ রাবী নাসর ইবন আলী জাহযামী (রহঃ) এর দাদা।

باب ما جاء في الضرار في الوصية

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَهُوَ جَدُّ هَذَا النَّصْرِ حَدَّثَنَا الأَشْعَثُ بْنُ جَابِرٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ وَالْمَرْأَةُ بِطَاعَةِ اللَّهِ سِتِّينَ سَنَةً ثُمَّ يَحْضُرُهُمَا الْمَوْتُ فَيُضَارَّانِ فِي الْوَصِيَّةِ فَتَجِبُ لَهُمَا النَّارُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَرَأَ عَلَىَّ أَبُو هُرَيْرَةَْ ‏:‏ ‏(‏مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصَى بِهَا أَوْ دَيْنٍ غَيْرَ مُضَارٍّ وَصِيَّةً مِنَ اللَّهِ)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏:‏ ‏(‏ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ)‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الَّذِي رَوَى عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ جَابِرٍ هُوَ جَدُّ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيِّ ‏.‏

حدثنا نصر بن علي الجهضمي، حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث، حدثنا نصر بن علي، وهو جد هذا النصر حدثنا الاشعث بن جابر، عن شهر بن حوشب، عن ابي هريرة، انه حدثه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ ان الرجل ليعمل والمراة بطاعة الله ستين سنة ثم يحضرهما الموت فيضاران في الوصية فتجب لهما النار ‏"‏ ‏.‏ ثم قرا على ابو هريرة ‏:‏ ‏(‏من بعد وصية يوصى بها او دين غير مضار وصية من الله)‏ الى قوله ‏:‏ ‏(‏ذلك الفوز العظيم)‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ ونصر بن علي الذي روى عن الاشعث بن جابر هو جد نصر بن علي الجهضمي ‏.‏


Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (S.A.W) said:
"Indeed a man, and a woman, perform deeds in obedience to Allah for sixty years, then death presents itself to them, and they cause such harm in the will that the Fire becomes warranted for them."Then he recited: After payment of legacies he (or she) may have bequeathed or debts, without causing harm. This is a Commandment from Allah. up to His saying: That is the magnificent success.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২১

পরিচ্ছেদঃ ওয়াসীয়ত করতে উৎসাহ দান।

২১২১ ইবন আবূ উমার (রহঃ) ..... ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তির হক নাই তার কাছে ওয়াসীয়ত করার মত কিছু থাকলে ওয়াসীয়ত নামা না লিখে দুই রাতে অতিবাহিত করা। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৬৯৯, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। যুহরী-সালিম-ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সনদেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।

باب ما جاء في الحث على الوصية

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ مَا يُوصِي فِيهِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُهُ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن ايوب، عن نافع، عن ابن عمر، قال قال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما حق امرى مسلم يبيت ليلتين وله ما يوصي فيه الا ووصيته مكتوبة عنده ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن الزهري عن سالم عن ابن عمر عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏


Ibn 'Umar narrated that the Messenger of Allah (S.A.W) said:
"It is not right for a Muslim man to spend two nights, having what he would will, without having his will written with him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২২

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) ওয়াসীয়ত করেন নাই।

২১২২. আহমাদ ইবন মানী’ (রহঃ) ...... তালহা ইবন মুসাররিফ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ইবন আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি ওয়াসীয়ত করেছেন? তিনি বললেনঃ না। আমি বললামঃ তাহলে ওয়াসীয়তের বিধান কেমন করে হল এবং মানুষকেও এর নির্দেশ কেমন করে দিলেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে তিনি ওয়াসীয়ত করেছেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৬৯৯, বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। মালিক ইবন মিগওয়াল (রহঃ) -এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই।

باب ما جاء أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يوص

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، عَمْرُو بْنُ الْهَيْثَمِ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ أَبِي أَوْفَى أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ ‏.‏ قُلْتُ كَيْفَ كُتِبَتِ الْوَصِيَّةُ وَكَيْفَ أَمَرَ النَّاسَ قَالَ أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا ابو قطن، عمرو بن الهيثم البغدادي حدثنا مالك بن مغول، عن طلحة بن مصرف، قال قلت لابن ابي اوفى اوصى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا ‏.‏ قلت كيف كتبت الوصية وكيف امر الناس قال اوصى بكتاب الله ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب لا نعرفه الا من حديث مالك بن مغول ‏.‏


