লগইন করুন
ইয়ামামা থেকে ১০ জনের এই প্রতিনিধি দলটি মদীনায় আসে। যাদের মধ্যে যিরার বিন আযওয়ার(ضِرَارُ بنُ الْأَزْوَرِ) ওয়াবেছাহ বিন মা‘বাদ এবং তুলায়হা বিন খুওয়াইলিদ আসাদী ছিলেন। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে ছিলেন। তারা এসে নিজেরা কালেমা শাহাদাত পাঠ করেন। অতঃপর তাদের নেতা হাযরামী বিন ‘আমের বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা নিজেরা এসে ইসলাম কবুল করেছি। আপনি আমাদের নিকটে কোন সেনাদল বা মুবাল্লিগ দল পাঠাননি। তখন নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হয়-
يَمُنُّوْنَ عَلَيْكَ أَنْ أَسْلَمُوْا قُلْ لاَ تَمُنُّوْا عَلَيَّ إِسْلاَمَكُمْ بَلِ اللهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَاكُمْ لِلْإِيْمَانِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِيْنَ- (الحجرات 17)-
‘তারা মুসলমান হয়ে তোমাকে ধন্য করেছে বলে মনে করে। বলে দাও, তোমরা মুসলমান হয়ে আমাকে ধন্য করোনি। বরং আল্লাহ ঈমানের পথ প্রদর্শন করে তোমাদেরকে ধন্য করেছেন, যদি তোমরা (ঈমানের দাবীতে) সত্যবাদী হয়ে থাক’ (হুজুরাত ৪৯/১৭)।
অতঃপর তারা কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করল। যেমন পাখির বোল ও ডাইনে-বামে উড়ে যাওয়া থেকে শুভাশুভ নির্ধারণ করা যাবে কি না, গনৎকারের ভবিষ্যদ্বাণী গ্রহণ করা যাবে কি না ইত্যাদি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদেরকে এসব থেকে নিষেধ করলেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য তুলায়হা আসাদী রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুর পর ‘মুরতাদ’ হয়ে যান ও নিজে নবুঅত দাবী করেন। আবুবকর (রাঃ)-এর সময় রিদ্দার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে শামে পালিয়ে যান। সেখানে গিয়ে পুনরায় মুসলমান হন এবং শেষ পর্যন্ত তার ইসলাম সুন্দর ছিল।[1]
[শিক্ষণীয় : (১) আল্লাহর রহমত ব্যতীত কেউ হেদায়াত লাভ করতে পারে না। তাই কোন বিষয়ে হেদায়াত লাভের পর পথ প্রদর্শকের প্রতি শুকরিয়া আদায় করতে হবে। সাথে সাথে অধিকহারে আল্লাহর দরবারে বিনম্রচিত্তে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। (২) আমীরের নিকট আল্লাহর নামে বায়‘আত করার পরেও মুসলমান তা ভঙ্গ করতে পারে। এমনকি নিজেই আমীর দাবী করতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট বায়‘আত করার পরেও তুলায়হা আসাদী নিজে নবুঅতের দাবী করে। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ)-এর পিছনে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেও ইবনু উবাই মুনাফিকদের সর্দার ছিলেন। তাই বলে একারণে রাসূল (ছাঃ) বায়‘আতের সুন্নাত বাতিল করেননি।]