লগইন করুন
প্রসবের ২/১ দিন পূর্ব থেকে বা প্রসবের পর থেকেই লাগাতার ক্ষরণীয় খুনকে নিফাসের খুন বলে। এই খুন সর্বাধিক ৪০ দিন ঝরতে থাকে এবং এটাই তার সর্বশেষ সময়। সুতরাং ৪০ দিন পর খুন দেখা দিলেও মহিলা গোসল করে নামায-রোযা করবে। অবশ্য ৪০ দিনের মাথায় যদি প্রসূতির মাসিক আসার সময় হয় এবং খুন একটানা থেকে যায়, তবে তার অভ্যাসমত মাসিককালও অপেক্ষা করে তারপর গোসল করবে।
৪০ দিন পূর্বে এই খুন বন্ধ হলেও গোসল সেরে নামায-রোযা করবে। স্বামী সহবাসও বৈধ হবে। কিন্তু ২/৫ দিন বন্ধ হয়ে পুনরায় (৪০ দিনের পূর্বেই) খুন এলে নামায-রোযা ইত্যাদি বন্ধ করবে এবং পরে যখন বন্ধ হবে অথবা ৪০ দিন পূর্ণ হলে গোসল করে পাক হয়ে যাবে। মাঝের ঐ দিনের নামায-রোযা শুদ্ধ হয়ে যাবে এবং স্বামী সঙ্গমেরও পাপ হবে না।[1]
৪০ দিনের ভিতরে খুন মেটে বা গাবড়া রঙের হলেও তা নিফাসের খুন।[2]
মানুষের আকৃতি আসার পর (সাধারণতঃ ৮০ দিন পর) গর্ভপাত হলে বা ঘটালে যে খুন আসবে তা নিফাসের খুন। এর পূর্বে হলে তা নিফাস নয় বরং ইস্তিহাযার খুন। এতে নামায-রোযা করতে হবে।[3]
[2] (ফাতাওয়াল মারআহ ২৩পৃঃ)
[3] (আল-ফাতাওয়া আল- ইসলামিয়্যাহ ১/২৪৩,২৪৫, ফাতাওয়াল মারআহ ২৪পৃঃ)