কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বনু খোযা‘আহর আবেদনে রাসূল (ছাঃ)-এর সাড়া (استجابة الرسول صـ لطلب بنى خزاعة)
এরপর বনু খোযা‘আহর আরেকটি প্রতিনিধিদল নিয়ে বুদাইল বিন অরক্বা আল-খোযাঈ(بُدَيْلُ بنُ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ) আগমন করেন এবং তাদের গোত্রের কারা কারা নিহত হয়েছে ও কুরায়েশরা কিভাবে বনু বকরকে সাহায্য করেছে, তার পূর্ণ বিবরণ পেশ করেন। রাসূল (ছাঃ) তাদের আবেদনে সাড়া দেন। অতঃপর তারা মক্কায় ফিরে যান।[1]
[1]. আর-রাহীক্ব ৩৯৫ পৃঃ; ইবনু হিশাম ২/৩৯৪-৯৬; যাদুল মা‘আদ ৩/৩৪৯।
এখানে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি প্রসিদ্ধ আছে। যেমন, (১) কুরায়েশদের চুক্তিভঙ্গের খবর পৌঁছবার তিন দিন আগেই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে সফরের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণের আদেশ দেন- যা কেউ জানত না। পিতা আবুবকর (রাঃ) কন্যা আয়েশাকে জিজ্ঞেস করলেন, يَابُنَيَّةُ، مَا هَذَا الْجِهَازُ؟ ‘হে কন্যা! এসব কিসের প্রস্ত্ততি? কন্যা জবাব দিলেন وَاللهِ مَا أَدْرِيْ ‘আল্লাহর কসম! আমি জানি না’। আবু বকর (রাঃ) বললেন, এখন তো রোমকদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নয়। তাহ’লে রাসূল (ছাঃ) কোন দিকের এরাদা করেছেন? আয়েশা (রাঃ) আবার বললেন, وَاللهِ لاَ عِلْمَ لِيْ ‘আল্লাহর কসম! এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই’। দেখা গেল যে, তৃতীয় দিন ‘আমর ইবনু সালেম আল-খোযাঈ ৪০ জন সঙ্গী নিয়ে হাযির হ’লেন। তখন লোকেরা চুক্তিভঙ্গের খবর জানতে পারল’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০৫২; ঐ, ছগীর হা/৯৬৮; ইবনু হিশাম ২/৩৯৭; যাদুল মা‘আদ ৩/৩৫১; আর-রাহীক্ব ৩৯৭ পৃঃ)। বর্ণনাটি যঈফ (আর-রাহীক্ব, তা‘লীক্ব ১৭১ পৃঃ)।
(২) ‘আমর বিন সালেম-এর মর্মস্পর্শী কবিতা শোনার পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে ওঠেন, نُصِرْتَ يَا عَمْرَو بْنَ سَالِمٍ ‘তুমি সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছ হে ‘আমর ইবনু সালেম’! (সীরাহ ছহীহাহ ২/৪৭৩, সনদ যঈফ)। এমন সময় আসমানে একটি মেঘখন্ডের আবির্ভাব হয়। তা দেখে রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন, إنَّ هَذِهِ السَّحَابَةَ لَتَسْتَهِلُّ بِنَصْرِ بَنِيْ كَعْبٍ ‘এই মেঘমালা বনু কা‘বের সাহায্যের শুভ সংবাদে চমকাচ্ছে’ (আর-রাহীক্ব ৩৯৫ পৃঃ)। বর্ণনাটি যঈফ (ঐ, তা‘লীক্ব ১৬৯-৭০ পৃঃ)।
(৩) সন্ধিচুক্তি ভঙ্গের পর করণীয় সম্পর্কে আলোচনার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এক সময় আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন, كَأَنّكُمْ بِأَبِيْ سُفْيَانَ قَدْ جَاءَكُمْ لِيَشُدَّ الْعَقْدَ وَيَزِيْدَ فِي الْمُدَّةِ ‘আমি যেন তোমাদেরকে আবু সুফিয়ানের সাথে দেখছি যে, সে মদীনায় আসছে তোমাদের কাছে চুক্তি পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মেয়াদ বাড়ানোর জন্য’ (আর রাহীক্ব ৩৯৬ পৃঃ; ইবনু হিশাম ২/৩৯৫; যাদুল মা‘আদ ৩/৩৪৯)। বর্ণনাটির সনদ ‘মুরসাল’ (তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ১৬৫৬)।
