লগইন করুন
উত্তর: ইসলামী শরী‘আতে যে ঈদ রয়েছে, তা ব্যতীত সকল প্রকার ঈদ বা উৎসব পালন করা বিদ‘আত, যা সালাফে সালেহীনের যুগে ছিল না। হতে পারে এটি অমুসলিমদের কাছ থেকে আমদানী করা। তাই এতে অমুসলিমদের সাথে সদৃশ্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মুসলিমদের ঈদ মাত্র দু’টি। ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা। তাছাড়া সপ্তাহিক ঈদ হলো শুক্রবার। এ তিনটি ঈদ ব্যতীত মুসলিমদের অন্য কোনো ঈদ নেই। এছাড়া যত ঈদ রয়েছে, ইসলামী শরী‘আতে সবই বিদ‘আত এবং প্রত্যাখ্যাত এবং বাতিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ»
“যে ব্যক্তি আমাদের দীনে এমন নতুন বিষয় তৈরি করবে, যা তার অন্তর্ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।”[1]
তিনি আরো বলেন,
«مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ»
“যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করবে, যে বিষয়ে আমার অনুমোদন নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।”[2]
সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত উৎসব পালন করা বৈধ নয়। এতে ঈদের মতো আনন্দ প্রকাশ এবং উপহার বিনিময় করাও বৈধ নয়। মুসলমাদের অবশ্য কর্তব্য তাদের দীন নিয়ে গর্ববোধ করা। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল কর্তৃক নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকা। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের জন্য যে দীন মনোনীত করেছেন, কোনো প্রকার বাড়ানো বা কমানো ছাড়াই তার অনুসরণ করা। প্রত্যেক মতবাদ এবং আহবায়কের পিছনে ছুটে যাওয়া মুসলিমদের উচিৎ নয়; বরং তার উচিৎ আল্লাহর দীন মোতাবেক জীবন গঠন ও পরিচালনা করা। অন্য ধর্মের কাউকে অনুসরণ না করা; বরং মানুষই তার অনুসরণ করবে এবং সে হবে তাদের জন্য আদর্শ স্বরূপ। কারণ, ইসলামী শরী‘আতকে সকল দিক থেকে পূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন,
﴿ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ﴾ [المائدة: ٣]
“আজকের দিনে তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম। তোমাদের উপর আমার নি‘আমতকে পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্য দীন হিসাবে মনোনীত করলাম।” [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৩]বছরে মাত্র একবার মাতৃ দিবস পালন করাই যথেষ্ট নয়; বরং সন্তানের ওপর মায়ের রয়েছে অনেক হক, যা আদায় করা একান্ত জরুরি। কোনো স্থান বা সময় নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।
>[2] সহীহ মুসলিম।