লগইন করুন
মুসলমানদের উপর যেমন যাকাতুল ফিৎর ফরয করা হয়েছে। তেমনি তা কি দ্বারা আদায় করবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, أَدُّوْا صَاعًا مِنْ طَعَامٍ فِي الْفِطْرِ ‘তোমরা ছাদাক্বাতুল ফিৎর আদায় কর এক ছা‘ খাদ্যদ্রব্য দ্বারা’।[1]
অন্য হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَبِيْ سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ رضى الله عنه يَقُوْلُ كُنَّا نُخْرِجُ زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيْبٍ-
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, ‘আমরা এক ছা‘ ত্বা‘আম বা খাদ্য অথবা এক ছা‘ যব অথবা এক ছা‘ খেজুর অথবা এক ছা‘ পনির অথবা এক ছা‘ কিশমিশ থেকে যাকাতুল ফিৎর বের করতাম’। [2]
অত্র হাদীছে যাকাতুল ফিৎর প্রদানের ব্যাপারে বিভিন্ন খাদ্যশস্যের নাম সহ সাধারণভাবে ‘ত্বা‘আম’ বা খাদ্যের কথা এসেছে, যা দ্বারা পৃথিবীর ঐ সকল খাদ্যশস্যকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রধান খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। হাদীছে সরাসরি চাউলের কথা উল্লেখ না থাকলেও তা যে ‘ত্বা‘আম’ বা খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু ধান খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা ধান মানুষের সরাসরি খাদ্য নয়। যবের উপরে ধানের ক্বিয়াস করা যাবে না। কেননা যব খোসা সহ পিষে খাওয়া যায়। কিন্তু ধান খোসা সহ পিষে খাওয়া যায় না। সুতরাং বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসাবে চাউল দ্বারা ফিৎরা প্রদান করাই শরী‘আত সম্মত।
[2]. বুখারী হা/১৫০৬; মুসলিম হা/৯৮৫; মিশকাত হা/১৮১৬।