নাস্তিকদের প্রতিরোধের উপায়

এখন থেকেই এই আন্দোলনের নতুন রূপ দেয়া দরকার। ইসলামী ঘরানার অনেক ভাইয়ের ফেসবুক আইডি আছে। নামে বেনামে কিছু likepage তৈরি করে সেগুলোকে কেন্দ্র করে সকলকে জমায়েত করতে হবে। এই পেজগুলোয় সাধারণ মানুষের প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সারাদেশের মেধাবী ছেলেদের দিয়ে এডমিন প্যানেল তৈরি করতে হবে।

আঠারোর্ধ্ব বয়সী মুসলিমকে মার্জিত অনলাইনার হতে উৎসাহিত করতে হবে। পেজগুলোয় ধর্মীয় বিষয়ের চেয়ে সামাজিক বিষয় বেশি পোস্ট দিতে হবে। সাধারণ ব্রাউজারদের সামনে নাস্তিকদের ভণ্ডামি ও আসল মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। অনেকের কাছে এই প্রস্তাবগুলো অবান্তর মনে হতে পারে। তাদের বলব, কয়েকদিন নিয়মিত সাধারণ অনলাইনার হয়ে এই পরিবেশগুলো ঘুরে দেখুন। অতপর আপনিও আমার সঙ্গে একমত হয়ে বলবেন এসব করা উচিত। অসম্ভব মনে হলেও কিছু করার নেই। ভুলে যাবেন না আরব বসন্তের সিরিয়া, লিবিয়া, মিসর এমনকি তথাকথিত শাহবাগের আন্দোলনের ডাকও কিন্তু অনলাইনেই দেয়া হয়েছে।

সংক্ষেপে বলা যায়, প্রথম কাজ হবে নাস্তিকদের কুকীর্তি জাতির সামনে প্রকাশ করা, দ্বিতীয় কাজ তালিকা করে ওই সব কুলাঙ্গারের ব্লগ বাতিলের জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দেওয়া, তৃতীয় কাজ ইসলামী ব্লগ তৈরি করা এবং চতুর্থ কাজ আগামী তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে সতর্কতার সঙ্গে ওই খারাপ ব্লগগুলো থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা করা।

এ ক্ষেত্রে সবচে বেশি মনোযোগ দিতে হবে শিক্ষকতা ও মিডিয়ার প্রতি। কারণ, এ দুই পেশায় যুক্ত হয়েই বামধারার লোকেরা তাদের শিক্ষা ও চিন্তা-চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন। জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ইসলামবিরোধী নাস্তিক্যবাদী চিন্তাধারায় প্রভাবিত ও আচ্ছন্ন করেছেন। মেধাবী ইসলামপ্রিয় শিক্ষানুরাগী লোকদের আজ ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এ দুই পেশায়। আমরা যত দেরি করব, তত বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে। অতিসত্ত্বর আমাদের এদিকে মনোযোগী হতে হবে।