(৪) দূরদর্শী আবু সুফিয়ান সন্ধিচুক্তি নবায়নের জন্য দ্রুত মদীনায় আসেন এবং তার কন্যা উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবাহর গৃহে গমন করেন। এসময় তিনি বিছানায় বসতে উদ্যত হ’লে কন্যা দ্রুত সেটি গুটিয়ে নিয়ে বলেন, هَذَا فِرَاشُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ نَجَسٌ ‘এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বিছানা। এখানে আপনার বসার অধিকার নেই। কেননা আপনি অপবিত্র মুশরিক’। অতঃপর আবু সুফিয়ান বেরিয়ে জামাতা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে গেলেন ও সব কথা বললেন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) কোন কথা বললেন না। নিরাশ হয়ে তিনি আবুবকর (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। অতঃপর ওমর-এর নিকটে অতঃপর আলী ও ফাতেমার নিকটে গেলেন। এমনকি হাসান-এর দোহাই দিয়ে বললেন, তোমাদের পুত্র আগামী দিনে নেতা হবে। তার দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে গিয়ে আমার বিষয়ে অনুরোধ কর। কিন্তু সবাই অপারগতা প্রকাশ করলেন। অবশেষে আবু সুফিয়ান মসজিদে নববীতে গিয়ে দাঁড়ালেন ও লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, أَيُّهَا النَّاسُ إنِّيْ قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ ‘হে লোকসকল! আমি সকলের মাঝে আশ্রয় প্রার্থনার ঘোষণা দিচ্ছি’। অতঃপর বেরিয়ে উটে সওয়ার হয়ে মক্কার পথে রওয়ানা হয়ে যান। আবু সুফিয়ান মক্কায় এসে নেতাদের নিকটে সব কথা পেশ করেন এবং তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জবাবে বলেন, وَاللهِ مَا وَجَدْتُّ غَيْرَ ذَلِكَ ‘আল্লাহর কসম! এছাড়া আমি আর কোন পথ খুঁজে পাইনি’ (ইবনু হিশাম ২/৩৯৬-৯৭; আর-রাহীক্ব ৩৯৫-৯৭ পৃঃ)। উক্ত বর্ণনাগুলি সনদবিহীন ও ‘মুরসাল’ (মা শা-‘আ ১৮৮ পৃঃ)।
বরং এ বিষয়ে সঠিক কথা এটাই যে, মক্কা বিজয়ের অভিযানের বিষয়টি একেবারেই গোপন ছিল এবং হঠাৎ করেই রাসূল (ছাঃ) এ অভিযানে যাত্রা করেন। কোনদিকে যাবেন সেটাও সাথীরা জানতেন না। অতঃপর যখন রাসূল (ছাঃ) মক্কার উপকণ্ঠে উপনীত হন এবং কুরায়েশদের কাছে এ খবর পৌছে যায়, তখন আবু সুফিয়ান বিন হারব, হাকীম বিন হেযাম, বুদায়েল বিন অরক্বা প্রমুখ নেতাগণ রাতের অন্ধকারে খবর সংগ্রহ করতে বের হন। এসময় রাসূল (ছাঃ)-এর পাহারাদারগণ তাদেরকে ধরে ফেলেন। .... ‘অতঃপর আবু সুফিয়ান ইসলাম কবুল করেন’ (বুখারী হা/৪২৮০)।
