লগইন করুন
(১) ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য অনেক সময় অমুসলিম শক্তি সহায়তা করে থাকে। বনু হাশেম ও বনু মুত্ত্বালিবের অতুলনীয় সহযোগিতা ও সহমর্মিতা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। হাবশার বাদশাহ নাজাশীর সহযোগিতার কথাও এখানে স্মর্তব্য। আল্লাহ এভাবেই তার দ্বীনকে অনেক সময় তার বিরোধীদের মাধ্যমে বিজয়ী করে থাকেন’ (বুখারী হা/৩০৬২, ৪২০২-০৩)।
(২) ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ যে কুসুমাস্থির্ণ নয়; বরং অনেক সময় সামগ্রিক বিপদের সম্মুখীন হ’তে হয়, কুরায়েশদের সর্বাত্মক বয়কট তার অন্যতম উদাহরণ।
(৩) নেতৃবৃন্দের আদর্শিক দৃঢ়তা ও সত্যের প্রতি অবিচল আস্থাই অন্যদের শ্রদ্ধা আকর্ষণে সমর্থ হয়। রাসূল (ছাঃ) ও মুসলমানদের প্রতি আবু তালেব ও অন্যদের দৃঢ় সমর্থনের পিছনে রক্ত সম্পর্ক ছাড়াও এটাই ছিল অন্যতম প্রধান কারণ। এমনকি আবু জাহল পক্ষের লোকদের অনেকে মুসলমানদের প্রতি আকৃষ্ট ছিল এবং বয়কট কালে গোপনে তাদের নিকটে খাদ্য-পানীয় পৌঁছাতো। হাকীম বিন হেযাম, আবুল বাখতারী, হেশাম বিন আমর এবং অবশেষে যোহায়ের বিন আবু উমাইয়া ও মুত্ব‘ইম বিন ‘আদী প্রমুখের প্রকাশ্য সদাচরণে যার প্রমাণ মেলে।
(৪) আদর্শিক সম্পর্কের বাইরেও রক্ত সম্পর্ক যে অনেক সময় সত্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করে, রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতি আব্দে মানাফের দুই পুত্র হাশেম ও মুত্ত্বালিবের গোত্রদ্বয়ের সর্বদা অকপট সমর্থন তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। কেবলমাত্র আবু লাহাব ব্যতীত। কেননা তিনি বিরোধীদের সাথে ছিলেন।