লগইন করুন
জীবনের শেষ বুধবার। এদিন তাঁর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে তিনি বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়তে থাকেন।
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, এ সময় তিনি ঘরের মধ্যে মিসরীয় খ্রিষ্টান দাসী মারিয়া ক্বিবত্বিয়াহ এবং হিজরতে থাকা অবস্থায় স্ত্রী উম্মে সালামাহ ও উম্মে হাবীবাহ হাবশাতে তাদের দেখা খ্রিষ্টান ধর্মনেতাদের কবর সমূহে তাদের প্রতিকৃতি আঁকিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানাদি সম্পর্কে আলোচনা করলে রাসূল (ছাঃ) মুখের চাদর ফেলে দিয়ে মাথা উঁচু করে বলেন, إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ، فَأُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ- لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى، اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسْجِدًا ‘ওদের মধ্যে কোন নেককার মানুষ মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মসজিদ বানাতো এবং তার মধ্যে তাদের ছবি আঁকতো। ওরা হ’ল ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকটে সৃষ্টিজগতের নিকৃষ্টতম জীব। আল্লাহ ইহূদী-নাছারাদের উপরে লা‘নত করুন! তারা তাদের নবীগণের কবর সমূহকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছে’।[1]
সুলায়মান বিন ইয়াসার ও আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, তিনি আরও বলেন,اللَّهُمَّ لا تَجْعَلْ قَبْرِي وَثَنًا يُعْبَدُ، اشْتَدَّ غَضَبُ اللهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوْا قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার কবরকে মূর্তি বানিয়ো না, যাকে পূজা করা হয়। ঐ কওমের উপরে আল্লাহর প্রচন্ড ক্রোধ রয়েছে, যারা নবীগণের কবরসমূহকে সিজদার স্থানে পরিণত করে’।[2] কা‘ব বিন মালেক (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, إِنِّيْ أَنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ، اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ‘আমি তোমাদেরকে এ বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি’। দেখো, আমি কি তোমাদেরকে পৌঁছে দিলাম’ (৩ বার)? হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক’ (৩ বার)।[3]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, অতঃপর তিনি বেহুঁশ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরলে তিনি বলেন, ‘তোমরা বিভিন্ন কূয়া থেকে পানি এনে আমার উপরে সাত মশক পানি ঢাল। যাতে আমি বাইরে যেতে পারি এবং লোকদের উপদেশ দিতে পারি। অতঃপর আমরা তাঁকে হাফছা বিনতে ওমরের পাথর অথবা তাম্র নির্মিত একটি বড় পাত্রের মধ্যে বসিয়ে দিলাম এবং তাঁর উপরে পানি ঢালতে লাগলাম। এক পর্যায়ে তিনি বলতে থাকেন,حَسْبُكُمْ حَسْبُكُمْ ‘ক্ষান্ত হও, ক্ষান্ত হও’। অতঃপর একটু হালকা বোধ করলে তিনি মাথায় কাপড় দিয়ে যোহরের প্রাক্কালে মসজিদে প্রবেশ করেন। অতঃপর ছালাত আদায় করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন’।[4]
এদিন বের হবার মূল কারণ ছিল আনছারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখা। যেমন হযরত আনাস (রাঃ) বলেন যে, আবুবকর ও আববাস (রাঃ) আনছারদের এক মজলিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁরা তাদেরকে ক্রন্দনরত অবস্থায় দেখতে পান। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন যে, আমরা আমাদের সঙ্গে রাসূল (ছাঃ)-এর উঠাবসার কথা স্মরণ করছিলাম। অতঃপর তাঁদের একজন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে গিয়ে আনছারদের এই অভিব্যক্তির কথা অবহিত করেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে চাদরের এক প্রান্ত মাথায় বাঁধা অবস্থায় ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন ও মিম্বরে আরোহন করেন। এদিনের পর তিনি আর মিম্বরে আরোহন করেননি’। অতঃপর সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
