মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
কথা-বার্তায় সংযত হওয়া এবং শব্দ নির্বাচন ও তা প্রয়োগে নাবী (সাঃ)-এর সতর্কতা

তিনি তাঁর ভাষণে সুন্দরতম শব্দ নির্বাচন করতেন এবং তাঁর উম্মাতের জন্যও তাই নির্বাচন করেছেন। অশ্লীল ও কঠোর শব্দ ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তিনি কর্কশভাষী ছিলেন না, তিনি তা পছন্দও করতেন না, তিনি উঁচু আওয়াজে তথা চিৎকার করে ও কঠোর ভাষায় কথা বলতেন না। সম্মানী ব্যক্তি নয়- এমন ব্যক্তির জন্য তিনি উত্তম শব্দ ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন। আর সম্মানী ব্যক্তির ক্ষেত্রে অপছন্দনীয় শব্দ ব্যবহার করাও তিনি সমর্থন করতেন না।

প্রথম প্রকারের উদাহরণ হল মুনাফিক লোককে কখনই সাইয়্যেদ (নেতা) বলা যাবেনা এবং আঙ্গুরকে কারাম বলা যাবেনা। এর উপর ভিত্তি করেই আবু জাহেলকে আবুল হাকাম বলা যাবেনা। তিনি সাহাবীদের মধ্যে আবুল হাকামের (বিচারকদের বিচারক) নাম পরিবর্তন করে আবু শুরাইহ রেখেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন- প্রকৃত বিচারক তো একমাত্র আল্লাহ্। তাঁর পক্ষ থেকেই ফয়সালা আসে। তিনি চাকরকে আদেশ দিয়েছেন, সে যেন তার মনিবকে রাববী তথা আমার প্রভু না বলে। এমনিভাবে মনিবকে বলেছেন সে যেন স্বীয় চাকরকে আবদী তথা আমার বান্দা এবং আমার বান্দী না বলে।

এক ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তার (চিকিৎসক) হিসাবে দাবী করলে নাবী (ﷺ) বললেন- তুমি হলে রফীক (রোগীর প্রতি দয়াকারী)। যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তার প্রকৃত চিকিৎসক।[1] চিকিৎসা শাস্ত্রে সামান্য জ্ঞানের অধিকারী কাফেরদেরকেও জাহেলরা হাকীম (মহা চিকিৎসক, মহা জ্ঞানী) বলে থাকে। অথচ প্রকৃত হাকীম হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলা। আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সর্বাধিক মূর্খ হচ্ছে কাফেরের দল। রসূল (ﷺ) কোন এক বক্তাকে বলতে শুনলেনঃ

وَمَنْ يَعْصِهِمَا فَقَدْ غَوَى

‘‘যে ব্যক্তি তাদের উভয়ের (আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের) নাফরমানী করল সে ব্যক্তি গোমরাহ হল’’। এ কথা শুনে তিনি বললেন- তুমি খুব নিকৃষ্ট বক্তা। আসলে তার বলা উচিৎ ছিল এভাবেঃ

مَنْ يُطِعِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ رَشَدَ وَمَنْ يَعْصِ اللهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ غَوَى

যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে সে সুপথ প্রাপ্ত হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলের নাফরমানী করবে, সে গোমরাহ হবে। ঐ লোকটি প্রথমে আল্লাহর নাম উল্লেখ করে এবং রসূল কথাটি পরে উল্লেখ না করে সর্বনামের মাধ্যমে সরসূরি অর্থাৎ ‘তাদের উভয়ের’ কথাটির মাধ্যমে আল্লাহ্ এবং রসূলকে সমান করে দেয়ায় রসূল (ﷺ) তাকে নিকৃষ্ট বক্তা বলেছেন। এরই অন্তর্ভুক্ত নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা এ কথা বলোনা যে, مَا شَاءَ الله وشَاءَ فُلَانٌ অর্থাৎ আল্লাহ্ যা চান ‘এবং’ অমুক, আপনি বা সে যা চায়। বরং বলতে হবে যদি আল্লাহ চান কিংবা যদি আল্লাহ্ চান অতঃপর আপনি যদি চান। ‘এবং’-এর মাধ্যমে উভয়কে একই বিষয়ে একত্রিত করা হলে উভয়েই সমান ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে। অতঃপর-এর মাধ্যমে সেটি করা হলে তেমন কোন সন্দেহ হবেনা। যে ব্যক্তি শিরক থেকে বাঁচার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করেনা তার কথাও অনুরূপ। তার কথাঃ আমি আল্লাহর ভরসায় এবং তোমার ভরসায় আছি, আমি আল্লাহ্ এবং তোমার হেফাজতে আছি, আমার জন্য আল্লাহ্ এবং তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, আমি আল্লাহর উপর এবং তোমার উপর ভরসা করছি, এটি আল্লাহ্ এবং তোমার পক্ষ হতে, আল্লাহর শপথ এবং তোমার হায়াতের শপথ ইত্যাদি। এ ধরণের অসংখ্য কথার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সাথে সৃষ্টিকে (মানুষকে) শরীক করে থাকে। এই কথাগুলো ‘আল্লাহ্ যা চান এবং সে যা চায়’ বলা থেকেও অধিক নিকৃষ্ট।

তবে যখন বলবে যে, আমি আল্লাহর সাথে অতঃপর আপনার সাথে আছি, আল্লাহ্ যা চান অতঃপর আপনি যা চান তাহলে কোন সমস্যা নেই। যেমন তিন ব্যক্তির হাদীছে এসেছে, এখন আমি আল্লাহর অনুগ্রহ অতঃপর আপনার সাহায্য ব্যতীত ঘরে ফিরতে পারবনা।[2]

আর দ্বিতীয় প্রকারের উদাহরণ অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিন্দার হকদার নয় তার ক্ষেত্রে নিন্দাসূচক শব্দ ব্যবহার করার উদাহরণ হচ্ছে, নাবী (ﷺ) যুগকে গালি দিতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন- আল্লাহই হচ্ছেন যুগ তথা যুগের ও তার ভাল-মন্দের সৃষ্টিকারী এবং যুগের পরিবর্তনকারী। যুগকে গালি দেয়াতে তিনটি সমস্যা রয়েছে।

(১) যে গালির হকদার নয়, তাকে গালি দেয়া। (২) যুগকে গালি দেয়া শির্কের অন্তর্ভুক্ত। কেননা যুগকে গালি দাতা এই মনে করেই গালি দেয় যে, উহা লাভ ও ক্ষতির মালিক এবং যুগ বা যামানা হচ্ছে জালেম। অনেক কবিই তাদের কবিতার মাধ্যমে যামানাকে গালি দেয় এবং বহু সংখ্যক অজ্ঞ লোকও যামানাকে লানত ও দোষারোপ করে থাকে। (৩) যারা যামানাকে গালি দেয়, দোষারোপ করে, মূলতঃ গালি তাদের উপরই পতিত হয়। প্রকৃত কথা হচ্ছে আল্লাহ্ তা‘আলা যদি মানুষের মনের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আসমান-যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। কারণ তাদের অবস্থা যখন তাদের চাহিদা অনুযায়ী হয় তখন তারা যুগের প্রশংসা করে এবং তার গুণগুণ প্রকাশ করে। আর যখন তাদের অবস্থা এর বিপরীত হয় তখন তারা যুগকে গালি দেয়।

নাবী (ﷺ) বলেন- তোমাদের কেউ যেন (হোঁচট খেলে বা পা পিছলে পড়ে গিয়ে কিংবা কারও হাত থেকে কিছু পড়ে গেলে) এ কথা না বলে যে, শয়তান ধ্বংস হোক! কেননা এ কথা বললে তা শুনে শয়তান মোটা হতে থাকে। এমনকি ঘরের মত বড় হয়ে যায় এবং বলতে থাকে আমি স্বীয় শক্তিতে তাকে পরাজিত করেছি। বরং সে যেন বলেঃ বিসমিল্লাহ। কেননা এ কথা বললে শয়তান ছোট হতে হতে মাছির ন্যায় হয়ে যায়।[3]

