লগইন করুন
৪ঠা যিলহজ্জ রবিবার ফজরের ছালাতের পর গোসল শেষে রওয়ানা হন এবং পূর্বাহ্নে মক্কায় প্রবেশ করেন (যাদুল মা‘আদ ২/২০৬-০৭)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, মানুষের ভীড় এড়ানোর জন্য তিনি উটে সওয়ার হয়ে মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করেন। অতঃপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করেন (মুসলিম হা/১২৭৪)। তিনি বনু ‘আব্দে মানাফ দরজা (بَابُ بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ) দিয়ে প্রবেশ করেন। যাকে এখন ‘বাবে বনু শায়বাহ’(بَابُ بَنِي شَيْبَةَ) বলা হয় (যাদুল মা‘আদ ২/২০৭)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, এসময় হাতের মাথাবাঁকা লাঠি (مِحْجَن) দিয়ে তিনি হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করেন (বুখারী হা/১৬০৭)। তিনি বলেন, অতঃপর উট বসিয়ে রাসূল (ছাঃ) মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করেন।[1] এতে তিনি সূরা ফাতিহার পরে সূরা কাফিরূন ও সূরা ইখলাছ পাঠ করেন।[2] অতঃপর সওয়ার অবস্থায় ছাফা ও মারওয়া সাঈ করেন (বুখারী হা/১৬০৭)। এভাবে ওমরাহ শেষ করেন।
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর তিনি হালাল না হয়ে মক্কার উপরিভাগে তাঁর অবস্থানস্থল ‘হাজূন’ (الْحَجُون)-য়ে গমন করেন। কেননা তাঁর সাথে কুরবানী ছিল। তবে যাদের সঙ্গে কুরবানী ছিল না, তিনি তাদেরকে ওমরাহ শেষে হালাল হ’তে বলেন (বুখারী হা/১৫৪৫)। এতে অনেকে ইতস্ততঃ বোধ করতে থাকেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমার নিকটে ক্রুদ্ধ অবস্থায় আসেন। আমি বললাম, যে আপনাকে ক্রুদ্ধ করেছে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। তখন তিনি বললেন, তুমি কি দেখছ না, আমি লোকদের একটা নির্দেশ দিয়েছি। অথচ তারা ইতস্ততঃ করছে।وَلَوْ أَنِّى اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِى مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا سُقْتُ الْهَدْىَ مَعِى حَتَّى أَشْتَرِيَهُ ثُمَّ أَحِلُّ كَمَا حَلُّوا ‘এখন যেটা বুঝছি, সেটা আগে বুঝতে পারলে আমি কুরবানী খরিদ করে নিয়ে আসতাম না। অতঃপর আমি হালাল হয়ে যেতাম। যেমন তারা হালাল হয়েছে’।[3] এর দ্বারা হজ্জে ক্বেরান যে কষ্টকর হজ্জ, সেটা বুঝানো হয়েছে। অতএব হজ্জে তামাত্তু উত্তম।
এটি তাহিইয়াতুল মসজিদ নয়। বরং তাওয়াফ শেষের ছালাত। কেননা এখানে তাহিইয়াতুল মসজিদ হ’ল তাওয়াফে কুদূম। যা হজ্জ বা ওমরাহ কালে মক্কায় এসেই প্রথমে করতে হয় (যাদুল মা‘আদ ২/২১০)।
[2]. যাদুল মা‘আদ ২/২০৮; মুসলিম হা/১২১৮ (১৪৭)।
[3]. মুসলিম হা/১২১১ (১৩০); মিশকাত হা/২৫৬০ ‘মানাসিক অধ্যায়’ ‘বিদায় হজ্জ’ অনুচ্ছেদ।