লগইন করুন
কুরআনে ২৫ জন নবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে: আদম[1], ইদরীস[2], নূহ[3], হুদ[4], সালিহ[5], ইবরাহীম[6], লূত[7], ইসমাঈল[8], ইসহাক[9], ইয়াকূব[10], ইউসূফ[11], আইয়ূব[12], শুয়াইব[13], মূসা[14], হারূন[15], ইউনূস[16], দাউদ[17], সুলাইমান[18], ইল্ইয়াস[19], ইল্ইয়াসা’[20], যুলকিফল[21], যাকারিয়া[22], ইয়াহইয়া[23], ঈসা[24], মুহাম্মাদ[25] (صلى الله عليهم وسلم)।[26]
কুরআন কারীমে উল্লেখ করা হয়েছে যে, উযাইরকে ইহূদীগণ আল্লাহর পুত্র বলে দাবি করত।[27] কিন্তু তাঁর নবুয়ত সম্পর্কে কিছুই বলা হয় নি। আবূ হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
مَا أَدْرِيْ أعُزَيْرٌ نَبِيُّ هُوَ أَمْ لاَ
‘‘আমি জানি না যে, উযাইর নবী ছিলেন কি না।’’[28]
মূসার খাদেম হিসাবে ইউশা ইবনু নূন-এর নাম হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণিত কোনো সহীহ হাদীসে অন্য কোনো নবীর নাম উল্লেখ করা হয় নি। কোনো কোনো অত্যন্ত যয়ীফ বা জাল হাদীসে আদম (&আ) এর পুত্র ‘‘শীস’’-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কালুত, হাযকীল, হাযালা, শামূয়েল, জারজীস, শামঊন, ইরমিয়, দানিয়েল প্রমুখ নবীগণের নাম, জীবণবৃত্তান্ত ইত্যাদি বিষয়ে যা কিছু বলা হয় সবই মূলত ইসরাঈলীয় বর্ণনা ও সেগুলোর ভিত্তিতে মুফাসসির ও ঐতিহাসিকগণের মতামত।
[1] ২৫ বার তাঁর নাম উলেলখ করা হয়েছে। দেখুন: সূরা বাকার ৩১ আয়াত ....
[2] ২ বার। দেখুন: সূরা মারইয়াম ৫৬ আয়াত ...
[3] ৪৩ বার। দেখুন: সূরা আল-ইমরান ৩৩ আয়াত ....
[4] ৮ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১২৪ আয়াত ....
[5] ৯ বার। দেখুন: সূরা আরাফ-৭৩ আয়াত ....
[6] ৬৯ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১২৪ আয়াত ....
[7] ১৭ বার। দেখুন: সূরা হুদ ৭০ আয়াত ....
[8] ১২ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১২৫ আয়াত ...
[9] ১৭ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১৩৩ আয়াত ....
[10] ১৬ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১৩২ আয়াত ....
[11] ২৭ বার। দেখুন: সূরা আনআম ৮৪ আয়াত ....
[12] ৪ বার। দেখুন: সূরা নিসা ১৬৩ আয়াত ....
[13] ১১ বার। দেখুন: সূরা আরাফ ৮৫ আয়াত ....
[14] ১৩৬ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ৫১ আয়াত ....
[15] ২০ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ২৪৮ আয়াত ....
[16] ৪ বার। দেখুন: সূরা নিসা ১৬৩ আয়াত ....
[17] ১৬ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ২৫১ আয়াত ....
[18] ১৭ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ১০২ আয়াত ....
[19] ৩ বার। দেখুন: সূরা আনআম ৮৫ আয়াত ....
[20] ২ বার। দেখুন: সূরা আনআম ৮৬ ও সূরা সাদ ৪৮ আয়াত।
[21] ২ বার। দেখুন: সূরা আম্বিয়া ৮৫ ও সূরা সাদ ৪৮ আয়াত।
[22] ৭ বার তাঁর নাম উলেলখিত হয়েছে। দেখুন: সূরা আল-ইমরান ৩৭ আয়াত ....
[23] ৫ বার। দেখুন: সূরা আল-ইমরান ৩৯ আয়াত ....
[24] ২৫ বার। দেখুন: সূরা বাকারা ৮৭ আয়াত ....
[25] ৪ বার তাঁর নাম উলেলখিত হয়েছে। সূরা আল-ইমরান ১৪৪, সূরা আহযাব ৪০, সূরা মুহাম্মাদ ২ ও সূরা ফাতহ ২৯ আয়াত। আললাহ কুরআনে সকল নবী-রাসূলের ক্ষেত্রে তাঁদের নাম ধরে সম্বোধন করেছেন এবং তাদের ঘটনা বর্ণনার সময় তাঁদের নাম উলেলখ করেছেন। কিন্তু মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর ক্ষেত্রে কুরআনে ‘‘হে নবী’’ বা ‘‘হে রাসূল’’ বলে তাঁকে সম্বোধন করা হয়েছে। আর তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে গেলে ‘‘নবী’’ ‘‘রাসূল’’ বা ‘‘আবদ’’ বলা হয়েছে। এজন্য কুরআনে শুধুমাত্র ৪টি স্থান ছাড়া কোথাও তাঁর নাম উলেলখিত হয় নি।
[26] ইবনু কাসীর, তাফসীর ১/৫৮৬; কুরতুবী, তাফসীর, ৩/৩১;
[27] সূরা ৯: তাওবা, আয়াত ৩০।
[28] আবূ দাউদ, আস-সুনান ৪/২১৮; আযীম আবাদী, আউনুল মা’বুদ ১২/২৮০।