লগইন করুন
যাকাতের উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো, যাকাত ধনী ও গরীবের মধ্যে ভালোবাসার সেতু বন্ধনকে সু-দৃঢ় ও মজবুত করে। কারণ, সাধারণত মানুষের স্বভাব হলো, যে তার প্রতি দয়া করে, তাকেই সে মহব্বত করে, ভালোবাসে।
যাকাতের আরেকটি উপকারিতা হলো, যাকাত আত্মাকে পাক-পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করে। যাকাত দেওয়ার মাধ্যমে কৃপণতার মতো ঘৃণিত চরিত্র থেকে দূরে থাকা যায়। যেমনটি কুরআনে করীম যাকাতের এ অর্থের দিক ইঙ্গিত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ١٠٣﴾ [التوبة: ١٠٣]
“তাদের সম্পদ থেকে সদাকা নাও। এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবে। আর তাদের জন্য দো‘আ কর, নিশ্চয় তোমার দো‘আ তাদের জন্য প্রশান্তিকর। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ১০৩]
যাকাতের আরেকটি উপকারিতা হলো, অভাবগ্রস্ত ও হত-দরিদ্র জন গোষ্ঠীর প্রতি দয়া, অনুগ্রহ ও সহানুভূতি করতে একজন মুসলিমকে অভ্যস্ত ও যোগ্য করে গড়ে তোলে।
যাকাতের আরেকটি উপকারিতা হলো, যাকাত দেওয়ার কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত লাভ, সম্পদ বৃদ্ধি ও প্রতিদান অর্জন হওয়া। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن شَيۡءٖ فَهُوَ يُخۡلِفُهُۥۖ وَهُوَ خَيۡرُ ٱلرَّٰزِقِينَ ٣٩﴾ [سبا: ٣٩]
“আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিযিকদাতা”। [সূরা সাবা, আয়াত: ৩৯]
বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হাদীসে কুদসীতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
«يَا ابْنَ آدَمَ أَنْفِقْ أُنْفِقْ عَلَيْكَ»
“হে আদম সন্তান, তোমরা খরচ কর, আমি তোমাদের ওপর খরচ করব”।[1] এ ছাড়াও যাকাতের অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে।