লগইন করুন
(১) মুতার যুদ্ধ আরেকবার প্রমাণ করল যে, সংখ্যাশক্তি বা অস্ত্রশক্তি নয়, কেবল ঈমানী শক্তিই বড় শক্তি। যা বিজয়ের আবশ্যিক পূর্বশর্ত।
(২) জিহাদ কেবলমাত্র আখেরাতের উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকে, দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে নয়। এই উদ্দেশ্য বা নিয়তের মধ্যে দুর্বলতা থাকলে কখনোই বিজয় লাভ সম্ভব নয়।
(৩) নেতৃত্ব নির্বাচনে তাক্বওয়া ও যোগ্যতাই বড় মাপকাঠি তার প্রমাণ রয়েছে মুতার যুদ্ধে। যায়েদ বিন হারেছাহ ছিলেন একজন ক্রীতদাস মাত্র। যাদের সামাজিক অবস্থান ছিল সেযুগে সবচাইতে নিম্নে। অন্যদিকে জা‘ফর বিন আবু ত্বালিব ছিলেন বিশ্বসেরা কুরায়েশ বংশের নেতার পুত্র এবং রাসূল (ছাঃ)-এর আপন চাচাতো ভাই। আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা ছিলেন মদীনার অন্যতম সেরা গোত্র খাযরাজের স্বনামধন্য নেতা ও কবি। তিনি ছিলেন মদীনার প্রথমদিকে বায়‘আতকারী ৭৫ জন মুসলমানের ১২ জন নেতার অন্যতম। অথচ আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করলেন মুক্তদাস যায়েদকে। এটি যোগ্যতার মূল্যায়ন ও ইসলামী সাম্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত বটে।
(৪) কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় স্রেফ আল্লাহর উপরে ভরসা করে নেক মাকছূদ হাছিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ইবনু রাওয়াহার ভাষণ ও পরামর্শ সভায় যুদ্ধ যাত্রার সিদ্ধান্ত গ্রহণ তার জাজ্বল্যমান প্রমাণ।
(৫) ইসলামী বিজয়ে নেতার জন্য তাক্বওয়া ও যোগ্যতার সাথে সাথে কুশলী হওয়া আবশ্যক। সাথে সাথে কর্মীদের জন্য প্রয়োজন সুশৃংখল ও অটুট আনুগত্য। মুতার যুদ্ধে ইসলামী বাহিনীর মধ্যে যার অনন্য দৃষ্টান্ত দেখা গেছে।