লগইন করুন
মাদানী জীবনে সংঘটিত যুদ্ধ সমূহে উভয় পক্ষে নিহত ও শহীদগণের সঠিক তালিকা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। মানছূরপুরী সারিইয়া ইবনু আবিল ‘আওজা-তে (ক্রমিক ৬৫) মুসলিম পক্ষে ৪৯ জন শহীদ বলেছেন। কিন্তু মুবারকপুরী উক্ত বিষয়ে কিছু বলেননি। অনুরূপভাবে গাযওয়া বনু কুরায়যাতে ইহূদীপক্ষে নিহতের সংখ্যা মানছূরপুরী ৪০০ বলেছেন। কিন্তু মুবারকপুরী ৬০০ থেকে ৭০০-এর মধ্যে বলেছেন। মানছূরপুরী ৪০০ ধরে হিসাব করেছেন। কিন্তু আমরা ৬০০ ধরে হিসাব করেছি। ফলে কাফের পক্ষে আমাদের হিসাব তাঁর চাইতে বেশী হয়েছে। এরপরেও ৬টি সারিইয়ায় প্রতিপক্ষের নিহতের সংখ্যা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে ‘কিছু লোক’। এছাড়া ওহোদ যুদ্ধে ৩৭-এর অধিক এবং মুতার যুদ্ধে ‘বহু লোক’ নিহত হয়। অতএব কাফের পক্ষে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। উল্লেখ্য যে, সবচেয়ে বড় ৯টি যুদ্ধে অর্থাৎ বদর (ক্রমিক ৯), ওহোদ (২০), খন্দক (৩১), খায়বর (৫২), মুতা (৬৯), মক্কা বিজয় (৭২), হোনায়েন (৭৭), ত্বায়েফ (৮১) ও তাবূক (৮৭) যুদ্ধে মুসলিম পক্ষে যথাক্রমে ১৪, ৭০, ৬, ১৮, ১২, ২, ৬, ১২, ০০=১৪০ জন সহ ৩৩৩ জন শহীদ এবং কাফের পক্ষে ৭০, ৩৭, ১০, ৯৩, ০০, ১২, ৭১, ০০, ০০=২৯৩ জন সহ ১০০৯ জন নিহত। সর্বমোট ১৩৪২ জন। মানছূরপুরীর হিসাব মতে যা ৩২২ ও ৮৪৯ মোট ১১৭১ জন।
আধুনিক জাহেলিয়াতের যুগে তথাকথিত গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যেভাবে দেশে দেশে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়, তার তুলনায় এ সংখ্যা তৃণসম বলা চলে।