কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
খুম কূয়ার নিকটে ভাষণ (خطبة غدير خمّ)
পথে রাবেগের নিকটবর্তী খুম কূয়ার নিকট পৌঁছে বুরাইদা আসলামী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে হযরত আলী (রাঃ) সম্পর্কে কিছু অভিযোগ পেশ করেন। যা ইয়ামনে গণীমত বণ্টন সংক্রান্ত বিষয়ে ছিল। এতে রাসূল (ছাঃ)-এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে যায়। অতঃপর তিনি বলেন,يَا بُرَيْدَةُ، أَلَسْتُ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ؟ ‘হে বুরাইদা! আমি কি মুমিনদের নিকট তাদের নিজের চাইতে অধিক ঘনিষ্টতর নই? বুরাইদা বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ كُنْتُ مَوْلاَهُ فَعَلِىٌّ مَوْلاَهُ ‘আমি যার বন্ধু, আলী তার বন্ধু’।[1]
[1]. আহমাদ হা/২২৯৯৫; তিরমিযী হা/৩৭১৩; মিশকাত হা/৬০৮২; ছহীহাহ হা/১৭৫০।
মানছূরপুরী এখানে কোনরূপ সূত্র উল্লেখ ছাড়াই লিখেছেন যে, এই ভাষণ শ্রবণের পরে হযরত ওমর (রাঃ) আলী (রাঃ)-কে অভিনন্দন জানান এবং বুরাইদা (রাঃ) তার ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হন। তিনি সারা জীবন হযরত আলীর প্রতি মহববত ও আনুগত্য বজায় রাখেন। অবশেষে তিনি ‘উটের যুদ্ধে’ নিহত হন (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/২৪৩)। অথচ বুরাইদা আসলামী (রাঃ)-এর জীবনীতে এসবের কিছুই পাওয়া যায় না। তিনি ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার খিলাফতকালে (৬০-৬৪ হিঃ) যুদ্ধের উদ্দেশ্যে খোরাসান গমন করেন। অতঃপর সেখানেই মারভ নগরীতে মৃত্যুবরণ করেন (আল-ইছাবাহ ক্রমিক ৬৩২; আল-ইস্তী‘আব)।
মানছূরপুরী এখানে কোনরূপ সূত্র উল্লেখ ছাড়াই লিখেছেন যে, এই ভাষণ শ্রবণের পরে হযরত ওমর (রাঃ) আলী (রাঃ)-কে অভিনন্দন জানান এবং বুরাইদা (রাঃ) তার ভুল বুঝতে পেরে লজ্জিত হন। তিনি সারা জীবন হযরত আলীর প্রতি মহববত ও আনুগত্য বজায় রাখেন। অবশেষে তিনি ‘উটের যুদ্ধে’ নিহত হন (রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ১/২৪৩)। অথচ বুরাইদা আসলামী (রাঃ)-এর জীবনীতে এসবের কিছুই পাওয়া যায় না। তিনি ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার খিলাফতকালে (৬০-৬৪ হিঃ) যুদ্ধের উদ্দেশ্যে খোরাসান গমন করেন। অতঃপর সেখানেই মারভ নগরীতে মৃত্যুবরণ করেন (আল-ইছাবাহ ক্রমিক ৬৩২; আল-ইস্তী‘আব)।