অন্য হাদীছে আছে, বান্দা যখন শয়তানকে লানত করে তখন সে বলে তুমি তো একজন অভিশপ্তকেই অভিশাপ করছ। উপরের কথাটির মতই এ কথাটি বলা যে, আল্লাহ্ শয়তানকে লাঞ্জিত করুক, শয়তানের মুখকে কালো করুক এ জাতিয় সকল কথাতেই শয়তান খুশী হয়। সে বলেঃ বনী আদম জানে যে, আমার শক্তির মাধ্যমে আমি তাদের ক্ষতি করি। এ রকম বললে কোন উপকার তো হয়না; বরং শয়তানকে গোমরাহ করার কাজে সহায়তা করা হয়। যার উপর শয়তানের প্রভাব পড়ে তাকে নাবী (ﷺ) আল্লাহর নাম, আল্লাহর যিকির, আল্লাহর নাম উচ্চারণ এবং শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন। এটিই তার জন্য অধিক উপকারী এবং শয়তানের ক্রোধ বৃদ্ধিকারী।

নাবী (ﷺ) মানুষকে এও বলতে নিষেধ করেছেন যে, خبثت نفسي ‘খাবুছাত নাফসী’ অর্থাৎ আমার অন্তর নোংরা হয়ে গেছে। বরং সে যেন বলেঃ لقست نفسي ‘লাকিসাত নাফসী’ অর্থাৎ আমার অন্তর দুষ্ট হয়েছে। উভয় বাক্যের অর্থ কাছাকাছি। তা হচ্ছে মন বিনষ্ট হয়ে গেছে। নাবী (ﷺ) خبث শব্দটি প্রয়োগ করা অপছন্দ করেছেন। কারণ তা কদর্যতা ও নোংরামীর মাত্রাতিরিক্ত অর্থ প্রকাশ করে।

[1]. অর্থাৎ রোগ ও রোগীর প্রকৃত অবস্থা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কেউ জানে না এবং তিনিই রোগীকে সুস্থ করার ক্ষমতা রাখেন। এই হিসেবে প্রকৃত চিকিৎসক হচ্ছেন আল্লাহ্। এমনটি নয় যে, ডাক্তার বা চিকিৎসক আল্লাহর অন্যতম নাম।

[2]. তিন ব্যক্তির হাদীসটির বিস্তারিত বিবরণঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ বনী ইসরাঈলে তিন জন লোক ছিল। একজন ছিল শ্বেত রোগী, দ্বিতীয়জন মাথায় টাক ওয়ালা এবং তৃতীয়জন অন্ধ। আল্লাহ্ তা‘আলা তাদের পরীক্ষা নিতে চাইলেন। তাই তিনি তাদের কাছে একজন ফেরেশতা পাঠালেন। ফেরেশতা প্রথমে শ্বেতরোগীর কাছে এসে বললেনঃ কোন্ জিনিস তোমার নিকট অধিক প্রিয়। সে বললঃ সুন্দর রং এবং সুন্দর চামড়া। কেননা মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ অতঃপর ফেরেশতা তার শরীরে হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে তার রোগ চলে গেল। তাকে সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া দেয়া হল। তারপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ ধরণের সম্পদ তোমার কাছে অধিক প্রিয়? সে বললঃ উট। তাকে একটি গর্ভবতী উষ্ট্রী দেয়া হল। ফেরেশতা বললেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার জন্য এর মধ্যে বরকত দান করুন।

অতঃপর ফেরেশতা টাকওয়ালার নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ জিনিষ তোমার নিকট অধিক প্রিয়। সে বললঃ সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এ টাক চলে যায়। মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। ফেরেশতা তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে তার টাক চলে গেল। তার মাথায় সুন্দর চুল গজাল। তারপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ ধরণের সম্পদ তোমার কাছে অধিক প্রিয়? সে বললঃ গরু। ফেরেশতা তাকে একটি গর্ভবতী গাভী দিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার জন্য এর মধ্যে বরকত দান করুন।

