৬৪৮৩

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৪. কূটকৌশল পরিত্যাগ করা। এবং কসম ইত্যাদিতে যে যা নিয়ত করবে তা-ই তার ব্যাপারে প্রযোজ্য হবে

৬৪৮৩। আবূ নু’মান (রহঃ) ... উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, হে জনতা, সকল আমলই নিয়তের সাতে সম্পৃক্ত। যে যা নিয়ত করবে সে তা-ই পাবে। যার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্য হবে তার হিজরত আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হবে। আর যার হিজরত দুনিয়া পাওয়ার জন্য বা কোন রমণীকে বিয়ে করার জন্য হবে, তার হিজরত সে জন্যই হবে, যে জন্য সে হিজরত করেছেন।

باب فِي تَرْكِ الْحِيَلِ وَأَنَّ لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى فِي الأَيْمَانِ وَغَيْرِهَا

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ يَخْطُبُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَإِنَّمَا لاِمْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، فَهِجْرَتُهُ إِلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَمَنْ هَاجَرَ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا، فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو النعمان، حدثنا حماد بن زيد، عن يحيى بن سعيد، عن محمد بن ابراهيم، عن علقمة بن وقاص، قال سمعت عمر بن الخطاب ـ رضى الله عنه ـ يخطب قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ يا ايها الناس انما الاعمال بالنية وانما لامرى ما نوى، فمن كانت هجرته الى الله ورسوله، فهجرته الى الله ورسوله، ومن هاجر الى دنيا يصيبها او امراة يتزوجها، فهجرته الى ما هاجر اليه ‏"‏‏.‏


Narrated `Umar bin Al-Khattab:

The Prophet (ﷺ) said, 'O people! The reward of deeds depends upon the intentions, and every person will get the reward according to what he has intended. So, whoever emigrated for Allah and His Apostle, then his emigration was for Allah and His Apostle, and whoever emigrated to take worldly benefit or for a woman to marry, then his emigration was for what he emigrated for."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৪

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৫. নামায

৬৪৮৪। ইসহাক ইবনু নাযর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বায়ু নির্গত হওয়ার পর উযূ (ওজু/অজু/অযু) না করা পর্যন্ত আল্লাহ তোমাদের কারো সালাত (নামায/নামাজ) কবুল করবেন না।

باب فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ ‏"‏‏.‏

حدثني اسحاق، حدثنا عبد الرزاق، عن معمر، عن همام، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا يقبل الله صلاة احدكم اذا احدث حتى يتوضا ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah does not accept prayer of anyone of you if he does Hadath (passes wind) till he performs the ablution (anew).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৫

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৬. যাকাত এবং সদাকা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়

৬৪৮৫। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্ধারিত সাদাকা সম্পর্কে আবূ বকর (রাঃ) তার কাছে একটি ফরমান পাঠান। এতে লিখেন যে, সাদাকা প্রদানের আশংকায় যেন বিচ্ছিন্ন মালকে একত্রিত করা না হয় এবং একাত্রিত মালকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়।

باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا ثُمَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَنَسٍ، أَنَّ أَنَسًا، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَتَبَ لَهُ فَرِيضَةَ الصَّدَقَةِ الَّتِي فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ وَلاَ يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلاَ يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله الانصاري، حدثنا ابي، حدثنا ثمامة بن عبد الله بن انس، ان انسا، حدثه ان ابا بكر كتب له فريضة الصدقة التي فرض رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ولا يجمع بين متفرق ولا يفرق بين مجتمع خشية الصدقة ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

That Abu Bakr wrote for him, Zakat regulations which Allah's Messenger (ﷺ) had made compulsory, and wrote that one should neither collect various portions (of the property) nor divide the property into various portions in order to avoid paying Zakat.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৬

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৬. যাকাত এবং সদাকা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়

৬৪৮৬। কুতায়বা (রহঃ) ... তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক অবিন্যাস্ত কেশধারী বেদুঈন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ্ আমার উপর সালাত (নামায/নামাজ) থেকে কি ফরয করেছেন, তা বাতলে দিন। তিনি বললেনঃ পাঞ্ছেগানা সালাত, তবে তুমি কিছু নফল পড়তে পার। সে বলল, আল্লাহ আমার উপর রোযা থেকে কি ফরয করেছেন তা আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ রমযান মাসের রোযা। তবে তুমি কিছু নফল আদায় করতে পার। সে বলল, আল্লাহ্ আমার উপর যাকাত থেকে কি ফরয করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইসলামী হুকুম আহকাম সম্পর্কে অবহিত করলেন। সে বলল, ঐ সত্তার কসম! যে আপনাকে সম্মানিত করেছে। আমি নফল কিছু করব না এবং আল্লাহ্ আমার উপর যা ফরয করেছেন তা থেকে কমবেও না। তা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি লোকটি এর উপর স্থিত থাকে, তাহলে সফলকাম হয়েছে। যদি এ সত্যের উপর স্থিত থাকে তাহলে তাকে জান্নাতে দাখিল করা হবে।

কোন কোন মনীষী বলেন, একশ বিশটি উটের যাকাত হল দুটি হিক্কা। যদি যাকাত এড়ানোর জন্য সে এগুলো স্বেচ্ছায় ধ্বংস করে ফেলে অথবা দান করে দেয় অথবা অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করে যাকাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না।

باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الصَّلاَةِ فَقَالَ ‏"‏ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ، إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا ‏"‏‏.‏ فَقَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ ‏"‏ شَهْرَ رَمَضَانَ، إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا ‏"‏‏.‏ قَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الزَّكَاةِ قَالَ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَرَائِعَ الإِسْلاَمِ‏.‏ قَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ شَيْئًا‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ ‏"‏‏.‏ أَوْ ‏"‏ دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ فِي عِشْرِينَ وَمِائَةِ بَعِيرٍ حِقَّتَانِ‏.‏ فَإِنْ أَهْلَكَهَا مُتَعَمِّدًا، أَوْ وَهَبَهَا أَوِ احْتَالَ فِيهَا فِرَارًا مِنَ الزَّكَاةِ، فَلاَ شَىْءَ عَلَيْهِ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا اسماعيل بن جعفر، عن ابي سهيل، عن ابيه، عن طلحة بن عبيد الله، ان اعرابيا، جاء الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ثاىر الراس فقال يا رسول الله اخبرني ماذا فرض الله على من الصلاة فقال ‏"‏ الصلوات الخمس، الا ان تطوع شيىا ‏"‏‏.‏ فقال اخبرني بما فرض الله على من الصيام قال ‏"‏ شهر رمضان، الا ان تطوع شيىا ‏"‏‏.‏ قال اخبرني بما فرض الله على من الزكاة قال فاخبره رسول الله صلى الله عليه وسلم شراىع الاسلام‏.‏ قال والذي اكرمك لا اتطوع شيىا ولا انقص مما فرض الله على شيىا‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ افلح ان صدق ‏"‏‏.‏ او ‏"‏ دخل الجنة ان صدق ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس في عشرين وماىة بعير حقتان‏.‏ فان اهلكها متعمدا، او وهبها او احتال فيها فرارا من الزكاة، فلا شىء عليه‏.‏