Talhah bin Musarrif said:
"I said to Ibn Abi Awfi: Did the Messenger of Allah (S.A.W) leave a will?' He said: 'No' I said: 'How is the will written, and how was it enjoined upon the people?' He said: 'It was ordered in the Book of Allah, Most High."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২৩

পরিচ্ছেদঃ ওয়ারিছানের জন্য ওয়াসীয়ত নাই।

২১২৩. হান্নাদ ও আলী ইবন হুজর (রহঃ) ....... আবূ উমামা বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ বিদায় হজ্জের বছরে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ’’আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক হকওয়ালার হক দিয়েছেন। সুতরাং ওয়ারিছানের জন্য কোন ওয়াসীয়ত নাই, সন্তান হল বৈধ শয্যার আর ব্যাভিচারীর জন্য হল পাথর। আর তাদের আসল-নিকাশ হল আল্লাহর যিম্মায়। কেউ যদি পিতা ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে পিতা বলে পরিচয় দেয় বা প্রকৃত মাওলা বা আযাদ কর্তা ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির প্রতি মাওলা বলে নিসবত করে তবে লাগাতার কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর লা’নত পড়বে।

স্বামীর অনুমতি ব্যতিরেখে কোন মহিলা স্বামীর ঘরের কোন কিছু ব্যয় করতে পারবে না। বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! খাদ্য সামগ্রীও নয়? তিনি বললেনঃ এতো আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট সম্পদ। তিনি আরো বলেনঃ আরিয়াত অবশ্যই আদায়যোগ্য, দুধের জন্য দানকৃত পশু ফেরতযোগ্য ঋণ অবশ্যই পরিশোধনীয়। যামিনদার দায়বদ্ধ থাকবে। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৭১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আমর ইবন খারিজা, আনাস ইবন মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান। এ সূত্র ছাড়াও আবূ উসামা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তা বর্ণিত আছে।

ইসমাঈল ইবন আয়্যাশের যে সব রিওয়ায়াত ইরাক ও হিজাযবাসী থেকে একক ভাবে বর্ণিত তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তিনি এদের থেকে বহু মুনকার হাদীস বর্ণিত করেছেন। তবে শামবাসীদের বরাতে তার রিওয়ায়াতসমূহ অধিক সহীহ। মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (বুখারী) (রহঃ) বলেছেন, আহমাদ ইবন হাসান (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আহমাদ ইবন হাম্বাল (রহঃ) বলেছেনঃ বাকিয়্যার তুলনায় ইসমাঈল ইবন আয়্যাশের হাল ভাল। নির্ভরযোগ্য রাবীদের থেকেও বাকিয়্যার বহু মুনকার রিওয়ায়াত রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেছেন, যাকারিয়্যা ইবন আদীকে বলতে শুনেছি যে, আবূ ইসহাক ফাযারী (রহঃ) বলেছেনঃ নির্ভরযোগ্য রাবীদের কাছ থেকে বাকিয়্যা যা বর্ণনা করেন তা তোমরা গ্রহণ কর আর ইসমাঈল ইবন ’আয়্যাশ নির্ভরযোগ্য বা অনির্ভরযোগ্য যাদের বরাতেই বর্ণনা করুন না কেন তা গ্রহণ করবে না।

