লগইন করুন
(১) যুদ্ধ নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠাই ইসলামের মূল উদ্দেশ্য। এজন্য কিছু ছাড় দিয়ে হ’লেও সর্বদা সন্ধির পথে চলাই হ’ল ইসলামের নীতি।
(২) আমীর হবেন শান্তিবাদী এবং সবার চাইতে অধিক জ্ঞানী ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন।
(৩) আমীরের কোন সিদ্ধান্ত কর্মীদের মনঃপুত না হ’লে ছবর করতে হবে এবং তা মেনে নিতে হবে।
(৪) সর্বদা আমীরের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। পরামর্শ আবশ্যিক হ’লেও যৌথ নেতৃত্ব বলে ইসলামে কিছু নেই।
(৫) মহিলারা পুরুষের উপরে নেতৃত্ব না দিলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল ব্যাপারে তাদের উত্তম পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণীয়। হোদায়বিয়া সন্ধির পর রাসূল (ছাঃ) স্ত্রী উম্মে সালামাহর একক পরামর্শ গ্রহণ করেন, যা খুবই ফলপ্রসু প্রমাণিত হয়।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও তাঁর সাথীগণ হোদায়বিয়াতে ২০ দিন অবস্থান করেন। অতঃপর মদীনায় ফিরে যান। যাতায়াতসহ সর্বমোট দেড় মাস তাঁরা এই সফরে অতিবাহিত করেন (সীরাহ ছহীহাহ ২/৪৪৭)।
বলা আবশ্যক যে, হোদায়বিয়ার সন্ধিচুক্তি ১৭ কিংবা ১৮ মাস অব্যাহত ছিল। অতঃপর কুরায়েশরা তা ভঙ্গ করে। ফলে সেটি মক্কা বিজয়ের প্রত্যক্ষ কারণ হিসাবে গণ্য হয়।