Narrated Talha bin 'Ubaidullah:

A bedouin with unkempt hair came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Tell me what Allah has enjoined on me as regards prayers." The Prophet (ﷺ) said, "You have to offer perfectly the five (compulsory) prayers in a day and a night (24 hrs.), except if you want to perform some extra optional prayers." The bedouin said, "Tell me what Allah has enjoined on me as regards fasting." The Prophet (ﷺ) said, "You have to observe fast during the month of Ramadan except if you fast some extra optional fast." The bedouin said, "Tell me what Allah has enjoined on me as regard Zakat." The Prophet (ﷺ) then told him the Islamic laws and regulations whereupon the bedouin said, "By Him Who has honored you, I will not perform any optional deeds of worship and I will not leave anything of what Allah has enjoined on me." Allah's Messenger (ﷺ) said, "He will be successful if he has told the truth (or he will enter Paradise if he said the truth)." And some people said, "The Zakat for one-hundred and twenty camels is two Hiqqas, and if the Zakat payer slaughters the camels intentionally or gives them as a present or plays some other trick in order to avoid the Zakat, then there is no harm (in it) for him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৭

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৬. যাকাত এবং সদাকা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়

৬৪৮৭। ইসহাক (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সঞ্চিত ধন, যার যাকাত আদায় করা হয়নি, কিয়ামতের দিন টাকপড়া হিংস্র সাপে পরিণত হবে। সম্পদের মালিক তা থেকে পালাতে থাকবে। কিন্তু সাপ তার পিছু লেগে থাকবে। আর বলবে, আমি তোমার সঞ্চিত সম্পদ। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! সাপ তার পিছু ধাওয়া করতেই থাকবে। পরিশেষে সে বাধ্য হয়ে তার হাত প্রসারিত করে দেবে। ফলে সাপ তার মুখ গ্রাস করে নেবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পশুর মালিক যদি তার হক যাকাত আদায় না করে তাহলে পশুকে তার পিছে লাগিয়ে দেয়া হবে। পশু তার মুখমণ্ডল পায়ের ক্ষুর দ্বারা আঁচড়ে ফেলবে।

কোন কোন মনীষী বলেন, কোন ব্যাক্তির কয়েকটি উট ছিল, এগুলোতে যাকাত ওয়াজিব হয়ে যাবার আশংকায় যাকাত এড়াবার নিমিত্তে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন আগে সমপরিমাণ উটের বদলে বা ছাগল বা গরুর বা মুদ্রার বিনিময়ে বিক্রি করে ফেলল, তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না। অথচ ইনি বলেন, যদি বছর পূর্ণ হওয়ার একদিন অথবা এক বছর আগেই উটের যাকাত দিয়ে দেয় তাহলে তার পক্ষে আদায় হয়ে যাবে।

باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَكُونُ كَنْزُ أَحَدِكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ، يَفِرُّ مِنْهُ صَاحِبُهُ فَيَطْلُبُهُ وَيَقُولُ أَنَا كَنْزُكَ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ لَنْ يَزَالَ يَطْلُبُهُ حَتَّى يَبْسُطَ يَدَهُ فَيُلْقِمَهَا فَاهُ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا مَا رَبُّ النَّعَمِ لَمْ يُعْطِ حَقَّهَا، تُسَلَّطُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، تَخْبِطُ وَجْهَهُ بِأَخْفَافِهَا ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ فِي رَجُلٍ لَهُ إِبِلٌ، فَخَافَ أَنْ تَجِبَ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ، فَبَاعَهَا بِإِبِلٍ مِثْلِهَا، أَوْ بِغَنَمٍ، أَوْ بِبَقَرٍ، أَوْ بِدَرَاهِمَ، فِرَارًا مِنَ الصَّدَقَةِ بِيَوْمٍ، احْتِيَالاً فَلاَ بَأْسَ عَلَيْهِ، وَهْوَ يَقُولُ إِنْ زَكَّى إِبِلَهُ قَبْلَ أَنْ يَحُولَ الْحَوْلُ بِيَوْمٍ أَوْ بِسَنَةٍ، جَازَتْ عَنْهُ‏.‏

حدثني اسحاق، حدثنا عبد الرزاق، حدثنا معمر، عن همام، عن ابي هريرة ـ رضى الله عنه ـ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يكون كنز احدكم يوم القيامة شجاعا اقرع، يفر منه صاحبه فيطلبه ويقول انا كنزك‏.‏ قال والله لن يزال يطلبه حتى يبسط يده فيلقمها فاه ‏"‏‏.‏ وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا ما رب النعم لم يعط حقها، تسلط عليه يوم القيامة، تخبط وجهه باخفافها ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس في رجل له ابل، فخاف ان تجب عليه الصدقة، فباعها بابل مثلها، او بغنم، او ببقر، او بدراهم، فرارا من الصدقة بيوم، احتيالا فلا باس عليه، وهو يقول ان زكى ابله قبل ان يحول الحول بيوم او بسنة، جازت عنه‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "On the Day of Resurrection the Kanz (Treasure or wealth of which, Zakat has not been paid) of anyone of you will appear in the shape of a huge bald headed poisonous male snake and its owner will run away from it, but it will follow him and say, 'I am your Kanz.'" The Prophet (ﷺ) added, "By Allah, that snake will keep on following him until he stretches out his hand and let the snake swallow it." Allah's Messenger (ﷺ) added, "If the owner of camels does not pay their Zakat, then, on the Day of Resurrection those camels will come to him and will strike his face with their hooves." Some people said: Concerning a man who has camels, and is afraid that Zakat will be due so he sells those camels for similar camels or for sheep or cows or money one day before Zakat becomes due in order to avoid payment of their Zakat cunningly! "He has not to pay anything." The same scholar said, "If one pays Zakat of his camels one day or one year prior to the end of the year (by the end of which Zakat becomes due), his Zakat will be valid."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৮

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৬. যাকাত এবং সদাকা দেওয়ার ভয়ে যেন একত্রিত পুঁজিকে পৃথক করা না হয় এবং পৃথক পুঁজিকে যেন একত্র করা না হয়

৬৪৮৮। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু উবাদা আনসারী (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর মায়ের মানত সম্পর্কে ফতোয়া চাইলেন, যে মানত তার মায়ের যিম্মায় ছিল। কিন্তু তা আদায় করার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার পক্ষ থেকে আদায় করে দাও।

