লগইন করুন
প্রতিটি মুসলিমের জন্য উচিৎ হলো, এ মহান মাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ইবাদাত করা। যেমন, বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, কুরআনে বর্ণিত নিদর্শনসমূহে চিন্তা-ফিকির করা এবং কুরআন বুঝার চেষ্টা করা, তাসবীহ, (সুবহানাল্লাহ) তাহমীদ, (আল-হামদুলিল্লাহ) তাকবীর, (আল্লাহু আকবার) ও তাহলীল (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বেশি বেশি আদায় করা, তাওবা-ইস্তেগফার করা, মানুষকে ইসলামের প্রতি দা‘ওয়াত দেওয়া, ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজ হতে বারণ করা, গরীব, মিসকীন ও অসহায় মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা, মাতা-পিতার সাথে ভালো ব্যবহার করা, আত্মীয়তার বন্ধনকে অটুট রাখা, প্রতিবেশীকে সম্মান করা, অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া ইত্যাদি। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বে উল্লিখিত হাদীসে বলেন,
«ينطر الله الى تنافسكم فيه فيباهي بكم ملا ئكته فأروا الله من أنفسكم خيرا فإن الشقي من حرم فيه رحمة الله»
“আল্লাহ তা‘আলা এ মাসে তোমাদের প্রতিযোগিতার প্রতি লক্ষ্য করেন। তারপর তিনি তার ফিরিশতাদের মধ্যে তোমাদের নিয়ে গর্ব করেন। সুতরাং তোমরা তোমাদের নিজেদের থেকে আল্লাহর জন্য ভালো ও নেক আমলসমূহ তুলে ধর। কারণ, হতভাগা সেই ব্যক্তি যে এ মাসে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হয়”।[1]
অন্য হাদীসে আরও বলেন,
«مَنْ تَقَرَّبَ فِيهِ بِخَصْلَةٍ مِنَ الْخَيْرِ كَانَ كَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ، وَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيهِ كَانَ كَمَنْ أَدَّى سَبْعِينَ فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ»
“যে ব্যক্তি এ মাসে কোনো নেক আমল করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করল। আর যে একটি ফরয আদায় করল, সে যেন সত্তরটি ফরয আদায় করল”।[2]
«أَنَّ عُمْرَةً فِي رَمَضَانَ تَعْدِلُ حَجَّةً» أَوْ «حَجَّةً مَعِي»
“রমযানে উমরা পালন করা হজের সমান” অথবা তিনি বলেন, “আমার সাথে হজ করার সমান”।[3] এ মহান মাসে বিভিন্ন ধরনের নেক আমলের প্রতি মনোযোগী ও প্রতিযোগী হওয়ার হাদীস ও সাহাবীগণের বর্ণনা অসংখ্য। আল্লাহর নিকট আমাদের কামনা আল্লাহ তা‘আলা যেন, আমাদেরকে এবং সমগ্র মুসলিম জাতিকে এমন সব আমল করার তাওফীক দেন, যাতে রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মর্জি। আল্লাহ তা‘আলা যেন আমাদের সিয়াম ও কিয়ামকে কবুল করেন, আমাদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অবস্থাকে সংশোধন করে দেন আর আমাদের সকলকে যাবতীয় ফিতনা থেকে হিফাযত করেন। অনুরূপভাবে আমাদের কামনা , তিনি যেন আমাদের নেতৃত্বদানকারীদের সংশোধন করে দেন, হকের ওপর তাদের একত্র করেন। তিনিই এ সবের সত্যিকার অভিভাবক এবং সবকিছুর ওপর ক্ষমতাশীল।
>[2] বাইহাকী, শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৩৩৬
[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৬৩