লগইন করুন
গমন পথে মুসলিম বাহিনী ‘হিজর’ এলাকা অতিক্রম করে। যা ছিল খায়বরের অদূরে ওয়াদিল ক্বোরা(وَادِى الْقُرَى) এলাকায় অবস্থিত। এখানে বিগত যুগে ছামূদ জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়। যারা পাথর কেটে মযবুত ঘর-বাড়ি তৈরী করত(الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ) (ফজর ৮৯/৯)। হযরত ছালেহ (আঃ) তাদের নিকটে প্রেরিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাঁকে অমান্য করে। ফলে তারা আল্লাহর গযবে পতিত হয়।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন,لاَ تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ، أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ إِلاَّ أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ. ثُمَّ قَنَّعَ رَأْسَهُ وَأَسْرَعَ السَّيْرَ حَتَّى أَجَازَ الْوَادِىَ ‘তোমরা গযবপ্রাপ্ত ছামূদদের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করো না ক্রন্দনরাত অবস্থায় ব্যতীত। যাতে তাদের যে বিপদ হয়েছে, তোমাদের তেমনটি না হয়। অতঃপর তিনি মাথা নীচু করলেন এবং দ্রুত উক্ত এলাকা অতিক্রম করলেন’।[1] অর্থাৎ কেউ প্রবেশ করতে চাইলে কাঁদতে কাঁদতে প্রবেশ করবে। অথবা মাথা নীচু করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করবে। তিনি তাদের নির্দেশ দিলেন যে,فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم- أَنْ يُهَرِيقُوا مَا اسْتَقَوْا وَيَعْلِفُوا الإِبِلَ الْعَجِينَ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَسْتَقُوا مِنَ الْبِئْرِ الَّتِى كَانَتْ تَرِدُهَا النَّاقَةُ ‘তোমরা যে পানি সংগ্রহ করেছ তা ফেলে দাও। উক্ত পানি দিয়ে যদি আটার খামীর করে থাক, তবে তা উটকে খাইয়ে দাও’। আরও নির্দেশ দিলেন যে, ‘ছালেহ (আঃ)-এর উষ্ট্রী যে কুয়া থেকে পানি পান করত, তোমরা সেই কুয়া থেকে পানি সংগ্রহ করো’ (মুসলিম হা/২৯৮১)।
এখানে বর্ণিত হয়েছে যে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তোমরা এখানকার কুয়া থেকে পানি পান করো না, ঐ পানিতে ওযূ করো না।... আজকে রাতে তোমরা কেউ বের হয়োনা সাথী ব্যতীত’। লোকেরা সেটাই করল। কিন্তু বনু সা‘এদাহ-র দু’জন লোক বের হ’ল। যাদের একজন হাজত সারার জন্য, অন্যজন তার উট খোঁজার জন্য। এক্ষণে যে ব্যক্তি হাজত সারার জন্য বের হয়েছিল, সে তার হাজতের স্থানেই গলায় ফাঁস লেগে পড়ে রইল। অন্যজনকে ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে ত্বাঈ পাহাড়ে নিক্ষেপ করল। রাসূল (ছাঃ)-কে এ খবর দেওয়া হ’লে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদেরকে সাথী ব্যতীত বের হ’তে নিষেধ করিনি? অতঃপর তিনি গলায় ফাঁস লেগে পড়ে থাকা ব্যক্তির নিকটে গিয়ে দো‘আ করলেন। ফলে সে আরোগ্য লাভ করল। দ্বিতীয় জনকে মদীনায় পৌঁছার পর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট ত্বাঈ গোত্রের লোকেরা হাদিয়া স্বরূপ প্রেরণ করল’ (যাদুল মা‘আদ ৩/৪৬৫; ইবনু হিশাম ২/৫২১-২২)। বর্ণনাটির সনদ ‘মুরসাল’ (তাহকীক ইবনু হিশাম, ক্রমিক ১৮৭২)।