কোন কোন মনীষী বলেন, যখন উটের সংখ্যা বিশে পৌঁছে তখন তার যাকাত হবে চারটি ছাগল। কিন্তু যদি সে যাকাত থেকে রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা যাকাত এড়াবার কৌশল হিসেবে বছর পূর্ণ হওয়ার আগে ঐগুলো দান করে দেয় অথবা বিক্রি করে ফেলে, তাহলে তার উপর কিছু ওয়াজিব হবে না। তদ্রূপ যদি সে ঐগুলো ধ্বংস করে দেয় তারপর সে মারা যায় তাহলেও তার মালের উপর কোন যাকাত ওয়াজিব হবে না।

باب فِي الزَّكَاةِ وَأَنْ لاَ يُفَرَّقَ بَيْنَ مُجْتَمِعٍ، وَلاَ يُجْمَعَ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ، خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ اسْتَفْتَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ الأَنْصَارِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَذْرٍ كَانَ عَلَى أُمِّهِ، تُوُفِّيَتْ قَبْلَ أَنْ تَقْضِيَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اقْضِهِ عَنْهَا ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِذَا بَلَغَتِ الإِبِلُ عِشْرِينَ، فَفِيهَا أَرْبَعُ شِيَاهٍ، فَإِنْ وَهَبَهَا قَبْلَ الْحَوْلِ أَوْ بَاعَهَا، فِرَارًا وَاحْتِيَالاً لإِسْقَاطِ الزَّكَاةِ، فَلاَ شَىْءَ عَلَيْهِ، وَكَذَلِكَ إِنْ أَتْلَفَهَا فَمَاتَ، فَلاَ شَىْءَ فِي مَالِهِ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا ليث، عن ابن شهاب، عن عبيد الله بن عبد الله بن عتبة، عن ابن عباس، انه قال استفتى سعد بن عبادة الانصاري رسول الله صلى الله عليه وسلم في نذر كان على امه، توفيت قبل ان تقضيه، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اقضه عنها ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس اذا بلغت الابل عشرين، ففيها اربع شياه، فان وهبها قبل الحول او باعها، فرارا واحتيالا لاسقاط الزكاة، فلا شىء عليه، وكذلك ان اتلفها فمات، فلا شىء في ماله‏.‏


Narrated Ibn Abbas:

Sa'd bin 'Ubada Al-Ansari sought the verdict of Allah's Messenger (ﷺ) regarding a vow made by his mother who had died before fulfilling it. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fulfill it on her behalf." Some people said, "If the number of camels reaches twenty, then their owner has to pay four sheep as Zakat; and if their owner gives them as a gift or sells them in order to escape the payment of Zakat cunningly before the completion of a year, then he is not to pay anything, and if he slaughters them and then dies, then no Zakat is to be taken from his property."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৮৯

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৭. পরিচ্ছেদ নাই

৬৪৮৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার থেকে নিষেধ করেছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি নাফি (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম শিগার কি? তিনি বললেন, কেউ এক ব্যাক্তির মেয়ে বিয়ে করবে এবং সে তার মেয়ে ঐ ব্যাক্তির কাছে বিনা মহরে বিয়ে দেবে।

কোন কোন আলিম বলেন, যদি কেউ কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে শিগারের ভিত্তিতে বিয়ে করে নেয়, তাহলে বিয়ে বলবৎ হয়ে যাবে। তবে শর্তটি বাতিল বলে গণ্য হবে। আর মুত'আ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিয়ে ফাসিদ ও শর্ত বাতিল। আবার কেউ কেউ বলেন মুত'আ ও শিগার উভয়টি জায়েয হবে। আর শর্ত বাতিল হবে।

باب

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الشِّغَارِ‏.‏ قُلْتُ لِنَافِعٍ مَا الشِّغَارُ قَالَ يَنْكِحُ ابْنَةَ الرَّجُلِ وَيُنْكِحُهُ ابْنَتَهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ، وَيَنْكِحُ أُخْتَ الرَّجُلِ وَيُنْكِحُهُ أُخْتَهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنِ احْتَالَ حَتَّى تَزَوَّجَ عَلَى الشِّغَارِ، فَهْوَ جَائِزٌ، وَالشَّرْطُ بَاطِلٌ‏.‏ وَقَالَ فِي الْمُتْعَةِ النِّكَاحُ فَاسِدٌ، وَالشَّرْطُ بَاطِلٌ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمُ الْمُتْعَةُ وَالشِّغَارُ جَائِزٌ، وَالشَّرْطُ بَاطِلٌ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى بن سعيد، عن عبيد الله، قال حدثني نافع، عن عبد الله ـ رضى الله عنه ـ ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن الشغار‏.‏ قلت لنافع ما الشغار قال ينكح ابنة الرجل وينكحه ابنته بغير صداق، وينكح اخت الرجل وينكحه اخته بغير صداق‏.‏ وقال بعض الناس ان احتال حتى تزوج على الشغار، فهو جاىز، والشرط باطل‏.‏ وقال في المتعة النكاح فاسد، والشرط باطل‏.‏ وقال بعضهم المتعة والشغار جاىز، والشرط باطل‏.‏


Narrated 'Abdullah:

Nafi narrated to me that 'Abdullah said that Allah's Messenger (ﷺ) forbade the Shighar. I asked Nafi', "What is the Shighar?" He said, "It is to marry the daughter of a man and marry one's daughter to that man (at the same time) without Mahr (in both cases); or to marry the sister of a man and marry one's own sister to that man without Mahr." Some people said, "If one, by a trick, marries on the basis of Shighar, the marriage is valid but its condition is illegal." The same scholar said regarding Al-Mut'a, "The marriage is invalid and its condition is illegal." Some others said, "The Mut'a and the Shighar are permissible but the condition is illegal."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯০

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৭. পরিচ্ছেদ নাই

৬৪৯০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... মুহাম্মদ ইবনু আলী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আলী (রাঃ) কে বলা হল- ইবনু আব্বাস (রাঃ) নারীদের মুত'আ বিয়েতে কোন আপত্তি মনে করেন না। তখন তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের দিন মুত'আ ও গৃহপালিত গাধার মাংস (আহার) থেকে নিষেধ করেছেন।

কোন কোন লোক বলেন, যদি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মুত'আ বিয়ের চুক্তি করে নেয় তাহলে বিয়ে ফাসিদ বলে গণ্য হবে। আর কেউ কেউ বলেন, বিয়ে বৈধ হবে আর শর্ত বাতিল হবে।

باب

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ، وَعَبْدِ اللَّهِ، ابْنَىْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ عَنْ أَبِيهِمَا، أَنَّ عَلِيًّا ـ رضى الله عنه ـ قِيلَ لَهُ إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ لاَ يَرَى بِمُتْعَةِ النِّسَاءِ بَأْسًا‏.‏ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا يَوْمَ خَيْبَرَ، وَعَنْ لُحُومِ الْحُمُرِ الإِنْسِيَّةِ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنِ احْتَالَ حَتَّى تَمَتَّعَ، فَالنِّكَاحُ فَاسِدٌ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمُ النِّكَاحُ جَائِزٌ وَالشَّرْطُ بَاطِلٌ‏.‏

