লগইন করুন
আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, আইয়ামে তাশরীক্বের মধ্যবর্তী দিনে অর্থাৎ ১২ই যিলহাজ্জে মিনায় সূরা নছর নাযিল হয়। অতঃপর তিনি ক্বাছওয়া (القَصْواء) উটনীতে সওয়ার হয়ে জামরায়ে আক্বাবায় গমন করেন। অতঃপর কংকর নিক্ষেপ শেষে ফিরে এসে জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রসিদ্ধ ভাষণটি প্রদান করেন’।[1]
সূরা নছর:إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ، وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُوْنَ فِيْ دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجًا، فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا ‘যখন এসে গেছে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়’। ‘এবং তুমি লোকদের দলে দলে আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে প্রবেশ করতে দেখছ’। ‘তখন তুমি তোমার পালনকর্তার প্রশংসা সহ পবিত্রতা বর্ণনা কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই তিনি সর্বাধিক তওবা কবুলকারী’ (নাছর ১১০/১-৩)।
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এটিই ছিল কুরআনের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সূরা’ (মুসলিম হা/৩০২৪ ‘তাফসীর’ অধ্যায়)। তিনি বলেন,إِنَّمَا هُوَ أَجَلُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْلَمَهُ لَهُ ‘এ সূরার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যু ঘনিয়ে আসার কথা জানিয়ে দিয়েছেন’ (বুখারী হা/৪৯৭০)। এজন্য এ সূরাকে সূরা তাওদী‘ (التَّوْدِيع) বা বিদায়ী সূরা বলা হয় (কুরতুবী)।