লগইন করুন
(১) যতবড় বিপদ আসুক তাতে ধৈর্য ধারণ করা এবং বাস্তবতার মুকাবিলা করা সংস্কারকের প্রধান কর্তব্য। কাছাকাছি সময়ে আবু তালেব ও খাদীজাকে পরপর হারিয়ে হত-বিহবল রাসূলকে স্বীয় কর্তব্যে অবিচল থাকার মধ্যে আমরা সেই শিক্ষা পাই।
(২) ইসলামের প্রসার ও নিরাপত্তার জন্য তাওহীদকে অক্ষুণ্ণ রেখে সম্ভাব্য সকল দুনিয়াবী উৎসের সন্ধান করা ও তার সাহায্য নেওয়া সিদ্ধ। ত্বায়েফবাসীদের নিকটে সাহায্যের জন্য গমনের মধ্যে সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে।
(৩) কঠিন বিপদে অসহায় অবস্থায় কেবলমাত্র আল্লাহর নিকটেই সাহায্য চাইতে হবে- এ বিষয়ে শিক্ষা রয়েছে তায়েফ থেকে ফেরার পথে রাসূল (ছাঃ)-এর সেই প্রসিদ্ধ দো‘আর মধ্যে।
(৪) বিরোধী পক্ষকে সবংশে নির্মূল করে দেবার মত শক্তি হাতে পেলেও তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরগণের হেদায়াতের আশায় সংস্কারক ব্যক্তি তা থেকে বিরত থাকেন। মালাকুল জিবালের আবেদনে সাড়া না দিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সেই উদারতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে কোন দুশমনকে ধ্বংসের অভিশাপ দেওয়া যাবে। যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উৎবা-শায়বা-আবু জাহল প্রমুখকে দিয়েছিলেন এবং তা আল্লাহর পক্ষ হ’তে কার্যকর হয়েছিল।
(৫) আল্লাহর পথে সংস্কারকদের জন্য আল্লাহর গায়েবী মদদ হয়, তার বাস্তব প্রমাণ রাসূল (ছাঃ)-এর জীবনে দেখা গেছে তায়েফ থেকে ফেরার পথে ক্বারনুল মানাযিল নামক স্থানে ফেরেশতা অবতরণের মাধ্যমে এবং মক্কায় প্রবেশকালে মুত্ব‘ইম বিন ‘আদীর সহযোগিতার মাধ্যমে।
(৬) দুনিয়াবী জৌলুস যে মানুষকে অহংকারী করে ও হেদায়াত থেকে বঞ্চিত রাখে, তায়েফের নেতাদের উদ্ধত আচরণ এবং রাসূল (ছাঃ)-এর দীনহীন অবস্থার প্রতি কটাক্ষ করা, অতঃপর তাঁর পিছনে ছোকরাদের লেলিয়ে দেবার ঘটনার মধ্যে তার প্রমাণ মেলে।