লগইন করুন
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلاَمَا نُبَايِعُكَ قال: (১) عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِى النَّشَاطِ وَالْكَسَلِ (২) وَعَلَى النَّفَقَةِ فِى الْعُسْرِ وَالْيُسْرِ (৩) وَعَلَى الأَمْرِ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىِ عَنِ الْمُنْكَرِ (৪) وَعَلَى أَنْ تَقُولُوا فِى اللهِ لاَ تَأْخُذُكُمْ فِيهِ لَوْمَةُ لاَئِمٍ (৫) وَعَلَى أَنْ تَنْصُرُونِى إِذَا قَدِمْتُ يَثْرِبَ فَتَمْنَعُونِى مِمَّا تَمْنَعُونَ مِنْهُ أَنْفُسَكُمْ وَأَزْوَاجَكُمْ وَأَبْنَاءَكُمْ وَلَكُمُ الْجَنَّةُ (৬) وَفِى رِوَايَةٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ: وَعَلَى أَنْ لاَ نُنَازِعَ الأَمْرَ أَهْلَهُ
‘জাবের (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কোন কথার উপরে আপনার নিকটে বায়‘আত করব? তিনি বললেন, (১) সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আমার কথা শুনবে ও তা মেনে চলবে (২) কষ্টে ও সচ্ছলতায় (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ করবে (৩) সর্বদা ন্যায়ের আদেশ দিবে ও অন্যায় থেকে নিষেধ করবে (৪) আল্লাহর জন্য কথা বলবে এভাবে যে, আল্লাহর পথে কোন নিন্দুকের নিন্দাবাদকে পরোয়া করবে না (৫) যখন আমি ইয়াছরিবে তোমাদের কাছে হিজরত করে যাব, তখন তোমরা আমাকে সাহায্য করবে এবং যেভাবে তোমরা নিজেদের ও নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের হেফাযত করে থাক, সেভাবে আমাকে হেফাযত করবে। বিনিময়ে তোমরা ‘জান্নাত’ লাভ করবে’।[1] (৬) ওবাদাহ বিন ছামেত (রাঃ) বর্ণিত অপর রেওয়ায়াতে এসেছে যে, ‘এবং আমরা নেতৃত্বের জন্য ঝগড়া করব না’।[2]
বস্ত্ততঃ প্রায় দেড় হাযার বছর পূর্বে নেওয়া বায়‘আতের শর্তগুলির প্রতিটির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এ যুগেও পুরোপুরিভাবে মওজুদ রয়েছে। সেদিনেও যেমন জান্নাতের বিনিময়ে নেওয়া বায়‘আত সর্বাত্মক সমাজবিপ্লবের কারণ ঘটিয়েছিল, আজও তেমনি তা একই পন্থায় সম্ভব, যদি আমরা আন্তরিক হই।
[2]. ইবনু হিশাম ১/৪৫৪; মুসলিম হা/১৭০৯ (৪১); মিশকাত হা/৩৬৬৬।