মদীনায় নতুন আবহাওয়ায় এসে মুহাজিরগণের অনেকে অসুখে পড়েন। আবুবকর (রাঃ) কঠিন জ্বরে কাতর হয়ে কবিতা পাঠ করেন,
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِى أَهْلِهِ + وَالْمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
‘প্রত্যেক মানুষকে তার পরিবারে ‘সুপ্রভাত’ বলে সম্ভাষণ জানানো হয়। অথচ মৃত্যু সর্বদা জুতার ফিতার চাইতে নিকটবর্তী’। বেলালও অনুরূপ বিলাপ করে কবিতা পাঠ করেন। হযরত আয়েশা (রাঃ) এসব কথা রাসূল (ছাঃ)-এর কাছে তুলে ধরেন। তখন তিনি আল্লাহর নিকটে দো‘আ করেন,
اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْمَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِى صَاعِنَا، وَفِى مُدِّنَا، وَصَحِّحْهَا لَنَا وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الْجُحْفَةِ-
‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের নিকটে মদীনাকে প্রিয় করে দাও, যেমন মক্কা আমাদের প্রিয় ছিল; বরং তার চাইতে বেশী। এখানকার খাদ্য-শস্যে বরকত দাও এবং মদীনাকে স্বাস্থ্যকর করে দাও এবং এর জ্বরসমূহকে (দূরে) জোহফায় সরিয়ে দাও’।[1] ফলে আল্লাহর ইচ্ছায় মদীনার অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এবং সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরী হয়।