লগইন করুন
আমরা দেখেছি যে, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা আল্লাহর যিকরের অন্তর্ভুক্ত। প্রথম প্রকার প্রার্থনা বা ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে কিছু জানলাম। এখন দ্বিতীয় প্রকার প্রার্থনা বা দু‘আ সম্পর্কে আলোচনা করব।
(ক) দু‘আর পরিচয় ও ফযীলত
দু‘আ বলতে আমরা সাধারণভাবে বাংলায় প্রার্থনা করা বুঝি। এই অর্থে আরবীতে দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয় : (১). (سؤال) অর্থাৎ চাওয়া বা যাচ্ঞা করা (ask, pray, beg) ও (২). (دعاء) অর্থাৎ আহবান করা, ডাকা, প্রার্থনা করা (call, pray, invoke)। এছাড়া আরেকটি শব্দ এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়: (مناجاة) ‘মুনাজাত’ বা চুপেচুপে কথা বলা (whisper to each other, carry on a whispered conversation, converse intimately)।
আল্লাহর সাথে বান্দার সকল কথা, যিকর ও প্রার্থনাকেই ‘মুনাজাত’ বলা হয়। হাদীসে সালাতকে মুনাজাত বলা হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
اذا كان أحدكم فى الصلاة فإنه يناجى ربه
“যখন কেউ সালাতে থাকে তখন সে তার প্রভুর সাথে ‘মুনাজাতে’ (গোপন কথাবার্তায়) রত থাকে।”[1]
অন্য বর্ণনায়ঃ
إِذَا قَامَ يُصَلِّي إِنَّمَا يَقُومُ يُنَاجِي رَبَّهُ فَلْيَنْظُرْ كَيْفَ يُنَاجِيهِ (فلينظر ما يناجيه به)
“যখন কেউ সালাতে দাঁড়ায় তখন যে তার প্রভুর সাথে মুনাজাতে রত থাকে; অতএব তার ভেবে দেখা উচিত কিভাবে এবং কী বলে সে তাঁর সাথে মুনাজাত করছে।”[2]
অর্থাৎ, ভেবেচিন্তে পরিপূর্ণ আদবের সাথেই সালাত আদায় করা উচিত, কারণ সালাত তার মহান প্রভুর সাথে কথাবার্তা। আল্লাহর সাথে কথাবার্তা, প্রার্থনা ও দু‘আকে মুনাজাত বলা হয়, কারণ তিনি বান্দার সবচেয়ে কাছে। তাঁর সাথে বান্দার কথা গোপনে ও চুপেচুপে হয়। একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করেঃ (أقريب ربنا فنناجيه أم بعيد فنناديه) “আমাদের প্রভু কি আমাদের কাছে, না দূরে? যদি কাছে হন তাহলে আমরা তাঁর সাথে মুনাজাত করব বা চুপেচুপে কথা বলব। আর যদি তিন দূরে হন তাহলে আমরা জোরে জোরে তাঁকে ডাকব।” জবাবে আল্লাহ কুরআন কারীমের সূরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াত নাযিল করেনঃ “এবং যখন আমার বান্দাগণ আপনাকে আমার বিষয়ে প্রশ্ন করে, (তখন তাদের বলুন) আমি তাদের নিকটবর্তী।”[3]
আমরা দেখেছি যে, দু‘আ বা প্রার্থনা করা যিকরের অন্যতম প্রকরণ। সকল দু‘আই যিকর; তবে সকল যিকর দু‘আ নয়। কারণ দু’আর মধ্যে বান্দা আল্লাহর স্মরণ করার সাথে সাথে নিজের দুনিয়া বা আখেরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করেন। আর শুধু যিকরে বান্দা আল্লাহর গুণাবলী, মর্যাদা, প্রশংসা ইত্যাদি স্মরণ করেন।
মুমিন আল্লাহর দরবারে যে কোনো বিষয়ে কোনো প্রার্থনা করলে তিনি আল্লাহর যিকরের ফযীলত ও সাওয়াব অর্জন করবেন। কাজেই, সাধারণ যিকরের ফযীলতের মধ্যে দু‘আও রয়েছে। তবে কুরআন ও হাদীসে দোওয়ার জন্য বিশেষ ফযীলত, মর্যাদা ও নির্দেশ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে তার কিছু উল্লেখ করতে ইচ্ছা করি। আল্লাহর তাওফীক ও কবুলিয়ত প্রার্থনা করছি।
(১) সহীহ মুসলিমে সংকলিত আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ
يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلا مَنْ هَدَيْتُهُ فَاسْتَهْدُونِي أَهْدِكُمْ. يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ جَائِعٌ إِلا مَنْ أَطْعَمْتُهُ فَاسْتَطْعِمُونِي أُطْعِمْكُمْ. يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ عَارٍ إِلا مَنْ كَسَوْتُهُ فَاسْتَكْسُونِي أَكْسُكُمْ. يَا عِبَادِي إِنَّكُمُ الَّذِينَ تُخْطِئُونَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعا فَاسْتَغْفِرُونِي أَغْفِرْ لَكُمْ ... يا عبادي لو أن أولكم وأخركم وإنسكم وجنكم قاموا في صعيد واحد فسألوني فأعطيت كل واحد مسألته ما نقص ذلك مما عندي إلا كما ينقص المخيط إذا أدخل البحر
