লগইন করুন
অতঃপর (সিজদার পর) নবী মুবাশ্শির (ﷺ) ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তকবীর দিয়ে সিজদাহ থেকে মাথা তুলতেন। এ ব্যাপারে তিনি নামায ভুলকারী সাহাবীকে আদেশ করে বলেছেন, “কোন ব্যক্তির নামায ততক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না --- সিজদাহ করেছে ও তাতে তার সমস্তহাড়ের জোড় স্থির হয়েছে। অতঃপর ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মাথা তুলে সোজা বসে গেছে।” (আবূদাঊদ, সুনান ৮৫৭ নং,হাকেম, মুস্তাদরাক)
এই তকবীরের সাথেও তিনি কখনো কখনো ‘রফ্য়ে ইয়াদাইন’ করতেন। (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৭৪০নং, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১০৪১, ১০৯৫ নং) অর্থাৎ তিনি প্রত্যেক নামাযে বা সর্বদা এই সময়ে বা বসা অবস্থায় হাত তুলতেন না। কারণ, আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, ‘নবী (ﷺ) সিজদার সময় বা বসা অবস্থায় হাত তুলতেন না।’ (বুখারী, মুসলিম, প্রমুখ, মিশকাত ৭৯৩নং) অনুরুপ বলেন হযরত আলী (রাঃ) ও। (আবূদাঊদ, সুনান ৭৬১নং)
মাথা তোলার পর তিনি তাঁর বাম পা-কে বিছিয়ে দিতেন ও তার উপর স্থির হয়ে বসে যেতেন। (বুখারী, মুসলিম, সহীহ ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৩১৬নং) পরন্তু তিনি নামায ভুলকারী সাহাবীকেও উক্ত আমল করার আদেশ দিয়ে বলেছিলেন, “যখন তুমি সিজদাহ থেকে মাথা তুলবে, তখন তোমার বাম ঊরুর উপর বসবে।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৮৫৯ নং)
এরপর ডান পায়ের পাতাকে তিনি খাড়া রাখতেন। (বুখারী, বায়হাকী, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (ﷺ), আলবানী ১৫১পৃ:) আর এই পায়ের আঙ্গুল গুলোকে কেবলামুখী করে রাখতেন। (সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১১০৯ নং)
কখনো কখনো তিনি এই বৈঠকে দুই পায়ের পাতাকে খাড়া রেখে পায়ের দুই গোড়ালির উপর বসতেন। এই প্রকার বৈঠক প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘এরুপ বসা সুন্নত।’ ত্বাঊস বলেন, আমরা তাঁকে বললাম, ‘আমরা তো এটা নামাযীর জন্য কষ্টকর মনে করি।’ কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন, ‘পরন্তু এটা তোমার নবী (ﷺ) এর সুন্নত (তরীকা)।’ (মুসলিম, সহীহ ৫৩৬নং, আআহমাদ, মুসনাদ, আবুশ শায়খ, আবূদাঊদ, সুনান ৮৪৫ নং, তিরমিযী, সুনান, বায়হাকী)