লগইন করুন
(ক) আলী (রাঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,أَنْتَ مِنِّى بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلاَّ أَنَّهُ لاَ نَبِىَّ بَعْدِى ‘তুমি আমার নিকট মূসার নিকটে হারূনের ন্যায়। কেবল এটুকুই যে, আমার পরে কোন নবী নেই (মুসলিম হা/২৪০৪)। তিনি বলেন, مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىٌّ مَوْلاَهُ ‘আমি যার বন্ধু, আলী তার বন্ধু’ (তিরমিযী হা/৩৭১৩)। নাজরানের খ্রিষ্টান নেতাদের সাথে মুবাহালার জন্য রাসূল (ছাঃ) আলী, ফাতেমা ও হাসান-হোসায়েনকে সাথে নিয়ে বের হন এবং বলেন, اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِى ‘হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার’ (মুসলিম হা/২৪০৪)।
(খ) কন্যা ফাতেমা (রাঃ) ছিলেন বিশ্বসেরা চারজন সম্মানিতা মহিলার অন্যতম (তিরমিযী হা/৩৮৭৮)। তাঁকে রাসূল (ছাঃ) سَيِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‘জান্নাতী মহিলাদের নেত্রী’ বলেছেন (বুখারী হা/৩৬২৪)।
(গ) দুই নাতি হাসান ও হোসাইন (রাঃ)-কে রাসূল (ছাঃ) رَيْحَانَتَاىَ مِنَ الدُّنْيَا ‘দুনিয়াতে আমার সুগন্ধি’ (বুখারী হা/৩৭৫৩) এবং سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلِ الْجَنَّةِ ‘জান্নাতী যুবকদের নেতা’ বলেছেন (তিরমিযী হা/৩৭৮১)।
বস্ত্ততঃ নবীগণ বেঁচে থাকেন তাঁদের উম্মতের মধ্যে। সন্তানদের মাধ্যমে বেঁচে থাকাটা আবশ্যক নয়। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর জীবনেও আমরা সেটাই দেখতে পাই। বিশ্বের সর্বত্র তাঁর উম্মত রয়েছে এবং ক্বিয়ামতের দিন তাঁর উম্মত সংখ্যাই হবে সর্বাধিক।[1] এমনকি তারা জান্নাতবাসীদের অর্ধেক হবে। আর তাদের তুলনা হবে সমস্ত মানুষের মধ্যে কালো বলদের দেহে একটি সাদা লোমের ন্যায়’।[2]
[2]. বুখারী হা/৩৩৪৮; মুসলিম হা/২২১; মিশকাত হা/৫৫৪১।
নবী পরিবারের মর্যাদা সর্বোচ্চ হ’লেও তাঁদের মৃত্যুর পরে তাঁদের অসীলায় আল্লাহর নিকটে রোগমুক্তি কামনা করা শিরক। যে বিষয়ে কুরআন ও হাদীছে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। শী‘আরা পাঁচ জনের অসীলায় বিপদমুক্তি কামনা করে থাকেন। যেমন তারা বলেন,لِىْ خَمْسةٌ أُطْفِئُ بِهَا البَلاءَ القَاتِمَةَ + الْمُصْطَفَى والْمُرْتَضَى وإِبنَاهِمَا والفَاطِمَةَ ‘আমার জন্য পাঁচজন ব্যক্তি রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে আমি কঠিন বিপদ সমূহ নির্বাপিত করি। মুছত্বফা, মুর্তাযা, তাঁর দুই পুত্র এবং ফাতেমা’। সুন্নী নামধারী বহু কবরপূজারী তাদের ভক্তি ভাজন কবরস্থ ব্যক্তির নাম ধরে তার অসীলায় অনুরূপ বিপদমুক্তি কামনা করে থাকেন। যেগুলি পরিষ্কারভাবে শিরক। কুরায়েশ কাফেররাও এরূপ করত। যার প্রতিবাদে আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করে, (তারা যুক্তি দেখায় যে,) আমরা ওদের পূজা করিনা কেবল এজন্য যে ওরা আমাদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছে দিবে’ (যুমার ৩৯/৩)। ‘তারা বলে, ওরা আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট সুফারিশকারী’ (ইউনুস ১০/১৮)।