লগইন করুন
(১) এটাই ছিল মুসলমানদের সাথে মুশরিকদের সর্বপ্রথম ব্যাপকভিত্তিক সশস্ত্র সংঘর্ষ। (২) এটি ছিল ইসলামের টিকে থাকা না থাকার ফায়ছালাকারী যুদ্ধ (৩) এটি ছিল হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী। সেকারণ এ যুদ্ধের দিনটিকে পবিত্র কুরআনে ‘ইয়াওমুল ফুরক্বান’ (يَوْمُ الْفُرْقَانِ) বা কুফর ও ইসলামের মধ্যে ‘ফায়ছালাকারী দিন’ (আনফাল ৮/৪১) বলে অভিহিত করা হয়েছে। (৪) বদরের এ দিনটিকে আল্লাহ স্মরণীয় হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوْا اللهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُوْنَ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যুদ্ধে। অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। অতএব আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/১২৩)। উল্লেখ্য যে, ‘বদর’ নামটি কুরআনে মাত্র একটি স্থানেই উল্লেখিত হয়েছে।
(৫) এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে হাদীছে অত্যন্ত উচ্চ মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। এমনকি মক্কা বিজয়ের প্রাক্কালে গোপন কথা ফাঁস করে মক্কায় প্রেরিত হাতেব বিন আবু বালতা‘আহ-এর পত্র ধরা পড়ার পর আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে খেয়ানত করার অপরাধে ওমর (রাঃ) তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলে রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে বলেছেন, اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الْجَنَّةُ ‘তোমরা যা খুশী কর। তোমাদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেছে’। এ কথা শুনে ওমর (রাঃ) কাঁদতে থাকেন’ (বুখারী হা/৬২৫৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ বলে জনৈক ব্যক্তি মন্তব্য করলে তার উদ্দেশ্যে রাসূল (ছাঃ) বলেন, كَذَبْتَ لاَ يَدْخُلُهَا فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ ‘তুমি মিথ্যা বললে। সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। কেননা সে বদরে ও হুদায়বিয়াতে অংশগ্রহণ করেছে’।[1] অন্য বর্ণনায় এসেছে, لَنْ يَدْخُلَ النَّارَ رَجُلٌ شَهِدَ بَدْراً وَالْحُدَيْبِيَةَ ‘কখনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না ঐ ব্যক্তি যে বদরে ও হুদায়বিয়াতে অংশগ্রহণ করেছে’।[2]
[2]. আহমাদ হা/১৫২৯৭; ছহীহাহ হা/২১৬০।