লগইন করুন
আক্বাবাহর এই বায়‘আত এক যুগান্তকারী ফলাফল আনয়ন করে। যেমন-
(১) গোত্রীয় হানাহানিতে বিপর্যস্ত ও যুদ্ধক্লান্ত ইয়াছরিববাসী, আউস ও খাযরাজ দুই পরস্পরবিরোধী যুদ্ধমান গোত্র পুনরায় ঈমানের বন্ধনে আবদ্ধ হ’ল। যা কোন দুনিয়াবী স্বার্থের ভিত্তিতে ছিল না। বরং কেবলমাত্র জান্নাতের স্বার্থে নিবেদিত ছিল।
(২) তাদের মধ্যে গোত্রীয় জাতীয়তার উপরে নতুন ঈমানী জাতীয়তার বীজ বপিত হ’ল। যা তাদেরকে নতুন জীবনবোধে উদ্দীপিত করে তুলল।
(৩) বহিরাগত সূদী কারবারী ইহূদী-নাছারাগণ আউস ও খাযরাজ দুই বড় গোত্রের মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে এতদিন ধরে যে অর্থনৈতিক ফায়েদা লুটে আসছিল, তার অবসানের সূচনা হ’ল।
(৪) এর ফলে হিজরতের ক্ষেত্র প্রস্ত্তত হ’ল এবং হিজরতের পূর্বেই ইয়াছরিববাসীগণ রাসূল (ছাঃ)-কে বরণ করে নেবার জন্য সার্বিক প্রস্ত্ততি গ্রহণ করতে লাগল।
(৫) নতুন ঈমানী জাতীয়তার অনুভূতিতে আপ্লুত হয়ে ইয়াছরিববাসীগণ মক্কার নির্যাতিত মুহাজিরগণকে নিজেদের ভাই হিসাবে গ্রহণ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো। ঈমানী ভ্রাতৃত্বের এই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল আক্বাবাহর এই মহান বায়‘আতের মাধ্যমে। এরপরেই রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মক্কার নির্যাতিত মুসলমানদের ইয়াছরিবে হিজরতের নির্দেশ দেন।