باب ما جاء لا وصية لوارث

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا شُرَحْبِيلُ بْنُ مُسْلِمٍ الْخَوْلاَنِيُّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي خُطْبَتِهِ عَامَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ التَّابِعَةُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لاَ تُنْفِقُ امْرَأَةٌ مِنْ بَيْتِ زَوْجِهَا إِلاَّ بِإِذْنِ زَوْجِهَا ‏"‏ ‏.‏ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الطَّعَامَ قَالَ ‏"‏ ذَلِكَ أَفْضَلُ أَمْوَالِنَا ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ الْعَارِيَةُ مُؤَدَّاةٌ وَالْمِنْحَةُ مَرْدُودَةٌ وَالدَّيْنُ مَقْضِيٌّ وَالزَّعِيمُ غَارِمٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ وَهُوَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَرِوَايَةُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ عَنْ أَهْلِ الْعِرَاقِ وَأَهْلِ الْحِجَازِ لَيْسَ بِذَلِكَ فِيمَا تَفَرَّدَ بِهِ لأَنَّهُ رَوَى عَنْهُمْ مَنَاكِيرَ وَرِوَايَتُهُ عَنْ أَهْلِ الشَّامِ أَصَحُّ هَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ‏.‏ قَالَ سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ أَصْلَحُ حَدِيثًا مِنْ بَقِيَّةَ وَلِبَقِيَّةَ أَحَادِيثُ مَنَاكِيرُ عَنِ الثِّقَاتِ ‏.‏ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ سَمِعْتُ زَكَرِيَّا بْنَ عَدِيٍّ يَقُولُ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ خُذُوا عَنْ بَقِيَّةَ مَا حَدَّثَ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ تَأْخُذُوا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَيَّاشٍ مَا حَدَّثَ عَنِ الثِّقَاتِ وَلاَ عَنْ غَيْرِ الثِّقَاتِ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، وهناد، قالا حدثنا اسماعيل بن عياش، حدثنا شرحبيل بن مسلم الخولاني، عن ابي امامة الباهلي، قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم في خطبته عام حجة الوداع ‏"‏ ان الله قد اعطى كل ذي حق حقه فلا وصية لوارث الولد للفراش وللعاهر الحجر وحسابهم على الله ومن ادعى الى غير ابيه او انتمى الى غير مواليه فعليه لعنة الله التابعة الى يوم القيامة لا تنفق امراة من بيت زوجها الا باذن زوجها ‏"‏ ‏.‏ قيل يا رسول الله ولا الطعام قال ‏"‏ ذلك افضل اموالنا ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ العارية موداة والمنحة مردودة والدين مقضي والزعيم غارم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الباب عن عمرو بن خارجة وانس بن مالك ‏.‏ وهو حديث حسن صحيح وقد روي عن ابي امامة عن النبي صلى الله عليه وسلم من غير هذا الوجه ‏.‏ ورواية اسماعيل بن عياش عن اهل العراق واهل الحجاز ليس بذلك فيما تفرد به لانه روى عنهم مناكير وروايته عن اهل الشام اصح هكذا قال محمد بن اسماعيل ‏.‏ قال سمعت احمد بن الحسن يقول قال احمد بن حنبل اسماعيل بن عياش اصلح حديثا من بقية ولبقية احاديث مناكير عن الثقات ‏.‏ وسمعت عبد الله بن عبد الرحمن يقول سمعت زكريا بن عدي يقول قال ابو اسحاق الفزاري خذوا عن بقية ما حدث عن الثقات ولا تاخذوا عن اسماعيل بن عياش ما حدث عن الثقات ولا عن غير الثقات ‏.‏


Abu Ummah said:
"During the year of the Farewell Pilgrimage, I heard the Messenger of Allah (S.A.W) saying in the Khutbah: 'Indeed Allah, Most Blessed and Most High, has given the right due to everyone deserving a right. So there is no will for an heir, the child is for the bed, and for the fornicator is the stone, and their reckoning is for Allah, Most High. And whoever claims someone other than his father, or an affiliation with other than his Mawali, then upon him is the continued curse of Allah until the Day of Judgment. The wife is not to spend from her husband's house except with her husband's permission.' They said: 'O Messenger of Allah! Not even food?' He said: 'That is the most virtuous of our wealth.' And he said: 'The borrowed is to be returned, the endowment is to be refunded and the debt is to be repaid, and the guarantor is responsible.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২৪

