মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
বদনযর থেকে বাঁচার উপায়

বদনযর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়াতে কোন দোষ নেই। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হল বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনযর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নাবী (ﷺ) হাসান-হুসাইন (রাঃ) কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেনঃ নাবী (ﷺ) বলেন, ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পুত্র ইসহাক এবং ইসমাঈল (আঃ) কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়-ফুক করতেনঃ


أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التامَّةِ مِن كُلِّ شَيْطَانٍ وهامَّةٍ ومِن كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ


‘‘আমি আল্লাহর কাছে তাঁর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান এবং বিষধর বস্ত্ত ও কষ্ট দায়ক নযর হতে তোমাদের জন্য আশ্রয় চাচ্ছি’’।[1] বদনরের প্রভাব সত্য। মানুষের উপর বদনযর লেগে যায়। নাবী (ﷺ) একদা একটি বান্দীকে দেখলেন যে, তার চেহারা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। তখন তিনি বললেন-


اسْتَرْقُوا لَهَا فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ


‘‘তার উপর ঝাড়-ফুঁক করো। কারণ তার উপর বদ নযর লেগেছে’’।[2] আয়িশা (রাঃ) বলেন-


أَمَرَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ أَمَرَ أَنْ يُسْتَرْقَى مِنَ الْعَيْنِ


‘‘নাবী (ﷺ) বদনযর হতে ঝাড়-ফুঁক করার আদেশ দিয়েছেন’’।[3]

[1]. বুখারী, তাও. হা/৩৩৭১, ইফা. হা/৩১২৯, আপ্র. হা/৩১২১, মিশকাত, হাএ. হা/১৫৩৫, সহীহ, আলবানী।

[2]. বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিবব, তাও. হা/৫৭৩৯, মিশকাত, হাএ. হা/৪৫২৮

[3]. বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুত্ তিবব, তাও. হা/৫৭৩৪, মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুস্ সালাম।