লগইন করুন
(১) বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার লাভ হয়। ধন-সম্পদ ও পুত্র-কন্যা হারিয়ে অবশেষে রোগ জর্জরিত দেহে পতিত হয়েও আইয়ূব (আঃ) আল্লাহর স্মরণ থেকে বিচ্যুত হননি এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হননি। এরূপ কঠিন পরীক্ষা বিশ্ব ইতিহাসে আর কারো হয়েছে বলে জানা যায় না। শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) তাই বলেন, إنَّ عِظَمِ الجزاءِ مع عظَمِ البلاء ... ‘নিশ্চয়ই বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার লাভ হয়ে থাকে’।[6] আর দুনিয়াতে দ্বীনদারীর কঠোরতা ও শিথিলতার তারতম্যের অনুপাতে পরীক্ষায় কমবেশী হয়ে থাকে। আর সেকারণে নবীগণ হ’লেন সবচেয়ে বেশী বিপদগ্রস্ত।[7]
(২) প্রকৃত মুমিনগণ আনন্দে ও বিষাদে সর্বাবস্থায় আল্লাহর রহমতের আকাংখী থাকেন। বরং বিপদে পড়লে তারা আরও বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী হন। কোন অবস্থাতেই নিরাশ হন না।
(৩) প্রকৃত স্ত্রী তিনিই, যিনি সর্বাবস্থায় নেককার স্বামীর সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেন। আইয়ূবের স্ত্রী ছিলেন বিশ্বের পুণ্যবতী মহিলাদের শীর্ষস্থানীয় দৃষ্টান্ত।
(৪) প্রকৃত ছবরকারীর জন্যই দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা। আইয়ূব দম্পতি ছিলেন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
(৫) শয়তান প্রতি মুহূর্তে নেককার মানুষের দুশমন। শিরকী চিন্তাধরার জাল বিস্তার করে সে সর্বদা মুমিনকে আল্লাহর পথ হ’তে সরিয়ে নিতে চায়। একমাত্র আল্লাহ নির্ভরতা এবং দৃঢ় তাওহীদ বিশ্বাসই মুমিনকে শয়তানের প্রতারণা হ’তে রক্ষা করতে পারে।
[7]. তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, দারেমী, মিশকাত হা/১৫৬২, সনদ হাসান, ‘জানায়েয’ অধ্যায় ‘রোগীর সেবা ও রোগের ছওয়াব’ অনুচ্ছেদ।