পরিচ্ছেদঃ ওয়ারিছানের জন্য ওয়াসীয়ত নাই।

২১২৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আমর ইবন খারিজা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উটের উপর আরোহী অবস্থায় ভাষণ দিয়েছিলেন। আমি একটির গলার নীচে দাঁড়ানো ছিলাম। এটি জাবর কাটছিলো আর এর লালা বেয়ে পড়ছিলো আমার কাঁধের মাঝ দিয়ে তাকে তখন বলতে শুনেছিলামঃ আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক হকওয়ালার হক দিয়ে দিয়েছেন সুতরাং ওয়ারিছের জন্য ওয়াসীয়ত নেই, সন্তান হল বৈধ শয্যার আর ব্যাভিচারীর জন্য পাথর। কেউ যদি অনীহাবশত পিতা ছাড়া অন্য ব্যক্তিকে পিতা বলে পরিচয় দেয় বা প্রকৃত মাওলা ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির প্রতি মাওলা বলে নিসবত করে তবে তার প্রতি আল্লাহর লা’নত পড়বে। আল্লাহ তার ফরয বা নফল কোন ইবাদতই কবূল করবেন না।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৭১২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১২১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আহমাদ ইবন হাম্বল (রহঃ) বলেন, রাবী শাহর ইবন হাওশাব-এর হাদীস সম্পর্কে আমি পরোয়া করি না। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (বুখারী) (রহঃ)-কে শাহর ইবন হাওশাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, শুধুমাত্র ইবন ’আওনই তার সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু ইবন আওনই আবার হিলাল ইবন আবূ যায়নাব সূত্রে শাহর ইবন হাওশাব থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء لا وصية لوارث

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ عَلَى نَاقَتِهِ وَأَنَا تَحْتَ جِرَانِهَا وَهِيَ تَقْصَعُ بِجَرَّتِهَا وَإِنَّ لُعَابَهَا يَسِيلُ بَيْنَ كَتِفَىَّ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ وَلاَ وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ وَالْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ رَغْبَةً عَنْهُمْ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ صَرْفًا وَلاَ عَدْلاً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ الْحَسَنِ يَقُولُ قَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ لاَ أُبَالِي بِحَدِيثِ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ فَوَثَّقَهُ وَقَالَ إِنَّمَا يَتَكَلَّمُ فِيهِ ابْنُ عَوْنٍ ثُمَّ رَوَى ابْنُ عَوْنٍ عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي زَيْنَبَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا ابو عوانة، عن قتادة، عن شهر بن حوشب، عن عبد الرحمن بن غنم، عن عمرو بن خارجة، ان النبي صلى الله عليه وسلم خطب على ناقته وانا تحت جرانها وهي تقصع بجرتها وان لعابها يسيل بين كتفى فسمعته يقول ‏ "‏ ان الله اعطى كل ذي حق حقه ولا وصية لوارث والولد للفراش وللعاهر الحجر ومن ادعى الى غير ابيه او انتمى الى غير مواليه رغبة عنهم فعليه لعنة الله لا يقبل الله منه صرفا ولا عدلا ‏"‏ ‏.‏ قال وسمعت احمد بن الحسن يقول قال احمد بن حنبل لا ابالي بحديث شهر بن حوشب ‏.‏ قال وسالت محمد بن اسماعيل عن شهر بن حوشب فوثقه وقال انما يتكلم فيه ابن عون ثم روى ابن عون عن هلال بن ابي زينب عن شهر بن حوشب ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Amr bin Kharajah narrated:
"The Prophet (s.a.w) gave a Khutbah upon his she-camel, while I was under the front of her neck, and she was chewing her curd, with her saliva dripping between my shoulders. I heard him saying: 'Indeed Allah, Most Blessed and Most High, has given the right due to everyone deserving a right. So there is no will for an heir, the child is for the bed, and for the fornicator is the stone.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবন খারিজা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২৫

পরিচ্ছেদঃ ওয়াসীয়তের পূর্বে ঋন পরিশোধ করতে হবে।

২১২৫. ইবন আবূ উমার (রহঃ) ...... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াসীয়তের পূর্বে ঋণ পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, অথচ তোমরা আয়াতে ঋণের পূর্বে ওয়াসীয়তের কথা পড়ে থাক। (দ্রষ্টব্য সূরা নিসা ৪ঃ ১২) হাসান, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এতদনুসারে সকল আলিমের আমল রয়েছে যে, ওয়াসীয়তের পূর্বে প্রথমে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