(১) أُوْصِيْكُمْ بِالأَنْصَارِ، فَإِنَّهُمْ كَرِشِى وَعَيْبَتِى، وَقَدْ قَضَوُا الَّذِى عَلَيْهِمْ، وَبَقِىَ الَّذِى لَهُمْ، فَاقْبَلُوْا مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَتَجَاوَزُوْا عَنْ مُسِيْئِهِمْ ‘আমি তোমাদেরকে আনছারদের বিষয়ে অছিয়ত করে যাচ্ছি। তারা আমার বিশ্বস্ত ও অন্তরঙ্গ। তারা তাদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু তাদের প্রাপ্য বাকী রয়েছে। অতএব তোমরা তাদের উত্তমগুলি গ্রহণ করো এবং মন্দগুলি ক্ষমা করে দিয়ো’।[5] অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন,فَإِنَّ النَّاسَ يَكْثُرُونَ وَيَقِلُّ الأَنْصَارُ، حَتَّى يَكُونُوا فِى النَّاسِ بِمَنْزِلَةِ الْمِلْحِ فِى الطَّعَامِ، فَمَنْ وَلِىَ مِنْكُمْ شَيْئًا يَضُرُّ فِيهِ قَوْمًا، وَيَنْفَعُ فِيهِ آخَرِينَ، فَلْيَقْبَلْ مِنْ مُحْسِنِهِمْ، وَيَتَجَاوَزْ عَنْ مُسِيْئِهِمْ ‘মানুষ ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কিন্তু আনছারদের সংখ্যা কমতে থাকবে। এমনকি তাদের অবস্থা হবে খাদ্যের মধ্যে লবনের ন্যায়(كَالْمِلْحِ فِي الطَّعَامِ)। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কারু ক্ষতি বা উপকার করার মালিক হবে (অর্থাৎ নেতৃত্বে আসবে), সে যেন তাদের উত্তমগুলি গ্রহণ করে এবং মন্দগুলি ক্ষমা করে’।[6]
(২) জুনদুব বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে তাঁর মৃত্যুর পাঁচ দিন পূর্বে বলতে শুনেছি,
إِنِّىْ أَبْرَأُ إِلَى اللهِ أَنْ يَكُونَ لِى مِنْكُمْ خَلِيْلٌ فَإِنَّ اللهَ تَعَالَى قَدِ اتَّخَذَنِىْ خَلِيْلاً كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيْلاً وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أُمَّتِىْ خَلِيْلاً لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيْلاً، لَكِنَّهُ أَخِيْ وَ صَاحِبِيْ، إنَّ مِنْ أَمَنِّ النَّاسِ عَلَيَّ فِيْ صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُوْ بَكْرٍ وَإِنَّ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ كَانُوْا يَتَّخِذُوْنَ قُبُوْرَ أَنْبِيَائِهِمْ وَصَالِحِيْهِمْ مَسَاجِدَ أَلاَ فَلاَ تَتَّخِذُوا الْقُبُوْرَ مَسَاجِدَ، إنِّيْ أنْهَاكُمْ عَنْ ذَلِكَ-
‘আমি আল্লাহর নিকট দায়মুক্ত এজন্য যে, তিনি আমাকে তোমাদের মধ্যে কাউকে ‘বন্ধু’(خَلِيْل) হিসাবে গ্রহণ করার অনুমতি দেননি। কেননা আল্লাহ আমাকে ‘বন্ধু’ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। যেমন তিনি ইবরাহীমকে ‘বন্ধু’ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। তবে যদি আমি আমার উম্মতের মধ্যে কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতাম, তাহ’লে আবুবকরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম। কিন্তু তিনি আমার ভাই ও সাথী। লোকদের মধ্যে নিজের সাহচর্য ও সম্পদ দিয়ে আমার প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ প্রদর্শন করেছেন আবুবকর। মনে রেখ, তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তারা তাদের নবী ও নেককার লোকদের কবর সমূহকে সিজদার স্থানে পরিণত করেছিল। তোমরা যেন এরূপ করো না’। আমি তোমাদেরকে এ বিষয়ে নিষেধ করে যাচ্ছি’।[7]
(৩) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, এদিন তিনি মিম্বরে বসে আরও বলেন,إِنَّ عَبْدًا خَيَّرَهُ اللهُ بَيْنَ أَنْ يُؤْتِيَهُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا مَا شَاءَ، وَبَيْنَ مَا عِنْدَهُ، فَاخْتَارَ مَا عِنْدَهُ ‘একজন বান্দাকে আল্লাহ এখতিয়ার দিয়েছেন যে, সে চাইলে দুনিয়ার জাঁকজমক সবকিছু তাকে দেওয়া হবে অথবা আল্লাহর নিকটে যা আছে তা সে গ্রহণ করবে। অতঃপর সে বান্দা সেটাকেই পসন্দ করেছে, যা আল্লাহর নিকটে রয়েছে’। একথার তাৎপর্য বুঝতে পেরে আবুবকর (রাঃ) কেঁদে উঠে বললেন,فَدَيْنَاكَ بِآبَائِنَا وَأُمَّهَاتِنَا ‘আমাদের পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গীত হৌন’।[8] অন্য বর্ণনায় এসেছে,وَأَنْفُسِنَا وَأَمْوَالِنَا ‘আমাদের জীবন ও সম্পদ সমূহ’।