উক্ত কাজ সুন্নাত বিরোধী। ইমাম খুৎবা দিলেও দুই রাক‘আত সুন্নাত ছালাত পড়ে বসতে হবে। নিষেধের পক্ষে যে হাদীছ প্রচার করা হয় তা মিথ্যা।
(أ) عَنْ عَلِىٍّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ لاَتُصَلُّوْا وَ الْإِمَامُ يَخْطُبُ.
(ক) আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছ) বলেন, ইমাম খুৎবা দেওয়া অবস্থায় তোমরা ছালাত আদায় কর না।[1]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। তাছাড়া ছহীহ হাদীছের সরাসরি বিরোধী।[2] অন্য বর্ণনায় এসেছে,
(ب) عَنِ ابْنِ عُمَرَ إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ وَالْإِمَامُ عَلَى الْمِنْبَرِ فَلاَ صَلاَةَ وَلاَ كَلاَمَ حَتَّى يَفْرُغَ الْإِمَامُ.
(খ) ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি যে, ইমাম খুৎবা দেওয়া অবস্থায় তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন ইমাম খুৎবা শেষ করা পর্যন্ত কোন ছালাত নেইও কোন কথাও নেই।[3]
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি বাতিল। শায়খ আলবানী বলেন, وَإِنَّمَا حَكَمْتُ عَلَى الْحَدِيْثِ بِالْبُطْلاَنِ لِأَنَّهُ مَعَ ضَعْفِ سَنَدِهِ يُخَالِفُ حَدِيْثَيْنِ صَحِيْحَيْنِ. ‘আমি এই হাদীছের উপর বাতিল হওয়ার হুকুম আরোপ করেছি। কারণ এর সনদ যঈফ হওয়ার পাশাপাশি দুইটি ছহীহ হাদীছের বিরোধী’। [4]
[2]. তানক্বীহুল কালাম, পৃঃ ৪৩৩।
[3]. মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/১৮৪ পৃঃ।
[4]. সিলসিলা যঈফাহ ১/১৯৯-২০১ পৃঃ, হা/৮৭।