باب ما جاء يبدأ بالدين قبل الوصية

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى بِالدَّيْنِ قَبْلَ الْوَصِيَّةِ وَأَنْتُمْ تَقْرَءُونَ الْوَصِيَّةَ قَبْلَ الدَّيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يُبْدَأُ بِالدَّيْنِ قَبْلَ الْوَصِيَّةِ ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان بن عيينة، عن ابي اسحاق الهمداني، عن الحارث، عن علي، ان النبي صلى الله عليه وسلم قضى بالدين قبل الوصية وانتم تقرءون الوصية قبل الدين ‏.‏ قال ابو عيسى والعمل على هذا عند عامة اهل العلم انه يبدا بالدين قبل الوصية ‏.‏


Al-Harith narrated from 'Ali:
"The Prophet (s.a.w) judged with the debt before the will, and you people recite the will before the debt."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২৬

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় কেউ সাদাকা করলে বা গোলাম আযাদ করলে।

২১২৬. বুনদার (রহঃ) ...... আবূ হাবীবা তাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমার ভাই আমার জন্য তার সম্পদের এক অংশ ওয়াসীয়ত করেছিলেন। তারপর আবূ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গে আমি সাক্ষাত করে বললামঃ আমার ভাই আমার জন্য তার সম্পদের এক অংশ ওয়াসীয়ত করেছে। এ সম্পদ কোথায় ব্যয় করা আপনি আমার জন্য ভাল মনে করেন? ফকীরদের খাতে না মিসকীনদের জন্য না আল্লাহর পথের মুজাহিদদের জন্য? তিনি বললেনঃ আমি হলে মুজাহিদীনের সমপর্যায়ের কাউকে মনে করতাম না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় গোলাম আযাদ করে সে হল ঐ ব্যক্তির মত যে পেট ভরে খাওয়ার পর হাদিয়া দেয়। যঈফ, যইফা ১৩২২, মিশকাত; তাহকিক ছানী ১৮৭১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب ما جاء في الرجل يتصدق أو يعتق عند الموت

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي حَبِيبَةَ الطَّائِيِّ، قَالَ أَوْصَى إِلَىَّ أَخِي بِطَائِفَةٍ مِنْ مَالِهِ فَلَقِيتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فَقُلْتُ إِنَّ أَخِي أَوْصَى إِلَىَّ بِطَائِفَةٍ مِنْ مَالِهِ فَأَيْنَ تَرَى لِي وَضْعَهُ فِي الْفُقَرَاءِ أَوِ الْمَسَاكِينِ أَوِ الْمُجَاهِدِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ أَمَّا أَنَا فَلَوْ كُنْتُ لَمْ أَعْدِلْ بِالْمُجَاهِدِينَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَثَلُ الَّذِي يُعْتِقُ عِنْدَ الْمَوْتِ كَمَثَلِ الَّذِي يُهْدِي إِذَا شَبِعَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، حدثنا سفيان، عن ابي اسحاق، عن ابي حبيبة الطاىي، قال اوصى الى اخي بطاىفة من ماله فلقيت ابا الدرداء فقلت ان اخي اوصى الى بطاىفة من ماله فاين ترى لي وضعه في الفقراء او المساكين او المجاهدين في سبيل الله فقال اما انا فلو كنت لم اعدل بالمجاهدين سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ مثل الذي يعتق عند الموت كمثل الذي يهدي اذا شبع ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Abu Habibah At-Ta'i said:
"My brother willed a portion of his wealth to me. So I met Abu Ad-Darda and said: 'My brother has willed a portion of his wealth to me, so where do you suggest that I should give it- to the poor, the needy, or the Mujahidin in Allah's Cause?' He said: 'As for me, then I would not consider them equal to the Mujahidin. I heard the Messenger of Allah (S.A.W) saying: "The parable of the one who frees a slave at the time of his death is that of the one who gives a gift when he is satisfied (fulfilled his needs)."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবু হাবীবা তাঈ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
২১২৭