حدثنا مسدد، حدثنا يحيى، عن عبيد الله بن عمر، حدثنا الزهري، عن الحسن، وعبد الله، ابنى محمد بن علي عن ابيهما، ان عليا ـ رضى الله عنه ـ قيل له ان ابن عباس لا يرى بمتعة النساء باسا‏.‏ فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عنها يوم خيبر، وعن لحوم الحمر الانسية‏.‏ وقال بعض الناس ان احتال حتى تمتع، فالنكاح فاسد‏.‏ وقال بعضهم النكاح جاىز والشرط باطل‏.‏


Narrated Muhammad bin `Ali:

`Ali was told that Ibn `Abbas did not see any harm in the Mut'a marriage. `Ali said, "Allah's Messenger (ﷺ) forbade the Mut'a marriage on the Day of the battle of Khaibar and he forbade the eating of donkey's meat." Some people said, "If one, by a tricky way, marries temporarily, his marriage is illegal." Others said, "The marriage is valid but its condition is illegal."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯১

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৮. ক্রয়-বিক্রয়ে যে কূটকৌশল অপছন্দনীয়। প্রয়োজনাতিরিক্ত ঘাস উৎপাদনে বাধা প্রদানের নিমিত্ত প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি সরবরাহে বাধা দেওয়া যাবে না

৬৪৯১। ইসমাঈদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রয়োজনাতিরিক্ত ঘাস উৎপাদনের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনাতিরিক্ত পানি সরবরাহে বাধা দেয়া যাবে না।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الاِحْتِيَالِ فِي الْبُيُوعِ وَلاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُمْنَعَ بِهِ فَضْلُ الْكَلإِ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يُمْنَعُ فَضْلُ الْمَاءِ لِيُمْنَعَ بِهِ فَضْلُ الْكَلإِ ‏"‏‏.‏

حدثنا اسماعيل، حدثنا مالك، عن ابي الزناد، عن الاعرج، عن ابي هريرة، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لا يمنع فضل الماء ليمنع به فضل الكلا ‏"‏‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "One should not prevent others from watering their animals with the surplus of his water in order to prevent them from benefiting by the surplus of grass."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯২

পরিচ্ছেদঃ ২৯১৯. দালালী করা অশোভনীয় হওয়া প্রসঙ্গে

৬৪৯২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দালালী করা থেকে নিষেধ করেছেন।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ التَّنَاجُشِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ النَّجْشِ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، عن مالك، عن نافع، عن ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى عن النجش‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) forbade the practice of An-Najsh.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২৯২০. ক্রয়-বিক্রয়ে ধোঁকাবাজি নিষেধ হওয়া প্রসঙ্গে। আইয়ুব (রহঃ) বলেন, লোকেরা আল্লাহকে ধোঁকা দিতে চায়, যেন তারা মানুষকে ধোঁকা দেয়। তারা যদি প্রকাশ্যে কাজটি করত তবে তা আমার নিকট অধিক সহজ মনে হত।

৬৪৯৩। ইসমাঈল (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উল্লেখ করল যে, সে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় প্রতারিত হয়ে যায়। তিনি বললেনঃ যখন তুমি ক্রয়-বিক্রয় করবে তখন বলবে (কোন প্রকার) ধোঁকাবাজি নেই।

باب مَا يُنْهَى مِنَ الْخِدَاعِ فِي الْبُيُوعِ وَقَالَ أَيُّوبُ: {يُخَادِعُونَ اللَّهَ} كَمَا يُخَادِعُونَ آدَمِيًّا، لَوْ أَتَوُا الأَمْرَ عِيَانًا كَانَ أَهْوَنَ عَلَيَّ

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَجُلاً، ذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ يُخْدَعُ فِي الْبُيُوعِ فَقَالَ ‏ "‏ إِذَا بَايَعْتَ فَقُلْ لاَ خِلاَبَةَ ‏"‏‏.‏

حدثنا اسماعيل، حدثنا مالك، عن عبد الله بن دينار، عن عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ ان رجلا، ذكر للنبي صلى الله عليه وسلم انه يخدع في البيوع فقال ‏ "‏ اذا بايعت فقل لا خلابة ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Umar:

A man mentioned to the Prophet (ﷺ) that he had always been cheated in bargains. The Prophet (ﷺ) said, "Whenever you do bargain, say, 'No cheating.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৪

পরিচ্ছেদঃ ২৯২১. অভিভাবকের পক্ষে বাঞ্ছিতা ইয়াতীম বালিকার পুরা মোহর না দেয়ার ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন করা হওয়া প্রসঙ্গে

৬৪৯৪। আবুল ইয়ামন (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আয়িশা (রাঃ) কে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন,‏وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ তোমরা যদি আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে। (৪ঃ ৩) তিনি বললেন, এ আয়াত এমন ইয়াতীম মেয়ে প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে, যে তার অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে আছে। আর অভিভাবক তার সম্পদ ও সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তার সগোত্রীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত মহরের চেয়ে কম মহর দিয়ে বিয়ে করে নেয়ার মনস্থ করে। তাই তাদেরকে এমন ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিয়ে করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যদি পুরোপুরি মহর প্রদান করে তাদের সুবিচার করে। এরপর লোকেরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সম্পর্কে ফতোয়া চাইলে আল্লাহ্ এ আয়াত নাযিল করেনঃ এবং লোকেরা তোমার নিকট নারীদের বিয়ে পরিস্কারভাবে জানতে চায় (৪ঃ ১২৭)। তারপর হাদীসের (বাকী অংশ) বর্ণনা করেন।

باب مَا يُنْهَى مِنَ الاِحْتِيَالِ لِلْوَلِيِّ فِي الْيَتِيمَةِ الْمَرْغُوبَةِ، وَأَنْ لاَ يُكَمِّلَ صَدَاقَهَا

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، حَدَّثَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ كَانَ عُرْوَةُ يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ ‏(‏وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ‏)‏‏.‏ قَالَتْ هِيَ الْيَتِيمَةُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا، فَيَرْغَبُ فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا، فَيُرِيدُ أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِأَدْنَى مِنْ سُنَّةِ نِسَائِهَا، فَنُهُوا عَنْ نِكَاحِهِنَّ، إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ فِي إِكْمَالِ الصَّدَاقِ، ثُمَّ اسْتَفْتَى النَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ‏)‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ‏.‏

حدثنا ابو اليمان، حدثنا شعيب، عن الزهري، قال كان عروة يحدث انه سال عاىشة ‏(‏وان خفتم ان لا تقسطوا في اليتامى فانكحوا ما طاب لكم من النساء‏)‏‏.‏ قالت هي اليتيمة في حجر وليها، فيرغب في مالها وجمالها، فيريد ان يتزوجها بادنى من سنة نساىها، فنهوا عن نكاحهن، الا ان يقسطوا لهن في اكمال الصداق، ثم استفتى الناس رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد فانزل الله ‏(‏ويستفتونك في النساء‏)‏ فذكر الحديث‏.‏


Narrated `Urwa:

That he asked `Aisha regarding the Verse: 'If you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan girls, marry (other) women of your choice.' (4.3) `Aisha said, "It is about an orphan girl under the custody of her guardian who being attracted by her wealth and beauty wants to marry her with Mahr less than other women of her status. So such guardians were forbidden to marry them unless they treat them justly by giving them their full Mahr. Then the people sought the verdict of Allah's Apostle for such cases, whereupon Allah revealed: 'They ask your instruction concerning women..' (4.127) (The sub-narrator then mentioned the Hadith.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৫

পরিচ্ছেদঃ ২৯২২. যদি কেউ কোন বাঁদী অপহরণ করার পর বলে, সে মারা গেছে এবং বিচারকও মৃত বাঁদীর মূল্যের ফয়সালা করে দেন। এরপর যদি সে বাঁদী মালিকের হস্তগত হয়ে যায়, তখন সে মালিকেরই হবে। তবে মালিক মূল্য ফেরত দেবে। এ মূল্য (বাঁদীর) দাম বলে গণ্য হবে না। কোন কোন মনিষী বলেন, বাঁদীটি অপহরণকারীরই থাকবে, কারণ মালিক মূল্য গ্রহণ করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে ঐ লোকের জন্য একটা কূটকৌশল অবলম্বনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেওয়া হল। যে লোকের কারো দাসী পছন্দ হয়, কিন্তু মালিক তা বিক্রয় করে না, তখন সে তা অপহরণ করে বাহানা করে বলল যে সে মরে গেছে, যাতে করে মালিক মূল্য গ্রহণ করে নেয়। আর অন্যের দাসী অপহরণকারীর জন্য হালাল হয়ে যায়।অথচ নবী (সাঃ) বলেনঃ একে অন্যের মাল হরণ করা তোমাদের জন্য হারাম। প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য ক্বিয়ামতের দিন একটা পতাকা থাকবে।

৬৪৯৫। আবূ নু’আয়ম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য কিয়ামতের দিন একটা পতাকা থাকবে, এর মাধ্যমে তাকে চেনা যাবে।

باب إِذَا غَصَبَ جَارِيَةً فَزَعَمَ أَنَّهَا مَاتَتْ فَقُضِيَ بِقِيمَةِ الْجَارِيَةِ الْمَيِّتَةِ، ثُمَّ وَجَدَهَا صَاحِبُهَا، فَهْيَ لَهُ، وَيَرُدُّ الْقِيمَةَ، وَلاَ تَكُونُ الْقِيمَةُ ثَمَنًا. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ الْجَارِيَةُ لِلْغَاصِبِ لأَخْذِهِ الْقِيمَةَ، وَفِي هَذَا احْتِيَالٌ لِمَنِ اشْتَهَى، جَارِيَةَ رَجُلٍ لاَ يَبِيعُهَا، فَغَصَبَهَا وَاعْتَلَّ بِأَنَّهَا مَاتَتْ، حَتَّى يَأْخُذَ رَبُّهَا قِيمَتَهَا فَيَطِيبُ لِلْغَاصِبِ جَارِيَةَ غَيْرِهِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمْوَالُكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ»، «وَلِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُعْرَفُ بِهِ ‏"‏‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا سفيان، عن عبد الله بن دينار، عن عبد الله بن عمر ـ رضى الله عنهما ـ عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لكل غادر لواء يوم القيامة يعرف به ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdullah bin `Umar:

The Prophet (ﷺ) said, "For every betrayer there will be a flag by which he will be recognized on the Day of Resurrection. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৩. পরিচ্ছেদ নাই

৬৪৯৬। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আমি তো একজন মানুষ। আর তোমরা আমার কাছে বিবাদ মীমাংসার জন্য এসে থাক। তোমাদের এক পক্ষ অপর পক্ষ হতে দলীল প্রমাণ পেশ করার ব্যাপারে অধিকতর পারদর্শী হতে পারে। ফলে আমি আমার শোনা মতে যদি কাউকে তা অন্য ভাইয়ের হক দিয়ে দেই, তাহলে যেন সে তা গ্রহণ না করে। কেননা, আমি তার জন্য জাহান্নামের একটা অংশই পৃথক করে দিচ্ছি।

باب

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ زَيْنَبَ ابْنَةِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ، وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ، وَأَقْضِيَ لَهُ عَلَى نَحْوِ مَا أَسْمَعُ، فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ شَيْئًا، فَلاَ يَأْخُذْ، فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ ‏"‏‏.‏

حدثنا محمد بن كثير، عن سفيان، عن هشام، عن عروة، عن زينب ابنة ام سلمة، عن ام سلمة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ انما انا بشر، وانكم تختصمون، ولعل بعضكم ان يكون الحن بحجته من بعض، واقضي له على نحو ما اسمع، فمن قضيت له من حق اخيه شيىا، فلا ياخذ، فانما اقطع له قطعة من النار ‏"‏‏.‏


Narrated Um Salama:

The Prophet (ﷺ) said, "I am only a human being, and you people have disputes. May be some one amongst you can present his case in a more eloquent and convincing manner than the other, and I give my judgment in his favor according to what I hear. Beware! If ever I give (by error) somebody something of his brother's right then he should not take it as I have only, given him a piece of Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৭

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৪. বিয়ে

৬৪৯৭। মুসলিম ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কুমারী নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কিরূপে? তিনি বললেনঃ যখন সে নীরব থাকে। কোন কোন লোক বলেন, যদি কুমারীর অনুমতি নেয়া না হয় এবং তাকে বিয়ে দেয়া না হয়। অতঃপর কোন ব্যাক্তি কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দু’জন মিথ্যা সাক্ষী এ মর্মে দাঁড় করায় যে, ঐ ব্যাক্তি উক্ত মহিলাকে তার সম্মতি নিয়ে বিয়ে করেছে এবং বিচারকও তার বিয়ে বলবৎ করে দেন, অথচ স্বামী পরিজ্ঞাত যে, স্বাক্ষীটি মিথ্যা, তখন তার জন্য উক্ত মহিলার সাথে সহবাস করতে কোন আপত্তি নেই এবং এটি শুদ্ধ বিয়েতে পরিণত হবে।