(৫) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সবাইকে মক্কা গমনের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন এবং আল্লাহর নিকটে দো‘আ করলেন-اللَّهُمَّ خُذِ الْعُيُوْنَ وَالْأَخْبَارَ عَنْ قُرَيْشٍ حَتَّى نَبْغَتَهَا فِيْ بِلاَدِهَا ‘হে আল্লাহ! তুমি কুরায়েশদের নিকটে গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং এই অভিযানের খবর পৌঁছানোর পথ সমূহ বন্ধ করে দাও। যাতে ওদের অজান্তেই আমরা তাদের শহরে হঠাৎ উপস্থিত হ’তে পারি’ (আর-রাহীক্ব ৩৯৭ পৃঃ; আলবানী, ফিক্বহুস সীরাহ ৩৭৫ পৃঃ, সনদ যঈফ)।
এখানে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি প্রসিদ্ধ আছে। যেমন, (১) কুরায়েশদের চুক্তিভঙ্গের খবর পৌঁছবার তিন দিন আগেই আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) স্ত্রী আয়েশাকে সফরের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণের আদেশ দেন- যা কেউ জানত না। পিতা আবুবকর (রাঃ) কন্যা আয়েশাকে জিজ্ঞেস করলেন, يَابُنَيَّةُ، مَا هَذَا الْجِهَازُ؟ ‘হে কন্যা! এসব কিসের প্রস্ত্ততি? কন্যা জবাব দিলেন وَاللهِ مَا أَدْرِيْ ‘আল্লাহর কসম! আমি জানি না’। আবু বকর (রাঃ) বললেন, এখন তো রোমকদের সঙ্গে যুদ্ধের সময় নয়। তাহ’লে রাসূল (ছাঃ) কোন দিকের এরাদা করেছেন? আয়েশা (রাঃ) আবার বললেন, وَاللهِ لاَ عِلْمَ لِيْ ‘আল্লাহর কসম! এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই’। দেখা গেল যে, তৃতীয় দিন ‘আমর ইবনু সালেম আল-খোযাঈ ৪০ জন সঙ্গী নিয়ে হাযির হ’লেন। তখন লোকেরা চুক্তিভঙ্গের খবর জানতে পারল’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০৫২; ঐ, ছগীর হা/৯৬৮; ইবনু হিশাম ২/৩৯৭; যাদুল মা‘আদ ৩/৩৫১; আর-রাহীক্ব ৩৯৭ পৃঃ)। বর্ণনাটি যঈফ (আর-রাহীক্ব, তা‘লীক্ব ১৭১ পৃঃ)।
(২) ‘আমর বিন সালেম-এর মর্মস্পর্শী কবিতা শোনার পর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলে ওঠেন, نُصِرْتَ يَا عَمْرَو بْنَ سَالِمٍ ‘তুমি সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছ হে ‘আমর ইবনু সালেম’! (সীরাহ ছহীহাহ ২/৪৭৩, সনদ যঈফ)। এমন সময় আসমানে একটি মেঘখন্ডের আবির্ভাব হয়। তা দেখে রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন, إنَّ هَذِهِ السَّحَابَةَ لَتَسْتَهِلُّ بِنَصْرِ بَنِيْ كَعْبٍ ‘এই মেঘমালা বনু কা‘বের সাহায্যের শুভ সংবাদে চমকাচ্ছে’ (আর-রাহীক্ব ৩৯৫ পৃঃ)। বর্ণনাটি যঈফ (ঐ, তা‘লীক্ব ১৬৯-৭০ পৃঃ)।
(৩) সন্ধিচুক্তি ভঙ্গের পর করণীয় সম্পর্কে আলোচনার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। এক সময় আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলে ওঠেন, كَأَنّكُمْ بِأَبِيْ سُفْيَانَ قَدْ جَاءَكُمْ لِيَشُدَّ الْعَقْدَ وَيَزِيْدَ فِي الْمُدَّةِ ‘আমি যেন তোমাদেরকে আবু সুফিয়ানের সাথে দেখছি যে, সে মদীনায় আসছে তোমাদের কাছে চুক্তি পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মেয়াদ বাড়ানোর জন্য’ (আর রাহীক্ব ৩৯৬ পৃঃ; ইবনু হিশাম ২/৩৯৫; যাদুল মা‘আদ ৩/৩৪৯)। বর্ণনাটির সনদ ‘মুরসাল’ (তাহকীক ইবনু হিশাম ক্রমিক ১৬৫৬)।