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২১২৭. কুতায়বা (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, বারীরা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার কিতাবাত চুক্তির (অর্থের বিনিময়) বিষয়ে সাহায্যের জন্য আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে এসেছিলেন। আর তিনি তার কিতাবাত চুক্তির কোন কিছুই আদায় করেন নাই। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাকে বললেনঃ তোমার মালিকের কাছে যাও। তারা যদি পছন্দ করে যে তোমার পক্ষ থেকে আমি কিতাবাত চুক্তির অর্থ আদায় করে দিব আর ওয়ালা স্বত্ব হবে আমার তবে আমি তা করতে প্রস্তুত আছি। বারীরা রাদিয়াল্লাহু আনহা তার মালিকের নিকট এ কথা আলোচনা করেন। কিন্তু তারা তাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বলে তিনি (আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা) ইচ্ছে করলে ছাওয়াবের আশায় তোমাকে সাহায্য করতে পারেন কিন্তু তোমার ওয়ালা স্বত্ব থাকবে আমাদের।

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উত্থাপন করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে কিনে নিয়ে আযাদ করে দাও। কেননা, যে আযাদ করবে তারই হবে ওয়ালা স্বত্ব।। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ায়ে বললেনঃ কি হলো সম্প্রদায় গুলোর এমন সব শর্ত তারা করে যেগুলোর কোন উল্লেখ আল্লাহর কিতাবে নাই। কেউ যদি এমন শর্তারোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নাই তবে একশ শর্ত করলেও কিছু হবে না। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৫২১, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। আলিমগণের এতদনুসারে আমল রয়েছে যে, যে ব্যক্তি আযাদ করবে তারই হবে ওয়ালা স্বত্ব।

باب

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ بَرِيرَةَ جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ فِي كِتَابَتِهَا وَلَمْ تَكُنْ قَضَتْ مِنْ كِتَابَتِهَا شَيْئًا فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ ارْجِعِي إِلَى أَهْلِكِ فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ أَقْضِيَ عَنْكِ كِتَابَتَكِ وَيَكُونَ لِي وَلاَؤُكِ فَعَلْتُ ‏.‏ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لأَهْلِهَا فَأَبَوْا وَقَالُوا إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكِ وَيَكُونَ لَنَا وَلاَؤُكِ فَلْتَفْعَلْ ‏.‏ فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابْتَاعِي فَأَعْتِقِي فَإِنَّمَا الْوَلاَءُ لِمَنْ أَعْتَقَ ‏"‏ ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللَّهِ مَنِ اشْتَرَطَ شَرْطًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَلَيْسَ لَهُ وَإِنِ اشْتَرَطَ مِائَةَ مَرَّةٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلاَءَ لِمَنْ أَعْتَقَ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن شهاب، عن عروة، ان عاىشة، اخبرته ان بريرة جاءت تستعين عاىشة في كتابتها ولم تكن قضت من كتابتها شيىا فقالت لها عاىشة ارجعي الى اهلك فان احبوا ان اقضي عنك كتابتك ويكون لي ولاوك فعلت ‏.‏ فذكرت ذلك بريرة لاهلها فابوا وقالوا ان شاءت ان تحتسب عليك ويكون لنا ولاوك فلتفعل ‏.‏ فذكرت ذلك لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابتاعي فاعتقي فانما الولاء لمن اعتق ‏"‏ ثم قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ ما بال اقوام يشترطون شروطا ليست في كتاب الله من اشترط شرطا ليس في كتاب الله فليس له وان اشترط ماىة مرة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح وقد روي من غير وجه عن عاىشة ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم ان الولاء لمن اعتق ‏.‏


'Urwah narrated that :
'Aishah had informed him that Barrirah came to her ('Aishah) seeking her help for her writ of emancipation, and she had not yet paid anything for her writ of emancipation. So 'Aishah said to her: 'Return to your people, and if they agree to me paying for your writ of emancipation and that your Wala will be for me, then I will do so." So Barrirah mentioned that to her people and they refused. They said: "If she wants the reward for (freeing) you while the Wala is for us, then let her do it." So I mentioned that to the Messenger of Allah (S.A.W) and the Messenger of Allah (S.A.W) said: "Buy her, then free her, for the Wala is only for the one who frees." Then the Messenger of Allah (S.A.W) stood and said: "What is the case of people who make conditions that are not in Allah's Book? Whoever makes a condition that is not in Allah's Book, then it will not be so for him, even if he were to make a condition a hundred times."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৩/ ওয়াসীয়ত (كتاب الوصايا عن رسول الله ﷺ) 33/ Chapters On Wasaya (Wills and Testament)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে