লগইন করুন
চার ধরনের মালের মধ্যে যাকাত ওয়াজিব হয়:
এক- যমীন থেকে উৎপাদিত ফসল।
দুই- চতুষ্পদ জন্তু।
তিন- স্বর্ণ- রৌপ্য।
চার- ব্যবসায়িক মালামাল বা পণ্য।
উল্লিখিত চার শ্রেণির সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য নির্ধারিত একটি পরিমাণ রয়েছে, তার কম হলে তাতে যাকাত ওয়াজিব হয় না। ফল ও উৎপাদিত ফসলের যাকাতের নিসাব, পাঁচ ওসক। আর এক ওসকের পরিমাণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সা‘ দ্বারা ষাট সা‘। ফলে খেজুর কিসমিস, গম, ভুট্টা ও চাউল ইত্যাদির মধ্যে যাকাতের নিসাব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সা‘ দ্বারা তিনশত সা‘। এক সা‘-এর পরিমাণ হলো, একজন মাধ্যম আকৃতির লোকের দুই হাত ভর্তি চার কোষ। তাতে যাকাতের পরিমাণ হলো, এক-দশমাংশ যদি এ ফসল উৎপাদনে পানি সেচ দেওয়ার জন্য তার কোনো কষ্ট করতে হয় নি। যেমন, বৃষ্টির পানি, নদী, বন্যা বা নালার পানি দ্বারা ফসল চাষ করেছে। আর যদি টাকা খরচা করে, সেচে পানি, ডিপ মেশিন নলকূপ ইত্যাদি পানি দিয়ে থাকে তখন তার মধ্যে এক-দশমাংশের অর্ধেক যাকাত দিতে হবে। যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট হাদীস বর্ণিত।
উট, গরু, ছাগল ইত্যাদির চতুষ্পদ জন্তুর নিসাবের বিস্তারিত আলোচনা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে। যাদের সক্ষমতা রয়েছে এমন আগ্রহীদের জন্য জরুরি হলো, তারা যেন জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা করে যাকাতের জরুরি বিধানগুলো জেনে নেয়। যদি এ রিসালাটি সংক্ষিপ্ত করার ইচ্ছা না থাকত, তাহলে মানুষের উপকারের প্রতি লক্ষ্য রেখে তা বিস্তারিত আলোচনা করতাম।
আর রূপার নিসাব হলো, একশ চল্লিশ মিসকাল। এর পরিমাণ সৌদি আরবের মুদ্রা অনুযায়ী পঁয়ষট্টি রিয়াল।
আর স্বর্ণের নিসাব বিশ মিসকাল। বিশ মিসকাল সমান বিরানব্বই গ্রাম।
আর যারা এ পরিমাণ স্বর্ণ, চাঁদি অথবা যে কোনো একটির মালিক হবে এবং তার ওপর এক বছর অতিবাহিত হবে, তাদেরকে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাত হিসেবে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। লভ্যাংশ সাধারণত মূল সম্পদেরই অংশ, তাই তার ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়ার কোনো দরকার নেই। যেমনিভাবে জন্তুর ক্ষেত্রে মূল সম্পদের ওপর বছর অতিবাহিত হলে এবং মূল জন্তু নিসাব পরিমাণ হলে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য তার থেকে উৎপন্ন বাচ্চাদের ওপর বছর অতিবাহিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
স্বর্ণ, চাঁদি ও নগদ অর্থ যা বর্তমানে মানুষ বিভিন্ন নামে যেমন, ডলার, রিয়াল, টাকা ও রুপি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে, যখন তা স্বর্ণ বা চাঁদির মূল্য সমপরিমাণ হয় এবং তার ওপর বছর অতিবাহিত হয়, তখন তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে।