তরবারী (السيف) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ৯টি তরবারী ছিল। (১) মা’ছূর (مَأْثُورٌ)। যা তিনি পৈত্রিক উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন। (২) ‘আয্ব (الْعَضْبُ)। (৩) ‘যুল-ফিক্বার’ (ذُو الْفِقَارِ)। এটি তিনি ছাড়তেন না। যার বাঁট ছিল লোহার তৈরী ও রূপা দিয়ে মোড়ানো। (৪) ক্বালাঈ (الْقَلَعِيّ)। (৫) বাত্তার (الْبَتَّارُ)। (৬) হাত্ফ (الْحَتْفُ)। (৭) রাসূব (الرَّسُوبُ)। (৮) মিখযাম (الْمِخْذَمُ)। (৯) ক্বাযীব (الْقَضِيبُ)।
বর্ম (الدرع) : তাঁর বর্ম ছিল ৭টি : (১) ‘যাতুল ফুযূল’(ذَاتُ الْفُضُولِ)। লোহার তৈরী এই বর্মটি মৃত্যুর পূর্বে স্বীয় পরিবারের জন্য রাসূল (ছাঃ) জনৈক আবু শাহম (أَبو الشَّحْم) ইহূদীর নিকট ৩০ ছা‘ (৭৫ কেজি) যবের বিনিময়ে এক বছরের জন্য বন্ধক রেখেছিলেন। (২) ‘যাতুল বিশাহ’ (ذَاتُ الْوِشَاحِ)। (৩) ‘যাতুল হাওয়াশী’ (ذَاتُ الْحَوَاشِي)। (৪) সা‘দিয়াহ (السَّعْدِيَّةُ)। (৫) ফিযযাহ (فِضَّةٌ)। (৬) বাতরা (الْبَتْرَاءُ)। (৭) খিরনিক্ব (الْخِرْنِقُ)। (যাদুল মা‘আদ ১/১২৬)।
এতদ্ব্যতীত তাঁর (১) তীরের নাম ছিল ‘সাদাদ’ (السَّدَادُ)। (২) শরাধারের নাম ছিল ‘আল-জাম‘উ’ (الْجَمْعُ)। (৩) বর্শার নাম ছিল ‘সাগা’ (السَّغَاء)। (৪) তাঁর শিরস্ত্রানের নাম ছিল ‘যাক্বান’ (الذَّقَنُ)। (৫) ঢালের নাম ছিল ‘মূজেয’ (الْمُوجِزُ)।[1]
ব্যবহৃত বস্ত্তসমূহের বিষয় পর্যালোচনা (الملاحظة فى أثاثه المسةعملة) :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ব্যবহৃত বস্ত্তসমূহকে বরকতের বস্ত্ত হিসাবে পূজা করার কোনরূপ নির্দেশনা শরী‘আতে নেই। তেমন কিছু থাকলে ছাহাবায়ে কেরাম নিজেরাই সেগুলি সংরক্ষণ করতেন। বরং এর বিপরীত তাঁর ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে এবং তাঁর কবরে পূজা করতে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।[2] তাঁর ব্যবহৃত পোষাক, জুতা এমনকি তাঁর চুল ইত্যাদি নিয়ে মুসলিম বিশ্বের কোন কোন অঞ্চলে যেভাবে অতি ভক্তি দেখানো হয়, এমনকি অনেক স্থানে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও যুদ্ধ-বিগ্রহ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলি স্রেফ বাড়াবাড়ি বৈ কিছুই নয়।
[2]. বুখারী হা/৩৪৪৫, ১৩৯০; মুওয়াত্ত্বা হা/৫৯৩; মিশকাত হা/৭৫০।