লগইন করুন
যে কারণে ফরয নামাযের পর হাত তুলে জামাআতী দুআ বিধেয় নয়, সেই কারণেই দাফনের পর দুআ বিধেয় হলেও হাত তুলে জামাআতী দুআ বিধেয় নয়। সুতরাং বিধেয় হল, প্রত্যেকেই হাত না তুলে নিজে নিজে মৃতের জন্য দুআ করা। নবী (সঃ) মাইয়্যেত দাফন করা শেষ হলে তার কবরে দাঁড়িয়ে বলতেন, “তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং (প্রশ্নের জওয়াবে) প্রতিষ্ঠিত থাকার তাওফীক চাও। কারণ ওকে এখনই প্রশ্ন করা হবে।” (আবু দাউদ ৩২২১ নং, হাকেম ১/৫৭০, বাইহাকী ৪/৫৬)
সুতরাং রাসুলুল্লাহ (সঃ) কেবল সকলকে দুআ করার নির্দেশ দিতেন। ফলে প্রত্যেকে নিজ নিজ মনে দুআ করতেন। তারা জামাআতী দুআ করতেন না। তা করা উত্তম হলে নিশ্চয় রাসুল (সঃ) দুআ'র আদেশ না করে নিজে হাত তুলে দুআ করতেন এবং সাহাবাগন অনুরূপ করতেন। কারণ, ভালো মন্দের ব্যাপারে আমাদের চেয়ে তারাই সব রকমের জ্ঞ্যান অধিক রাখতেন। আর তা উত্তম হলে আমাদের আগেই তারা তা করে যেতেন। অথচ তার কোন প্রমাণ নেই। (দেখুন, ফাতাওয়াত তা’যিয়াহ, ইবনে উষাইমীন ৩১ পৃঃ)
অনেকে ফাতহুল বারী (৪/২৭২) তে দাফন করার পর হাত তুলে দু'আ করার দলীল খুঁজে পেয়েছেন। নবী (সঃ) ত্বালহা বিন বারা’র কবরে দাঁড়িয়ে দুই হাত তুলে দুআ করেছেন। অথচ সে ঘটনা দাফনের পর নয়। পরন্ত তার সনদও সহীহ নয়। ৪৯২ (দ্রঃ সিঃ যযীফাহ ৩২৩২ নং)
আর এ কথা বিদিত যে, যিয়ারতের সময় (একাকী) হাত তুলে দুআ করা বিধেয়।