باب فِي النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ، وَلاَ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ ‏"‏‏.‏ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ ‏"‏ إِذَا سَكَتَتْ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنْ لَمْ تُسْتَأْذَنِ الْبِكْرُ وَلَمْ تَزَوَّجْ‏.‏ فَاحْتَالَ رَجُلٌ فَأَقَامَ شَاهِدَىْ زُورٍ أَنَّهُ تَزَوَّجَهَا بِرِضَاهَا، فَأَثْبَتَ الْقَاضِي نِكَاحَهَا، وَالزَّوْجُ يَعْلَمُ أَنَّ الشَّهَادَةَ بَاطِلَةٌ، فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَطَأَهَا، وَهْوَ تَزْوِيجٌ صَحِيحٌ‏.‏

حدثنا مسلم بن ابراهيم، حدثنا هشام، حدثنا يحيى بن ابي كثير، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا تنكح البكر حتى تستاذن، ولا الثيب حتى تستامر ‏"‏‏.‏ فقيل يا رسول الله كيف اذنها قال ‏"‏ اذا سكتت ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس ان لم تستاذن البكر ولم تزوج‏.‏ فاحتال رجل فاقام شاهدى زور انه تزوجها برضاها، فاثبت القاضي نكاحها، والزوج يعلم ان الشهادة باطلة، فلا باس ان يطاها، وهو تزويج صحيح‏.‏


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "A virgin should not be married till she is asked for her consent; and the matron should not be married till she is asked whether she agrees to marry or not." It was asked, "O Allah's Apostle! How will she (the virgin) express her consent?" He said, "By keeping silent." Some people said that if a virgin is not asked for her consent and she is not married, and then a man, by playing a trick presents two false witnesses that he has married her with her consent and the judge confirms his marriage as a true one, and the husband knows that the witnesses were false ones, then there is no harm for him to consummate his marriage with her and the marriage is regarded as valid.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৮

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৪. বিয়ে

৬৪৯৮। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... কাসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, জাফর (রাঃ) এর বংশের জনৈকা মহিলা আশঙ্কা পোষণ করল যে, তার অভিভাবকরা তার অসম্মতিতে বিয়ে দিতে যাচ্ছে তাই সে আনসারী দু’জন মুরব্বী জারিয়ার দুই পুত্র আবদুর রহমান (রাঃ) ও মুজাম্মি (রাঃ) কে এ কথা বলে পাঠাল। তারা বললেন, তোমার ভয়ের কারণ নেই। কেননা, খানসা বিনত খিযাম (রাঃ) কে তার পিতা তার অসম্মতিতে বিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিয়ে রদ (বাতিল) করে দেন। সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন যে, আমি আবদুর রহমান (রহঃ) কে তাঁর পিতা থেকে إِنَّ خَنْسَاءَ বলতে শুনেছি।

باب فِي النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، أَنَّ امْرَأَةً، مِنْ وَلَدِ جَعْفَرٍ تَخَوَّفَتْ أَنْ يُزَوِّجَهَا وَلِيُّهَا وَهْىَ كَارِهَةٌ فَأَرْسَلَتْ إِلَى شَيْخَيْنِ مِنَ الأَنْصَارِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمُجَمِّعٍ ابْنَىْ جَارِيَةَ قَالاَ فَلاَ تَخْشَيْنَ، فَإِنَّ خَنْسَاءَ بِنْتَ خِذَامٍ أَنْكَحَهَا أَبُوهَا وَهْىَ كَارِهَةٌ، فَرَدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ وَأَمَّا عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ عَنْ أَبِيهِ إِنَّ خَنْسَاءَ‏.‏

حدثنا علي بن عبد الله، حدثنا سفيان، حدثنا يحيى بن سعيد، عن القاسم، ان امراة، من ولد جعفر تخوفت ان يزوجها وليها وهى كارهة فارسلت الى شيخين من الانصار عبد الرحمن ومجمع ابنى جارية قالا فلا تخشين، فان خنساء بنت خذام انكحها ابوها وهى كارهة، فرد النبي صلى الله عليه وسلم ذلك‏.‏ قال سفيان واما عبد الرحمن فسمعته يقول عن ابيه ان خنساء‏.‏


Narrated Al-Qasim:

A woman from the offspring of Ja`far was afraid lest her guardian marry her (to somebody) against her will. So she sent for two elderly men from the Ansar, `AbdurRahman and Mujammi', the two sons of Jariya, and they said to her, "Don't be afraid, for Khansa' bint Khidam was given by her father in marriage against her will, then the Prophet (ﷺ) cancelled that marriage."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৪৯৯

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৪. বিয়ে

৬৪৯৯। আবূ নু’আযম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিধবাকে তার মতামত ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। তারা বললেন, তার অনুমতি কি রূপে? তিনি বললেনঃ তার নীরব থাকা। কেউ কেউ বলেন, যদি কোন লোক কোন বিধবা নারীর মতানুসারে বিয়ে সম্পাদনের ওপর দু’জন মিথ্যা স্বাক্ষীর মাধ্যমে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে। আর বিচারকও তাদের এ বিয়েকে বলবৎ করে দেন। অথচ স্বামী পরিজ্ঞাত যে, সে তাকে এর পূর্বে বিয়ে করেনি। তাহলে তার জন্য এ বিয়ে বৈধ ও কার্যকর হয়ে যাবে এবং তার জন্য উক্ত মহিলার সাথে বৈবাহিক জীবন যাপনে কোন বাধা নেই।

باب فِي النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ، وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ ‏"‏‏.‏ قَالُوا كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ ‏"‏ أَنْ تَسْكُتَ ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنِ احْتَالَ إِنْسَانٌ بِشَاهِدَىْ زُورٍ عَلَى تَزْوِيجِ امْرَأَةٍ ثَيِّبٍ بِأَمْرِهَا، فَأَثْبَتَ الْقَاضِي نِكَاحَهَا إِيَّاهُ، وَالزَّوْجُ يَعْلَمُ أَنَّهُ لَمْ يَتَزَوَّجْهَا قَطُّ، فَإِنَّهُ يَسَعُهُ هَذَا النِّكَاحُ، وَلاَ بَأْسَ بِالْمُقَامِ لَهُ مَعَهَا‏.‏

حدثنا ابو نعيم، حدثنا شيبان، عن يحيى، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا تنكح الايم حتى تستامر، ولا تنكح البكر حتى تستاذن ‏"‏‏.‏ قالوا كيف اذنها قال ‏"‏ ان تسكت ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس ان احتال انسان بشاهدى زور على تزويج امراة ثيب بامرها، فاثبت القاضي نكاحها اياه، والزوج يعلم انه لم يتزوجها قط، فانه يسعه هذا النكاح، ولا باس بالمقام له معها‏.‏


Narrated Abu Haraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "A lady slave should not be given in marriage until she is consulted, and a virgin should not be given in marriage until her permission is granted." The people said, "How will she express her permission?" The Prophet (ﷺ) said, "By keeping silent (when asked her consent)." Some people said, "If a man, by playing a trick, presents two false witnesses before the judge to testify that he has married a matron with her consent and the judge confirms his marriage, and the husband is sure that he has never married her (before), then such a marriage will be considered as a legal one and he may live with her as husband."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৫০০

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৪. বিয়ে

৬৫০০। আবূ আসিম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুমারীর অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। আমি বললাম, কুমারী তো লজ্জাবোধ করবে। তিনি বললেনঃ তবে অনুমতি হল তার নীরবতা। কেউ কেউ বলেন, যদি কোন ইয়াতীম বাঁদী অথবা কোন কুমারী কারো পছন্দ হয়। কিন্তু সে অসম্মতি জানায়, তখন ঐ ব্যাক্তি কৌশলের আশ্রয় নিয়ে দু’জন মিথ্যা সাক্ষ্য এ মর্মে পেশ করে যে, সে তাকে বিয়ে করেছে এবং সে প্রাপ্ত বয়স্কা হবার পর সম্মতি জ্ঞাপন করেছে। আর বিচারকও মিথ্যা সাক্ষ্য কবুল করে নেন। অথচ স্বামী তা মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে অবগত। এ ক্ষেত্রে তার জন্য সহবাস করা বৈধ হয়ে যায়।

باب فِي النِّكَاحِ

حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ إِنَّ الْبِكْرَ تَسْتَحْيِي قَالَ ‏"‏ إِذْنُهَا صُمَاتُهَا ‏"‏‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنْ هَوِيَ رَجُلٌ جَارِيَةً يَتِيمَةً أَوْ بِكْرًا، فَأَبَتْ فَاحْتَالَ فَجَاءَ بِشَاهِدَىْ زُورٍ عَلَى أَنَّهُ تَزَوَّجَهَا، فَأَدْرَكَتْ فَرَضِيَتِ الْيَتِيمَةُ، فَقَبِلَ الْقَاضِي شَهَادَةَ الزُّورِ، وَالزَّوْجُ يَعْلَمُ بِبُطْلاَنِ ذَلِكَ، حَلَّ لَهُ الْوَطْءُ‏.‏

حدثنا ابو عاصم، عن ابن جريج، عن ابن ابي مليكة، عن ذكوان، عن عاىشة ـ رضى الله عنها ـ قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ البكر تستاذن ‏"‏‏.‏ قلت ان البكر تستحيي قال ‏"‏ اذنها صماتها ‏"‏‏.‏ وقال بعض الناس ان هوي رجل جارية يتيمة او بكرا، فابت فاحتال فجاء بشاهدى زور على انه تزوجها، فادركت فرضيت اليتيمة، فقبل القاضي شهادة الزور، والزوج يعلم ببطلان ذلك، حل له الوطء‏.‏


Narrated `Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "It is essential to have the consent of a virgin (for the marriage). I said, "A virgin feels shy." The Prophet; said, "Her silence means her consent." Some people said, "If a man falls in love with an orphan slave girl or a virgin and she refuses (him) and then he makes a trick by bringing two false witnesses to testify that he has married her, and then she attains the age of puberty and agrees to marry him and the judge accepts the false witness and the husband knows that the witnesses were false ones, he may consummate his marriage."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৫০১

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৫. কোন মহিলার জন্য স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে কৌশল করা অপছন্দনীয় এবং এ ক্ষেত্রে নবী (সাঃ) এর ওপর যা নাযিল হয়েছে

৬৫০১। উবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন এবং যখন আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিতেন তখন তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে ঘুরে বেড়াতেন এবং তাঁদের কাছে উপস্থিত হতেন। একদা তিনি হাফসা (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং সাধারণত যত সময় তাঁর কাছে অবস্থান করতেন এর চেয়ে অধিক সময় তাঁর কাছে অবস্থান করলেন। তাই আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তখন আমাকে বলা হল যে, তার স্বগোত্রীয় এক মহিলা এক কৌটা মধু হাদিয়া পাঠিয়েছে। এ থেকে তিনি আল্লাহর রাসূলকে কিছু পান করিয়েছেন। আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্যই একটা কৌশল অবলম্বন করব।

এরপর আমি এ ব্যাপারে সাওদা (রাঃ) এর সাথে আলোচনা করলাম। আমি বললাম, যখন তিনি তোমার ঘরে আসবেন, তখন তিনি অবশ্যই তোমার সন্নিকটে যাবেন। এ সময় তুমি তাঁকে বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি অবশ্য না-ই বলবেন। তখন তুমি বলবে, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাঁর থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাওয়াটা খুবই গুরুতর মনে হত। তখণ তিনি বলবেনঃ হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তখন তুমি তাঁকে বলবে, তাহলে ঐ মধুর পোকা “উরফুত” গাছের রস আহরণ করেছে। আর আমিও একই কথা বলব। হে সাফিয়া! তুমিও তাঁকে এ কথা বলবে।

যখন তিনি সাওদা (রাঃ) এর ঘরে এলেন, তখন সাওদা (রাঃ) বললেন, কসম ঐ সত্তার, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। যখনই তিনি দরজার কাছে এলেন তখনই আমি তোমার ভয়ে তোমার শিখানো কথাগুলো বলতে উদ্যত হলাম। এরপর তিনি যখন সন্নিকটে এলন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি ’মাগাফীর’ খেয়েছেন। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? তিনি বললেন, হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। আমি বললাম, তাহলে এ মধুর পোকা “উরফুত” (বৃক্ষের) রস আহরণ করেছে।

আয়িশা (রাঃ) বললেন, এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমার ঘরে এলেন, তখন আমিও তাঁকে অনুরূপ কথা বললাম। এরপর তিনি সাফিয়া (রাঃ) এর ঘরে গেলেন, সেও তাঁকে অনুরূপ কথা বলল। পুনরায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হাফসা (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে মধু পান করতে দিব কি? তিনি বললেনঃ এর কোন প্রয়োজন নেই। আয়িশা (রাঃ) বলেন, সাওদা (রাঃ) বললঃ সুবহানাল্লাহ্! আমরা তা হারাম করে দিলাম। আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি সাওদা (রাঃ) কে বললামঃ চুপ কর।

باب مَا يُكْرَهُ مِنِ احْتِيَالِ الْمَرْأَةِ مَعَ الزَّوْجِ وَالضَّرَائِرِ وَمَا نَزَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ، وَيُحِبُّ الْعَسَلَ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ أَجَازَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ، فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ، فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ، فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لِي أَهْدَتِ امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةَ عَسَلٍ، فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ شَرْبَةً‏.‏ فَقُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ قُلْتُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ فَقُولِي لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لاَ‏.‏ فَقُولِي لَهُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ تُوجَدُ مِنْهُ الرِّيحُ، فَإِنَّهُ سَيَقُولُ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ‏.‏ فَقُولِي لَهُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ‏.‏ وَسَأَقُولُ ذَلِكَ، وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ، قُلْتُ تَقُولُ سَوْدَةُ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِرَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي، وَإِنَّهُ لَعَلَى الْبَابِ فَرَقًا مِنْكِ، فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ قَالَ ‏"‏ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَىَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ‏.‏ وَدَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ قَالَ ‏"‏ لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ ‏"‏‏.‏ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لَهَا اسْكُتِي‏.‏