“হে আমার বান্দাগণ, আমি যাকে পথ দেখাই সে ছাড়া তোমরা সকলেই পথভ্রষ্ঠ। অতএব, তোমরা আমার কাছে হেদায়েত প্রার্থনা কর, তাহলে আমি তোমাদেরকে হেদায়েত দান করব। হে আমার বান্দাগণ, শুধুমাত্র আমি যাকে খাইয়েছি সে ছাড়া তোমরা সকলেই ক্ষুধার্ত। অতত্রব, তোমরা আমার কাছে খাদ্য চাও, তাহলে আমি তোমাদেরকে খাদ্য দান করব। হে আমার বান্দাগণ, আমি যাকে কাপড় পরিধান করিয়েছি সে ছাড়া তোমরা সকলেই উলঙ্গ। অতএব, তোমরা আমরা কাছে বস্ত্র প্রার্থনা কর, তাহলে আমি তোমাদেরকে বস্ত্র দান করব। হে আমার বান্দাগণ, তোমরা রাতদিন অন্যায় ও পাপে লিপ্ত হয়ে পড়ছ আর আমি সকল গোনাহ ক্ষমা করি। অতএব, তোমরা আমার কাছে গোনাহের ক্ষমা চাও, তাহলে আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করব। ... হে আমার বান্দাগণ, যদি সৃষ্টির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিবন একত্রে দাঁড়িয়ে আমার কাছে (তাদের সকল প্রয়োজন) প্রার্থনা করে এবং আমি প্রত্যেককে তার প্রার্থনা পূর্ণভাবে দান করি, তাহলেও আমার ভান্ডার থেকে অতটুকুই কমবে, মহাসমুদ্রের মধ্যে একটি সূতা ভিজালে সমুদ্রের পানি যতটুকু কমবে (অর্থাৎ, কিছুই কমবে না)।”[4]
(২) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেনঃ
أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي وَأَنَا مَعَهُ إِذَا دَعَنِى
“আমি আমার বান্দার ধারণা ও বিশ্বাসের নিকট থাকি। আমার বান্দা যখন আমাকে ডাকে ও আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তার সাথে থাকি।”[5]
(৩) নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, নবীজী (সা.) বলেছেনঃ (الدعاء هو العبادة) “দু‘আ বা প্রার্থনাই ইবাদত।” একথা বলে তিনি কুরআনের আয়াত পাঠ করলেনঃ
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
তোমাদের প্রভু বলেনঃ “তোমরা আমার কাছে দু‘আ কর, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব বা তোমাদের প্রার্থনা পূরণ করব। নিশ্চয় যারা আমার ইবাদত থেকে অহঙ্কার করে (আমার কাছে প্রার্থনা না করে) তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।”[6] হাদীসটি সহীহ।[7]
সুনানে তিরমিযীতে এই মর্মে অন্য একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ (الدعا مخ العبادة) দু’আ ইবাদতের মগজ।
এই হাদীসটির সনদ দুর্বল। ইমাম তিরমিযী নিজেই হাদীসটি বর্ণনা করেই উল্লেখ করেছেন যে, তা যয়ীফ। এবং তারপরেই তিনি উপরের দু’আ বা প্রার্থনাই ইবাদত হাদীসটি বর্ণনা করে তাকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।[8] তিরমিযী ছাড়াও আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ এবং অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে দু‘আ বা প্রার্থনাই ইবাদত এই সহীহ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
(৪) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
ليس شئ أكرم على الله من الدعاء
“আল্লাহর কাছে দু‘আ বা প্রার্থনার চেয়ে সম্মানিত বস্তু আর কিছুই নেই।” হাদীসটি সহীহ।[9]
(৫) উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
مَا عَلَى الأَرْضِ مُسْلِمٌ يَدْعُو اللَّهَ بِدَعْوَةٍ إِلا آتَاهُ اللَّهُ تَعَالَى إِيَّاهَا أَوْ صَرَّفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيعَةِ رَحِمٍ
“জমিনের বুকে যে কোনো মুমিন আল্লাহর কাছে কোনো দু‘আ করলে - যে দু‘আয় কোনো পাপ বা আত্মীয়তার ক্ষতিকারক কিছু চায় না - আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করবেনই। তাঁকে তাঁর প্রার্থিত বস্তু দিবেন। অথবা তদানুযায়ী তাঁর কোনো বিপদ কাটিয়ে দিবেন।” হাদীসটি সহীহ।[10]
(৬) আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْصِبُ وَجْهَهُ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي مَسْأَلَةٍ إِلا أَعْطَاهَا إِيَّاهُ إِمَّا أَنْ يُعَجِّلَهَا لَهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الأخرة
“যে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে মুখ তুলে কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাঁকে তা দিবেনই। তাঁকে তা সঙ্গে সঙ্গে দিবেন অথবা আখেরাতের জন্য তা জমা করে রাখবেন।” হাফিয মুনযিরী ও হাইসামী উল্লেখ করেছেন যে, হাদীসটির সনদ মোটামুটি গ্রহণযোগ্য।[11]
(৭) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُو بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيهَا إِثْمٌ وَلَا قَطِيعَةُ رَحِمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدَى ثَلَاثٍ إِمَّا أَنْ تُعَجَّلَ لَهُ دَعْوَتُهُ وَإِمَّا أَنْ يَدَّخِرَهَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ وَإِمَّا أَنْ يَصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوءِ مِثْلَهَا. قَالُوا : إِذًا نُكْثِرُ . قَالَ : اللهُ أَكْثَرُ
“যখনই কোনো মুসলিম পাপ ও আত্মীয়তা নষ্ট করা ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তখনই আল্লাহ তাঁর প্রার্থনা পূরণ করে তাঁকে তিনটি বিষয়ের একটি দান করেন : হয় তাঁর প্রার্থিত বস্তুই তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করেন, অথবা তাঁর প্রার্থনাকে (প্রার্থনার সাওয়াব) তাঁর আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন অথবা দু‘আর পরিমাণে তাঁর অন্য কোনো বিপদ তিনি দূর করে দেন।” একথা শুনে সাহাবীগণ বলেনঃ তাহলে আমরা বেশি বেশি দু‘আ করব। তিনি উত্তরে বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা আরো বেশি (প্রার্থনা পূরণ করবেন)। হাদীসটি সহীহ।[12]
কোনো কোনো যয়ীফ বা দুর্বল হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন যখন বান্দা দু‘আর বিনিময়ে সঞ্চিত সাওয়াবের পরিমাণ ও মর্যাদা দেখবে তখন কামনা করবে যে, যদি আল্লাহ তাঁর কোনো প্রার্থনাই দুনিয়াতে না দিয়ে সব প্রার্থনাই আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখতেন তাহলে কতই না ভালো হতো ![13]
(৮) সালমান ফারিসী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
إِنَّ اللَّهَ حَيِيٌّ كَرِيمٌ يَسْتَحِي إِذَا رَفَعَ الرَّجُلُ إِلَيْهِ يَدَيْهِ أَنْ يَرُدَّهُمَا صِفْرًا خَائِبَتَيْنِ
“আল্লাহ লাজুক দয়াবান। যখন কোনো মানুষ তাঁর দিকে দু’খানা হাত উঠায় (দু‘আ করতে) তাহলে তিনি তা ব্যর্থ ও শূন্যভাবে ফিরিয়ে দিতে লজ্জা পান।”[14]
(৯) সাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
لا يرد القضاء إلا الدعاء ولا يزيد في العمر إلا البر، وان الرجل ليحرم الرزق بالذنب يصيبه
“দু‘আ ছাড়া আর কিছুই তকদীর উল্টাতে পারে না। মানুষের উপকার ও কল্যাণের কাজেই শুধু আয়ু বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মানুষ গোনাহ করার ফলে তার রিযিক থেকে বঞ্চিত হয়।” হাদীসটি সহীহ।[15]
(১০) আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
لا يغني حذر من قدر والدعاء ينفع مما نزل ومما لم ينزل وإن البلاء لينزل فيلقاه الدعاء فيعتلجان إلى يوم القيامة
“সাবধানতার দ্বারা তকদীর বা ভাগ্য পরিবর্তিত হয় না। যে বিপদ বা মুসিবত নাযিল হয়ে গিয়েছে এবং যা এখনো নাযিল হয়নি (ভবিষ্যতের ভাগ্যে আছে কিন্তু এখনো বাস্তবে আসেনি) এরূপ সকল বিপদ কাটাতে প্রার্থনা উপকারী। আসমান থেকে বালা-মুসিবত নাযিল হওয়ার অবস্থায় প্রার্থনা তাকে বাধা দেয় এবং তারা উভয়ে কিয়ামত পর্যন্ত ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। (কোনো অবস্থাতেই দু‘আ বিপদকে নিচে নেমে আসতে দেয় না। ফলে প্রার্থনাকরী নির্ধারিত বিপদ থেকে মুক্তি পান।)[16]
(১১) আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেনঃ
أعجز الناس من عجز عن الدعاء و أبخل الناس من بخل بالسلام
“সবচেয়ে অক্ষম ব্যক্তি যে দু‘আ করতেও অক্ষম। আর সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তি যে সালাম দিতেও কৃপণতা করে।”[17]
(১২) আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছু বিপদগ্রস্ত মানুষের নিকট দিয়ে গমন করেন। তখন তিনি বলেনঃ
أما كان هؤلاء يسألون الله العافية
“এরা কি আল্লাহর কাছে সুস্থতা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করত না?”[18]
[2] সহীহ ইবনু খুযাইমা ১/৫৪১, মুসতাদরাক হাকিম ১/৩৬১, মুয়াত্তা মালিক ১/৮০।
[3] তাফসীরে তাবারী ২/১৫৮, তাফসীরে কুরতুবী ২/৩০৮, তাফসীরে ইবনু কাসীর ১/২১৯, আবদুল্লাহ ইবনু আহমাদ, আস-সুন্নাহ ১/২৭৭।
[4] সহীহ মুসলিম ৪/১৯৯৪, নং ২৫৭৭।
[5] সহীহ মুসলিম ৪/২০৬৭, নং ২৬৭৫।
[6] সূরা মু’মিন (গাফির) ৬০।
[7] সুনানুত তিরমিযী ৫/২১১, নং ২৯৬৯, সুনানু আবু দাউদ ২/৭৬, নং ১৪৭৯, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৫৮, নং ৩৮২৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৭২, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৬৭।
[8] সুনানুত তিরমিযী ৫/৪৫৬, নং ৩৩৭১, ৩৩৭২।
[9] সুনানুত তিরমিযী ৫/৪৫৫, ৩৩৭০, সুনানু ইবনি মাজাহ ২/১২৫৮, নং ৩৮২৯, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৬৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৫১, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৮১।
[10] সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৬৬, নং ৩৫৭৩, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৭০।
[11] মুসনাদ আহমাদ ২/৪৪৮, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৪৮, আত-তারগীব ২/৪৭৪-৪৭৫।
[12] সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৬৬, নং ৩৫৭৩, মুসনাদ আহমাদ ৩/১৮, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৭০, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৪৭-১৪৮।
[13] আত-তারগীব ২/৪৭৫-৪৭৬।
[14] সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৫৬, নং ৩৫৫৬, সুনানু ইবনু মাজাহ ২/১২৭১, নং ৩৮৬৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩/১৬০, ১৬৩, মাওয়ারিদুয যামআন ৮/৩৭-৪০, আত-তারগীব ২/৪৭৭। হাদিসটি সহীহ।
[15] হাকেম নাইসাপুরী, আল- মুসতাদরাক ১/৬৭০, হাকিম ও যাহাবী হাদিসটি সহীহ বলেছেন। আরো দেখুনঃ সুনানুত তিরমিযী ৪/৪৪৮, নং ২১৩৯।
[16] হাদিসটির সনদ দুর্বল। মুসতদরাক হাকিম ১/৬৭০, সুনানুত তিরমিযী ৫/৫৫২, নং ৩৫৪৮, মাযমাউয যাওয়াইইদ ১০/১৪৬, মুসনাদ আহমাদ ৫/২৩৪, আত-তারগীব ২/৪৭৮।
[17] হাদিসটি সহীহ। আবদুল গানী মাকদিসী, কিতাবুদ দু’আ পৃঃ ১৪১, তাবারানী, আল-মু’জামুল আওসাত ২/৪২, মাযমাউয যাওয়াইইদ ১০/১৪৬-১৪৭, আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসিস সহীহাহ ২/১৫০, নং ৬০১, সহীহুল জামিয়িস সাগীর ১/২৩৮।
[18] হাদিসটির সনদ সহীহ। মাযমাউয যাওয়াইইদ ১০/১৪৭।