মুখতাসার যাদুল মা‘আদ অনুচ্ছেদ সমুহের সূচী ও বিবরন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহঃ)
কুরআন তিলাওয়াতের সিজদাহ

রসূল (ﷺ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি সূরা আলিফ লাম তানযীল, সূরা সোয়াদ, সূরা আলাক, সূরা নাজম এবং সূরা ইযাস সামাউন শাক্কাতে সিজদাহ করেছেন।

আবু দাউদ শরীফে আমর বিন আস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূল (ﷺ) তাঁকে পনেরটি সিজদাহ শিক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে মুফাস্সালে তিনটি এবং সূরা হজ্জে দুইটি। মদ্বীনায় হিজরতের পরে মুফাস্সালে কোন সিজদা দেন নি বলে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে যেই হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা যঈফ। তার সনদে রয়েছে আবু কুদামাহ হারিছ বিন উবাইদ। তার বর্ণিত হাদীস দলীল হতে পারেনা। তা ছাড়া এর সনদে মাতার আল-ওয়াররাক নামক একজন রাবী থাকার কারণেও ইবনুল কাত্তান হাদীসটিকে যঈফ বলেছেন। তিনি বলেন- মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবী লায়লার মতই তার স্মরণ শক্তি দুর্বল ছিল। ইমাম মুসলিম কর্তৃক তার থেকে হাদীস বর্ণনা করাতে দোষের কিছু নেই। কেননা তিনি কেবল তার ঐ সমস্ত হাদীসই বর্ণনা করেছেন, যা তিনি স্মরণ রাখতে পেরেছেন বলে নিশ্চিত হতে পেরেছিলেন। যেমন তিনি নির্ভরযোগ্য রাবীদের ঐ সমস্ত হাদীসও বর্জন করতেন, যাতে তারা ভুল করেছেন।

কিছু মুহাদ্দিছ সকল ছিকাহ তথা নির্ভরযোগ্য রাবীর সব হাদীসকেই সহীহ বলেছেন। আবার কতিপয় আলেম দুর্বল স্মরণ শক্তি সম্পন্ন সকল রাবীর সকল হাদীসকে যঈফ বলেছেন। এ ক্ষেত্রে ইমাম হাকেম এবং অন্যান্যদের পদ্ধতিটিই উত্তম। অতঃপর ইবনে হাযম (রহঃ) এর অভিমত। আর ইমাম মুসলিম যেই পন্থা অবলম্বন করেছেন তাই উসূলে হাদীছের ইমামদের মত। অর্থাৎ যে সমস্ত রাবীর মধ্যে সকল শর্তই বিদ্যমান, কিন্তু তাদের স্মরণ শক্তি তেমন প্রখর নয়, তাদের হাদীসগুলো যদি অন্যান্য রাবীদের বর্ণনা দ্বারা সমর্থিত হয় বা যে সমস্ত হাদীসকে তারা স্মরণ রাখতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা যাবে মুহাদ্দিছগণ তাদের সেই হাদীসগুলোকে গ্রহণ করেছেন।