[9] রাবী বলেন, আমি মনে মনে বললাম, এই শায়খ কাঁদছেন কেন? এতে কাঁদবার কি আছে? বস্ত্ততঃ ‘আবুবকর ছিলেন আমাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি’(وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ أَعْلَمُنَا)। অতঃপর তিনি বললেন,يَا أَبَا بَكْرٍ لاَ تَبْكِ، إِنَّ أَمَنَّ النَّاسِ عَلَىَّ فِى صُحْبَتِهِ وَمَالِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَلَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا خَلِيلاً مِنْ أُمَّتِى لاَتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ، وَلَكِنْ أُخُوَّةُ الإِسْلاَمِ وَمَوَدَّتُهُ، لاَ يَبْقَيَنَّ فِى الْمَسْجِدِ بَابٌ إِلاَّ سُدَّ إِلاَّ بَابُ أَبِى بَكْرٍ ‘হে আবুবকর! তুমি কেঁদো না। নিশ্চয় লোকদের মধ্যে সাহচর্য ও সম্পদ দিয়ে আমার প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ করেছেন আবুবকর। যদি আমি উম্মতের মধ্যে কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করতাম, তাহ’লে আবুবকরকেই করতাম। কিন্তু ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসাই উত্তম। আর মসজিদের সকল দরজা বন্ধ হবে কেবল আবুবকরের দরজা ব্যতীত’।[10]
[2]. মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৫৯৩; আহমাদ হা/৭৩৫২, সনদ শক্তিশালী; মিশকাত হা/৭৫০।
[3]. ত্বাবারাণী হা/৮৯; ছহীহ আত-তারগীব হা/২২৮৮।
[4]. বুখারী হা/৪৪৪২; ইবনু হিশাম ২/৬৪৯; বর্ণনাটি ছহীহ (ঐ, তাহকীক ক্রমিক ২০৭৯)। এদিন রাসূল (ছাঃ)-এর একটু সুস্থতাকে উপলক্ষ্য করেই বাংলাদেশে আখেরী চাহার শাম্বা’ (শেষ বুধবার) নামে সরকারী ছুটি পালন করা হয়। যা সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী প্রথা। এরূপ প্রথা ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় ছিল না।
[5]. বুখারী হা/৩৭৯৯, আনাস (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৬২১২ ‘সামষ্টিক ফযীলতের বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ।
[6]. বুখারী হা/৩৬২৮, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৬২১৩।
[7]. মুসলিম হা/৫৩২, জুনদুব বিন আব্দুল্লাহ আল-বাজালী (রাঃ) হ’তে; মিশকাত হা/৭১৩; বুখারী হা/৪৬৭; মুসলিম হা/২৩৮২; মিশকাত হা/৬০১০-১১।
[8]. বুখারী হা/৪৬৬; মুসলিম হা/২৩৮২ (২); মিশকাত হা/৫৯৫৭।
[9]. দারেমী হা/৭৭, আবু সাঈদ খুদরী হতে, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৫৯৬৮ ‘মক্কা হ’তে ছাহাবীগণের হিজরত ও রাসূল (ছাঃ)-এর ওফাত’ অনুচ্ছেদ।
[10]. বুখারী হা/৪৬৬; মুসলিম হা/২৩৮২ (২); মিশকাত হা/৫৯৫৭। ইবনু হাজার বলেন, এর মধ্যে আবুবকরের খেলাফতের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে’ (ফাৎহুল বারী হা/৪৪৬-এর ব্যখ্যা)।
মুবারকপুরী এখানে একটি প্রসিদ্ধ কাহিনীর অবতারণা করেছেন। যেমন, এ সময় রাসূল (ছাঃ) তাঁর নিকট থেকে বদলা নেওয়ার জন্য সকলের সামনে নিজেকে পেশ করেন। তিনি বলেন, যদি আমি কাউকে পিঠে মেরে থাকি, তাহ’লে এই আমার পিঠ পেতে দিলাম। তোমরা প্রতিশোধ নাও। যদি আমি কারু সম্মানের ব্যাপারে গালি দিয়ে থাকি, তাহ’লে তোমরা তারও প্রতিশোধ নিয়ে নাও’। এরপর তিনি মিম্বর থেকে নামলেন ও যোহরের ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর পুনরায় মিম্বরে বসলেন এবং পূর্বের কথার পুনরুক্তি করলেন। তখন একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, আপনার নিকট আমার ৩টি দিরহাম (রৌপ্য মুদ্রা) পাওনা রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) স্বীয় চাচাতো ভাই ফযল বিন আববাসকে সেটা দেবার জন্য বলে দিলেন। অতঃপর তিনি আনছারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য শুরু করলেন’ (আর-রাহীক্ব ৪৬৫-৬৬)। বর্ণনাটি প্রমাণিত নয়। ইবনু কাছীর উক্ত ঘটনার বিষয়ে বলেন, وفي إسناده ومتنه غرابة شديدة ‘বর্ণনাটির সনদে ও মতনে কঠিন ধরনের বিস্ময়কর বস্ত্ত রয়েছে’ (আল-বিদায়াহ ৫/২৩১)।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে, নভেম্বর ১৯৮৮-তে নিজের অনূদিত উর্দূ ৩য় সংস্করণ প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত অনেক ভুল সংশোধিত হ’লেও এটি সংশোধিত হয়নি। এমনকি লাহোর দার সালাফিইয়াহর বিজ্ঞ প্রকাশকগণও এটা খেয়াল করেননি। এভাবেই বিদ্বানগণ তাদের পরবর্তীদের জন্য অনেক খিদমতের সুযোগ রেখে যান। অতএব সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। -লেখক।