জমাদিউল আউয়াল (জুমাদা আল-উলা) মাসের কোনোরূপ বৈশিষ্ট্য, ফযীলত বা এ মাসের কোনো বিশেষ সালাত, সিয়াম, দোয়া, যিক্র বা বিশেষ কোনো আমল হাদীস শরীফে বর্ণিত হয় নি। এ বিষয়ে যা কিছু বলা হয় সবই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যেমন: ‘‘রাসূলে করীম (ﷺ) এর সাহাবীগণ এ মাসের প্রথম তারিখে দুই রাকয়াতের নিয়তে মোট ২০ রাকয়া’ত নামায আদায় করিতেন এবং ইহার প্রত্যেক রাকয়া'তে সূরা ফাতিহার পরে একবার করিয়া সূরা ইখলাছ পাঠ করিতেন। নামাযের পরে নিম্নের দরূদ শরীফ ১০০ বার পাঠ করিতেন। এই নামাযীর আমল নামায় অসংখ্য নেকী লিখা হইবে এবং তাহার সমস্ত নেক নিয়ত পূর্ণ করা হইবে। ...কোন ব্যক্তি এই মাসের প্রথম তারিখে দিনের বেলা দুই রাকয়া'তের নিয়তে মোট ৮ রাকয়া’ত নামায আদায় করিলে এবং উহার প্রত্যেক রাকয়া'তে ১১ বার করিয়া সূরা ইখলাস পাঠ করিলে..।’’[1] এ জাতীয় অনেক আজগুবি, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা আমাদের দেশে প্রচলিত ‘বার চাঁদের ফযীলত’ ও এই ধরনের পুস্তকাদিতে পাওয়া যায়।