(৪) দূরদর্শী আবু সুফিয়ান সন্ধিচুক্তি নবায়নের জন্য দ্রুত মদীনায় আসেন এবং তার কন্যা উম্মুল মুমিনীন উম্মে হাবীবাহর গৃহে গমন করেন। এসময় তিনি বিছানায় বসতে উদ্যত হ’লে কন্যা দ্রুত সেটি গুটিয়ে নিয়ে বলেন, هَذَا فِرَاشُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْتَ رَجُلٌ مُشْرِكٌ نَجَسٌ ‘এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বিছানা। এখানে আপনার বসার অধিকার নেই। কেননা আপনি অপবিত্র মুশরিক’। অতঃপর আবু সুফিয়ান বেরিয়ে জামাতা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে গেলেন ও সব কথা বললেন। কিন্তু রাসূল (ছাঃ) কোন কথা বললেন না। নিরাশ হয়ে তিনি আবুবকর (রাঃ)-এর কাছে গেলেন। অতঃপর ওমর-এর নিকটে অতঃপর আলী ও ফাতেমার নিকটে গেলেন। এমনকি হাসান-এর দোহাই দিয়ে বললেন, তোমাদের পুত্র আগামী দিনে নেতা হবে। তার দোহাই দিয়ে বলছি, তোমরা রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে গিয়ে আমার বিষয়ে অনুরোধ কর। কিন্তু সবাই অপারগতা প্রকাশ করলেন। অবশেষে আবু সুফিয়ান মসজিদে নববীতে গিয়ে দাঁড়ালেন ও লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, أَيُّهَا النَّاسُ إنِّيْ قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ ‘হে লোকসকল! আমি সকলের মাঝে আশ্রয় প্রার্থনার ঘোষণা দিচ্ছি’। অতঃপর বেরিয়ে উটে সওয়ার হয়ে মক্কার পথে রওয়ানা হয়ে যান। আবু সুফিয়ান মক্কায় এসে নেতাদের নিকটে সব কথা পেশ করেন এবং তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জবাবে বলেন, وَاللهِ مَا وَجَدْتُّ غَيْرَ ذَلِكَ ‘আল্লাহর কসম! এছাড়া আমি আর কোন পথ খুঁজে পাইনি’ (ইবনু হিশাম ২/৩৯৬-৯৭; আর-রাহীক্ব ৩৯৫-৯৭ পৃঃ)। উক্ত বর্ণনাগুলি সনদবিহীন ও ‘মুরসাল’ (মা শা-‘আ ১৮৮ পৃঃ)।
বরং এ বিষয়ে সঠিক কথা এটাই যে, মক্কা বিজয়ের অভিযানের বিষয়টি একেবারেই গোপন ছিল এবং হঠাৎ করেই রাসূল (ছাঃ) এ অভিযানে যাত্রা করেন। কোনদিকে যাবেন সেটাও সাথীরা জানতেন না। অতঃপর যখন রাসূল (ছাঃ) মক্কার উপকণ্ঠে উপনীত হন এবং কুরায়েশদের কাছে এ খবর পৌছে যায়, তখন আবু সুফিয়ান বিন হারব, হাকীম বিন হেযাম, বুদায়েল বিন অরক্বা প্রমুখ নেতাগণ রাতের অন্ধকারে খবর সংগ্রহ করতে বের হন। এসময় রাসূল (ছাঃ)-এর পাহারাদারগণ তাদেরকে ধরে ফেলেন। .... ‘অতঃপর আবু সুফিয়ান ইসলাম কবুল করেন’ (বুখারী হা/৪২৮০)।
(৫) অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সবাইকে মক্কা গমনের জন্য প্রস্ত্ততি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন এবং আল্লাহর নিকটে দো‘আ করলেন-اللَّهُمَّ خُذِ الْعُيُوْنَ وَالْأَخْبَارَ عَنْ قُرَيْشٍ حَتَّى نَبْغَتَهَا فِيْ بِلاَدِهَا ‘হে আল্লাহ! তুমি কুরায়েশদের নিকটে গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং এই অভিযানের খবর পৌঁছানোর পথ সমূহ বন্ধ করে দাও। যাতে ওদের অজান্তেই আমরা তাদের শহরে হঠাৎ উপস্থিত হ’তে পারি’ (আর-রাহীক্ব ৩৯৭ পৃঃ; আলবানী, ফিক্বহুস সীরাহ ৩৭৫ পৃঃ, সনদ যঈফ)।