জাল হাদীছের কবলে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাত ছালাতের পদ্ধতি মুযাফফর বিন মুহসিন
(২৮) ফজর ও মাগরিবের পর যিকির করা
(২৮) ফজর ও মাগরিবের পর যিকির করা :
অনেক মসজিদে একশ্রেণীর মানুষ ফজর ও মাগরিবের ছালাতের পর গোল হয়ে বসে যিকির করে থাকে। উক্ত যিকিরের শব্দগুলোও বানোয়াট। উচ্চৈঃস্বরে যিকিরের কারণে এটা রিয়াতে পরিণত হয়েছে। ভাবখানা দেখে মনে হয় যে, তারা চিৎকার করে আল্লাহকে আসমান থেকে টেনে নামাবে। এ ধরনের যিকির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাকবে বিনীতভাবে ও অতি সংগোপনে। তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পসন্দ করেন না’ (আ‘রাফ ৫৫)। অন্য আয়াতে বলেন, ‘আপনি আপনার প্রতিপালককে মনে মনে বিনয় ও ভয়-ভীতি সহকারে নীরবে সকাল-সন্ধ্যায় স্মরণ করুন’ (আ‘রাফ ২০৫)। রাসূল (ছাঃ) সরবে যিকির করতে নিষেধ করেছেন।[1] উক্ত যিকিরপন্থীরা শেষে লম্বা মুনাজাত করে বিদায় নেয়। এটাও একটি বিদ‘আতী আমল। শরী‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) এ ধরনের লোকদেরকেই ধমক দিয়েছিলেন।[2]
[1]. বুখারী হা/২৯৯২, ১/৪২০ পৃঃ, (ইফাবা হা/২৭৮৪, ৫/২২২ পৃঃ), ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৩১; মুসলিম হা/৭০৭৩; মিশকাত হা/২৩০৩, পৃঃ ২০১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/২১৯৫, ৫/৮৭ পৃঃ, ‘দু‘আ সমূহ’ অধ্যায়, ‘সুবহা-নাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ’ বলার ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ।
[2]. رَأَيْتُ فِى الْمَسْجِدِ قَوْماً حِلَقاً جُلُوساً يَنْتَظِرُونَ الصَّلاَةَ فِى كُلِّ حَلْقَةٍ رَجُلٌ وَفِى أَيْدِيهِمْ حَصًى فَيَقُولُ كَبِّرُوا مِائَةً فَيُكَبِّرُونَ مِائَةً فَيَقُولُ هَلِّلُوا مِائَةً فَيُهَلِّلُونَ مِائَةً وَيَقُولُ سَبِّحُوا مِائَةً فَيُسَبِّحُونَ مِائَةً.قَالَ فَمَاذَا قُلْتَ لَهُمْ؟ قَالَ مَا قُلْتُ لَهُمْ شَيْئاً انْتِظَارَ رَأْيِكَ أَوِ انْتِظَارَ أَمْرِكَ قَالَ أَفَلاَ أَمَرْتَهُمْ أَنْ يَعُدُّوا سَيِّئَاتِهِمْ وَضَمِنْتَ لَهُمْ أَنْ لاَ يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِهِمْ. ثُمَّ مَضَى وَمَضَيْنَا مَعَهُ حَتَّى أَتَى حَلْقَةً مِنْ تِلْكَ الْحِلَقِ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ مَا هَذَا الَّذِى أَرَاكُمْ تَصْنَعُونَ؟ قَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَصًى نَعُدُّ بِهِ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّسْبِيحَ قَالَ فَعُدُّوا سَيِّئَاتِكُمْ فَأَنَا ضَامِنٌ أَنْ لاَ يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِكُمْ شَىْءٌ وَيْحَكُمْ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا أَسْرَعَ هَلَكَتَكُمْ هَؤُلاَءِ صَحَابَةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم مُتَوَافِرُونَ وَهَذِهِ ثِيَابُهُ لَمْ تَبْلَ وَآنِيَتُهُ لَمْ تُكْسَرْ ، وَالَّذِى نَفْسِى فِى يَدِهِ إِنَّكُمْ لَعَلَى مِلَّةٍ هِىَ أَهْدَى مِنْ مِلَّةِ مُحَمَّدٍ أَوْ مُفْتَتِحِى بَابِ ضَلاَلَةٍ. -দারেমী হা/২১০।
[2]. رَأَيْتُ فِى الْمَسْجِدِ قَوْماً حِلَقاً جُلُوساً يَنْتَظِرُونَ الصَّلاَةَ فِى كُلِّ حَلْقَةٍ رَجُلٌ وَفِى أَيْدِيهِمْ حَصًى فَيَقُولُ كَبِّرُوا مِائَةً فَيُكَبِّرُونَ مِائَةً فَيَقُولُ هَلِّلُوا مِائَةً فَيُهَلِّلُونَ مِائَةً وَيَقُولُ سَبِّحُوا مِائَةً فَيُسَبِّحُونَ مِائَةً.قَالَ فَمَاذَا قُلْتَ لَهُمْ؟ قَالَ مَا قُلْتُ لَهُمْ شَيْئاً انْتِظَارَ رَأْيِكَ أَوِ انْتِظَارَ أَمْرِكَ قَالَ أَفَلاَ أَمَرْتَهُمْ أَنْ يَعُدُّوا سَيِّئَاتِهِمْ وَضَمِنْتَ لَهُمْ أَنْ لاَ يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِهِمْ. ثُمَّ مَضَى وَمَضَيْنَا مَعَهُ حَتَّى أَتَى حَلْقَةً مِنْ تِلْكَ الْحِلَقِ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ مَا هَذَا الَّذِى أَرَاكُمْ تَصْنَعُونَ؟ قَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَصًى نَعُدُّ بِهِ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّسْبِيحَ قَالَ فَعُدُّوا سَيِّئَاتِكُمْ فَأَنَا ضَامِنٌ أَنْ لاَ يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِكُمْ شَىْءٌ وَيْحَكُمْ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ مَا أَسْرَعَ هَلَكَتَكُمْ هَؤُلاَءِ صَحَابَةُ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم مُتَوَافِرُونَ وَهَذِهِ ثِيَابُهُ لَمْ تَبْلَ وَآنِيَتُهُ لَمْ تُكْسَرْ ، وَالَّذِى نَفْسِى فِى يَدِهِ إِنَّكُمْ لَعَلَى مِلَّةٍ هِىَ أَهْدَى مِنْ مِلَّةِ مُحَمَّدٍ أَوْ مُفْتَتِحِى بَابِ ضَلاَلَةٍ. -দারেমী হা/২১০।