অতঃপর ফেরেশতা অন্ধের নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃকোন্ জিনিষ তোমার নিকট অধিক প্রিয়। সে বললঃ আল্লাহ্ যেন আমার চোখে জ্যোতি ফিরিয়ে দেন। আমি যেন মানুষ দেখতে পারি। ফেরেশতা তার চোখে হাত বুলিয়ে দিলেন। এতে আল্লাহ্ তা‘আলা তার চোখ ফিরিয়ে দিলেন। তারপর ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন্ ধরণের সম্পদ তোমার কাছে অধিক প্রিয়? সে বললঃ ছাগল। ফেরেশতা তাকে একটি গর্ভবতী ছাগী দিলেন।

অতঃপর তিনজনের পশুগুলোই বাচ্চা দিল। অল্প দিনের মধ্যে একজনের উটে ময়দান ভরে গেল, অপরজনের গরুতে চারণভূমি ভরে গেল এবং তৃতীয়জনের ছাগলে উপত্যকা ছেয়ে গেল।

পুনরায় সেই ফেরেশতা পূর্বের আকৃতি ও সুরত ধরে প্রথমে শ্বেতরোগীটির নিকট আসলেন এবং বললেনঃ আমি একজন নিঃশ্ব গরীব লোক। আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি আল্লাহর অনুগ্রহ অতঃপর আপনার সাহায্য ব্যতীত ঘরে ফিরতে পারব না। আমি আপনার কাছে সেই আল্লাহর দোহাই দিয়ে একটি উট চাচ্ছি, যিনি আপনাকে সুন্দর রং ও সুন্দর চামড়া দান করেছেন এবং সম্পদ দান করেছেন। আপনি একটি উট দিলে তার উপর আরোহন করে আমি বাড়ি পৌঁছে যাব। তখন লোকটি বললঃ আরো অনেকের হক রয়েছে। (সওয়ালকারী তো অনেক। কি করে তোমাকে একটি উট দিয়ে দেই?)

ফেরেশতা বললেনঃ আমার মনে হয় তোমাকে চিনতে পেরেছি। তুমি কি শ্বেতরোগী ছিলে না? মানুষ তোমাকে ঘৃণা করত। তুমি কি ফকীর ছিলে না? অতঃপর আল্লাহ্ তোমাকে বিপুল সম্পদ দিয়েছেন। সে বললঃ আমি তো এগুলো আমার বাপ-দাদা থেকে ওয়ারিছ সূত্রেই পেয়েছি। তখন ফেরেশতা বললেনঃ তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক, তাহলে আল্লাহ্ যেন তোমাকে আগের মতই করে দেন।

অতঃপর ফেরেশতা পূর্বের সুরত ও আকৃতিতে টাকওয়ালার নিকট আসলেন একই কথা বললেন। টাকওয়ালা একই উত্তর দিল। তখন ফেরেশতা বললেনঃ তুমি যদি মিথ্যাবাদী হয়ে থাক, তাহলে আল্লাহ্ যেন তোমাকে আগের মতই করে দেন।

পুনরায় সেই ফেরেশতা পূর্বের আকৃতি ও সুরত ধরে অন্ধ লোকটির নিকট আসলেন এবং বললেনঃ আমি একজন নিঃশ্ব গরীব লোক। আমার সফরের সকল সম্বল শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি আল্লাহর অনুগ্রহ অতঃপর আপনার সাহায্য ব্যতীত ঘরে ফিরতে পারব না। আমি আপনার কাছে সেই আল্লাহর দোহাই দিয়ে একটি ছাগল চাচ্ছি, যিনি আপনার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং সম্পদ দান করেছেন। আপনি একটি ছাগী দিলে তা দিয়ে সফরের কাজ শেষ করতে পারব। তিনি বললেনঃ আমি অন্ধ ছিলাম। আল্লাহ্ তা‘আলা আমার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি ফকীর ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ্ আমাকে বিপুল সম্পদ দিয়েছেন। আপনার মন যা চায় তাই নিয়ে যান। আল্লাহর কসম! আল্লাহর ওয়াসেত্ম আজ তুমি যা নিবে আমি তাতে বাঁধা দেব না। ফেরেশতা বললেনঃ তোমার সম্পদ তুমি রেখে দাও। তোমাদের পরীক্ষা নেয়া হল মাত্র। আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তোমার সাথী দু’জনের উপর হয়েছেন নারাজ।

[3]. আবু দাউদ, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আদাব।