রাসূল (ছাঃ)-এর নীতি ছিল কোথাও যুদ্ধের জন্য গেলে আগের দিন রাতে গিয়ে সেখানে অবস্থান নিতেন। অতঃপর সকালে হামলা করতেন। খায়বরের ক্ষেত্রেও তাই করলেন। তবে শিবিরের স্থান নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি পূর্ব সিদ্ধান্ত বাতিল করে অভিজ্ঞ যুদ্ধবিশারদ আনছার ছাহাবী হুবাব ইবনুল মুনযির(حُبَابُ بنُ الْمُنذِر) এর পরামর্শকে অগ্রাধিকার দিয়ে খায়বরের এত নিকটে গিয়ে শিবির সন্নিবেশ করলেন, যেখান থেকে শহর পরিষ্কার দেখা যায়। সেখানে পৌঁছে তিনি সবাইকে বললেন, তোমরা থাম। অতঃপর তিনি আল্লাহর নিকট নিম্নোক্তভাবে আকুল প্রার্থনা করলেন।-
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ، وَرَبَّ الْأَرَضِينَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ، وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضْلَلْنَ، نَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا، وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا-
‘হে আল্লাহ! তুমি সপ্ত আকাশ ও যেসবের উপরে এর ছায়া রয়েছে তার প্রভু। সপ্ত যমীন ও যা কিছু সে বহন করছে তার প্রভু। ঝঞ্ঝা-বায়ু এবং যা কিছু তা উড়িয়ে নেয়, তার প্রভু। শয়তান সমূহ ও যাদেরকে তারা পথভ্রষ্ট করেছে তাদের প্রভু। আমরা তোমার নিকটে এই জনপদের কল্যাণ, এর বাসিন্দাদের কল্যাণ ও এর মধ্যে যা কিছু আছে সবকিছুর কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আমরা তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এই জনপদের অনিষ্টতা হ’তে, এর বাসিন্দাদের অনিষ্টতা হ’তে এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর অনিষ্টতা হ’তে’।[1] অতঃপর সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বললেন,أَقْدِمُوا بِسْمِ اللهِ ‘আগে বাড়ো, আল্লাহর নামে’। অতঃপর খায়বরের সীমানায় প্রবেশ করে শিবির সন্নিবেশ করলেন।[2]
[2]. ত্বাবারাণী; হায়ছামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ হা/১৭১১৭; ইবনু হিশাম ২/৩২৯, হাদীছ ছহীহ সনদ ‘মুরসাল’ (তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ১৫৪৫)।