حدثنا عبيد بن اسماعيل، حدثنا ابو اسامة، عن هشام، عن ابيه، عن عاىشة، قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحب الحلواء، ويحب العسل، وكان اذا صلى العصر اجاز على نساىه فيدنو منهن، فدخل على حفصة، فاحتبس عندها اكثر مما كان يحتبس، فسالت عن ذلك فقيل لي اهدت امراة من قومها عكة عسل، فسقت رسول الله صلى الله عليه وسلم منه شربة‏.‏ فقلت اما والله لنحتالن له‏.‏ فذكرت ذلك لسودة قلت اذا دخل عليك فانه سيدنو منك فقولي له يا رسول الله اكلت مغافير فانه سيقول لا‏.‏ فقولي له ما هذه الريح وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يشتد عليه ان توجد منه الريح، فانه سيقول سقتني حفصة شربة عسل‏.‏ فقولي له جرست نحله العرفط‏.‏ وساقول ذلك، وقوليه انت يا صفية‏.‏ فلما دخل على سودة، قلت تقول سودة والذي لا اله الا هو لقد كدت ان ابادره بالذي قلت لي، وانه لعلى الباب فرقا منك، فلما دنا رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت يا رسول الله اكلت مغافير قال ‏"‏ لا ‏"‏‏.‏ قلت فما هذه الريح قال ‏"‏ سقتني حفصة شربة عسل ‏"‏‏.‏ قلت جرست نحله العرفط‏.‏ فلما دخل على قلت له مثل ذلك‏.‏ ودخل على صفية فقالت له مثل ذلك‏.‏ فلما دخل على حفصة قالت له يا رسول الله الا اسقيك منه قال ‏"‏ لا حاجة لي به ‏"‏‏.‏ قالت تقول سودة سبحان الله لقد حرمناه‏.‏ قالت قلت لها اسكتي‏.‏


Narrated `Aisha:

Allah's Messenger (ﷺ) used to like sweets and also used to like honey, and whenever he finished the `Asr prayer, he used to visit his wives and stay with them. Once he visited Hafsa and remained with her longer than the period he used to stay, so I enquired about it. It was said to me, "A woman from her tribe gave her a leather skin containing honey as a present, and she gave some of it to Allah's Messenger (ﷺ) to drink." I said, "By Allah, we will play a trick on him." So I mentioned the story to Sauda (the wife of the Prophet) and said to her, "When he enters upon you, he will come near to you whereupon you should say to him, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Have you eaten Maghafir?' He will say, 'No.' Then you say to him, 'What is this bad smell? ' And it would be very hard on Allah's Messenger (ﷺ) that a bad smell should be found on his body. He will say, 'Hafsa has given me a drink of honey.' Then you should say to him, 'Its bees must have sucked from the Al-`Urfut (a foul smelling flower).' I too, will tell him the same. And you, O Saifya, say the same." So when the Prophet (ﷺ) entered upon Sauda (the following happened). Sauda said, "By Him except Whom none has the right to be worshipped, I was about to say to him what you had told me to say while he was still at the gate because of fear from you. But when Allah 's Apostle came near to me, I said to him, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Have you eaten Maghafir?' He replied, 'No.' I said, 'What about this smell?' He said, 'Hafsa has given me a drink of honey.' I said, 'Its bees must have sucked Al-`Urfut.' " When he entered upon me, I told him the same as that, and when he entered upon Safiya, she too told him the same. So when he visited Hafsa again, she said to him, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Shall I give you a drink of it (honey)?" He said, "I have no desire for it." Sauda said, Subhan Allah! We have deprived him of it (honey)." I said to her, "Be quiet!"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
৬৫০২

পরিচ্ছেদঃ ২৯২৬. প্লেগ মহামারী আক্রান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য কৌশল গ্রহণ করা নিষিদ্ধ

৬৫০২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলাম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবী’আ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) সিরিয়া অভিমুখে রওনা দিলেন। তিনি যখন ’সারাগ’ নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন তাঁর কাছে সংবাদ পৌঁছল যে, সিরিয়ায় প্লেগ মহমারী আকারে দেখা দিয়েছে। এ সময় আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) তাঁকে অবহিত করলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে শুনতে পাবে তখন তোমরা সেখানে যেও না। আর যখন কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে আর তোমরা সেখানে উপস্থিত থাক, তখন সেখান থেকে পলায়ন করে বেরিয়ে এসো না। এ কথা শুনে উমর (রাঃ) “সারাগ” থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, উমর (রাঃ) আবদুর রহমানের হাদীসের কারণে ফিরে এসেছেন।

باب مَا يُكْرَهُ مِنَ الاِحْتِيَالِ فِي الْفِرَارِ مِنَ الطَّاعُونِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ خَرَجَ إِلَى الشَّأْمِ، فَلَمَّا جَاءَ بِسَرْغَ بَلَغَهُ أَنَّ الْوَبَاءَ وَقَعَ بِالشَّأْمِ فَأَخْبَرَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا سَمِعْتُمْ بِأَرْضٍ فَلاَ تَقْدَمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلاَ تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ ‏"‏‏.‏ فَرَجَعَ عُمَرُ مِنْ سَرْغَ‏.‏ وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ عُمَرَ إِنَّمَا انْصَرَفَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ‏.‏

حدثنا عبد الله بن مسلمة، عن مالك، عن ابن شهاب، عن عبد الله بن عامر بن ربيعة، ان عمر بن الخطاب ـ رضى الله عنه ـ خرج الى الشام، فلما جاء بسرغ بلغه ان الوباء وقع بالشام فاخبره عبد الرحمن بن عوف ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا سمعتم بارض فلا تقدموا عليه، واذا وقع بارض وانتم بها فلا تخرجوا فرارا منه ‏"‏‏.‏ فرجع عمر من سرغ‏.‏ وعن ابن شهاب عن سالم بن عبد الله ان عمر انما انصرف من حديث عبد الرحمن‏.‏


Narrated `Abdullah bin 'Amir bin Rabi`a:

`Umar bin Al-Khattab left for Sham, and when he reached a placed called Sargh, he came to know that there was an outbreak of an epidemic (of plague) in Sham. Then `AbdurRahman bin `Auf told him that Allah's Messenger (ﷺ) said, "If you hear the news of an outbreak of an epidemic (plague) in a certain place, do not enter that place: and if the epidemic falls in a place while you are present in it, do not leave that place to escape from the epidemic." So `Umar returned from Sargh.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৭৯/ কূটকৌশল (كتاب الحيل) 79/ Tricks
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »