লগইন করুন
যেহেতু আল্লাহর রসূল (ﷺ) একদা দু’টি কবরের পাশ বেয়ে অতিক্রম করার সময় বললেন, ‘‘এই দুই কবরবাসীর আযাব হচ্ছে। তবে কোন কঠিন কাজের জন্য ওদের আযাব হচ্ছে না। অবশ্য সে কাজ ছিল বড় গোনাহর। ওদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি চুগলখোরী করে বেড়াত, এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি নিজের পেশাব থেকে সতর্ক হত না---।’’[1]
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা পেশাব থেকে সাবধানতা অবলম্বন কর। কারণ, অধিকাংশ কবরের আযাব এই পেশাব (থেকে সাবধান না হওয়ার) ফলেই হয়ে থাকে।’’[2]
তিনি আরো বলেন, ‘‘অধিকাংশ কবরের আযাব প্রস্রাবের (ছিটা গায়ে লাগার) কারণে হবে।’’[3]
সুতরাং পেশাব করতে এমন জায়গায় বা এমনভাবে বসবেন না, যাতে তার ছিটা ঘুরে আপনার দেহ বা কাপড়ে না লাগে। অতএব উঁচু জায়গায় বসে নিচু জায়গায় পেশাব করুন, যেদিক থেকে জোর হাওয়া বইছে তার বিপরীত দিকে (কিবলা না হলে) বসে পেশাব করুন। পাথরের উপর না করে নরম জায়গায় পেশাব করুন তাহলে ছিটা লাগার আশঙ্কা থাকবে না।
যেমন বিপদের আশঙ্কা আছে বলে কোন ফাটল বা গর্তে পেশাব-পায়খানা করবেন না।
আর ছিটা লাগার আশঙ্কা আছে বলেই অপ্রয়োজনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পেশাব করা উচিত নয়। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তোমাদেরকে বলবে যে, আল্লাহর রসূল (ﷺ) দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন, তার কথা বিশ্বাস করো না। যেহেতু তিনি বসে বসেই পেশাব করতেন।’[4] অবশ্য তিনি প্রয়োজনে দাঁড়িয়েও পেশাব করেছেন।[5]
অতএব আপনিও প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে পেশাব করতে পারেন। তবে শর্ত হল, যেন আপনার লজ্জাস্থান কেউ দেখে না ফেলে এবং আপনার কাপড়ে যেন পেশাবের ছিটা না লাগে।
[2].দারাকুত্বনী, সহীহ তারগীব ১৫১
[3]. আহমদ, ইবনে মাজাহ, হাকেম, সহীহ তারগীব ১৫৩
[4]. তিরমিযী হা/১২, নাসাঈ ২৯, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/৩০৭
[5]. বুখারী তাওহীদ পাবঃ হা/ ২২৫, মুসলিম আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা হা/২৭৩ প্রমুখ