লগইন করুন
إستنجاء শব্দটি বাবে إستفعال এর মাসদার। এর আভিধানিক অর্থ: পরিত্রাণ পাওয়া বা কর্তন করা। যেমন বলা হয় نجوت الشجرة অর্থাৎ: আমি গাছ কর্তন করেছি। একে إستنجاء এজন্যই বলা হয় যে, এর মাধ্যমে কষ্ট কর্তন বা দূরিভূত করা হয়।
পরিভাষায়: পানি, পাথর, কাগজ বা অনুরূপ কিছু দ্বারা দু’রাস্তা (অগ্র ও পশ্চাদ) দিয়ে নির্গত নাপাক দূর করাকে ইসতিনজা বলে। ইসতিনজাকে ইসতিজমার নামেও অবহিত করা হয়। কেননা অনেক সময় ইসতিনজা করার ক্ষেত্রে ছোট পাথর ব্যবহার করা হয়। অনুরূপভাবে একে ইসতিতাবাও বলা হয়। কেননা এর মাধ্যমে শরীর থেকে নাপাকী দূর করার পর পবিত্রতা অর্জন করা হয়।[1]
ইসতিনজার হুকুম:
ইমাম আবূ হানীফা (রাহিমাহুল্লাহ)[2] ব্যতীত জমহুর আলিমদের মতে, দু’রাস্তা দিয়ে স্বভাবত যা নির্গত হয়; যেমন: পেশাব, মযি বা পায়খানা ইত্যাদির ক্ষেত্রে ইসতিনজা করা ওয়াজিব।
যেমন মহানাবী (ﷺ) এর বাণী:
«إِذَا ذَهَبَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْغَائِطِ، فَلْيَذْهَبْ مَعَهُ بِثَلَاثَةِ أَحْجَارٍ فَلْيَسْتَطِبْ بِهَا؛ فَإِنَّهَا تَجْزِي عَنْهُ»
তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় গমন করে, তখন সে যেন তার সাথে তিনটি পাথর (কুলুখ) নিয়ে যায়, যা দ্বারা সে পবিত্রতা অর্জন করবে এবং এটাই তার জন্য যথেষ্ট।[3]
এটা আদেশ সূচক বাণী। আর এ আদেশটি ওয়াজিব বা আবশ্যকতার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর পর মহানাবী (ﷺ) এর বাণী فَإِنَّهَا تَجْزِي এর মধ্যে تَجْزِي (যথেষ্ট) শব্দটি ওয়াজিব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মহানাবী (ﷺ)আরও বলেন: لا يستنجي أحدكم بدون ثلاثة أحجار -অর্থাৎ: তোমরা কেউ তিনটি পাথরের কম পাথর দ্বারা ইসতিনজা করবে না।[4]
এখানে তিনটি পাথরের কম ব্যবহার করার নিষেধাজ্ঞা এটাই প্রমাণ করে যে, এর চেয়ে কম ব্যবহার করা হারাম। যেহেতু নাপাকীর ক্রিয়দাংশ পরিত্যাগ করা হারাম, সেহেতু তার সম্পূর্ণটা পরিত্যাগ করা আরও বেশি হারাম।
[2] ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন, ইসেত্মঞ্জা করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ, যতÿণ না নির্গত নাজাসাত থেকে মুক্ত না হওয়া যায়। তাদের দলীল হল, "من إستجمر فليوتر, من فعل فقد أحسن, ومن لا فلا حرج" অর্থাৎ, ‘‘যে ইসেত্মঞ্জা করার জন্য ঢিলা নিবে সে যেন বেজড় ঢিলা নেই। যে এটি করল সে ভাল কাজ করল। আর যে করল না তার কোন ÿতি নাই’’। হাদীসটি যঈফ। যঈফুল জামে (৫৪৬৮)
[3] শাওয়াহেদের কারণে হাসান; আবূ দাউদ হা/ ৪০; নাসাঈ ১/১৮; আহমাদ ৬/১০৮-১৩৩ সনদ যঈফ, তবে শাওয়াহেদ থাকার কারণে তা শক্তিশালী হয়েছে। দেখুন, ইরওয়া (৪৪)
[4] মুসলিম হা/ ২৬২; নাসাঈ ১/১২; তিরমিযী (১৬); আবূ দাউদ।