লগইন করুন
ইবনু সা‘দ, দিমইয়াত্বী, ইবনু সাইয়িদিন নাস, মুগলাত্বাঈ, যয়নুদ্দীন ইরাকী প্রমুখ জীবনীকারগণ ৬০-এর অধিক প্রতিনিধি দলের কথা বর্ণনা করেছেন। যুরক্বানী বলেন, উক্ত সংখ্যা ৭০ পর্যন্ত পৌঁছবে না, যা প্রসিদ্ধ আছে’। তিনি ৮ম হিজরীর শাওয়াল মাসে জি‘ইর্রানাতে হোনায়েন যুদ্ধের গণীমত বণ্টন শেষে আগত বনু হাওয়াযেন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে তালিকার প্রথমে এনেছেন। অতঃপর মোট ৩৫টি প্রতিনিধি দলের বর্ণনা দিয়েছেন।[1] আমরা সেখান থেকে ৩৪টি, যাদুল মা‘আদ থেকে ২টি ‘বনু তামীম’ ও কা‘ব বিন যুহায়ের’ এবং ত্বাবাক্বাত ইবনু সা‘দ থেকে ১টি ‘ইয়ামনের শাসকদের দূত’ সহ মোট ৩৭টি প্রতিনিধি দলের বর্ণনা দিলাম। যার মধ্যে ইবনুল ক্বাইয়িম বর্ণিত ৩৫টি, মানছূরপুরী বর্ণিত ২৬টি এবং মুবারকপুরী বর্ণিত ১৬টি দলের উল্লেখ রয়েছে। দলগুলি হ’ল যথাক্রমে (১) বনু হাওয়াযেন (২) ছাক্বীফ (৩) বনু ‘আমের বিন ছা‘ছা‘আহ (৪) আব্দুল ক্বায়েস (৫) বনু হানীফা (৬) ত্বাঈ (৭) কিন্দা (৮) আশ‘আরী (৯) বনু তামীম (১০) বনুল হারেছ (১১) হামদান (১২) মুযায়নাহ (১৩) দাউস (১৪) নাজরান (১৫) ফারওয়া বিন আমরের দূত (১৬) বনু সা‘দ বিন বকর (১৭) তারেক বিন আব্দুল্লাহ প্রতিনিধি দল (১৮) তুজীব (১৯) বনু সা‘দ হুযায়েম (২০) বনু ফাযারাহ (২১) বনু আসাদ (২২) বাহরা (২৩) উযরাহ (২৪) বালী (২৫) বনু মুর্রাহ (২৬) খাওলান (২৭) মুহারিব (২৮) ছুদা (২৯) গাসসান (৩০) সালামান (৩১) বনু ‘আব্স (৩২) গামেদ (৩৩) আযদ (৩৪) বনুল মুনতাফিক্ব (৩৫) কা‘ব বিন যুহায়ের (৩৬) ইয়ামনের শাসকদের দূত এবং (৩৭) নাখঈ।
জীবনীকারগণ যতগুলি প্রতিনিধি দলের বিবরণ দিয়েছেন তার অনেকগুলি মুহাদ্দিছগণের নিকটে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়। তবে প্রায় সবগুলি মর্মগতভাবে প্রমাণিত। অনেকগুলি বর্ণনা ছহীহ হাদীছ সমূহে এসেছে। যেমন বনু হাওয়াযেন, বনু তামীম, আব্দুল ক্বায়েস, বনু হানীফাহ, নাজরান, ইয়ামনবাসী আশ‘আরীগণ, দাউস, তাঈ, কিন্দা, মুযায়নাহ এবং বনু সা‘দ বিন বকর প্রতিনিধি দল সমূহ। আমরা প্রত্যেকটি দল সম্পর্কে আলোচনা করব। কেননা প্রত্যেকটিতেই রয়েছে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়, যা অতীব যরূরী।