১। সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। উভয়ের মধ্যে আপোষের কোন সুযোগ নেই। অবশেষে মিথ্যা পরাভূত হয়।
২। সত্যসেবীগণের সাথে আল্লাহ থাকেন। যখন তিনি তাদের দুনিয়াবী বিজয় দান করতে ইচ্ছা করেন, তখন তার জন্য তিনি কারণ সৃষ্টি করে দেন। যেমন দশ বছরের সন্ধিচুক্তি দু’বছরের মধ্যে ভঙ্গ হয় মিথ্যার পূজারীদের হাতেই এবং তার কারণে মক্কা বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
৩। ইসলাম তার অন্তর্নিহিত ঈমানী শক্তির জোরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, অস্ত্রশক্তির জোরে নয়। সেকারণ বাহ্যিকভাবে হীনতা স্বীকার করেও আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) হোদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। যাতে শান্তির পরিবেশে ইসলাম প্রচার করা সম্ভব হয়। ফলে ইসলাম কবুলকারীর সংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধি পায় যে, হোদায়বিয়ার সাথীদের সংখ্যা যেখানে ১৪০০ ছিল, মাত্র দু’বছরের মাথায় মক্কা বিজয়ের সফরে তা বেড়ে ১০,০০০ হয়।
৪। প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে নয়, উদারতার মাধ্যমেই শত্রুকে স্থায়ীভাবে পরাভূত করা সম্ভব। মক্কা বিজয়ের পর শত্রুদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আর এটি ছিল বিশ্ব ইতিহাসে রাজনৈতিক দূরদর্শিতার এক অনন্য দলীল। এজন্যেই বলা হয় যে, মক্কা বিজয় অস্ত্রের মাধ্যমে হয়নি। বরং উদারতার মাধ্যমে হয়েছিল।
৫। সামাজিক শান্তি ও শৃংখলা প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই কেবল ইসলাম হত্যার বদলে হত্যা সমর্থন করে। নইলে ইসলামের মূলনীতি হ’ল সাধ্যপক্ষে রক্তপাত এড়িয়ে চলা।